ইসরায়েলের সঙ্গে এক বছরের যুদ্ধে হামাসের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠনটি ছাই থেকে ফিনিক্স পাখির মতো জেগে উঠবে। নতুন যোদ্ধা নিয়োগসহ অস্ত্র তৈরি অব্যাহত রেখেছে হামাস। ফিলিস্তিনের গাজাভিত্তিক সংগঠন হামাসের স্বেচ্ছানির্বাসনে থাকা নেতা খালেদ মেশাল এসব কথা বলেছেন।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েল হামলা চালায় হামাস। জবাবে সেদিন থেকেই গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরায়েলে। গতকাল সোমবার গাজা যুদ্ধের এক বছর পূর্ণ হয়েছে।
ইসরায়েলের সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের চলমান যুদ্ধকে ৭৬ বছর আগে শুরু হওয়া সংঘাতের বৃহত্তর অংশ হিসেবে বর্ণনা করেন মেশাল।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ৬৮ বছর বয়সী এই জ্যেষ্ঠ হামাস নেতা বলেন, ফিলিস্তিনিদের ইতিহাস চক্রাকার। তারা এমন সব পর্যায়ের মধ্য দিয়ে যান, যেখানে অনেকে শহীদ হন। তারা তাদের সামরিক সক্ষমতার কিছু অংশ হারান। কিন্তু তারপর ফিনিক্সের মতো ফিলিস্তিনি চেতনা আবার জেগে ওঠে। এ জন্য আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা।
মেশালকে ১৯৯৭ সালে হত্যার চেষ্টা করেছিল ইসরায়েল। তাকে ইনজেকশনের মাধ্যমে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল। তবে তিনি প্রাণে বেঁচে যান।
১৯৯৬ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সামগ্রিকভাবে হামাসের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন মেশাল। তিনি বলেন, হামাস এখনো ইসরায়েলি সেনাদের বিরুদ্ধে অতর্কিত হামলা চালাতে সক্ষম।
বিশদ বিবরণ না দিয়ে মেশাল বলেন, তারা তাদের গোলাবারুদ ও অস্ত্রশস্ত্রের কিছু অংশ হারিয়েছেন। কিন্তু হামাস এখনো তরুণদের নিয়োগ দিচ্ছে। তারা উল্লেখযোগ্যসংখ্যক গোলাবারুদ ও অস্ত্র তৈরি অব্যাহত রেখেছেন।