ঢাকা ০২:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সঠিক উদ্যোগ বেঠিক লুটপাট

আমার টাকা-পয়সার প্রতি লোভ নেই, ৫ কোটি হলেই চলবে

  • লিমন হোসেন
  • আপডেট সময় ০৭:১৯:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪
  • 677

আজকের প্রত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান খবর:

কালবেলা:

‘আমার টাকা-পয়সার প্রতি লোভ নেই, ৫ কোটি হলেই চলবে’
বেসামরিক প্রশাসনে নিয়োগ নিয়ে ভয়াবহ এক কেলেঙ্কারির তথ্য ফাঁস হয়েছে। এর সঙ্গে খোদ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান এবং বিতর্কিত দুজন যুগ্ম সচিব ড. জিয়াউদ্দিন আহমেদ ও আলী আযম সরাসরি জড়িত থাকার তথ্য ফুটে উঠেছে। সেই সিনিয়র সচিবের সঙ্গে এক যুগ্ম সচিবের হোয়াটসঅ্যাপে সংবেদনশীল কথোপকথনে সম্প্রতি জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ নিয়ে উঠে এসেছে বড় ধরনের আর্থিক লেনদেনের তথ্যও। যে কথোপকথনের কিছু স্ক্রিনশট রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মহলেও ঘুরপাক খাচ্ছে, যা নিয়ে তোলপাড় চলছে খোদ প্রশাসনের ভেতরেও। এ কথোপকথনের অতি সংবেদনশীল কিছু অংশের স্ক্রিনশট কালবেলার হাতে এসেছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর দেশের দায়িত্ব নেওয়া নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারকে বিপাকে ফেলতে বড় ধরনের আর্থিক সুবিধা নিয়ে পরিকল্পিতভাবে ডিসি ‘নিয়োগকাণ্ড’ ঘটানো হয়েছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট অনেকে বিষয়টিকে ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে মনে করছেন।

এ ব্যাপারে জানতে ফোন করা হলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান রিসিভ করেননি। পরে এসএমএস করা হলে জবাবে তিনি লেখেন, ‘প্রশ্নই ওঠে না’। অন্যদিকে যুগ্ম সচিব ড. জিয়াউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে নানাভাবে চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

সম্প্রতি এক যুগ্ম সচিবের কক্ষ থেকে ৩ কোটি টাকার একটি চেক এবং ডিসি নিয়োগ সংক্রান্ত কিছু চিরকুট উদ্ধার সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে দৈনিক কালবেলা। সাড়া জাগানো সেই প্রতিবেদন নিয়ে তোলপাড় তৈরি হলে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। ঘটনা তদন্তে এক সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। অবশেষে মঙ্গলবার রাতে যে কর্মকর্তার দিকে সন্দেহের আঙুল উঠেছিল, সেই যুগ্ম সচিবকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও এর আগে সংবাদ সম্মেলন ডেকে কালবেলার ওই প্রতিবেদনকে ‘গুজব’ ও ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে দাবি করেছিলেন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান।

দেশরুপান্তর:

সঠিক উদ্যোগ বেঠিক লুটপাট
ওপরে লাল টিন ও ইটের দেয়ালে সাদা রঙের দুই কামরার ঘর। সামনে ছোট্ট বারান্দা। থরে থরে সাজানো ঘরগুলো দূর থেকে ছবির মতো দেখায়। ঘরের ভেতরে রান্নাঘর, আছে শৌচাগার। মুজিববর্ষ উপলক্ষে দেশের ৩০টি জেলা ভূমিহীন ঘোষণা করে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩টি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়। রাজনৈতিক প্রকল্প বলে বিবেচিত এসব ঘর প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে সরাসরি উপজেলা পর্যায়ে তদারকি করা হয়। কিন্তু ভালো নেই এসব ঘরের বাসিন্দারা। নানা অব্যবস্থাপনায় ইতিমধ্যে অনেকে ছেড়ে গেছেন বিনামূল্যে পাওয়া আবাসস্থল। অথচ এই প্রকল্প বাস্তবায়নে খরচ হয়েছে কোটি কোটি টাকা। স্থানীয়দের দাবি, এই প্রকল্পে যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথা ছিল, তা যেমন দেওয়া হয়নি, তেমনি নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ কারণে স্বস্তির আশ্রয়ণে চরম অস্বস্তিতে আছেন বাসিন্দারা। ভূমিহীনদের আশ্রয়ণের উদ্দেশ্যে নেওয়া প্রকল্পটি ডুবেছে দুর্নীতিতে।

চট্টগ্রামের আনোয়ারার হাজীগাঁও এলাকা। পূর্ববটতল বাজার পাহাড়ি এলাকায় ১৯৯৭ সালে সর্বপ্রথম গড়ে তোলা হয়েছিল আশ্রয়ণ প্রকল্প। কোথাও পাহাড় কেটে, কোথাও সাগরের নিচু উপকূলীয় এলাকায় ও সরকারের খাসজমিতে গড়ে তোলা হয় ঘর। ১৯৯৭ সালে এখানে ৬০টি, ২০০২ সালে ৯০টি ও ২০২০ সালে ৭০টি টিনের ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে।

