ঢাকা ১২:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২০ হাজার কোটি টাকার লেনদেন

১১ কোটি নাগরিকের তথ্য বিক্রি

  • লিমন হোসেন
  • আপডেট সময় ০৭:৩৯:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪
  • 41

আজকের প্রত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান খবর

নয়াদিগন্ত:

১১ কোটি নাগরিকের তথ্য বিক্রি
২০ হাজার কোটি টাকার লেনদেন
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয়পত্র সার্ভার থেকে ১১ কোটি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এই ঘটনায় ২০ হাজার কোটি টাকার লেনদেনের প্রাথমিক তথ্যও পেয়েছে পুলিশ।
গতকাল বুধবার বিকেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন ডিসি মিডিয়া মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানান। তিনি জানান, ইসির এনআইডি সার্ভারে সংরক্ষিত ১১ কোটিরও বেশি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্যের মিরর ইমেজ বা কপি তৈরি করে, বেআইনিভাবে ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিসেস নামক প্রতিষ্ঠানের কাছে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য হস্তান্তর করা হয় বা তাদেরকে বিক্রির একসেস দেয়া হয়।
পুলিশ বলছে, ১৮২টি দেশী- বিদেশী সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করা হয়েছিল এসব তথ্য।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কর্মকর্তা তালেবুর রহমান জানান, ২০২২ সালের ৪ অক্টোবর নির্বাচন কমিশনের এনআইডি বিভাগ ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি হয়। সেই চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল ইসির এনআইডি তথ্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে দিতে পারবে না।
পুলিশের দাবি, এই চুক্তি লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে এনআইডির তথ্য অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন দেশী-বিদেশী, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। এ ঘটনা নিয়ে সম্প্রতি এক মামলার পর ডাটা সেন্টারের সাবেক পরিচালক তারেক এম বরকতউল্লাহকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, এ মামলায় ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর বাইরে আরও ১৫ থেকে ২০ জন আসামি আছে। তারা পরস্পরের যোগসাজশে এ কাজের সাথে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে পুলিশ।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

রাষ্ট্র সংস্কারে জামায়াতের ১০ প্রস্তাব
জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্র সংস্কারে ১০ দফা প্রস্তাব প্রকাশ করেছে। এতে রয়েছে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষা, একই ব্যক্তি পরপর দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না। জাতীয় নির্বাচনের সময় কেয়ারটেকার সরকারব্যবস্থা সংবিধানে স্থায়ীভাবে ফিরিয়ে আনা, ইভিএম বাতিল, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রথা বাতিল, আনুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সব কালো আইন বাতিল, চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা আগামী দুই বছরের জন্য ৩৫ বছর ও পরবর্তী বয়সসীমা স্থায়ীভাবে ৩৩ বছর। এ ছাড়া পুলিশ বাহিনীর জন্য স্বাধীন কমিশন গঠনসহ সেক্টর অনুযায়ী বিভিন্ন প্রস্তাব। গতকাল রাজধানীর গুলশানে হোটেল ওয়েস্টিনে আয়োজিত ‘রাষ্ট্র সংস্কার প্রস্তাব’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে ১০ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের। এর আগে স্বাগত বক্তব্য দেন জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দলের পক্ষে এ প্রস্তাব শুধু অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য। নির্বাচিত কোনো সরকারের জন্য নয়। এ সরকারের কাছে জামায়াতের মোট ৪১টি প্রস্তাব আছে, যার মধ্যে ১০টি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে।
পুরো খবর দেখেতে লিংক করুন

কালবেলা:

