ঢাকা ১০:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাইজারে বন্যায় ৩৩৯ মৃত্যু, ক্ষতিগ্রস্ত ১১ লাখেরও বেশি

নাইজারে বন্যায় ৩৩৯ মৃত্যু, ক্ষতিগ্রস্ত ১১ লাখেরও বেশি

নাইজারের প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৩৯ জনে পৌঁছেছে। এই দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ১১ লাখেরও বেশি মানুষ। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

নাইজারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গত মাসে জানিয়েছিলেন, বন্যায় ২৭৩ জন মারা গেছেন এবং সাত লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ২৩ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বন্যায় ৩৮৩ জন আহত হয়েছেন। সরকারের নাগরিক সুরক্ষা সংস্থার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, রাজধানী নিয়াম এবং অন্যান্য অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।বন্যায় পশু, খাদ্য সরবরাহ ও অন্যান্য সামগ্রীরও বিশাল ক্ষতি হয়েছে। নাইজারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর জিন্ডারের একটি ঐতিহাসিক মসজিদ ধ্বংস হয়ে গেছে।

দেশটির জাতীয় আবহাওয়া সংস্থার তথ্যমতে, কিছু অঞ্চলে আগের বছরের তুলনায় ২০০ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। স্কুলগুলোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি এবং বহু পরিবার বাস্তুচ্যুত হওয়ার কারণে সরকার নতুন সেশন শুরুর সময়সীমা স্থগিত করেছে।

নাইজারে প্রায় প্রতি বছর জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে বর্ষাকাল চলাকালীন প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। ২০২২ সালে দেশটিতে ১৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে সতর্ক করছেন, জীবাশ্ম জ্বালানি সৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বন্যাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ আরও নিয়মিত ও তীব্রতর হয়ে উঠছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

নোবিপ্রবিতে বায়োলজিক্যাল সায়েন্স বিষয়ক কর্মশালা ও সেমিনার অনুষ্ঠিত

নাইজারে বন্যায় ৩৩৯ মৃত্যু, ক্ষতিগ্রস্ত ১১ লাখেরও বেশি

আপডেট সময় ০৯:৫৯:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪

নাইজারের প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৩৯ জনে পৌঁছেছে। এই দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ১১ লাখেরও বেশি মানুষ। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

নাইজারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গত মাসে জানিয়েছিলেন, বন্যায় ২৭৩ জন মারা গেছেন এবং সাত লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ২৩ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বন্যায় ৩৮৩ জন আহত হয়েছেন। সরকারের নাগরিক সুরক্ষা সংস্থার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, রাজধানী নিয়াম এবং অন্যান্য অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।বন্যায় পশু, খাদ্য সরবরাহ ও অন্যান্য সামগ্রীরও বিশাল ক্ষতি হয়েছে। নাইজারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর জিন্ডারের একটি ঐতিহাসিক মসজিদ ধ্বংস হয়ে গেছে।

দেশটির জাতীয় আবহাওয়া সংস্থার তথ্যমতে, কিছু অঞ্চলে আগের বছরের তুলনায় ২০০ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। স্কুলগুলোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি এবং বহু পরিবার বাস্তুচ্যুত হওয়ার কারণে সরকার নতুন সেশন শুরুর সময়সীমা স্থগিত করেছে।

নাইজারে প্রায় প্রতি বছর জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে বর্ষাকাল চলাকালীন প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। ২০২২ সালে দেশটিতে ১৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে সতর্ক করছেন, জীবাশ্ম জ্বালানি সৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বন্যাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ আরও নিয়মিত ও তীব্রতর হয়ে উঠছে।