ঢাকা ০১:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যেভাবে গায়েব হয় সমবায়ের ১২ হাজার ভরি স্বর্ণ

  • লিমন হোসেন
  • আপডেট সময় ০৮:০০:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪
  • 25

আজকের প্রত্রিকাগুলোর প্রধধান প্রধান খবর

মানবজমিন:

যেভাবে গায়েব হয় সমবায়ের ১২ হাজার ভরি স্বর্ণ
রোববার অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ ‘সমবায় ব্যাংকের ১২ হাজার ভরি সোনার খোঁজ’ পাওয়া যাচ্ছে না, এমন বক্তব্য দেয়ার পর এ নিয়ে মতিঝিলের ব্যাংক পাড়ায় তোলপাড় শুরু হয়। ব্যাংকের সোনা কীভাবে গায়েব হলো সেটি নিয়ে কৌতূহল ছড়িয়ে পড়ে। সামাজিক মাধ্যমেও আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে।
এদিকে গ্রাহকরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। টাকা উত্তোলনে আমানতকারীদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সোমবার ব্যাংকটির হেড অফিস মতিঝিল শাখায় এ চিত্র দেখা গেছে।
কুমিল্লায় এক অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা এএফ হাসান আরিফ বলেন, দায়িত্ব নেয়ার পর কোথায় কী অবস্থা রয়েছে সব খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছি। সমবায় ব্যাংকের অবস্থা দেখতে গিয়ে জানলাম, ব্যাংকের ১২ হাজার ভরি স্বর্ণের হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। ব্যাংকের সম্পত্তি বেদখল হয়ে আছে। যারা একসময় ব্যাংকে ছিলেন তারাই বেদখল করে বসে আছেন। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া সমবায় ব্যাংক ঘুরে দাঁড়াতেও পারছে না। অনিয়ম-অব্যবস্থাপনার জন্যই ডুবতে বসেছে ব্যাংকটি। তার এই বক্তব্য দেয়ার পরপরই বিষয়টি গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে অনেকেই কৌতূহলী হয়ে ওঠেন।

যেভাবে গায়েব হলো সোনা: ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ১৫ বছরে দেশের অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংকের মতো অনেকটা আড়ালে থাকা বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক লিমিটেডেও লুটপাটের মহোৎসব চলেছে। ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে জুন মাসের মধ্যে ব্যাংকটি থেকে লুট হয়েছে ১২ হাজার ভরি স্বর্ণ।

এত স্বর্ণ কারা রেখেছিল-এই প্রশ্নের উত্তর জানতে সমবায় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় সূত্র জানায়, সমবায় ব্যাংকের লকার থেকে খোয়া যাওয়া ওই ১২ হাজার ভরি স্বর্ণের মালিক নারায়ণগঞ্জ কো-অপারেটিভ ক্রেডিট লিমিটেড। তারা তাদের গ্রাহকদের স্বর্ণ বন্ধক রেখে ব্যাংক থেকে প্রায় ১২ কোটি টাকা নিয়েছিল, যার সুদের পরিমাণ ১০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।

প্রথম আলো:
দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যু দুটোই বাড়ছে
ডেঙ্গু প্রতিরোধে ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনে দুটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

পার্থ শঙ্কর সাহা ও সুহাদা আফরিন, ঢাকা

দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যু দুটোই বাড়ছে। এ বছর প্রথম ৯ মাসে ১৬৩ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে শুধু গত সেপ্টেম্বরেই মারা গেছেন ৮০ জন। আক্রান্ত মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে। একই মাসে প্রতি সপ্তাহে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ২০ শতাংশের বেশি হারে বেড়েছে।

জনস্বাস্থ্যবিদ, কীটতত্ত্ববিদ ও চিকিৎসকেরা বলছেন, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা অক্টোবর মাসে আরও বাড়তে পারে। কারণ, রোগটি বৃদ্ধির অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু ডেঙ্গু প্রতিরোধে

কার্যকর ব্যবস্থার অভাব রয়েছে। স্থানীয় সরকারের অব্যবস্থাপনা, স্থানীয় সরকারের সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সমন্বয়ের অভাব বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। তাঁদের পরামর্শ, পরিস্থিতি আরও নাজুক হওয়ার আগে ডেঙ্গু মোকাবিলায় সরকারের জোর প্রচেষ্টা নেওয়া উচিত।

