ঢাকা ১১:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হুন্ডির হোতা সাবেক এমপি আফজাল

  • লিমন হোসেন
  • আপডেট সময় ০৭:১৩:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪
  • 32

আজেকের প্রত্রিকার প্রধান প্রধান খবর

কালের কন্ঠ:

হুন্ডির হোতা সাবেক এমপি আফজাল
►ফুটপাতে জুতার ফেরিওয়ালা থেকে শতকোটির কারখানা

► নামে-বেনামে সম্পদের পাহাড়

► মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও অস্ট্রেলিয়ায় বাড়ি-গাড়ি

► মানুষের সম্পদ, খাসজমি দখল‘

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা’, ‘বিনা ভোট’ ও ‘ডামি ভোটে’ কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে টানা চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন আফজাল হোসেন। ক্ষমতার পরশ পাথর হাতে পেয়ে শুরু করেন সীমাহীন দুর্নীতি ও লুটপাট। অবৈধ সম্পদ অর্জনে তিনি বেছে নেন হুন্ডির কারবারসহ চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ঘুষ, অবৈধভাবে নদীর বালু উত্তোলন, জমি দখল ইত্যাদি। দেশের বাইরে বিদেশেও বিপুল অর্থপাচার করেছেন তিনি।সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া ও মালয়েশিয়ায় আছে ফ্ল্যাট, বাড়ি ও গাড়ি। আফজালের সম্পদের পাহাড়ে চাপা পড়েছে দেশের খেটে খাওয়া কোটি মানুষের ঘাম।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর একের পর এক রাঘববোয়াল ধরা পড়লেও এখনো অধরা আফজাল। এবার তাঁকে নিয়ে একযোগে অনুসন্ধানে নামছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।

প্রথম আলো:

শেরপুরে বন্যার অবনতি, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনায় অসংখ্য গ্রাম প্লাবিত
ময়মনসিংহের ধোবাউড়া-পোড়াকান্দুলিয়া সড়ক ধরে সাত মাসের ছেলেকে কোলে নিয়ে হাঁটছিলেন গৃহবধূ শিউলি খাতুন। তাঁর চোখে পানি। সকাল থেকে কিছু খাননি। সঙ্গে এক মেয়ে ও ভাশুরের মেয়ে। স্বামীর কাঁধে গৃহস্থালির জিনিসপত্র। তাঁদের বাড়ি পানিতে তলিয়ে আছে। আশ্রয়ের খুঁজে ছুটছেন তাঁরা।

গত শনিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে কথা হয় শিউলি খাতুনের সঙ্গে। জানালেন, তাঁর স্বামী মুকশেদুল ইসলাম (৩০) কৃষক। স্ত্রী ও চার সন্তান নিয়ে তাঁর সংসার। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলা সদর ইউনিয়নের গুজিরকান্দি গ্রামে। শিউলি খাতুন বলেন, ‘রাইত একটার দিকে ঘরে পানি আইছে। তিনডা ঘরেই পানি। সহাল (সকাল) থাইক্যা পানি আরও বাড়তাছে। ছোডু পোলাপান না খায়া আছে। বন্যা আইছে না, গরিবের মরণ আইছে।’

গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে ধোবাউড়ায় মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। শুক্রবার দিনভর বৃষ্টি চলে। টানা বর্ষণে ধোবাউড়া উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া, গামারীতলা, ঘোষগাঁও ইউনিয়নের বিভিন্ন পয়েন্টে নেতাই নদের বাঁধ ভেঙে ও পাহাড়ি ঢলে গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

ভাটির দিকে নামছে বন্যার পানি। পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণের পানি শেরপুরের ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ী থেকে ময়মনসিংহের ফুলপুর, তারাকান্দা, ধোবাউড়া, হালুয়াঘাট; নেত্রকোনার দুর্গাপুর ও কলমাকান্দায় ঢুকে পড়েছে। শেরপুরে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। নেত্রকোনার দুই উপজেলার শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের গতকাল রোববার বিকেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ বিভাগের কংস, জিঞ্জিরাম ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদীগুলোর পানি সমতলে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অপরদিকে ভোগাই নদের পানি সমতলে হ্রাস পাচ্ছে এবং সোমেশ্বরী নদীর পানি সমতলে স্থিতিশীল রয়েছে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

বিশ্ববাজারে কমলেও প্রভাব পড়ে না দেশে
জ্বালানি তেলের দাম – ডলারের ক্রলিং পেগ পদ্ধতিসহ পরিবহন খরচ দায়ী
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমলেও দেশের বাজারে এর প্রভাব খুব একটা পড়ে না। বাংলাদেশে গত মার্চ মাস থেকে বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ শুরু করা হয়। এখন প্রতি মাসে জ্বালানি তেলের নতুন দাম ঘোষণা করা হচ্ছে। কিন্তু বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমার সুফল খুব একটা পায় না ভোক্তারা। এর কারণ হিসেবে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও বিশ্লেষকরা জানান, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি বা হ্রাসের ক্ষেত্রে সব সময় আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সাদৃশ্য বাংলাদেশে দেখা যাচ্ছে না। বিশ্ববাজারে দাম কমার পরও দেশে জ্বালানি তেলের মূল্য না কমার পেছনে তারা ডলারের ক্রলিং পেগ (নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে ডলারের বিনিময় হার ওঠানামা) পদ্ধতিকে দায়ী করেছেন। এ ছাড়া জ্বালানি তেলের পরিবহন খরচসহ অন্যান্য কারণকেও চিহ্নিত করেন তারা।

নয়িাদিগন্ত:

অতি বৃষ্টি ও ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে ৩ জেলা প্লাবিত
গত কয়েক দিনের টানা ভারী বৃষ্টি ও সীমান্তের ওপারে ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা ও গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন এসব এলাকার বাসিন্দারা। এ ছাড়া সড়ক ও রেলপথ ডুবে যাওয়ায় চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। সেই সাথে দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙন।তাহিরপুরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতা জানান, ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে ফসলি জমি, বসতবাড়ি ও সড়ক পানিতে ডুবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রোববার (৬ অক্টোবর) সকাল থেকে জাদুকাটা, রক্তি,পাটলাই নদী দিয়ে ভারতের পানি প্রবল বেগে ভাটির দিকে নামছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলায় সীমান্তের বিভিন্ন নদী ও ছড়া দিয়ে ভারত থেকে নেমে আসা পানি প্রবল বেগে নিম্নাঞ্চলের দিকে ঢুকছে। এতে সুনামগঞ্জ-বিশ্বম্ভরপুর-তাহিরপুর সড়কের কৈয়ারকান্দা ১০০ মিটার সড়ক ও আনোয়ারপুর বাজারের সামনের সড়ক দিয়ে পানি হাওরে ঢুকছে। নদীর তীরবর্তী বসতবাড়ি, সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এ ছাড়াও রোপা আমনের জমি পানিতে তলিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তাহিরপুরে আসতে গিয়ে পর্যটকগণ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।
সুনামগঞ্জ-বিশ্বম্ভরপুর-তাহিরপুর সড়কের সিএনজি অটোরিকশাচালক মাসুক মিয়া জানান,পাহাড়ি ঢলের ১০০ মিটার সড়ক উপচে পানি হাওরে প্রবেশ করেছে। এতে করে যাত্রী নিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছি।

যুগান্তর:

সোয়া ১২ কোটি ভোটারের তথ্যভান্ডার
নিয়ন্ত্রণ ঠিকাদারের হাতে
বাংলাদেশের নাগরিকদের ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরির কাজ ২০০৭ সালে শুরু করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বর্তমানে ভোটার তালিকায় নাম আছে সোয়া ১২ কোটি নাগরিকের। ভোটারদের ৪৬ ধরনের ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে তথ্যভান্ডার বা ডেটা সেন্টার গড়ে তুলেছে ইসি। ডেটা সেন্টারের সার্ভারের প্রযুক্তিগত নিয়ন্ত্রণ নেই নির্বাচন কমিশনের। বেসরকারি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টাইগার আইটির হাতে মূলত নিয়ন্ত্রণ। ডেটা সেন্টারের ক্রেডেনসিয়াল, সোর্স কোড, নেটওয়ার্ক ডায়াগ্রাম, সিস্টেম আর্কিটেকচারসহ সবকিছুই ওই প্রতিষ্ঠান এবং এর সহযোগী আইবিসিএস প্রাইমেক্স সফটওয়্যার নামের প্রতিষ্ঠানের কাছে। নিয়ন্ত্রণ না পাওয়া পর্যন্ত ডেটাবেজের নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে চিন্তায় আছে সরকার ও নির্বাচন কমিশন। নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

 

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। ৫ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ও চার কমিশনার। মূলত এরপরই টাইগার আইটির কাছ থেকে ডেটা সেন্টারের নিয়ন্ত্রণ নিতে দৃশ্যমান কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে ইসি সচিবালয়। প্রযুক্তি হস্তান্তর করতে ১৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে টাইগার আইটি ও আইবিসিএস প্রাইমেক্স সফটওয়্যার লিমিটেড প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের কর্মকর্তারা। ওই বৈঠকে কিছু কিছু সফটওয়্যারের সোর্স কোড ‘নিজস্ব বুদ্ধিভিত্তিক উদ্ভাবিত সম্পদ’ (ইনটেলেকচুয়াল প্রোপার্টি) উল্লেখ করে তা ইসিকে হস্তান্তরে আপত্তি জানান প্রতিষ্ঠান দুটির কর্মকর্তারা। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে অনিষ্পন্ন অবস্থায় ওই বৈঠক শেষ হয়।

দৈনিক সংগ্রাম:

সংস্কার এবং নির্বাচন প্রশ্নে ঐকমত্যের দিকেই যাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো 
ইবরাহীম খলিল : প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেশে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর তৃতীয় দফা সংলাপে সংস্কার এবং নির্বাচনী রোডম্যাপ নিয়ে আলোচনা ঐক্যমতের দিকেই এগুচ্ছে। তাদের আলোচনাগুলো বিশ্লেষণ করলে এমনটাই আভাস মিলে। সবগুলো দলের সঙ্গে সংলাপ শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর সুপারিশগুলো আমরা একত্রিত করে দেখবো। রাজনৈতিক দলগুলো এই সরকারকে নিজেদের সরকার মনে করে। তারা এই সরকারকে সর্বাত্মক সমর্থন দেয়ার কথা জানিয়েছেন। মূলত দেখবো সবার সমঝোতার ভিত্তিতে যদি ঐক্যমত পাওয়া যায় তাহলে দ্রুত নির্বাচনের দিকে যাবে।

তৃতীয় দফার আলোচনায় রাজনৈতিকদলগুলোর সঙ্গে আলোচ্য বিষয় ছিল, ৬ কমিশনের কার্যক্রম নিয়ে। এবিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা মনোভাব জানিয়েছেন প্রেস সচিব। তিনি বলেছেন প্রয়োজনে আরও অনেকগুলো সংস্কার কমিশন হবে বলে বলেছেন প্রফেসর ড. ইউনূস। মোটামুটি সবগুলো দলের দাবি ছিল যে, দেশে ফ্যাসীবাদ যেন ফিরে না আসে। সেই দাবির প্রতিধ্বনি করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জানান, প্রশাসনে যারা ফ্যাসীবাদরে দোসর রয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। এদের অনেকেই গ্রেফতার হচ্ছেন এবং দোষীরা সবাই গ্রেফতার হবে বলেও আশস্থ করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বিচার কার্যক্রম চলমান। গুম কমিশন হয়েছে। আয়না ঘর বানানোর অপরাধে বিচার হবে।

জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মহাসচিব সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সংলাপে বলেছেন নির্বাচনই তাদের এক নম্বর প্রায়োরিটি। তবে নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে তারা সরকারের কাছে কোনও মাস বা দিনকালের কথা বলেননি। তবে আলোচনার প্রধান বিষয় হচ্ছে নির্বাচন–সম্পর্কিত। কবে নির্বাচন হবে, সে বিষয়ে একটি রোডম্যাপ দিতে বলেছি। সেইসাথে সংস্কারের ব্যাপারেও বিরোধীতা করেননি তারা। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দিয়েছে। তারা চান না অন্তর্র্বতী সরকার ব্যর্থ হোক। সেজন্য দ্রুতই প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। বিএনপি বলেছে জরুরি সংস্কার শেষ করে দ্রুত নির্বাচনের দিকে এগিয়েই যাওয়াই এখন সরকারের একমাত্র কাজ।

সংলাপ শেষে জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেছেন, আমাদের দেওয়া দু’টি রোডম্যাপের মধ্যে একটি হবে সংস্কারের, আরেকটি নির্বাচনের। সংস্কার সফল হলেই নির্বাচন সফল হবে। তিনি বলেন, নিরপেক্ষ ও ভালো নির্বাচনের জন্য সরকারকে তারা যৌক্তিক সময় দিতে চান। কিন্তু সেই যৌক্তিক সময় কতদিন হতে পারে সেটি তারা ৯ অক্টোবর প্রকাশ করবেন। নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করে নির্বাচন সম্পন্ন করাই তাদের দায়িত্ব। তবে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে সেটা হতে হবে। এজন্য একটি রোডম্যাপ হতে পারে সংলাপ কতদিনে শেষ হবে, আরেকটি হতে পারে নির্বাচন নিয়ে। ওদিকে বাম গণতান্ত্রিক জোট ও অন্য যেসব দল সংলাপেও সংস্কার শেষে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচনে গুরুত্ব দেয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে।

মানবজমিন:

দেশের ক্রান্তিলগ্নে সেনাবাহিনী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গতকাল সেনাবাহিনী সদর দপ্তরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ‘সেনা সদর নির্বাচনী পর্ষদ-২০২৪’ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। প্রথম পর্বের এই পদোন্নতি পর্ষদে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্নেল ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদবির যোগ্য কর্মকর্তারা পরবর্তী পদোন্নতির জন্য বিবেচিত হবেন। আইএসপিআর জানিয়েছে, পদোন্নতি পর্ষদের বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার বিপ্লবে সিক্ত নতুন বাংলাদেশে সবাইকে স্বাগত জানান। এ সময় তিনি গভীর শ্রদ্ধাভরে জুলাই-আগস্ট মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সবাইকে স্মরণ করেন। তিনি স্মরণ করেন মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সশস্ত্র বাহিনী তথা সেনাবাহিনীর শহীদসহ বীর সেনানীদের, যাদের আত্মত্যাগ জাতি চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। প্রধান উপদেষ্টা পদোন্নতির জন্য কর্মকর্তাদের পেশাগত দক্ষতা, নেতৃত্বের গুণাবলি, শৃঙ্খলার মান, সততা, বিশ্বস্ততা ও আনুগত্য এবং সর্বোপরি নিযুক্তিগত উপযুক্ততার ওপর গুরুত্ব আরোপ করতে নির্বাচনী পর্ষদের সদস্যদের নির্দেশনা দেন। এ ছাড়া সৎ, নীতিবান ও নেতৃত্বের অন্যান্য গুণাবলিসম্পন্ন কর্মকর্তারাই উচ্চতর পদোন্নতির দাবিদার বলে তিনি মন্তব্য করেন। তাছাড়া রাজনৈতিক মতাদর্শের ঊর্ধ্বে থেকে যেসব কর্মকর্তা সামরিক জীবনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যোগ্য নেতৃত্ব প্রদানে সফল হয়েছেন, সেই কর্মকর্তাদের পদোন্নতির জন্য নির্বাচন করার নির্দেশনা দেন। আইএসপিআর জানিয়েছে, অনুষ্ঠানে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, দেশের ক্রান্তিলগ্নে সেনাবাহিনী দেশের মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে এবং একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে দেশকে এক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির হাত থেকে রক্ষা করেছে। ফলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আবারো দেশের মানুষের কাছে আস্থার প্রতীক হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। এর আগে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারী, চিফ অব জেনারেল স্টাফ এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার। শত কর্মব্যস্ততার মাঝেও উপস্থিত হয়ে নির্বাচনী পর্ষদ উদ্বোধন করায় প্রধান উপদেষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সেনাপ্রধান। সেনা সদর নির্বাচনী পর্ষদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি প্রতিরক্ষা সচিব উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান উপদেষ্টা সেনাবাহিনীর উপস্থিত কর্মকর্তাদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশগ্রহণ করেন এবং পরিদর্শন বইয়ে মন্তব্য লেখেন।

কালবেলা:

জামাই-শ্বশুর মিলে সোনালী লাইফের ৩৫৩ কোটি লুট

সোনালী লাইফের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও পেটি ক্যাশ (খুচরা নগদান বই) থেকে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক দুই চেয়ারম্যান তাদের পরিবার ও ভারপ্রাপ্ত মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাসহ (সিইও) অন্যান্য কর্মকর্তা অন্তত ৩৫৩ কোটি টাকা তছরুপ করেছেন। এসব অর্থের মধ্যে প্রায় ৪৪ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটিকে পারিবারিক সম্পত্তি হিসেবে ব্যবহার করেছেন সাবেক চেয়ারম্যান নুর-ই-হাফসা, ভাগিনা মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস ও তার জামাতা ভারপ্রাপ্ত সিইও মীর রাশেদ বিন আমান। আমানের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির ভাইস চেয়ারম্যান ফৌজিয়া কামরান তানিয়ার বিবাহবিচ্ছেদের পর তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এরপর একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললে কয়েকটি সংস্থা প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। এতে বেরিয়ে আসে সোনালী লাইফের সব অনিয়মের খবর। সর্বশেষ আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) পরিদর্শন প্রতিবেদনেও প্রতিষ্ঠানটির লুটপাটে কুদ্দুস পরিবারের সংশ্লিষ্টতা উঠে আসে।