প্রধম আলো:

সরকার পতনের ২ মাস আগে বসুন্ধরাকে বিশেষ সুবিধা
বিদ্যুতের মতো জ্বালানি তেলও বেসরকারি খাতে ছাড়া হয়। সরকারের শেষ সময়ে তেল বিক্রির অনুমতি দেওয়া হয় বসুন্ধরাকে।বিগত দেড় দশকে বিদ্যুৎ উৎপাদন অর্ধেকের বেশি চলে গেছে বেসরকারি খাতের দখলে। তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির অনুমতি পেয়েছে বেসরকারি কোম্পানি। এরপর একটি কোম্পানিকে সুবিধা দিতে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বেসরকারি খাতে জ্বালানি তেল বিক্রির নীতিমালা করা হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়ে বাজারে সরাসরি জ্বালানি তেল বিক্রির অনুমোদন পায় বসুন্ধরা গ্রুপ।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। এর আগে ১০ জুন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনে (বিপিসি) একটি চিঠি পাঠায় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। এতে বলা হয়, অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করে মজুত, পরিবহন ও প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে উৎপাদিত তেল নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিক্রির বিষয়ে বসুন্ধরা অয়েল অ্যান্ড গ্যাস কোম্পানিকে অনুমতি দেওয়া হলো।

দেশে বর্তমানে জ্বালানি তেল আমদানি ও সরবরাহ করে একমাত্র রাষ্ট্রীয় সংস্থা বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। বিশেষজ্ঞ ও ভোক্তা অধিকারকর্মীরা বলছেন, জ্বালানি তেলের ব্যবসা বেসরকারি খাতে দেওয়া হলে মানুষকে তা বেশি দাম দিয়ে কিনতে হবে। যেটা হয়েছে বিদ্যুৎ খাতে। জ্বালানি তেল একটি ‘কৌশলগত’ পণ্য। এর ব্যবসা পুরোটাই সরকারি খাতে থাকা উচিত।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

ট্রাম্প বললেন, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ দ্বারপ্রান্তে
ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিক্রিয়ায় সাবেক প্রেসিডেন্ট ও আসন্ন নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, জো বাইডেন ও কমলা হ্যারিস বিশ্বকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছেন। ট্রাম্প উল্লেখ করেন, তিনি যদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকতেন তাহলে কখনই ইসরায়েলে হামলার ঘটনা ঘটত না। সূত্র : রয়টার্স, বিবিসি, আল জাজিরা।

ট্রাম্প এক বিবৃতিতে আরও বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতময় পরিস্থিতির জন্য প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রশাসন দায়ী। তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি পুনরুদ্ধারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, বিশ্ব এখন আগুনে জ্বলছে এবং তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। কারণ আমাদের কোনো নেতৃত্ব নেই, দেশ পরিচালনার কেউ নেই। জো বাইডেন একজন অস্তিত্বহীন রাষ্ট্রপতি এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস সম্পূর্ণ অনুপস্থিত। ট্রাম্প উল্লেখ করেন, তিনি যখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন ইরান তখন নিয়ন্ত্রণে ছিল। ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি ক্ষমতায় থাকলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বাধীন হামলাও ঘটত না।

কালের কন্ঠ:

তিনটি সংস্কারের পর নির্বাচন দিতে হবে
একান্ত সাক্ষাৎকারে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রাজনৈতিক বিরূপ পরিস্থিতিতে সব সময় দলকে সুসংগঠিত রেখেছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের নানা দমন-পীড়নের মধ্যে তিনি বরাবরই ছিলেন সোচ্চার। পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিভিন্ন বিষয়ে কালের কণ্ঠকে বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বিশেষ প্রতিনিধি হাসান শিপলু

কালের কণ্ঠ : নির্বাচন ইস্যুতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ জামান বক্তব্য দিয়েছেন।

এই দুজনের বক্তব্য কিভাবে দেখছেন?
মির্জা ফখরুল ইসলাম : সেনাপ্রধান অবশ্যই নির্বাচন চান এবং একটি যৌক্তিক সময়ের মধ্যেই নির্বাচন চান। ড. ইউনূস, সেনাপ্রধান ও আমাদের বক্তব্যের মধ্যে তেমন তফাত নেই। আমরা যৌক্তিক সময়ের কথা বলেছি। তবে কখনোই যেন যৌক্তিক সময় পার না হয়ে যায়।

নির্বাচন যত দ্রুত করবে, তত সমস্যা কমে যাবে। নির্বাচন আয়োজন যত দীর্ঘায়িত করবে, সমস্যা আরো বাড়বে। যারা বিপ্লব ও পরিবর্তনের বিরুদ্ধে এবং ফ্যাসিবাদীদের পক্ষে, তখন তারা সেই সুযোগটা নিতে থাকবে।

