ঢাকা ১০:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এক সপ্তাহে ভারত গেলো ৪১১ টন ইলিশ

বেনাপোল বন্দর দিয়ে এক সপ্তাহে ১৩১ ট্রাকে ৪১১ টন ৩০০ কেজি ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছে। শনিবার (৫ অক্টোবর) ১৩ ট্রাকে করে ৪২ টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছে বলে বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) রাশেদুল সজিব নাজির।

তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) ৩০ ট্রাকে ৯২ টন, মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) ২৩ ট্রাকে ৬৯ টন ৬৪০ কেজি, সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ৩০ ট্রাকে ৮৯ টন, রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) ছয় ট্রাকে ১৯ টন, শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ১৫ ট্রাকে ৪৫ টন ২০০ কেজি ও বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ২০ ট্রাকে ৫৪ টন ৪৬০ কেজি রপ্তানি হয়েছে।

এদিকে ইলিশ রপ্তানি নিয়ে ক্ষুব্ধ যশোরসহ গোটা দেশের মানুষ। দেশের বাজারে এক কেজি ওজনের ইলিশ ১৮০০-২০০০ টাকায় বিক্রি হলেও ভারতে রপ্তানি হচ্ছে ১২০০ টাকায়। এটি কিভাবে সম্ভব সেটি নিয়ে দেশজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। অবশ্য ব্যবসায়ীদের একটি সূত্র বলেছে, প্রকৃতপক্ষে ওই দরে ভারতে ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে না।

একাধিক ব্যবসায়ী জানান, ভারতে রপ্তানির কারণে ইলিশ মিলছে না আড়তগুলোতে। যা পাওয়া যাচ্ছে সেগুলোর দাম প্রায় দ্বিগুণ। ছোট ইলিশ ৫০০-১০০০ টাকা ও বড় ইলিশ ২০০০-২২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত মাসের ২৫ সেপ্টেম্বর ৪৯ জন রপ্তানিকারককে দুই হাজার ৪২০ টন ইলিশ রপ্তানির ছাড়পত্র দেয় সরকার। এরমধ্যে ৪৮ জনকে ৫০ টন করে ও একজনকে ২০ মেট্রিক টন মাছ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়। ১২ অক্টোবর এর মধ্যে রপ্তানি শেষ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ইলিশ রপ্তানিকারক বেনাপোলের সততা ফিসের ম্যানেজার রকি মাহামুদ জানান, প্রজননের জন্য ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ সময়ে দেশব্যাপী ইলিশ পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ ও বিনিময় নিষিদ্ধ থাকবে। এ বছর ইলিশ রপ্তানির সময় বাড়ানো না হলে অনুমোদিত ইলিশ নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ রপ্তানি করা কঠিন হয়ে যাবে। সর্বোচ্চ ৫০০-৭০০ টন ইলিশ যেতে পারে।

ট্যাগস :

ডেঙ্গুতে আরও ৪ মৃত্যু, হাসপাতালে রেকর্ড ভর্তি

এক সপ্তাহে ভারত গেলো ৪১১ টন ইলিশ

আপডেট সময় ০৫:৪৮:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪

বেনাপোল বন্দর দিয়ে এক সপ্তাহে ১৩১ ট্রাকে ৪১১ টন ৩০০ কেজি ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছে। শনিবার (৫ অক্টোবর) ১৩ ট্রাকে করে ৪২ টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছে বলে বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) রাশেদুল সজিব নাজির।

তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) ৩০ ট্রাকে ৯২ টন, মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) ২৩ ট্রাকে ৬৯ টন ৬৪০ কেজি, সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ৩০ ট্রাকে ৮৯ টন, রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) ছয় ট্রাকে ১৯ টন, শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ১৫ ট্রাকে ৪৫ টন ২০০ কেজি ও বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ২০ ট্রাকে ৫৪ টন ৪৬০ কেজি রপ্তানি হয়েছে।

এদিকে ইলিশ রপ্তানি নিয়ে ক্ষুব্ধ যশোরসহ গোটা দেশের মানুষ। দেশের বাজারে এক কেজি ওজনের ইলিশ ১৮০০-২০০০ টাকায় বিক্রি হলেও ভারতে রপ্তানি হচ্ছে ১২০০ টাকায়। এটি কিভাবে সম্ভব সেটি নিয়ে দেশজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। অবশ্য ব্যবসায়ীদের একটি সূত্র বলেছে, প্রকৃতপক্ষে ওই দরে ভারতে ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে না।

একাধিক ব্যবসায়ী জানান, ভারতে রপ্তানির কারণে ইলিশ মিলছে না আড়তগুলোতে। যা পাওয়া যাচ্ছে সেগুলোর দাম প্রায় দ্বিগুণ। ছোট ইলিশ ৫০০-১০০০ টাকা ও বড় ইলিশ ২০০০-২২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত মাসের ২৫ সেপ্টেম্বর ৪৯ জন রপ্তানিকারককে দুই হাজার ৪২০ টন ইলিশ রপ্তানির ছাড়পত্র দেয় সরকার। এরমধ্যে ৪৮ জনকে ৫০ টন করে ও একজনকে ২০ মেট্রিক টন মাছ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়। ১২ অক্টোবর এর মধ্যে রপ্তানি শেষ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ইলিশ রপ্তানিকারক বেনাপোলের সততা ফিসের ম্যানেজার রকি মাহামুদ জানান, প্রজননের জন্য ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ সময়ে দেশব্যাপী ইলিশ পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ ও বিনিময় নিষিদ্ধ থাকবে। এ বছর ইলিশ রপ্তানির সময় বাড়ানো না হলে অনুমোদিত ইলিশ নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ রপ্তানি করা কঠিন হয়ে যাবে। সর্বোচ্চ ৫০০-৭০০ টন ইলিশ যেতে পারে।