অর্থ তছরুপের সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বীমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষকে (আইডিআরএ) চিঠি দিয়েছে বিএফআইইউ। এ বিষয়ে নেওয়া ব্যবস্থার অগ্রগতি সম্পর্কেও সংস্থাটিকে অবহিত করতে বলা হয়েছে।

বনিক বার্তা:

ঢাকায় ৫২টি থানা কমিটি করবে জাতীয় নাগরিক কমিটি
রাজধানীতে ৫২টি থানা কমিটি করতে ‘ঢাকা রাইজিং’ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় যেসব স্থানে তীব্র আন্দোলন হয়েছে, আপাতত সেসব স্থানে মতবিনিময় সভা বা সমাবেশ দিয়ে কর্মসূচি শুরু করছে প্লাটফর্মটি। যাত্রাবাড়ীর নূর কমিউনিটি সেন্টারে শহীদ ও আহতদের ন্যায়বিচার চেয়ে গতকাল সমাবেশের মধ্য দিয়ে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পরে ঢাকার সব থানায় কমিটি গঠন করা হবে।

এ কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতিটি থানায় কমিটি ঘোষণা করার মাধ্যমে পুরো ঢাকাকে সংগঠিত করা হবে জানিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির অন্যতম সদস্য আরিফুল ইসলাম আদীব গণমাধ্যমকে জানান, নাগরিক কমিটি ঢাকার ৫২টি থানায় প্রতিনিধিত্বমূলক কমিটি গঠন করবে। এ কমিটি কেবল নাগরিকদের জন্য। যাদের ছাত্রত্ব শেষ তারা এতে অংশ নেবেন। এভাবে কমিটি গঠনের পর আমরা কোন ফরম্যাটে যাব, তা ভাবব। আপাতত ঢাকার যাত্রাবাড়ী, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, উত্তরা, হাজারীবাগসহ যেসব স্থানে তীব্র আন্দোলন হয়েছে, সেখানে সমাবেশ বা মতবিনিময়ের মতো অনুষ্ঠান করে তারা কার্যক্রম শুরু করবে।
সমকাল:গাজায় জিতল কে, হার কারhttps://samakal.com/international/article/259333
সারি সারি বিধ্বস্ত ভবন। বিদ্যুৎ নেই; পানির সংকট। খাবার নেই; ক্ষুধার্ত মানুষের হাহাকার। মৃতদের একসঙ্গে শায়িত করা হচ্ছে একই কবরে। বাবার কাঁধে উঠছে শিশুসন্তানের লাশ; মা মারা যাচ্ছেন সন্তানের চোখের সামনে। মুহুর্মুহু বৃষ্টির মতো পড়ছে বোমা। বিকট শব্দে আকাশ কাঁপছে। স্কুল, আশ্রয়শিবির, হাসপাতাল, মসজিদ ও গির্জা ধসে পড়ছে। যে শিশুটির স্কুলে যাওয়ার কথা ছিল, বোমার আঘাত নিয়ে সে হাসপাতালে কাতরাচ্ছে।

এসব চিত্র ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার। আজ গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের এক বছর পূর্ণ হলো। এ বাস্তবতায় প্রশ্ন উঠছে, মানবিক বিপর্যয়, নিপীড়ন ও বঞ্চনার মধ্যে গাজায় কি যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত ইসরায়েল বিজয়ী হয়েছে? ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ যোদ্ধা হামাস কি হেরে গেছে?ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের যোদ্ধারা এখনও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। ইসরায়েল ইরানের রাজধানী তেহরানে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যা করেছে। কিন্তু এখনও সংগঠনটির নেতৃত্বে আছেন ইয়াহিয়া সিনওয়ারের মতো নেতা। ধারণা করা হয়, সিনওয়ার গাজাতেই আছেন। ইসরায়েল এক বছরের লড়াইয়ে হামাসের হাতে থাকা অবশিষ্ট জিম্মিদেরও উদ্ধার করতে পারেনি। যুদ্ধবিরতির শর্তে গত নভেম্বরে হামাসই শতাধিক জিম্মিকে মুক্ত করেছিল। বাকি জিম্মিরা গাজায় থাকলেও ইসরায়েল তাদের উদ্ধার করতে পারছে না।

দেশরুপান্তর:

পূর্ত সচিব হয়েই বাগিয়ে নেন প্লট
মো. নবীরুল ইসলাম। ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব। চলতি বছর ৬ মার্চ পদোন্নতির পর সেখান থেকে ১১ মার্চ যোগ দেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে। আর পূর্ত সচিবের দায়িত্ব পাওয়ার পরপরই সরকারি প্লটের ওপর নজর পড়ে নবীরুলের। এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার দুই মাস হতে না হতেই তাকে সরকারি প্লট দিতে রাজধানী উন্নয়ন কর্র্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যানকে চিঠি দেন। গত ৭ মে পাঠানো হয় ওই চিঠি। আর চিঠিটি পাওয়ার পর অবিশ্বাস্য দ্রুতগতিতে মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে তার নামে রাজধানীর উত্তরা আবাসিক প্রকল্পে পাঁচ কাঠা আয়তনের একটি প্লট বরাদ্দের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে রাজউক।

রাজধানী উন্নয়ন কর্র্তৃপক্ষের (ভূমি, প্লট, স্পেস ও ফ্ল্যাট বরাদ্দ) বিধিমালা-২০২৪ এর ৭ (৩) (ঘ) ধারায় নবীরুল ইসলামকে প্লট দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ হয়। চলতি বছর ২৮ এপ্রিল এই বিধিমালার গেজেট জারি হয়। সচিবদের মধ্যে তিনিই প্রথম নতুন বিধিামলায় প্লট নিয়েছেন। এর আগে সরকারি কর্মকর্তাদের রাজধানী উন্নয়ন কর্র্তৃপক্ষ (অ্যালটমেন্ট অব রুলস ১৯৬৯) এর ১৩-এ ধারায় প্লট দেওয়া হয়।