যুগান্তর:

৫ দেশে নজরুলের হাজার কোটি টাকা পাচার
দুবাই লন্ডন হংকং ও সৌদি আরবে অঢেল সম্পদ * হংকংয়ে পাচারকৃত অর্থ লন্ডন থেকে ফেরত আনা হয় রেমিট্যান্স দেখিয়ে * শেখ হাসিনার সঙ্গে তোলা ছবি ভাঙিয়ে ব্যাংক সেক্টরে ব্যাপক চাঁদাবাজি * দানবীর সেজে চাঁদাবাজির টাকা দিতেন প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে
নজরুল ইসলাম মজুমদার নাসা গ্রুপ ও বেসরকারি এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান। তবে এসব ছাপিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ হিসাবে তার পরিচিতি সর্বত্র। পত্রিকার পাতা খুললেই চোখে পড়ে শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়ানো তার হাস্যোজ্জ্বল ছবি। এ সুবাদে তিনি ব্যাংক মালিকদের সংগঠন বিএবির চেয়ারম্যান পদ পেয়ে যান। টানা প্রায় ১৫ বছর এই পদে। এই পদে যাওয়ার পর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।

প্রভাবশালী মহলের আশীর্বাদে তিনি দেশের ব্যাংক খাতের অন্যতম মাফিয়া বনে যান। আর্থিক খাতের নানা প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজির টাকায় দেশ-বিদেশে গড়ে তোলেন অঢেল সম্পদ। বাংলাদেশ ছাড়িয়ে বিশ্বের একাধিক দেশে রয়েছে তার বিপুল অঙ্কের বিনিয়োগ। তবে শেষ পর্যন্ত ‘চোরের দশ দিন গৃহস্থের একদিন’ প্রবাদের মতো তারও শেষ রক্ষা হয়নি। তিনিও ধরা পড়লেন। মঙ্গলবার মধ্যরাতে নজরুল ইসলাম মজুমদারকে গ্রেফতারের সংবাদ দেয় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সুবাদে মজুমদার ব্যাপক ক্ষমতাধর হয়ে ওঠেন। অংশীদারি ব্যবসা হলেও ক্ষমতার দাপটে নাসা গ্রুপে তিনি একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েম করেন। এক পর্যায়ে কোম্পানির ২০ শতাংশ শেয়ারহোল্ডার ও স্পন্সর পরিচালক আলতাফ হোসেনকে বেআইনিভাবে বের করে দেওয়া হয়। পরে একাধিক সাজানো মামলার পর গোয়েন্দা সংস্থাসহ প্রশাসন লেলিয়ে দেওয়া হয় তার (আলতাফ হোসেন) বিরুদ্ধে। কিন্তু এতকিছু সত্ত্বেও দমেননি আলতাফ। মালিকানা ফেরত পেতে তিনি আইনি লড়াই শুরু করেন। পাশাপাশি মজুমদারের অর্থ পাচারের অকাট্য প্রমাণসহ নানা অনিয়মের ফিরিস্তি তুলে ধরে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দফতরে চিঠি দেন।

দৈনিক সংগ্রাম:

সংস্কারে চাওয়া হবে পরামর্শ 
রাষ্ট্র সংস্কারে রাজনৈতিক দলগুলোর পরামর্শ চাওয়া হবে। এজন্য প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসতে চাইছে উপদেষ্টা পরিষদ। আগামী শনিবার থেকে প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকের কথা জানানো হয়েছে। এবারের আগে আরও দুই দফা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে উপদেষ্টা পরিষদ। আগামী শনিবার থেকে তৃতীয় দফায় বসতে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, মিটিংয়ের জন্য দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে আমন্ত্রণ করা জানানো হবে। গতকাল বুধবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আগামী শনিবার থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হবে। এতে ৬ সংস্কার কমিশনের কাজের অগ্রগতির ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোকে অবগত করা হবে। তাদের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়া হবে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে অবগত করা হবে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা মতবিনিময় সভা করবেন। ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর থেকে দুই দফা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মিটিং হয়েছে। এটারই চলমান প্রক্রিয়ায় শনিবার থেকে আবার নতুন দফায় আলোচনা শুরু হবে। দেশের প্রধান প্রধান দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হবে।

মানবজমিন:

মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের দামামা
দীর্ঘদিন যাবৎ ইরান ও ইসরাইলকে কেন্দ্র করে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের ঝুঁকি। সেই ঝুঁকি রীতিমতো হুমকিতে পরিণত হয়েছে। ইসরাইলে মঙ্গলবার রাতে ইরানের ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা এবং তাকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি হুমকিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা এখন চরম পর্যায়ে। যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পাওয়া ইসরাইল এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাব দেয়ার অঙ্গীকার করেছে। অন্যদিকে ইরান বলেছে, ইসরাইল জবাব দিলে এর পাল্টা জবাব হবে আরও ভয়াবহ। এমনিতেই গাজায় এ শতাব্দীর সবচেয়ে নৃশংসতম হামলা চালিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে চলেছে ইসরাইল। তাতে বিবেকসম্পন্ন মানুষসহ মুসলিম বিশ্বে ক্ষোভের আগুন জ্বলছে। তার ওপর পাশের দেশ লেবাননে হিজবুল্লাহ’র বিরুদ্ধে ভয়াবহ যুদ্ধ শুরু করেছে ইসরাইল।সেখানেও তারা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে বেসামরিক এলাকায় ভয়াবহ হামলা চালাচ্ছে। এতে বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছেন। এর ওপর স্থল হামলা শুরু করেছে। ফলে এই উত্তেজনা আকস্মিকভাবে দাবানলের মতো গ্রাস করতে পারে মধ্যপ্রাচ্যকে। অনেক বিশ্লেষক বলছেন, এখান থেকে শুরু হয়ে যেতে পারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ। ক্ষোভে ফুঁসছে ইয়েমেনের হুতিরা।

বনিক বার্তা:

বাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও কমেছে খাদ্য ও সাধারণ মূল্যস্ফীতি
নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও সরকারি হিসাব অনুযায়ী সেপ্টেম্বরে দেশের সাধারণ মূল্যস্ফীতি কমেছে। গত মাসে দেশের সাধারণ মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯২ শতাংশে। অন্যদিকে খাদ্য মূল্যস্ফীতি দশমিক ৯৬ শতাংশীয় পয়েন্ট কমলেও দুই অংকের ঘরেই রয়ে গেছে। আর খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি দশমিক ২৪ শতাংশীয় পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৫০ শতাংশে।

গতকাল মাসিক হালনাগাদ ভোক্তা মূল্যসূচকের (সিপিআই) তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। সেপ্টেম্বরের সিপিআইয়ের হালনাগাদ প্রতিবেদনে সব ধরনের মূল্যস্ফীতি হ্রাসের চিত্র উঠে এসেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, মূল্যস্ফীতির বাস্কেটে খাদ্যপণ্যের ওয়েট বা ভার এখনো কম। এখানে পদ্ধতিগত কোনো ইস্যু থাকতে পারে। তাই খাদ্যপণ্যের দাম না কমলেও খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমে যাচ্ছে। এসব পরিসংখ্যান মনিটরিং করার জন্য একটি স্বাধীন কমিটি থাকা উচিত, যেন স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা যায়। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, বিবিএস আগের মতোই আছে, কোনো পরিবর্তন হয়নি। আবার বাজারে সিন্ডিকেটও সক্রিয় রয়েছে।

নয়াদিগন্ত:

বিরাজনীতিকীকরণের শঙ্কায় বিএনপি
এক-এগারোর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের মধ্য দিয়ে দেশে যেমন বিরাজনীতিকীকরণের প্রচেষ্টা হয়েছিল, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর আবারো সে রকম প্রচেষ্টার আশঙ্কা করছে বিএনপি। দলটির অভ্যন্তরে অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতার বিষয়টি যেমন রয়েছে, তেমনি এই সরকারের উদ্দেশ্য কিংবা কর্মপদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এক দিকে নির্বাচন কিংবা রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের নানামুখী বক্তব্য, অন্য দিকে বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো কোনো পক্ষের ‘পরিকল্পিত ক্যাম্পেইন’ নিয়ে দলটি কিছুটা হলেও শঙ্কায় পড়েছে। গত মঙ্গলবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব বিষয় উঠে এসেছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। বৈঠকে শীর্ষ নেতারা কথা বলেছেন বিরাজনীতিকীকরণসহ বিভিন্ন প্রসঙ্গে নিয়েও।

এ বিষয়ে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নয়া দিগন্তের সাথে আলাপকালে বলেছেন, ৫ আগস্টের পর কোনো কোনো পক্ষ গণতন্ত্রের লড়াইয়ে থাকা বৃহৎ দল বিএনপিবিরোধী বক্তব্য দিচ্ছে। এর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষিত রয়েছে।

এর মধ্য দিয়ে আমরা ওয়ান-ইলেভেনের গন্ধ পাচ্ছি। বিরাজনীতিকীকরণের গন্ধ পাচ্ছি। এজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, রাজনীতি বাদ দিয়ে বাংলাদেশ সম্ভব না। আমরা এখানে বিরাজনীতিকীকরণ করব, আর আমলাতন্ত্র দেশ চালাবে সেটা হবে না। দেশ চলতে হবে জনগণের সাথে সম্পৃক্তদেরকে নিয়ে। সে জন্য গণতান্ত্রিক পন্থা হচ্ছে উৎকৃষ্ট পন্থা।
রাষ্ট্র সংস্কারসহ অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রম নিয়ে গত মঙ্গলবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে কথা হয়েছে। সরকারের কার্যক্রমে যথেষ্ট অস্পষ্টতা রয়েছে বলে মনে করেন দলটির শীর্ষ নেতারা।