অবশ্য গতকাল সোমবার ডেঙ্গু প্রতিরোধে ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনে দুটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। প্রতিটি কমিটিতে দেশের তিনজন বিশেষজ্ঞকে সদস্য করা হয়েছে।এ

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, চলতি বছরের শুরু থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৩০ হাজার ৯৩৮ জন। এর মধ্যে শুধু সেপ্টেম্বরেই আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজারের বেশি মানুষ। তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত মাসের প্রথম সপ্তাহে আক্রান্তের হার ছিল ১৪ শতাংশ। মাসের শেষে সপ্তাহে দেখা যাচ্ছে, তা বেড়ে হয়েছে ২৪ শতাংশ।

বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যাও। সেপ্টেম্বরের প্রথম ৭ দিনে ডেঙ্গুতে প্রাণ হারান ১১ জন। আর শেষ ৭ দিনে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৩০ জন।

ডেঙ্গু সংক্রমণের সঙ্গে বাড়ছে এডিস মশার বিস্তারও। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক কবিরুল বাশারের নেতৃত্বে করা গবেষণায় দেখা যায়, এবার সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে তার আগের সপ্তাহের তুলনায় এডিস মশা বেড়ে গেছে ১৫ শতাংশের বেশি। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন ও সাভারের বিভিন্ন এলাকায় জরিপ করে তিনি এমন তথ্য পেয়েছেন।

গত বছর দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুর সর্বোচ্চ সংক্রমণ হয়। সে বছর সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন সেপ্টেম্বর মাসে। ওই মাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৭৯ হাজার ৫৯৮ জন। মারা গিয়েছিলেন ৩৯৬ জন।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ একজন নিহত
ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে একজন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় চারজন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। ভাঙচুর করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বেশ কটি গাড়ি। আশুলিয়ার টঙ্গাবাড়ী এলাকার মণ্ডল নিটওয়্যার কারখানার সামনে গতকাল দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। হামলা-সংঘর্ষে জড়িত সন্দেহে তিন নারীসহ ৫১ জনকে আটক করা হয়েছে। নিহত শ্রমিকের নাম কাউসার আহাম্মেদ (২৬)। তিনি টঙ্গাবাড়ীর ম্যাঙ্গো টেক্স লিমিটেড কারখানায় সুইং অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন।

আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বলেন, সোমবার সকাল থেকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে তৈরি পোশাক শ্রমিকরা শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করছিলেন। দুপুরের দিকে মণ্ডল নিটওয়্যার কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে মালিকপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ত্রিপক্ষীয় মিটিং চলছিল। সমঝোতা না হওয়ায় শ্রমিকরা কারখানার বাইরে অবস্থান নেন। অন্য কারখানার শ্রমিকরাও সেখানে জড়ো হতে থাকেন। একপর্যায়ে পার্শ্ববর্তী ম্যাঙ্গো টেক্স ও ন্যাচারাল ডেনিম কারখানার শ্রমিকরা আমাদের ওপর হামলা করেন। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জসহ টিয়ার শেল নিক্ষেপ করা হয়।

আশুলিয়ায় বেতন ও হাজিরা বোনাস বৃদ্ধিসহ ১৮ দফা দাবি পূরণের যৌথ ঘোষণার পর শিল্পকারখানায় স্বাভাবিকভাবে কাজ করছিলেন তৈরি পোশাক শ্রমিকরা। এর মধ্যে কয়েকটি কারখানায় মালিক পক্ষের সঙ্গে শ্রমিকদের বনিবনা না হওয়ায় নিরাপত্তার স্বার্থে কারখানাগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে। এসব কারখানার শ্রমিকরা একজোট হয়ে বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়াসহ বিভিন্ন দাবি আদায়ে আন্দোলন করে আসছেন। শ্রমিকরা দলবেঁধে চালু থাকা কারখানায় গিয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে হামলা ও ভাঙচুর চালালে কারখানা কর্তৃপক্ষ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করতে বাধ্য হয়।
শ্রমিকরা জানান, সকালে মণ্ডল গ্রুপের শ্রমিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে মিটিংয়ে সমঝোতা না হওয়ায় বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা সেখানে জড়ো হতে থাকেন। দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা শ্রমিকদের বুঝিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। শ্রমিকরা র?্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেন। হামলায় শিল্প পুলিশের এসপি সারোয়ার আলম গুরুতর আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ শ্রমিকদের লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