হুন্ডির হোতা সাবেক এমপি আফজাল

আপডেট সময় ০৭:১৩:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪

আজেকের প্রত্রিকার প্রধান প্রধান খবর

কালের কন্ঠ:

হুন্ডির হোতা সাবেক এমপি আফজাল
►ফুটপাতে জুতার ফেরিওয়ালা থেকে শতকোটির কারখানা

► নামে-বেনামে সম্পদের পাহাড়

► মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও অস্ট্রেলিয়ায় বাড়ি-গাড়ি

► মানুষের সম্পদ, খাসজমি দখল‘

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা’, ‘বিনা ভোট’ ও ‘ডামি ভোটে’ কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে টানা চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন আফজাল হোসেন। ক্ষমতার পরশ পাথর হাতে পেয়ে শুরু করেন সীমাহীন দুর্নীতি ও লুটপাট। অবৈধ সম্পদ অর্জনে তিনি বেছে নেন হুন্ডির কারবারসহ চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ঘুষ, অবৈধভাবে নদীর বালু উত্তোলন, জমি দখল ইত্যাদি। দেশের বাইরে বিদেশেও বিপুল অর্থপাচার করেছেন তিনি।সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া ও মালয়েশিয়ায় আছে ফ্ল্যাট, বাড়ি ও গাড়ি। আফজালের সম্পদের পাহাড়ে চাপা পড়েছে দেশের খেটে খাওয়া কোটি মানুষের ঘাম।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর একের পর এক রাঘববোয়াল ধরা পড়লেও এখনো অধরা আফজাল। এবার তাঁকে নিয়ে একযোগে অনুসন্ধানে নামছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।

প্রথম আলো:

শেরপুরে বন্যার অবনতি, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনায় অসংখ্য গ্রাম প্লাবিত
ময়মনসিংহের ধোবাউড়া-পোড়াকান্দুলিয়া সড়ক ধরে সাত মাসের ছেলেকে কোলে নিয়ে হাঁটছিলেন গৃহবধূ শিউলি খাতুন। তাঁর চোখে পানি। সকাল থেকে কিছু খাননি। সঙ্গে এক মেয়ে ও ভাশুরের মেয়ে। স্বামীর কাঁধে গৃহস্থালির জিনিসপত্র। তাঁদের বাড়ি পানিতে তলিয়ে আছে। আশ্রয়ের খুঁজে ছুটছেন তাঁরা।

গত শনিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে কথা হয় শিউলি খাতুনের সঙ্গে। জানালেন, তাঁর স্বামী মুকশেদুল ইসলাম (৩০) কৃষক। স্ত্রী ও চার সন্তান নিয়ে তাঁর সংসার। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলা সদর ইউনিয়নের গুজিরকান্দি গ্রামে। শিউলি খাতুন বলেন, ‘রাইত একটার দিকে ঘরে পানি আইছে। তিনডা ঘরেই পানি। সহাল (সকাল) থাইক্যা পানি আরও বাড়তাছে। ছোডু পোলাপান না খায়া আছে। বন্যা আইছে না, গরিবের মরণ আইছে।’

গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে ধোবাউড়ায় মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। শুক্রবার দিনভর বৃষ্টি চলে। টানা বর্ষণে ধোবাউড়া উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া, গামারীতলা, ঘোষগাঁও ইউনিয়নের বিভিন্ন পয়েন্টে নেতাই নদের বাঁধ ভেঙে ও পাহাড়ি ঢলে গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

ভাটির দিকে নামছে বন্যার পানি। পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণের পানি শেরপুরের ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ী থেকে ময়মনসিংহের ফুলপুর, তারাকান্দা, ধোবাউড়া, হালুয়াঘাট; নেত্রকোনার দুর্গাপুর ও কলমাকান্দায় ঢুকে পড়েছে। শেরপুরে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। নেত্রকোনার দুই উপজেলার শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের গতকাল রোববার বিকেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ বিভাগের কংস, জিঞ্জিরাম ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদীগুলোর পানি সমতলে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অপরদিকে ভোগাই নদের পানি সমতলে হ্রাস পাচ্ছে এবং সোমেশ্বরী নদীর পানি সমতলে স্থিতিশীল রয়েছে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

বিশ্ববাজারে কমলেও প্রভাব পড়ে না দেশে
জ্বালানি তেলের দাম – ডলারের ক্রলিং পেগ পদ্ধতিসহ পরিবহন খরচ দায়ী
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমলেও দেশের বাজারে এর প্রভাব খুব একটা পড়ে না। বাংলাদেশে গত মার্চ মাস থেকে বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ শুরু করা হয়। এখন প্রতি মাসে জ্বালানি তেলের নতুন দাম ঘোষণা করা হচ্ছে। কিন্তু বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমার সুফল খুব একটা পায় না ভোক্তারা। এর কারণ হিসেবে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও বিশ্লেষকরা জানান, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি বা হ্রাসের ক্ষেত্রে সব সময় আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সাদৃশ্য বাংলাদেশে দেখা যাচ্ছে না। বিশ্ববাজারে দাম কমার পরও দেশে জ্বালানি তেলের মূল্য না কমার পেছনে তারা ডলারের ক্রলিং পেগ (নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে ডলারের বিনিময় হার ওঠানামা) পদ্ধতিকে দায়ী করেছেন। এ ছাড়া জ্বালানি তেলের পরিবহন খরচসহ অন্যান্য কারণকেও চিহ্নিত করেন তারা।

নয়িাদিগন্ত:

অতি বৃষ্টি ও ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে ৩ জেলা প্লাবিত
গত কয়েক দিনের টানা ভারী বৃষ্টি ও সীমান্তের ওপারে ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা ও গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন এসব এলাকার বাসিন্দারা। এ ছাড়া সড়ক ও রেলপথ ডুবে যাওয়ায় চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। সেই সাথে দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙন।তাহিরপুরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতা জানান, ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে ফসলি জমি, বসতবাড়ি ও সড়ক পানিতে ডুবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রোববার (৬ অক্টোবর) সকাল থেকে জাদুকাটা, রক্তি,পাটলাই নদী দিয়ে ভারতের পানি প্রবল বেগে ভাটির দিকে নামছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলায় সীমান্তের বিভিন্ন নদী ও ছড়া দিয়ে ভারত থেকে নেমে আসা পানি প্রবল বেগে নিম্নাঞ্চলের দিকে ঢুকছে। এতে সুনামগঞ্জ-বিশ্বম্ভরপুর-তাহিরপুর সড়কের কৈয়ারকান্দা ১০০ মিটার সড়ক ও আনোয়ারপুর বাজারের সামনের সড়ক দিয়ে পানি হাওরে ঢুকছে। নদীর তীরবর্তী বসতবাড়ি, সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এ ছাড়াও রোপা আমনের জমি পানিতে তলিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তাহিরপুরে আসতে গিয়ে পর্যটকগণ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।
সুনামগঞ্জ-বিশ্বম্ভরপুর-তাহিরপুর সড়কের সিএনজি অটোরিকশাচালক মাসুক মিয়া জানান,পাহাড়ি ঢলের ১০০ মিটার সড়ক উপচে পানি হাওরে প্রবেশ করেছে। এতে করে যাত্রী নিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছি।

যুগান্তর:

সোয়া ১২ কোটি ভোটারের তথ্যভান্ডার
নিয়ন্ত্রণ ঠিকাদারের হাতে
বাংলাদেশের নাগরিকদের ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরির কাজ ২০০৭ সালে শুরু করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বর্তমানে ভোটার তালিকায় নাম আছে সোয়া ১২ কোটি নাগরিকের। ভোটারদের ৪৬ ধরনের ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে তথ্যভান্ডার বা ডেটা সেন্টার গড়ে তুলেছে ইসি। ডেটা সেন্টারের সার্ভারের প্রযুক্তিগত নিয়ন্ত্রণ নেই নির্বাচন কমিশনের। বেসরকারি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টাইগার আইটির হাতে মূলত নিয়ন্ত্রণ। ডেটা সেন্টারের ক্রেডেনসিয়াল, সোর্স কোড, নেটওয়ার্ক ডায়াগ্রাম, সিস্টেম আর্কিটেকচারসহ সবকিছুই ওই প্রতিষ্ঠান এবং এর সহযোগী আইবিসিএস প্রাইমেক্স সফটওয়্যার নামের প্রতিষ্ঠানের কাছে। নিয়ন্ত্রণ না পাওয়া পর্যন্ত ডেটাবেজের নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে চিন্তায় আছে সরকার ও নির্বাচন কমিশন। নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

 

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। ৫ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ও চার কমিশনার। মূলত এরপরই টাইগার আইটির কাছ থেকে ডেটা সেন্টারের নিয়ন্ত্রণ নিতে দৃশ্যমান কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে ইসি সচিবালয়। প্রযুক্তি হস্তান্তর করতে ১৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে টাইগার আইটি ও আইবিসিএস প্রাইমেক্স সফটওয়্যার লিমিটেড প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের কর্মকর্তারা। ওই বৈঠকে কিছু কিছু সফটওয়্যারের সোর্স কোড ‘নিজস্ব বুদ্ধিভিত্তিক উদ্ভাবিত সম্পদ’ (ইনটেলেকচুয়াল প্রোপার্টি) উল্লেখ করে তা ইসিকে হস্তান্তরে আপত্তি জানান প্রতিষ্ঠান দুটির কর্মকর্তারা। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে অনিষ্পন্ন অবস্থায় ওই বৈঠক শেষ হয়।

দৈনিক সংগ্রাম:

সংস্কার এবং নির্বাচন প্রশ্নে ঐকমত্যের দিকেই যাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো 
ইবরাহীম খলিল : প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেশে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর তৃতীয় দফা সংলাপে সংস্কার এবং নির্বাচনী রোডম্যাপ নিয়ে আলোচনা ঐক্যমতের দিকেই এগুচ্ছে। তাদের আলোচনাগুলো বিশ্লেষণ করলে এমনটাই আভাস মিলে। সবগুলো দলের সঙ্গে সংলাপ শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর সুপারিশগুলো আমরা একত্রিত করে দেখবো। রাজনৈতিক দলগুলো এই সরকারকে নিজেদের সরকার মনে করে। তারা এই সরকারকে সর্বাত্মক সমর্থন দেয়ার কথা জানিয়েছেন। মূলত দেখবো সবার সমঝোতার ভিত্তিতে যদি ঐক্যমত পাওয়া যায় তাহলে দ্রুত নির্বাচনের দিকে যাবে।

তৃতীয় দফার আলোচনায় রাজনৈতিকদলগুলোর সঙ্গে আলোচ্য বিষয় ছিল, ৬ কমিশনের কার্যক্রম নিয়ে। এবিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা মনোভাব জানিয়েছেন প্রেস সচিব। তিনি বলেছেন প্রয়োজনে আরও অনেকগুলো সংস্কার কমিশন হবে বলে বলেছেন প্রফেসর ড. ইউনূস। মোটামুটি সবগুলো দলের দাবি ছিল যে, দেশে ফ্যাসীবাদ যেন ফিরে না আসে। সেই দাবির প্রতিধ্বনি করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জানান, প্রশাসনে যারা ফ্যাসীবাদরে দোসর রয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। এদের অনেকেই গ্রেফতার হচ্ছেন এবং দোষীরা সবাই গ্রেফতার হবে বলেও আশস্থ করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বিচার কার্যক্রম চলমান। গুম কমিশন হয়েছে। আয়না ঘর বানানোর অপরাধে বিচার হবে।

জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মহাসচিব সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সংলাপে বলেছেন নির্বাচনই তাদের এক নম্বর প্রায়োরিটি। তবে নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে তারা সরকারের কাছে কোনও মাস বা দিনকালের কথা বলেননি। তবে আলোচনার প্রধান বিষয় হচ্ছে নির্বাচন–সম্পর্কিত। কবে নির্বাচন হবে, সে বিষয়ে একটি রোডম্যাপ দিতে বলেছি। সেইসাথে সংস্কারের ব্যাপারেও বিরোধীতা করেননি তারা। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দিয়েছে। তারা চান না অন্তর্র্বতী সরকার ব্যর্থ হোক। সেজন্য দ্রুতই প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। বিএনপি বলেছে জরুরি সংস্কার শেষ করে দ্রুত নির্বাচনের দিকে এগিয়েই যাওয়াই এখন সরকারের একমাত্র কাজ।

সংলাপ শেষে জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেছেন, আমাদের দেওয়া দু’টি রোডম্যাপের মধ্যে একটি হবে সংস্কারের, আরেকটি নির্বাচনের। সংস্কার সফল হলেই নির্বাচন সফল হবে। তিনি বলেন, নিরপেক্ষ ও ভালো নির্বাচনের জন্য সরকারকে তারা যৌক্তিক সময় দিতে চান। কিন্তু সেই যৌক্তিক সময় কতদিন হতে পারে সেটি তারা ৯ অক্টোবর প্রকাশ করবেন। নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করে নির্বাচন সম্পন্ন করাই তাদের দায়িত্ব। তবে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে সেটা হতে হবে। এজন্য একটি রোডম্যাপ হতে পারে সংলাপ কতদিনে শেষ হবে, আরেকটি হতে পারে নির্বাচন নিয়ে। ওদিকে বাম গণতান্ত্রিক জোট ও অন্য যেসব দল সংলাপেও সংস্কার শেষে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচনে গুরুত্ব দেয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে।

মানবজমিন:

দেশের ক্রান্তিলগ্নে সেনাবাহিনী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গতকাল সেনাবাহিনী সদর দপ্তরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ‘সেনা সদর নির্বাচনী পর্ষদ-২০২৪’ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। প্রথম পর্বের এই পদোন্নতি পর্ষদে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্নেল ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদবির যোগ্য কর্মকর্তারা পরবর্তী পদোন্নতির জন্য বিবেচিত হবেন। আইএসপিআর জানিয়েছে, পদোন্নতি পর্ষদের বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার বিপ্লবে সিক্ত নতুন বাংলাদেশে সবাইকে স্বাগত জানান। এ সময় তিনি গভীর শ্রদ্ধাভরে জুলাই-আগস্ট মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সবাইকে স্মরণ করেন। তিনি স্মরণ করেন মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সশস্ত্র বাহিনী তথা সেনাবাহিনীর শহীদসহ বীর সেনানীদের, যাদের আত্মত্যাগ জাতি চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। প্রধান উপদেষ্টা পদোন্নতির জন্য কর্মকর্তাদের পেশাগত দক্ষতা, নেতৃত্বের গুণাবলি, শৃঙ্খলার মান, সততা, বিশ্বস্ততা ও আনুগত্য এবং সর্বোপরি নিযুক্তিগত উপযুক্ততার ওপর গুরুত্ব আরোপ করতে নির্বাচনী পর্ষদের সদস্যদের নির্দেশনা দেন। এ ছাড়া সৎ, নীতিবান ও নেতৃত্বের অন্যান্য গুণাবলিসম্পন্ন কর্মকর্তারাই উচ্চতর পদোন্নতির দাবিদার বলে তিনি মন্তব্য করেন। তাছাড়া রাজনৈতিক মতাদর্শের ঊর্ধ্বে থেকে যেসব কর্মকর্তা সামরিক জীবনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যোগ্য নেতৃত্ব প্রদানে সফল হয়েছেন, সেই কর্মকর্তাদের পদোন্নতির জন্য নির্বাচন করার নির্দেশনা দেন। আইএসপিআর জানিয়েছে, অনুষ্ঠানে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, দেশের ক্রান্তিলগ্নে সেনাবাহিনী দেশের মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে এবং একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে দেশকে এক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির হাত থেকে রক্ষা করেছে। ফলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আবারো দেশের মানুষের কাছে আস্থার প্রতীক হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। এর আগে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারী, চিফ অব জেনারেল স্টাফ এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার। শত কর্মব্যস্ততার মাঝেও উপস্থিত হয়ে নির্বাচনী পর্ষদ উদ্বোধন করায় প্রধান উপদেষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সেনাপ্রধান। সেনা সদর নির্বাচনী পর্ষদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি প্রতিরক্ষা সচিব উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান উপদেষ্টা সেনাবাহিনীর উপস্থিত কর্মকর্তাদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশগ্রহণ করেন এবং পরিদর্শন বইয়ে মন্তব্য লেখেন।

কালবেলা:

জামাই-শ্বশুর মিলে সোনালী লাইফের ৩৫৩ কোটি লুট

সোনালী লাইফের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও পেটি ক্যাশ (খুচরা নগদান বই) থেকে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক দুই চেয়ারম্যান তাদের পরিবার ও ভারপ্রাপ্ত মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাসহ (সিইও) অন্যান্য কর্মকর্তা অন্তত ৩৫৩ কোটি টাকা তছরুপ করেছেন। এসব অর্থের মধ্যে প্রায় ৪৪ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটিকে পারিবারিক সম্পত্তি হিসেবে ব্যবহার করেছেন সাবেক চেয়ারম্যান নুর-ই-হাফসা, ভাগিনা মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস ও তার জামাতা ভারপ্রাপ্ত সিইও মীর রাশেদ বিন আমান। আমানের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির ভাইস চেয়ারম্যান ফৌজিয়া কামরান তানিয়ার বিবাহবিচ্ছেদের পর তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এরপর একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললে কয়েকটি সংস্থা প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। এতে বেরিয়ে আসে সোনালী লাইফের সব অনিয়মের খবর। সর্বশেষ আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) পরিদর্শন প্রতিবেদনেও প্রতিষ্ঠানটির লুটপাটে কুদ্দুস পরিবারের সংশ্লিষ্টতা উঠে আসে।