জনপ্রিয় সংবাদ

দিনাজপুরে বিএনপি-আওয়ামীলীগ এক হয়ে জামায়াতের বিরুদ্ধে

সঠিক উদ্যোগ বেঠিক লুটপাট

আমার টাকা-পয়সার প্রতি লোভ নেই, ৫ কোটি হলেই চলবে

আপডেট সময় ০৭:১৯:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪

আজকের প্রত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান খবর:

কালবেলা:

‘আমার টাকা-পয়সার প্রতি লোভ নেই, ৫ কোটি হলেই চলবে’
বেসামরিক প্রশাসনে নিয়োগ নিয়ে ভয়াবহ এক কেলেঙ্কারির তথ্য ফাঁস হয়েছে। এর সঙ্গে খোদ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান এবং বিতর্কিত দুজন যুগ্ম সচিব ড. জিয়াউদ্দিন আহমেদ ও আলী আযম সরাসরি জড়িত থাকার তথ্য ফুটে উঠেছে। সেই সিনিয়র সচিবের সঙ্গে এক যুগ্ম সচিবের হোয়াটসঅ্যাপে সংবেদনশীল কথোপকথনে সম্প্রতি জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ নিয়ে উঠে এসেছে বড় ধরনের আর্থিক লেনদেনের তথ্যও। যে কথোপকথনের কিছু স্ক্রিনশট রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মহলেও ঘুরপাক খাচ্ছে, যা নিয়ে তোলপাড় চলছে খোদ প্রশাসনের ভেতরেও। এ কথোপকথনের অতি সংবেদনশীল কিছু অংশের স্ক্রিনশট কালবেলার হাতে এসেছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর দেশের দায়িত্ব নেওয়া নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারকে বিপাকে ফেলতে বড় ধরনের আর্থিক সুবিধা নিয়ে পরিকল্পিতভাবে ডিসি ‘নিয়োগকাণ্ড’ ঘটানো হয়েছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট অনেকে বিষয়টিকে ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে মনে করছেন।

এ ব্যাপারে জানতে ফোন করা হলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান রিসিভ করেননি। পরে এসএমএস করা হলে জবাবে তিনি লেখেন, ‘প্রশ্নই ওঠে না’। অন্যদিকে যুগ্ম সচিব ড. জিয়াউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে নানাভাবে চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

সম্প্রতি এক যুগ্ম সচিবের কক্ষ থেকে ৩ কোটি টাকার একটি চেক এবং ডিসি নিয়োগ সংক্রান্ত কিছু চিরকুট উদ্ধার সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে দৈনিক কালবেলা। সাড়া জাগানো সেই প্রতিবেদন নিয়ে তোলপাড় তৈরি হলে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। ঘটনা তদন্তে এক সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। অবশেষে মঙ্গলবার রাতে যে কর্মকর্তার দিকে সন্দেহের আঙুল উঠেছিল, সেই যুগ্ম সচিবকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও এর আগে সংবাদ সম্মেলন ডেকে কালবেলার ওই প্রতিবেদনকে ‘গুজব’ ও ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে দাবি করেছিলেন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান।

দেশরুপান্তর:

সঠিক উদ্যোগ বেঠিক লুটপাট
ওপরে লাল টিন ও ইটের দেয়ালে সাদা রঙের দুই কামরার ঘর। সামনে ছোট্ট বারান্দা। থরে থরে সাজানো ঘরগুলো দূর থেকে ছবির মতো দেখায়। ঘরের ভেতরে রান্নাঘর, আছে শৌচাগার। মুজিববর্ষ উপলক্ষে দেশের ৩০টি জেলা ভূমিহীন ঘোষণা করে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩টি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়। রাজনৈতিক প্রকল্প বলে বিবেচিত এসব ঘর প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে সরাসরি উপজেলা পর্যায়ে তদারকি করা হয়। কিন্তু ভালো নেই এসব ঘরের বাসিন্দারা। নানা অব্যবস্থাপনায় ইতিমধ্যে অনেকে ছেড়ে গেছেন বিনামূল্যে পাওয়া আবাসস্থল। অথচ এই প্রকল্প বাস্তবায়নে খরচ হয়েছে কোটি কোটি টাকা। স্থানীয়দের দাবি, এই প্রকল্পে যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথা ছিল, তা যেমন দেওয়া হয়নি, তেমনি নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ কারণে স্বস্তির আশ্রয়ণে চরম অস্বস্তিতে আছেন বাসিন্দারা। ভূমিহীনদের আশ্রয়ণের উদ্দেশ্যে নেওয়া প্রকল্পটি ডুবেছে দুর্নীতিতে।

চট্টগ্রামের আনোয়ারার হাজীগাঁও এলাকা। পূর্ববটতল বাজার পাহাড়ি এলাকায় ১৯৯৭ সালে সর্বপ্রথম গড়ে তোলা হয়েছিল আশ্রয়ণ প্রকল্প। কোথাও পাহাড় কেটে, কোথাও সাগরের নিচু উপকূলীয় এলাকায় ও সরকারের খাসজমিতে গড়ে তোলা হয় ঘর। ১৯৯৭ সালে এখানে ৬০টি, ২০০২ সালে ৯০টি ও ২০২০ সালে ৭০টি টিনের ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে।