আ.লীগ সরকারের রাজনৈতিক ‘হাতিয়ার’ ছিল উচ্চ আদালত
সুপ্রিম কোর্টকে বলা হয় জনগণের ন্যায়বিচারের শেষ ভরসাস্থল। সেই ভরসাস্থলকে রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির হাতিয়ারে পরিণত করা হয় বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে। উচ্চ আদালতের পরতে পরতে রয়েছে এই রাজনীতিকরণের প্রমাণ। আর এ কাজের গোড়াপত্তন হয় বিচারপতি নিয়োগের মধ্য দিয়ে। পুরোপুরি রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ হয় বিচারপতিদের। দলের প্রতি আনুগত্য প্রকাশই ছিল নিয়োগের অন্যতম শর্ত। যার আনুগত্য যত বেশি ছিল, নিয়োগে ছিল তার তত প্রাধান্য। আবার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করতে পারলেই তাকে দেওয়া হয়েছে পদোন্নতি। বিচারপতিরা নিজেদের শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ হিসেবেও ঘোষণা দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। এভাবে চরম দলীয়করণের প্রভাব পড়েছে বিচার কাজেও।

বিশ্লেষকরা বলছেন, চরম দলীয়করণের কারণেই বিচার বিভাগে নজিরবিহীন ইতিহাস তৈরি হয়েছে। একযোগে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের ছয়জন বিচারপতি পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। তবে এখনো হাইকোর্ট বিভাগে দলীয় লেজুড়বৃত্তিতে জড়িত অনেক বিচারপতি তাদের পদে বহাল রয়েছেন। সে কারণে বিভিন্ন মহল থেকে তাদেরও পদত্যাগের দাবি উঠেছে।

সর্বশেষ গত ৭ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টে সাধারণ আইনজীবীদের ব্যানারে ৩০ বিচারপতির পদত্যাগ দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন থেকে দলবাজ ও দুর্নীতিগ্রস্ত বিচারপতিদের স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করার আহ্বান জানানো হয়। অন্যথায় আগামী ১৮ অক্টোবর এসব বিচারপতির ছবিসংবলিত নামের তালিকা প্রকাশ করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। কর্মসূচি শেষে আইনজীবীদের একটি প্রতিনিধিদল সেসব বিচারপতির অপসারণে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রধান বিচারপতিকে স্মারকলিপি দেন।

প্রথম আলো:

অবশেষে সাকিবের দুঃখ প্রকাশ
নীরবতা ভাঙলেন সাকিব আল হাসান। গতকাল রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে তিনি তাঁর রাজনীতিতে আসা ও সংসদ সদস্য হওয়ার ব্যাখ্যা দিয়েছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নিজের নীরবতা নিয়েও দুঃখ প্রকাশ করেছেন সাকিব।

সাকিব লিখেছেন, ‘শুরুতেই আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি সে সকল আত্মত্যাগকারী ছাত্রদের, যারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদ হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন। তাদের প্রতি এবং তাদের পরিবারের প্রতি আমার অন্তরের অন্তস্তল থেকে শ্রদ্ধা এবং সমবেদনা। যদিও স্বজনহারা একটি পরিবারের ত্যাগকে কোনো কিছুর বিনিময়ে পূরণ করা সম্ভব না। সন্তান হারানো কিংবা ভাই হারানোর বেদনা কোনো কিছুতেই পূরণযোগ্য নয়।’
আন্দোলনের সময় নীরব থাকা নিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘এই সংকটকালীন সময়টাতে আমার সরব উপস্থিতি না থাকায় আপনারা যারা ব্যথিত হয়েছেন বা কষ্ট পেয়েছেন তাদের অনুভূতির জায়গাটার প্রতি আমার শ্রদ্ধা এবং এ জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আপনাদের জায়গায় আমি থাকলে হয়তো এভাবে মনঃক্ষুণ্ন হতাম।’

রাজনীতিতে আসা নিয়েও নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন তিনি, ‘আমি খুবই স্বল্প সময়ের জন্য মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য ছিলাম। আমার রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়াটা ছিল মূলত আমার জন্মস্থান অর্থাৎ আমার মাগুরার মানুষের উন্নয়নের জন্য সুযোগ পাওয়া। আপনারা জানেন যে, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নির্দিষ্ট কোনো দায়িত্ব ছাড়া নিজের এলাকার উন্নয়নে সরাসরি ভূমিকা রাখাটা একটু কঠিন। আর আমার এই এলাকার উন্নয়ন করতে চাওয়া আমাকে সংসদ সদস্য হতে আগ্রহী করে।’

