ঢাকা ১০:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুলিশের টিয়ারগ্যাসে আহত সাংবাদিক রফিক ভূঁইয়ার মৃত্যু

সাংবাদিক রফিক ভূঁইয়া

রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশ কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের সময় পুলিশের টিয়ারগ্যাসে আহত সাংবাদিক রফিক ভূঁইয়া মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রবিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে তিনি বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

শনিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরের দিকে রাজধানীর মাদারটেকের বাসা থেকে রিকশাযোগে জাতীয় প্রেস ক্লাবে যাওয়ার সময় সেগুন বাগিচা এলাকায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পুরনো ভবনের কাছে পৌঁছলে পুলিশের টিয়ারগ্যাসের কবলে পড়ে রিকশা উল্টে ছিটকে পড়ে যান।

পরে বারডেম হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার জানান, মাথায় মারাত্মক আঘাতে ভেতরে ব্যাপক রক্তক্ষরণ হয়। চিকিৎসকদের চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে এক পর্যায়ে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।

জানা যায়, রফিক ভূঁইয়া সাংবাদিকতা শুরু করেন চট্টগ্রাম থেকে। সেখানে দৈনিক সমাচারের প্রতিনিধি ছিলেন। এর পর ঢাকায় এসেও বিভিন্ন সংবাদপত্রে কাজ করেছেন। নিজেও একাধিক সংবাদপত্র প্রকাশ করেছেন। দীর্ঘদিন কানাডা প্রবাসী থাকাকালে সেখানেও সংবাদপত্র প্রকাশ করেন।

চট্টগ্রামে থাকাকালে রফিক ভূঁইয়া ঐক্যবদ্ধ সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বিএফইউজের প্রথম কমিটিতে ছিলেন নির্বাহী সদস্য। চট্টগ্রাম সাংবাদিক কো-অপারেটিভ সোসাইটির প্রথম সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। সর্বশেষ ডিইউজে ও জাতীয় প্রেসক্লাবের স্থায়ী ও সিনিয়র সদস্য ছিলেন।

রফিক ভূঁইয়ার জামাতা জানিয়েছেন, তার লাশ সমরিতা হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। বিদেশে অবস্থানরত দুই ছেলে দেশের পথে রয়েছেন। তারা ফেরার পর দাফন করা হবে।

রফিক ভূঁইয়ার জন্ম ফেনীর দাগনভূঁইয়ায় ১৯৫১ সালে। দুটি সংসারে ছেলে মেয়ে ছাড়াও অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

গাজায় ইসরায়েলের অভিযান চলছেই ,নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার

পুলিশের টিয়ারগ্যাসে আহত সাংবাদিক রফিক ভূঁইয়ার মৃত্যু

আপডেট সময় ০২:২৭:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৩

রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশ কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের সময় পুলিশের টিয়ারগ্যাসে আহত সাংবাদিক রফিক ভূঁইয়া মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রবিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে তিনি বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

শনিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরের দিকে রাজধানীর মাদারটেকের বাসা থেকে রিকশাযোগে জাতীয় প্রেস ক্লাবে যাওয়ার সময় সেগুন বাগিচা এলাকায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পুরনো ভবনের কাছে পৌঁছলে পুলিশের টিয়ারগ্যাসের কবলে পড়ে রিকশা উল্টে ছিটকে পড়ে যান।

পরে বারডেম হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার জানান, মাথায় মারাত্মক আঘাতে ভেতরে ব্যাপক রক্তক্ষরণ হয়। চিকিৎসকদের চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে এক পর্যায়ে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।

জানা যায়, রফিক ভূঁইয়া সাংবাদিকতা শুরু করেন চট্টগ্রাম থেকে। সেখানে দৈনিক সমাচারের প্রতিনিধি ছিলেন। এর পর ঢাকায় এসেও বিভিন্ন সংবাদপত্রে কাজ করেছেন। নিজেও একাধিক সংবাদপত্র প্রকাশ করেছেন। দীর্ঘদিন কানাডা প্রবাসী থাকাকালে সেখানেও সংবাদপত্র প্রকাশ করেন।

চট্টগ্রামে থাকাকালে রফিক ভূঁইয়া ঐক্যবদ্ধ সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বিএফইউজের প্রথম কমিটিতে ছিলেন নির্বাহী সদস্য। চট্টগ্রাম সাংবাদিক কো-অপারেটিভ সোসাইটির প্রথম সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। সর্বশেষ ডিইউজে ও জাতীয় প্রেসক্লাবের স্থায়ী ও সিনিয়র সদস্য ছিলেন।

রফিক ভূঁইয়ার জামাতা জানিয়েছেন, তার লাশ সমরিতা হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। বিদেশে অবস্থানরত দুই ছেলে দেশের পথে রয়েছেন। তারা ফেরার পর দাফন করা হবে।

রফিক ভূঁইয়ার জন্ম ফেনীর দাগনভূঁইয়ায় ১৯৫১ সালে। দুটি সংসারে ছেলে মেয়ে ছাড়াও অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।