প্রধম আলো:

সরকার পতনের ২ মাস আগে বসুন্ধরাকে বিশেষ সুবিধা
বিদ্যুতের মতো জ্বালানি তেলও বেসরকারি খাতে ছাড়া হয়। সরকারের শেষ সময়ে তেল বিক্রির অনুমতি দেওয়া হয় বসুন্ধরাকে।বিগত দেড় দশকে বিদ্যুৎ উৎপাদন অর্ধেকের বেশি চলে গেছে বেসরকারি খাতের দখলে। তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির অনুমতি পেয়েছে বেসরকারি কোম্পানি। এরপর একটি কোম্পানিকে সুবিধা দিতে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বেসরকারি খাতে জ্বালানি তেল বিক্রির নীতিমালা করা হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়ে বাজারে সরাসরি জ্বালানি তেল বিক্রির অনুমোদন পায় বসুন্ধরা গ্রুপ।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। এর আগে ১০ জুন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনে (বিপিসি) একটি চিঠি পাঠায় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। এতে বলা হয়, অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করে মজুত, পরিবহন ও প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে উৎপাদিত তেল নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিক্রির বিষয়ে বসুন্ধরা অয়েল অ্যান্ড গ্যাস কোম্পানিকে অনুমতি দেওয়া হলো।

দেশে বর্তমানে জ্বালানি তেল আমদানি ও সরবরাহ করে একমাত্র রাষ্ট্রীয় সংস্থা বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। বিশেষজ্ঞ ও ভোক্তা অধিকারকর্মীরা বলছেন, জ্বালানি তেলের ব্যবসা বেসরকারি খাতে দেওয়া হলে মানুষকে তা বেশি দাম দিয়ে কিনতে হবে। যেটা হয়েছে বিদ্যুৎ খাতে। জ্বালানি তেল একটি ‘কৌশলগত’ পণ্য। এর ব্যবসা পুরোটাই সরকারি খাতে থাকা উচিত।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

ট্রাম্প বললেন, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ দ্বারপ্রান্তে
ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিক্রিয়ায় সাবেক প্রেসিডেন্ট ও আসন্ন নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, জো বাইডেন ও কমলা হ্যারিস বিশ্বকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছেন। ট্রাম্প উল্লেখ করেন, তিনি যদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকতেন তাহলে কখনই ইসরায়েলে হামলার ঘটনা ঘটত না। সূত্র : রয়টার্স, বিবিসি, আল জাজিরা।

ট্রাম্প এক বিবৃতিতে আরও বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতময় পরিস্থিতির জন্য প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রশাসন দায়ী। তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি পুনরুদ্ধারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, বিশ্ব এখন আগুনে জ্বলছে এবং তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। কারণ আমাদের কোনো নেতৃত্ব নেই, দেশ পরিচালনার কেউ নেই। জো বাইডেন একজন অস্তিত্বহীন রাষ্ট্রপতি এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস সম্পূর্ণ অনুপস্থিত। ট্রাম্প উল্লেখ করেন, তিনি যখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন ইরান তখন নিয়ন্ত্রণে ছিল। ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি ক্ষমতায় থাকলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বাধীন হামলাও ঘটত না।

কালের কন্ঠ:

তিনটি সংস্কারের পর নির্বাচন দিতে হবে
একান্ত সাক্ষাৎকারে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রাজনৈতিক বিরূপ পরিস্থিতিতে সব সময় দলকে সুসংগঠিত রেখেছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের নানা দমন-পীড়নের মধ্যে তিনি বরাবরই ছিলেন সোচ্চার। পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিভিন্ন বিষয়ে কালের কণ্ঠকে বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বিশেষ প্রতিনিধি হাসান শিপলু

কালের কণ্ঠ : নির্বাচন ইস্যুতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ জামান বক্তব্য দিয়েছেন।

এই দুজনের বক্তব্য কিভাবে দেখছেন?
মির্জা ফখরুল ইসলাম : সেনাপ্রধান অবশ্যই নির্বাচন চান এবং একটি যৌক্তিক সময়ের মধ্যেই নির্বাচন চান। ড. ইউনূস, সেনাপ্রধান ও আমাদের বক্তব্যের মধ্যে তেমন তফাত নেই। আমরা যৌক্তিক সময়ের কথা বলেছি। তবে কখনোই যেন যৌক্তিক সময় পার না হয়ে যায়।

নির্বাচন যত দ্রুত করবে, তত সমস্যা কমে যাবে। নির্বাচন আয়োজন যত দীর্ঘায়িত করবে, সমস্যা আরো বাড়বে। যারা বিপ্লব ও পরিবর্তনের বিরুদ্ধে এবং ফ্যাসিবাদীদের পক্ষে, তখন তারা সেই সুযোগটা নিতে থাকবে।