কালের কন্ঠ:

জল-স্থলের দখলবাজ মহিব
সাগর মোহনায় জেগে ওঠা বিভিন্ন চর দখল করে জেলেদের ইজারা দিয়েছেন তিনি। তাঁরা ওই চরসংলগ্ন পানিতে অবৈধ কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ শিকার করছেন। এতে যে অবৈধ টাকা আসছে, সেটি বৈধ করতে তিনি ‘মৎস্যজীবী’ সেজেছেন। আর তা সাজতে গিয়ে সরকারি খাল ও বেসরকারি জমি দখল করে মাছের ঘের তৈরি করেছেন।এভাবে জলে-স্থলে ‘দখলবাজি’ চালিয়ে পকেটে পুরছেন কোটি কোটি টাকা।
এমন গুরুতর অভিযোগ যাঁর বিরুদ্ধে, তিনি পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মহিববুর রহমান মহিব। ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন তিনি। মহিবের নির্বাচনী এলাকায় গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে এসব অভিযোগের বিষয়ে জানা গেছে। ব্যাপারে তথ্য-প্রমাণও এই প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে।
মহিব এখন পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। নিজ নির্বাচনী এলাকায় তিনি মহিব চেয়ারম্যান হিসেবে বেশ পরিচিত। বাবার নামে প্রতিষ্ঠিত কলেজে একসময় শিক্ষকতা করতেন তিনি।এখন তাঁর স্ত্রী ফাতেমা আক্তার রেখা অধ্যক্ষের দায়িত্বে রয়েছেন। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর থেকে এলাকায় দেখা যাচ্ছে না তাঁকে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মাত্র পাঁচ বছরের ব্যবধানে মহিবের অস্থাবর (নগদ টাকা) সম্পদ বেড়েছে ১,০২৫ শতাংশ। গত পাঁচ বছরে মহিবের চেয়ে তাঁর স্ত্রীর অস্থাবর সম্পদ ২,০৯৩ শতাংশ বেড়েছে।

যুগান্তর:

সওজের প্রকল্প নিয়ে টিআইবির প্রতিবেদন/৫১ হাজার কোটি টাকা লুটপাট ১৫ বছরে
বিগত ১৫ বছরে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের আওতাধীন প্রকল্প বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ অর্থ লোপাটের ঘটনা ঘটেছে। যার সর্বোচ্চ পরিমাণ প্রায় ৫১ হাজার কোটি টাকা। তিন শ্রেণির সমন্বিত একটি চক্র এসব অর্থ লোপাট করেছে। এর মধ্যে আছেন মন্ত্রী, সংসদ-সদস্য ও প্রভাবশালী রাজনীতিক; আমল্লা ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

বুধবার ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংল্লাদেশ (টিআইবি) রাজধানীর মাইডাস সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। ‘সড়ক-মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এই গবেষণা প্রতিবেদনে এসব বিষয় উঠে আসে।

টিআইবির গবেষণায় দেখা গেছে, ২০০৯-২০১০ অর্থবছর থেকে ২০২৩-২৪ পর্যন্ত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি অনুসারে সওজে প্রকল্প ব্যয় হয়েছে ১ ল্লাখ ৬৯ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা। ৪৮টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভ‚মি অধিগ্রহণ ও ইউটিলিটি সেবা বাবদ খরচ হয়েছে ২৫ শতাংশ। আর বাকি ৭৫ শতাংশ খরচ হয়েছে প্রকল্প বাস্তবায়নে। এই ৭৫ শতাংশ থেকে ত্রিপক্ষীয় আঁতাতের মাধ্যমে ২৩-৪০ শতাংশ দুর্নীতি হয়েছে। ২৩ শতাংশ ধরে দুর্নীত হয়েছে ২৯ হাজার ২৩০ কোটি টাকা এবং ৪০ শতাংশ ধরে দুর্নীতি হয়েছে ৫০ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা।

