চণ্ডীপাঠ, বোধন ও দেবীর অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।গতকাল বুধবার (৯ অক্টোবর) মহাষষ্ঠীতে মহিষাসুরমর্দিনী দেবী দুর্গাকে বরণ করে নিয়েছেন সনাতন ধর্মাবলম্বী ভক্তরা।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) নবপত্রিকা প্রবেশ ও সপ্তমীবিহিত পূজা সম্পন্ন হবে। পূজা শেষে পুণ্যার্থীরা উপবাস পালন করে অঞ্জলি দেবেন।
এর আগে দুর্গাপূজা উপলক্ষে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে আজ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। এর ফলে পূজার ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে আজ থেকে আগামী রোববার (১৩ অক্টোবর) পর্যন্ত টানা চার দিন ছুটি থাকছে।
গতকাল ষষ্ঠীতে সকালে বিল্ববৃক্ষ (বেলগাছ তলে) দেবীর আবাহন, সংকল্প ও ‘ত্রিনয়নী’ দুর্গাদেবীর নিদ্রা (বোধন) ভাঙিয়ে পূজায় দেবীকে বরণ করা হয়। পূজার্চনা আর দেবীর আরাধনা করেন তার ভক্তরা।
আজ মহাসপ্তমীর সকালে চক্ষুদানের মধ্য দিয়ে ‘প্রাণ প্রতিষ্ঠা’ হয় ত্রিনয়নী দেবীর প্রতিমায়। সপ্তমী তিথিতে সকাল ৭টা ৫৫ মিনিটের মধ্যে দেবীর নবপত্রিকা প্রবেশ, স্থাপন, সপ্তম্যাদি কল্পারম্ভ ও সপ্তমী বিহিত পূজা প্রশস্তা হয়। এরপর অঞ্জলি প্রদান করেন পূজার্থীরা।
রাতে দেবীর অর্ধরাত্র বিহিত পূজা প্রশস্তা। প্রকৃতির বিভিন্ন সৃষ্টির মধ্যে ১৬টি গাছের ফুল, ফল, পাতা দিয়ে সব অশুদ্ধকে শোধন করে দেবীকে পূজা করা হবে। এরপর কল্পনার মধ্য দিয়ে দেবীকে মনের আসনে বসানো হবে। শাস্ত্রমতে, মহাসপ্তমীর দিনে দেবালোক ছেড়ে ভক্তকুলের সন্নিকটে পৌঁছান দুর্গাদেবী।