যুগান্তর:

৫ দেশে নজরুলের হাজার কোটি টাকা পাচার
দুবাই লন্ডন হংকং ও সৌদি আরবে অঢেল সম্পদ * হংকংয়ে পাচারকৃত অর্থ লন্ডন থেকে ফেরত আনা হয় রেমিট্যান্স দেখিয়ে * শেখ হাসিনার সঙ্গে তোলা ছবি ভাঙিয়ে ব্যাংক সেক্টরে ব্যাপক চাঁদাবাজি * দানবীর সেজে চাঁদাবাজির টাকা দিতেন প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে
নজরুল ইসলাম মজুমদার নাসা গ্রুপ ও বেসরকারি এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান। তবে এসব ছাপিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ হিসাবে তার পরিচিতি সর্বত্র। পত্রিকার পাতা খুললেই চোখে পড়ে শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়ানো তার হাস্যোজ্জ্বল ছবি। এ সুবাদে তিনি ব্যাংক মালিকদের সংগঠন বিএবির চেয়ারম্যান পদ পেয়ে যান। টানা প্রায় ১৫ বছর এই পদে। এই পদে যাওয়ার পর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।

প্রভাবশালী মহলের আশীর্বাদে তিনি দেশের ব্যাংক খাতের অন্যতম মাফিয়া বনে যান। আর্থিক খাতের নানা প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজির টাকায় দেশ-বিদেশে গড়ে তোলেন অঢেল সম্পদ। বাংলাদেশ ছাড়িয়ে বিশ্বের একাধিক দেশে রয়েছে তার বিপুল অঙ্কের বিনিয়োগ। তবে শেষ পর্যন্ত ‘চোরের দশ দিন গৃহস্থের একদিন’ প্রবাদের মতো তারও শেষ রক্ষা হয়নি। তিনিও ধরা পড়লেন। মঙ্গলবার মধ্যরাতে নজরুল ইসলাম মজুমদারকে গ্রেফতারের সংবাদ দেয় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সুবাদে মজুমদার ব্যাপক ক্ষমতাধর হয়ে ওঠেন। অংশীদারি ব্যবসা হলেও ক্ষমতার দাপটে নাসা গ্রুপে তিনি একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েম করেন। এক পর্যায়ে কোম্পানির ২০ শতাংশ শেয়ারহোল্ডার ও স্পন্সর পরিচালক আলতাফ হোসেনকে বেআইনিভাবে বের করে দেওয়া হয়। পরে একাধিক সাজানো মামলার পর গোয়েন্দা সংস্থাসহ প্রশাসন লেলিয়ে দেওয়া হয় তার (আলতাফ হোসেন) বিরুদ্ধে। কিন্তু এতকিছু সত্ত্বেও দমেননি আলতাফ। মালিকানা ফেরত পেতে তিনি আইনি লড়াই শুরু করেন। পাশাপাশি মজুমদারের অর্থ পাচারের অকাট্য প্রমাণসহ নানা অনিয়মের ফিরিস্তি তুলে ধরে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দফতরে চিঠি দেন।

দৈনিক সংগ্রাম:

সংস্কারে চাওয়া হবে পরামর্শ 
রাষ্ট্র সংস্কারে রাজনৈতিক দলগুলোর পরামর্শ চাওয়া হবে। এজন্য প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসতে চাইছে উপদেষ্টা পরিষদ। আগামী শনিবার থেকে প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকের কথা জানানো হয়েছে। এবারের আগে আরও দুই দফা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে উপদেষ্টা পরিষদ। আগামী শনিবার থেকে তৃতীয় দফায় বসতে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, মিটিংয়ের জন্য দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে আমন্ত্রণ করা জানানো হবে। গতকাল বুধবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আগামী শনিবার থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হবে। এতে ৬ সংস্কার কমিশনের কাজের অগ্রগতির ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোকে অবগত করা হবে। তাদের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়া হবে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে অবগত করা হবে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা মতবিনিময় সভা করবেন। ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর থেকে দুই দফা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মিটিং হয়েছে। এটারই চলমান প্রক্রিয়ায় শনিবার থেকে আবার নতুন দফায় আলোচনা শুরু হবে। দেশের প্রধান প্রধান দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হবে।

মানবজমিন:

মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের দামামা
দীর্ঘদিন যাবৎ ইরান ও ইসরাইলকে কেন্দ্র করে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের ঝুঁকি। সেই ঝুঁকি রীতিমতো হুমকিতে পরিণত হয়েছে। ইসরাইলে মঙ্গলবার রাতে ইরানের ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা এবং তাকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি হুমকিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা এখন চরম পর্যায়ে। যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পাওয়া ইসরাইল এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাব দেয়ার অঙ্গীকার করেছে। অন্যদিকে ইরান বলেছে, ইসরাইল জবাব দিলে এর পাল্টা জবাব হবে আরও ভয়াবহ। এমনিতেই গাজায় এ শতাব্দীর সবচেয়ে নৃশংসতম হামলা চালিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে চলেছে ইসরাইল। তাতে বিবেকসম্পন্ন মানুষসহ মুসলিম বিশ্বে ক্ষোভের আগুন জ্বলছে। তার ওপর পাশের দেশ লেবাননে হিজবুল্লাহ’র বিরুদ্ধে ভয়াবহ যুদ্ধ শুরু করেছে ইসরাইল।সেখানেও তারা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে বেসামরিক এলাকায় ভয়াবহ হামলা চালাচ্ছে। এতে বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছেন। এর ওপর স্থল হামলা শুরু করেছে। ফলে এই উত্তেজনা আকস্মিকভাবে দাবানলের মতো গ্রাস করতে পারে মধ্যপ্রাচ্যকে। অনেক বিশ্লেষক বলছেন, এখান থেকে শুরু হয়ে যেতে পারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ। ক্ষোভে ফুঁসছে ইয়েমেনের হুতিরা।

বনিক বার্তা:

বাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও কমেছে খাদ্য ও সাধারণ মূল্যস্ফীতি
নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও সরকারি হিসাব অনুযায়ী সেপ্টেম্বরে দেশের সাধারণ মূল্যস্ফীতি কমেছে। গত মাসে দেশের সাধারণ মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯২ শতাংশে। অন্যদিকে খাদ্য মূল্যস্ফীতি দশমিক ৯৬ শতাংশীয় পয়েন্ট কমলেও দুই অংকের ঘরেই রয়ে গেছে। আর খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি দশমিক ২৪ শতাংশীয় পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৫০ শতাংশে।

গতকাল মাসিক হালনাগাদ ভোক্তা মূল্যসূচকের (সিপিআই) তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। সেপ্টেম্বরের সিপিআইয়ের হালনাগাদ প্রতিবেদনে সব ধরনের মূল্যস্ফীতি হ্রাসের চিত্র উঠে এসেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, মূল্যস্ফীতির বাস্কেটে খাদ্যপণ্যের ওয়েট বা ভার এখনো কম। এখানে পদ্ধতিগত কোনো ইস্যু থাকতে পারে। তাই খাদ্যপণ্যের দাম না কমলেও খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমে যাচ্ছে। এসব পরিসংখ্যান মনিটরিং করার জন্য একটি স্বাধীন কমিটি থাকা উচিত, যেন স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা যায়। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, বিবিএস আগের মতোই আছে, কোনো পরিবর্তন হয়নি। আবার বাজারে সিন্ডিকেটও সক্রিয় রয়েছে।

নয়াদিগন্ত:

বিরাজনীতিকীকরণের শঙ্কায় বিএনপি
এক-এগারোর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের মধ্য দিয়ে দেশে যেমন বিরাজনীতিকীকরণের প্রচেষ্টা হয়েছিল, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর আবারো সে রকম প্রচেষ্টার আশঙ্কা করছে বিএনপি। দলটির অভ্যন্তরে অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতার বিষয়টি যেমন রয়েছে, তেমনি এই সরকারের উদ্দেশ্য কিংবা কর্মপদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এক দিকে নির্বাচন কিংবা রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের নানামুখী বক্তব্য, অন্য দিকে বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো কোনো পক্ষের ‘পরিকল্পিত ক্যাম্পেইন’ নিয়ে দলটি কিছুটা হলেও শঙ্কায় পড়েছে। গত মঙ্গলবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব বিষয় উঠে এসেছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। বৈঠকে শীর্ষ নেতারা কথা বলেছেন বিরাজনীতিকীকরণসহ বিভিন্ন প্রসঙ্গে নিয়েও।

এ বিষয়ে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নয়া দিগন্তের সাথে আলাপকালে বলেছেন, ৫ আগস্টের পর কোনো কোনো পক্ষ গণতন্ত্রের লড়াইয়ে থাকা বৃহৎ দল বিএনপিবিরোধী বক্তব্য দিচ্ছে। এর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষিত রয়েছে।

এর মধ্য দিয়ে আমরা ওয়ান-ইলেভেনের গন্ধ পাচ্ছি। বিরাজনীতিকীকরণের গন্ধ পাচ্ছি। এজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, রাজনীতি বাদ দিয়ে বাংলাদেশ সম্ভব না। আমরা এখানে বিরাজনীতিকীকরণ করব, আর আমলাতন্ত্র দেশ চালাবে সেটা হবে না। দেশ চলতে হবে জনগণের সাথে সম্পৃক্তদেরকে নিয়ে। সে জন্য গণতান্ত্রিক পন্থা হচ্ছে উৎকৃষ্ট পন্থা।
রাষ্ট্র সংস্কারসহ অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রম নিয়ে গত মঙ্গলবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে কথা হয়েছে। সরকারের কার্যক্রমে যথেষ্ট অস্পষ্টতা রয়েছে বলে মনে করেন দলটির শীর্ষ নেতারা।