মানবজমিন:

গুজব গুঞ্জনের নেপথ্যে
গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নানা গুজব-গুঞ্জনের ছড়াছড়ি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ভুয়া ও অপ-তথ্য ছড়িয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে বিভিন্ন পক্ষ থেকে। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের দলীয় ফেসবুক পেজ থেকেও গুজব ছড়ানোর অভিযোগ আসছে। যথেষ্ট পরিমাণ সাইবার নজরদারি না থাকায় এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় গুজবকারীরা এটা বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করছে। বিনিময়ে ভিউ ব্যবসা করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। পাশাপাশি অন্তর্বর্তী সরকারের নানা কার্যক্রমকে ব্যাহত করতে এবং তাদের প্রশ্নবিদ্ধ করে ফায়দা নেয়ার জন্য আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরাও কখনো নিজেরা আবার কখনো টাকা খরচ করে বিভিন্ন ইস্যুতে গুজব রটাচ্ছে। আবার এসব গুজব তারা নিজেরাই শেয়ার করে সর্বস্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়। যদিও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, গুজব নিয়ে সাইবার ইউনিটগুলো কাজ করছে। সাইবার পেট্রোলিং, নজরদারি করে অনেক পেজ, আইডি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া যেসব প্ল্যাটফরম থেকে গুজব ছড়ানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এসব বিষয়ে অবহিত করা হচ্ছে।

সংগ্রাম:

ঢাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে ছাত্রশিবিরের শোক
ঢাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় শাবিপ্রবি শিক্ষার্থী তাসনিম জাহান আইরিনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

বুধবার (৯ অক্টোবর) এক যৌথ শোকবার্তায় বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম বলেন, “আজ ০৯ অক্টোবর ঢাকার বাড্ডায় বাসচাপায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী তাসনিম জাহান আইরিন ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

আমরা নিহত শিক্ষার্থী তাসনিম জাহান আইরিনের রুহের মাগফিরাত কামনা করে তাঁর পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।”

নেতৃবৃন্দ বলেন, “সড়কে নৈরাজ্য গত ১৬ বছরের দুঃশাসন ও মাফিয়াতন্ত্রের প্রতীক হয়ে উঠেছিল। আজ রাজধানীর বাড্ডায় দুটি বাসের রেষারেষিতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাসনিম জাহান আইরিনের নির্মম মৃত্যু ইঙ্গিত করছে এখনও সড়কের নৈরাজ্য শেষ হয়নি।

আমরা শিক্ষার্থীসহ জনসাধারণের জীবনের নিরাপত্তার জন্য পরিবহন খাতের নৈরাজ্য বন্ধ এবং সড়ক ও পরিবহন সংশ্লিষ্ট সরকারি সকল দফতর বিশেষ করে ট্রাফিক বিভাগে দুর্নীতি ও দায়িত্বে অবহেলা বন্ধে অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।”

দেশরুপান্তর:

জানুয়ারিতে ফিরতে পারেন তারেক
প্রায় ১৭ বছর আগে ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর দেশ ছেড়ে লন্ডনে চলে যান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এবারের পালাবদলের পর নির্বাসন থেকে তার দেশে ফেরার সুযোগ তৈরি হয়েছে। দলটির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আসছে জানুয়ারিতে তারেকের দেশে ফেরার পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি দেশে ফেরার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছেন।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়। এরপরই তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়টি জোরালোভাবে আলোচনায় আসে। কবে নাগাদ তিনি দেশে ফিরতে পারেন, তা নিয়েও আলোচনা আছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দেশে ফেরার অপেক্ষায় আছেন দলের নেতাকর্মীরাও। এর মধ্যে ভার্চুয়ালি বিএনপির সমাবেশগুলোয় যুক্ত হয়েছেন। বর্তমান সরকারকে সমর্থন, তাদের সংস্কার উদ্যোগ ও বিএনপির পরিকল্পনা নিয়েও বক্তব্য দিয়েছেন তিনি।