কালের কন্ঠ:

সংস্কার-নির্বাচন দ্রুতই হবে
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশে দ্রুত সংস্কার ও নির্বাচন অনুষ্ঠানের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। তিনি জাপানের টোকিওভিত্তিক নিউজ আউটলেট এনএইচকে ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ড. ইউনূস জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে যোগ দিতে নিউইয়র্ক সফরের সময় গৃহীত এই সাক্ষাৎকারভিত্তিক রিপোর্ট গত রবিবার সংবাদমাধ্যমটি প্রকাশ করেছে।
টানা ১৫ বছরের বেশি সময় ক্ষমতায় থাকার পর ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের পর ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেন।

সাক্ষাৎকারে ইউনূস বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ হচ্ছে যত দ্রুত সম্ভব সংস্কার করা এবং সরকার প্রস্তুত হলেই নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে। তিনি বলেন, ‘ব্যর্থতা এমন কিছু নয়, যা আমরা মেনে নিতে পারি।’ ইউনূস বলেন, তরুণরা তাদের জীবন দিয়েছে। তিনি নীতি নির্ধারণে তরুণ প্রজন্মকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে তাঁর অবস্থানের ইঙ্গিত দেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এই সংকটময় সময়ে’ বাংলাদেশ তার সবচেয়ে বড় দাতা জাপানের কাছ থেকে সহায়তার অপেক্ষায় রয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, তাঁর দেশের অর্থনীতি পুনর্গঠন এবং বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে দৃঢ়মূল করতে সহায়তার জন্য জাপানের সহযোগিতা অপরিহার্য।

যুগান্তর:

শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে লাঠিচার্জ টিয়ারশেল বহু আহত তীব্র যানজট
চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি, লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার দুপুরে মিছিল নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ও বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নিতে গেলে এ ঘটনা ঘটে। এরপর শিক্ষার্থীরা দাবি মেনে নিতে বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত এক ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন। সন্ধ্যার দিকে শিক্ষার্থীদের সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার প্রতিনিধি উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও নাহিদ ইসলামের সঙ্গে বৈঠক করেন।

এদিকে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা যায় কিনা সে বিষয়ে পর্যালোচনার জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে সরকার। তারা বিষয়টি নিয়ে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারকে পরামর্শ দেবে। দুই উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা সাংবাদিকদের জানান, আন্দোলনকারীদের দাবিকে যৌক্তিক বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। তারা আজ সরকারের গঠিত কমিটির সঙ্গে আলোচনা করবেন।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে কাকরাইল থেকে ইন্টারকন্টিনেন্টাল সড়কের দুই পাশে ব্যারিকেড দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে আশপাশের সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। চরম ভোগান্তির শিকার হন যাত্রী ও পরিবহণ শ্রমিকরা। রহিম নামে এক বাইকার বলেন, শুধু কাকরাইল মোড় পার হতে ৪০ মিনিট লেগেছে। রফিক নামে এক সিএনজিচালক বলেন, কয়েকটি রাস্তা ঘুরে কাকরাইল থেকে সাতরাস্তা পর্যন্ত আসতে দেড় ঘণ্টা লেগেছে।

নয়াদিগন্ত:

খেলাপি ঋণে আর ছাড় নয়

খেলাপি ঋণ নবায়নে আর কোনো ছাড় দেয়া হবে না। এমনকি মেয়াদি ঋণ নবায়নের ক্ষেত্রেও কোনো প্রকার শিথিলতা দেখানো হবে না। ব্যাংক কোম্পানি আইন ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ীই ঋণ পুনঃতফসিল করতে হবে। মেয়াদি ঋণ খেলাপির ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ইতোমধ্যে যে ৩ মাস সময় এগিয়ে আনা হয়েছে তাই বলবৎ থাকবে। আর এ কারণে এস আলমসহ বড় বড় রাঘব বোয়ালদের ঋণ গতকাল থেকে খেলাপি হওয়া শুরু হয়েছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে।

