আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেছেন, যদি আগামী রবিবারের মধ্যে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ না করা হয় তাহলে সোমবার থেকে আন্দোলন শুরু হবে। আমার দাবির সমর্থনে আপনারা ইবি থেকে আন্দোলন শুরু করবেন। নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। আমি ঢাকায় মাঠে থাকব। আপনারা এখানে মাঠে থাকবেন।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বেলা ১২টায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসিতে শিক্ষার্থীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মাহমুদুর রহমান বলেন, দেশকে আওয়ামী লীগ থেকে মুক্ত রাখতে হলে আগে ছাত্রলীগ থেকে মুক্ত করতে হবে। বাংলাদেশে যদি কোনো জঙ্গি সংগঠন থাকে সেটি ছাত্রলীগ। আমি কয়েকদিন আগে জাতীয় প্রেস ক্লাবে একটি বক্তব্যে ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করতে সাত দিন সময় দিয়েছিলাম। আপনাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, আগামী রবিবার সেই সাতদিন শেষ হবে।
তিনি বলেন, ঐতিহাসিক ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের কাঁধে চেপে বসা জালেমশাহীর পতন ঘটেছে। ১৬ বছর ধরে বাংলাদেশে যে ফ্যাসিস্ট ও ইসলামবিরোধী সরকার ছিল সেটি সরাসরি দিল্লি থেকে পরিচালিত হয়েছে। ১৯৮১ সালে ইসলাম এবং বাংলাদেশকে ধ্বংস করার জন্য তিনি দিল্লি থেকে এসেছিলেন। পতনের পর এখন আবার প্রভুর কাছেই তিনি আশ্রয় নিয়েছেন। দিল্লি ছাড়া তার আর যাওয়ার জায়গা নেই। তিনি যে দিল্লির ঘৃণ্য এজেন্ট ছিলেন এটাই তার দৃষ্টান্ত প্রমাণ।
মাহমুদুর রহমান আরও বলেন, ছাত্র-জনতার রক্তের মধ্য দিয়ে একটা বিপ্লব হয়েছে। এই বিপ্লবকে বিপথগামী করা যাবে না। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের মাঝে কোনো যেন কোনো বিভেদ না আসে। এখন আমাদের সুযোগ এসেছে, ভারতীয় আধিপত্যবাদকে চিরতরে উৎখাত করার। ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে আবরার শহীদ হয়েছে। আমাদের এ লড়াইকে অব্যাহত রাখতে হবে। বর্তমান সরকারকে টিকিয়ে রাখতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। কারণ এই সরকার না টিকলে ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদ মাথাচাঁড়া দিয়ে উঠবে। কিন্তু সরকারের দিকেও আমাদের নজর রাখতে হবে। যাতে তারা বিপথগামী না হয়। সবাইকে এই দায়িত্ব নিতে হবে। ১৮ কোটি জনগণ যদি এক থাকে তাহলেই ভারতীয় আধিপত্যবাদের উৎখাত সম্ভব হবে।
এদিন মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও আমার দেশ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ও আমার দেশ পত্রিকার নগর সম্পাদক এম. আব্দুল্লাহ, এবি পার্টির যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক ড. মেজর আব্দুল ওয়াহাব মিনার, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান ও ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম প্রমুখ।