ট্যাগস :

দুর্গাপূজায় আজ মহাসপ্তমী

২০ হাজার কোটি টাকার লেনদেন

১১ কোটি নাগরিকের তথ্য বিক্রি

আপডেট সময় ০৭:৩৯:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪

আজকের প্রত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান খবর

নয়াদিগন্ত:

১১ কোটি নাগরিকের তথ্য বিক্রি
২০ হাজার কোটি টাকার লেনদেন
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয়পত্র সার্ভার থেকে ১১ কোটি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এই ঘটনায় ২০ হাজার কোটি টাকার লেনদেনের প্রাথমিক তথ্যও পেয়েছে পুলিশ।
গতকাল বুধবার বিকেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন ডিসি মিডিয়া মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানান। তিনি জানান, ইসির এনআইডি সার্ভারে সংরক্ষিত ১১ কোটিরও বেশি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্যের মিরর ইমেজ বা কপি তৈরি করে, বেআইনিভাবে ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিসেস নামক প্রতিষ্ঠানের কাছে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য হস্তান্তর করা হয় বা তাদেরকে বিক্রির একসেস দেয়া হয়।
পুলিশ বলছে, ১৮২টি দেশী- বিদেশী সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করা হয়েছিল এসব তথ্য।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কর্মকর্তা তালেবুর রহমান জানান, ২০২২ সালের ৪ অক্টোবর নির্বাচন কমিশনের এনআইডি বিভাগ ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি হয়। সেই চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল ইসির এনআইডি তথ্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে দিতে পারবে না।
পুলিশের দাবি, এই চুক্তি লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে এনআইডির তথ্য অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন দেশী-বিদেশী, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। এ ঘটনা নিয়ে সম্প্রতি এক মামলার পর ডাটা সেন্টারের সাবেক পরিচালক তারেক এম বরকতউল্লাহকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, এ মামলায় ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর বাইরে আরও ১৫ থেকে ২০ জন আসামি আছে। তারা পরস্পরের যোগসাজশে এ কাজের সাথে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে পুলিশ।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

রাষ্ট্র সংস্কারে জামায়াতের ১০ প্রস্তাব
জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্র সংস্কারে ১০ দফা প্রস্তাব প্রকাশ করেছে। এতে রয়েছে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষা, একই ব্যক্তি পরপর দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না। জাতীয় নির্বাচনের সময় কেয়ারটেকার সরকারব্যবস্থা সংবিধানে স্থায়ীভাবে ফিরিয়ে আনা, ইভিএম বাতিল, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রথা বাতিল, আনুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সব কালো আইন বাতিল, চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা আগামী দুই বছরের জন্য ৩৫ বছর ও পরবর্তী বয়সসীমা স্থায়ীভাবে ৩৩ বছর। এ ছাড়া পুলিশ বাহিনীর জন্য স্বাধীন কমিশন গঠনসহ সেক্টর অনুযায়ী বিভিন্ন প্রস্তাব। গতকাল রাজধানীর গুলশানে হোটেল ওয়েস্টিনে আয়োজিত ‘রাষ্ট্র সংস্কার প্রস্তাব’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে ১০ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের। এর আগে স্বাগত বক্তব্য দেন জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দলের পক্ষে এ প্রস্তাব শুধু অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য। নির্বাচিত কোনো সরকারের জন্য নয়। এ সরকারের কাছে জামায়াতের মোট ৪১টি প্রস্তাব আছে, যার মধ্যে ১০টি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে।
পুরো খবর দেখেতে লিংক করুন

কালবেলা:

আ.লীগ সরকারের রাজনৈতিক ‘হাতিয়ার’ ছিল উচ্চ আদালত
সুপ্রিম কোর্টকে বলা হয় জনগণের ন্যায়বিচারের শেষ ভরসাস্থল। সেই ভরসাস্থলকে রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির হাতিয়ারে পরিণত করা হয় বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে। উচ্চ আদালতের পরতে পরতে রয়েছে এই রাজনীতিকরণের প্রমাণ। আর এ কাজের গোড়াপত্তন হয় বিচারপতি নিয়োগের মধ্য দিয়ে। পুরোপুরি রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ হয় বিচারপতিদের। দলের প্রতি আনুগত্য প্রকাশই ছিল নিয়োগের অন্যতম শর্ত। যার আনুগত্য যত বেশি ছিল, নিয়োগে ছিল তার তত প্রাধান্য। আবার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করতে পারলেই তাকে দেওয়া হয়েছে পদোন্নতি। বিচারপতিরা নিজেদের শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ হিসেবেও ঘোষণা দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। এভাবে চরম দলীয়করণের প্রভাব পড়েছে বিচার কাজেও।

বিশ্লেষকরা বলছেন, চরম দলীয়করণের কারণেই বিচার বিভাগে নজিরবিহীন ইতিহাস তৈরি হয়েছে। একযোগে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের ছয়জন বিচারপতি পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। তবে এখনো হাইকোর্ট বিভাগে দলীয় লেজুড়বৃত্তিতে জড়িত অনেক বিচারপতি তাদের পদে বহাল রয়েছেন। সে কারণে বিভিন্ন মহল থেকে তাদেরও পদত্যাগের দাবি উঠেছে।

সর্বশেষ গত ৭ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টে সাধারণ আইনজীবীদের ব্যানারে ৩০ বিচারপতির পদত্যাগ দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন থেকে দলবাজ ও দুর্নীতিগ্রস্ত বিচারপতিদের স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করার আহ্বান জানানো হয়। অন্যথায় আগামী ১৮ অক্টোবর এসব বিচারপতির ছবিসংবলিত নামের তালিকা প্রকাশ করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। কর্মসূচি শেষে আইনজীবীদের একটি প্রতিনিধিদল সেসব বিচারপতির অপসারণে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রধান বিচারপতিকে স্মারকলিপি দেন।

প্রথম আলো:

অবশেষে সাকিবের দুঃখ প্রকাশ
নীরবতা ভাঙলেন সাকিব আল হাসান। গতকাল রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে তিনি তাঁর রাজনীতিতে আসা ও সংসদ সদস্য হওয়ার ব্যাখ্যা দিয়েছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নিজের নীরবতা নিয়েও দুঃখ প্রকাশ করেছেন সাকিব।

সাকিব লিখেছেন, ‘শুরুতেই আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি সে সকল আত্মত্যাগকারী ছাত্রদের, যারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদ হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন। তাদের প্রতি এবং তাদের পরিবারের প্রতি আমার অন্তরের অন্তস্তল থেকে শ্রদ্ধা এবং সমবেদনা। যদিও স্বজনহারা একটি পরিবারের ত্যাগকে কোনো কিছুর বিনিময়ে পূরণ করা সম্ভব না। সন্তান হারানো কিংবা ভাই হারানোর বেদনা কোনো কিছুতেই পূরণযোগ্য নয়।’
আন্দোলনের সময় নীরব থাকা নিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘এই সংকটকালীন সময়টাতে আমার সরব উপস্থিতি না থাকায় আপনারা যারা ব্যথিত হয়েছেন বা কষ্ট পেয়েছেন তাদের অনুভূতির জায়গাটার প্রতি আমার শ্রদ্ধা এবং এ জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আপনাদের জায়গায় আমি থাকলে হয়তো এভাবে মনঃক্ষুণ্ন হতাম।’

রাজনীতিতে আসা নিয়েও নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন তিনি, ‘আমি খুবই স্বল্প সময়ের জন্য মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য ছিলাম। আমার রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়াটা ছিল মূলত আমার জন্মস্থান অর্থাৎ আমার মাগুরার মানুষের উন্নয়নের জন্য সুযোগ পাওয়া। আপনারা জানেন যে, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নির্দিষ্ট কোনো দায়িত্ব ছাড়া নিজের এলাকার উন্নয়নে সরাসরি ভূমিকা রাখাটা একটু কঠিন। আর আমার এই এলাকার উন্নয়ন করতে চাওয়া আমাকে সংসদ সদস্য হতে আগ্রহী করে।’