অর্থ তছরুপের সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বীমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষকে (আইডিআরএ) চিঠি দিয়েছে বিএফআইইউ। এ বিষয়ে নেওয়া ব্যবস্থার অগ্রগতি সম্পর্কেও সংস্থাটিকে অবহিত করতে বলা হয়েছে।

বনিক বার্তা:

ঢাকায় ৫২টি থানা কমিটি করবে জাতীয় নাগরিক কমিটি
রাজধানীতে ৫২টি থানা কমিটি করতে ‘ঢাকা রাইজিং’ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় যেসব স্থানে তীব্র আন্দোলন হয়েছে, আপাতত সেসব স্থানে মতবিনিময় সভা বা সমাবেশ দিয়ে কর্মসূচি শুরু করছে প্লাটফর্মটি। যাত্রাবাড়ীর নূর কমিউনিটি সেন্টারে শহীদ ও আহতদের ন্যায়বিচার চেয়ে গতকাল সমাবেশের মধ্য দিয়ে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পরে ঢাকার সব থানায় কমিটি গঠন করা হবে।

এ কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতিটি থানায় কমিটি ঘোষণা করার মাধ্যমে পুরো ঢাকাকে সংগঠিত করা হবে জানিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির অন্যতম সদস্য আরিফুল ইসলাম আদীব গণমাধ্যমকে জানান, নাগরিক কমিটি ঢাকার ৫২টি থানায় প্রতিনিধিত্বমূলক কমিটি গঠন করবে। এ কমিটি কেবল নাগরিকদের জন্য। যাদের ছাত্রত্ব শেষ তারা এতে অংশ নেবেন। এভাবে কমিটি গঠনের পর আমরা কোন ফরম্যাটে যাব, তা ভাবব। আপাতত ঢাকার যাত্রাবাড়ী, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, উত্তরা, হাজারীবাগসহ যেসব স্থানে তীব্র আন্দোলন হয়েছে, সেখানে সমাবেশ বা মতবিনিময়ের মতো অনুষ্ঠান করে তারা কার্যক্রম শুরু করবে।
সমকাল:গাজায় জিতল কে, হার কারhttps://samakal.com/international/article/259333
সারি সারি বিধ্বস্ত ভবন। বিদ্যুৎ নেই; পানির সংকট। খাবার নেই; ক্ষুধার্ত মানুষের হাহাকার। মৃতদের একসঙ্গে শায়িত করা হচ্ছে একই কবরে। বাবার কাঁধে উঠছে শিশুসন্তানের লাশ; মা মারা যাচ্ছেন সন্তানের চোখের সামনে। মুহুর্মুহু বৃষ্টির মতো পড়ছে বোমা। বিকট শব্দে আকাশ কাঁপছে। স্কুল, আশ্রয়শিবির, হাসপাতাল, মসজিদ ও গির্জা ধসে পড়ছে। যে শিশুটির স্কুলে যাওয়ার কথা ছিল, বোমার আঘাত নিয়ে সে হাসপাতালে কাতরাচ্ছে।

এসব চিত্র ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার। আজ গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের এক বছর পূর্ণ হলো। এ বাস্তবতায় প্রশ্ন উঠছে, মানবিক বিপর্যয়, নিপীড়ন ও বঞ্চনার মধ্যে গাজায় কি যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত ইসরায়েল বিজয়ী হয়েছে? ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ যোদ্ধা হামাস কি হেরে গেছে?ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের যোদ্ধারা এখনও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। ইসরায়েল ইরানের রাজধানী তেহরানে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যা করেছে। কিন্তু এখনও সংগঠনটির নেতৃত্বে আছেন ইয়াহিয়া সিনওয়ারের মতো নেতা। ধারণা করা হয়, সিনওয়ার গাজাতেই আছেন। ইসরায়েল এক বছরের লড়াইয়ে হামাসের হাতে থাকা অবশিষ্ট জিম্মিদেরও উদ্ধার করতে পারেনি। যুদ্ধবিরতির শর্তে গত নভেম্বরে হামাসই শতাধিক জিম্মিকে মুক্ত করেছিল। বাকি জিম্মিরা গাজায় থাকলেও ইসরায়েল তাদের উদ্ধার করতে পারছে না।

দেশরুপান্তর:

পূর্ত সচিব হয়েই বাগিয়ে নেন প্লট
মো. নবীরুল ইসলাম। ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব। চলতি বছর ৬ মার্চ পদোন্নতির পর সেখান থেকে ১১ মার্চ যোগ দেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে। আর পূর্ত সচিবের দায়িত্ব পাওয়ার পরপরই সরকারি প্লটের ওপর নজর পড়ে নবীরুলের। এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার দুই মাস হতে না হতেই তাকে সরকারি প্লট দিতে রাজধানী উন্নয়ন কর্র্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যানকে চিঠি দেন। গত ৭ মে পাঠানো হয় ওই চিঠি। আর চিঠিটি পাওয়ার পর অবিশ্বাস্য দ্রুতগতিতে মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে তার নামে রাজধানীর উত্তরা আবাসিক প্রকল্পে পাঁচ কাঠা আয়তনের একটি প্লট বরাদ্দের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে রাজউক।

রাজধানী উন্নয়ন কর্র্তৃপক্ষের (ভূমি, প্লট, স্পেস ও ফ্ল্যাট বরাদ্দ) বিধিমালা-২০২৪ এর ৭ (৩) (ঘ) ধারায় নবীরুল ইসলামকে প্লট দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ হয়। চলতি বছর ২৮ এপ্রিল এই বিধিমালার গেজেট জারি হয়। সচিবদের মধ্যে তিনিই প্রথম নতুন বিধিামলায় প্লট নিয়েছেন। এর আগে সরকারি কর্মকর্তাদের রাজধানী উন্নয়ন কর্র্তৃপক্ষ (অ্যালটমেন্ট অব রুলস ১৯৬৯) এর ১৩-এ ধারায় প্লট দেওয়া হয়।