ঢাকা ১১:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাইতিতে ৭০ জনকে গুলি করে হত্যা, এলাকা ছাড়া ছয় হাজার বাসিন্দা

হাইতিতে ৭০ জনকে গুলি করে হত্যা, এলাকা ছাড়া ছয় হাজার বাসিন্দা

হাইতিতে কমপক্ষে ৭০ জনকে হত্যা করেছে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্যরা। তাদের হামলায় অন্তত ছয় হাজার বাসিন্দা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। শনিবার রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

পশ্চিম হাইতির আর্টিবোনাইটের কৃষি অঞ্চলের পন্ট-সোন্ডেতে বৃহস্পতিবার ভোররাতে হামলা চালানো হয়। এসময় আরো বহু মানুষ গুরুতর আহত হয়েছেন। গ্র্যান গ্রিফ গ্যাং-এর নেতা লাকসন এলান এই গণহত্যার দায় নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, পুলিশ এবং নজরদারি দলগুলো যখন তার সেনাদের হত্যা করেছিল তখন বেসামরিক নাগরিকরা নিষ্ক্রিয় ছিল। এর প্রতিশোধ হিসাবে এই হামলা চালানো হয়েছে।

জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা জানিয়েছে, হামলার কারণে প্রায় ছয় হাজার ২৭০ জন লোক তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে। এদের বেশিরভাগই আশেপাশের সেন্ট-মার্ক এবং অন্যান্য শহরে বসবাসকারী পরিবারগুলোর কাছে আশ্রয় নিচ্ছে, অন্যরা অস্থায়ী শিবিরে অবস্থান করছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গ্যাং সদস্যরা কয়েক ডজন বাড়ি এবং যানবাহনে আগুন দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী গ্যারি কনিল এক্স-এ বলেছেন, ‘অরক্ষিত নারী, পুরুষ এবং শিশুদের বিরুদ্ধে এই জঘন্য অপরাধটি শুধুমাত্র ক্ষতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে নয় বরং হাইতি জাতির বিরুদ্ধেই আক্রমণ।’ নিরাপত্তা বাহিনী এলাকাটিকে আরো শক্তিশালী করছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

ট্যাগস :

বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা এখন সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে

হাইতিতে ৭০ জনকে গুলি করে হত্যা, এলাকা ছাড়া ছয় হাজার বাসিন্দা

আপডেট সময় ০৭:৩৯:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪

হাইতিতে কমপক্ষে ৭০ জনকে হত্যা করেছে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্যরা। তাদের হামলায় অন্তত ছয় হাজার বাসিন্দা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। শনিবার রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

পশ্চিম হাইতির আর্টিবোনাইটের কৃষি অঞ্চলের পন্ট-সোন্ডেতে বৃহস্পতিবার ভোররাতে হামলা চালানো হয়। এসময় আরো বহু মানুষ গুরুতর আহত হয়েছেন। গ্র্যান গ্রিফ গ্যাং-এর নেতা লাকসন এলান এই গণহত্যার দায় নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, পুলিশ এবং নজরদারি দলগুলো যখন তার সেনাদের হত্যা করেছিল তখন বেসামরিক নাগরিকরা নিষ্ক্রিয় ছিল। এর প্রতিশোধ হিসাবে এই হামলা চালানো হয়েছে।

জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা জানিয়েছে, হামলার কারণে প্রায় ছয় হাজার ২৭০ জন লোক তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে। এদের বেশিরভাগই আশেপাশের সেন্ট-মার্ক এবং অন্যান্য শহরে বসবাসকারী পরিবারগুলোর কাছে আশ্রয় নিচ্ছে, অন্যরা অস্থায়ী শিবিরে অবস্থান করছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গ্যাং সদস্যরা কয়েক ডজন বাড়ি এবং যানবাহনে আগুন দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী গ্যারি কনিল এক্স-এ বলেছেন, ‘অরক্ষিত নারী, পুরুষ এবং শিশুদের বিরুদ্ধে এই জঘন্য অপরাধটি শুধুমাত্র ক্ষতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে নয় বরং হাইতি জাতির বিরুদ্ধেই আক্রমণ।’ নিরাপত্তা বাহিনী এলাকাটিকে আরো শক্তিশালী করছে বলে জানিয়েছেন তিনি।