কালের কন্ঠ:

জল-স্থলের দখলবাজ মহিব
সাগর মোহনায় জেগে ওঠা বিভিন্ন চর দখল করে জেলেদের ইজারা দিয়েছেন তিনি। তাঁরা ওই চরসংলগ্ন পানিতে অবৈধ কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ শিকার করছেন। এতে যে অবৈধ টাকা আসছে, সেটি বৈধ করতে তিনি ‘মৎস্যজীবী’ সেজেছেন। আর তা সাজতে গিয়ে সরকারি খাল ও বেসরকারি জমি দখল করে মাছের ঘের তৈরি করেছেন।এভাবে জলে-স্থলে ‘দখলবাজি’ চালিয়ে পকেটে পুরছেন কোটি কোটি টাকা।
এমন গুরুতর অভিযোগ যাঁর বিরুদ্ধে, তিনি পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মহিববুর রহমান মহিব। ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন তিনি। মহিবের নির্বাচনী এলাকায় গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে এসব অভিযোগের বিষয়ে জানা গেছে। ব্যাপারে তথ্য-প্রমাণও এই প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে।
মহিব এখন পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। নিজ নির্বাচনী এলাকায় তিনি মহিব চেয়ারম্যান হিসেবে বেশ পরিচিত। বাবার নামে প্রতিষ্ঠিত কলেজে একসময় শিক্ষকতা করতেন তিনি।এখন তাঁর স্ত্রী ফাতেমা আক্তার রেখা অধ্যক্ষের দায়িত্বে রয়েছেন। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর থেকে এলাকায় দেখা যাচ্ছে না তাঁকে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মাত্র পাঁচ বছরের ব্যবধানে মহিবের অস্থাবর (নগদ টাকা) সম্পদ বেড়েছে ১,০২৫ শতাংশ। গত পাঁচ বছরে মহিবের চেয়ে তাঁর স্ত্রীর অস্থাবর সম্পদ ২,০৯৩ শতাংশ বেড়েছে।

যুগান্তর:

সওজের প্রকল্প নিয়ে টিআইবির প্রতিবেদন/৫১ হাজার কোটি টাকা লুটপাট ১৫ বছরে
বিগত ১৫ বছরে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের আওতাধীন প্রকল্প বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ অর্থ লোপাটের ঘটনা ঘটেছে। যার সর্বোচ্চ পরিমাণ প্রায় ৫১ হাজার কোটি টাকা। তিন শ্রেণির সমন্বিত একটি চক্র এসব অর্থ লোপাট করেছে। এর মধ্যে আছেন মন্ত্রী, সংসদ-সদস্য ও প্রভাবশালী রাজনীতিক; আমল্লা ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

বুধবার ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংল্লাদেশ (টিআইবি) রাজধানীর মাইডাস সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। ‘সড়ক-মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এই গবেষণা প্রতিবেদনে এসব বিষয় উঠে আসে।

টিআইবির গবেষণায় দেখা গেছে, ২০০৯-২০১০ অর্থবছর থেকে ২০২৩-২৪ পর্যন্ত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি অনুসারে সওজে প্রকল্প ব্যয় হয়েছে ১ ল্লাখ ৬৯ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা। ৪৮টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভ‚মি অধিগ্রহণ ও ইউটিলিটি সেবা বাবদ খরচ হয়েছে ২৫ শতাংশ। আর বাকি ৭৫ শতাংশ খরচ হয়েছে প্রকল্প বাস্তবায়নে। এই ৭৫ শতাংশ থেকে ত্রিপক্ষীয় আঁতাতের মাধ্যমে ২৩-৪০ শতাংশ দুর্নীতি হয়েছে। ২৩ শতাংশ ধরে দুর্নীত হয়েছে ২৯ হাজার ২৩০ কোটি টাকা এবং ৪০ শতাংশ ধরে দুর্নীতি হয়েছে ৫০ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা।

মানবজমিন:

গুজব গুঞ্জনের নেপথ্যে
গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নানা গুজব-গুঞ্জনের ছড়াছড়ি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ভুয়া ও অপ-তথ্য ছড়িয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে বিভিন্ন পক্ষ থেকে। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের দলীয় ফেসবুক পেজ থেকেও গুজব ছড়ানোর অভিযোগ আসছে। যথেষ্ট পরিমাণ সাইবার নজরদারি না থাকায় এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় গুজবকারীরা এটা বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করছে। বিনিময়ে ভিউ ব্যবসা করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। পাশাপাশি অন্তর্বর্তী সরকারের নানা কার্যক্রমকে ব্যাহত করতে এবং তাদের প্রশ্নবিদ্ধ করে ফায়দা নেয়ার জন্য আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরাও কখনো নিজেরা আবার কখনো টাকা খরচ করে বিভিন্ন ইস্যুতে গুজব রটাচ্ছে। আবার এসব গুজব তারা নিজেরাই শেয়ার করে সর্বস্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়। যদিও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, গুজব নিয়ে সাইবার ইউনিটগুলো কাজ করছে। সাইবার পেট্রোলিং, নজরদারি করে অনেক পেজ, আইডি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া যেসব প্ল্যাটফরম থেকে গুজব ছড়ানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এসব বিষয়ে অবহিত করা হচ্ছে।

সংগ্রাম:

ঢাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে ছাত্রশিবিরের শোক
ঢাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় শাবিপ্রবি শিক্ষার্থী তাসনিম জাহান আইরিনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

বুধবার (৯ অক্টোবর) এক যৌথ শোকবার্তায় বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম বলেন, “আজ ০৯ অক্টোবর ঢাকার বাড্ডায় বাসচাপায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী তাসনিম জাহান আইরিন ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

আমরা নিহত শিক্ষার্থী তাসনিম জাহান আইরিনের রুহের মাগফিরাত কামনা করে তাঁর পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।”

নেতৃবৃন্দ বলেন, “সড়কে নৈরাজ্য গত ১৬ বছরের দুঃশাসন ও মাফিয়াতন্ত্রের প্রতীক হয়ে উঠেছিল। আজ রাজধানীর বাড্ডায় দুটি বাসের রেষারেষিতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাসনিম জাহান আইরিনের নির্মম মৃত্যু ইঙ্গিত করছে এখনও সড়কের নৈরাজ্য শেষ হয়নি।

আমরা শিক্ষার্থীসহ জনসাধারণের জীবনের নিরাপত্তার জন্য পরিবহন খাতের নৈরাজ্য বন্ধ এবং সড়ক ও পরিবহন সংশ্লিষ্ট সরকারি সকল দফতর বিশেষ করে ট্রাফিক বিভাগে দুর্নীতি ও দায়িত্বে অবহেলা বন্ধে অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।”

দেশরুপান্তর:

জানুয়ারিতে ফিরতে পারেন তারেক
প্রায় ১৭ বছর আগে ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর দেশ ছেড়ে লন্ডনে চলে যান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এবারের পালাবদলের পর নির্বাসন থেকে তার দেশে ফেরার সুযোগ তৈরি হয়েছে। দলটির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আসছে জানুয়ারিতে তারেকের দেশে ফেরার পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি দেশে ফেরার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছেন।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়। এরপরই তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়টি জোরালোভাবে আলোচনায় আসে। কবে নাগাদ তিনি দেশে ফিরতে পারেন, তা নিয়েও আলোচনা আছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দেশে ফেরার অপেক্ষায় আছেন দলের নেতাকর্মীরাও। এর মধ্যে ভার্চুয়ালি বিএনপির সমাবেশগুলোয় যুক্ত হয়েছেন। বর্তমান সরকারকে সমর্থন, তাদের সংস্কার উদ্যোগ ও বিএনপির পরিকল্পনা নিয়েও বক্তব্য দিয়েছেন তিনি।