ইসলামী ব্যাংকসহ ৮ ব্যাংক থেকে সাইফুল আলম মাসুদ ওরফে এস আলম নামে বেনামে প্রায় ২ লাখ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছিলেন। এত দিন ব্যাংকগুলো তার দখলে থাকায় নানা উপায়ে পরিশোধ না করে নিয়মিত দেখানো হতো। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলোর পর্ষদ ভেঙে দিয়ে নতুন পর্ষদ গঠন করে দিয়েছে। এরপর থেকেই ওইসব ঋণ আর অনিয়মের মাধ্যমে নবায়ন হচ্ছে না। ইতোমধ্যেই ওইসব ঋণ অনিয়মিত হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, মাফিয়াদের নামে বেনামে থাকা ঋণ আর কোনোক্রমেই নিয়মিত করা হবে না। একমাত্র সমাধান হবে জনগণের আমানতের অর্থ ফেরত দেয়া। অন্যথায় এসব ঋণ খেলাপি করা হবে। আর খেলাপি হলে ওইসব প্রতিষ্ঠান আর কোনো এলসি খুলতে পারবে না।
সমকাল:

জয়, পুতুল ও ববির অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল এবং তাঁর বোন শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববির ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।

এ ছাড়া আওয়ামী লীগের গবেষণা সেল সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই), সিআরআই-ইয়াং বাংলা প্রজেক্ট এবং সাবেক মন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর, প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু ও ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানের অ্যাকাউন্টও ফ্রিজ করা হয়েছে। একই সঙ্গে এসব হিসাবের লেনদেনসহ যাবতীয় তথ্য চাওয়া হয়েছে। আজ সোমবার সব ব্যাংকে এ-সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়।

সজীব ওয়াজেদ জয় সিআরআইর চেয়ারম্যান, পুতুল ভাইস চেয়ারম্যান এবং ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ববি। আর ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সাবেক বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। দলীয় বিভিন্ন এজেন্ডা বাস্তবায়ন ও জনমত গঠনে ২০১০ সালে দৃশ্যমান হয় সিআরআই। ২০১৪ সালে ‘ইয়াং বাংলা’ নামে অঙ্গপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়।

সিআরআইর তত্ত্বাবধানে কয়েক বছর ধরে যুব উদ্যোক্তা ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে চালু করা হয় ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’। আর বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে কেন্দ্র করে ‘জয় বাংলা কনসার্ট’ হয়ে আসছিল।

কালবেলা:

মাশরাফীর বিরুদ্ধে সিলেট স্ট্রাইকার্স দখলের মামলা
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দল সিলেট স্ট্রাইকার্সের মালিকানা ইস্যুতে ফেঁসে যাচ্ছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। জোরপূর্বক মালিকানা দখলের অভিযোগে সাবেক এ সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার ফ্র্যাঞ্চাইজিটির সাবেক কর্ণধার সারোয়ার চৌধুরী রাজধানীর পল্লবী থানায় মামলাটি করেন। মামলার ১ নম্বর আসামি করা হয় মাশরাফীকে। মামলার বিষয়টি মোবাইল ফোনে কালবেলাকে নিশ্চিত করেন পল্লবী থানার অফিসার ইনর্চাজ নজরুল ইসলাম।

মামলার বাদী সারোয়ার চৌধুরীর দাবি, তার কাছ থেকে জোরপূর্বক সিলেট স্ট্রাইকার্সের মাদার প্রতিষ্ঠান ফিউচার স্পোর্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের মালিকানা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মাশরাফীর কার্যালয়ে বসে সিলেট স্ট্রাইকার্সের আরেক মালিক হেলাল বিন ইউসুফ শুভ্র মামলার বাদী সারোয়ার চৌধুরীর মাথায় রিভলবার ঠেকিয়ে রাখেন।

মাশরাফী ছাড়াও এ মামলায় আসামি করা হয়েছে যথাক্রমে হেলাল বিন ইউসুফ শুভ্র, মো. ইমাম হাসান, অজ্ঞাতপরিচয় (রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানির এক কর্মকর্তা), কে এম রাসেল, বাবলু, আরও অজ্ঞাতসহ মোট ৮ জনকে।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ব্যবসায়ী সারোয়ার চৌধুরীর সঙ্গে মাশরাফীর পরিচয় হয় মামলার দুই নম্বর আসামি হেলাল বিন ইউসুফের মাধ্যমে। দুজনের আমন্ত্রণে বিপিএলে দল কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেন সারোয়ার চৌধুরী। এরপর ‘ফিউচার স্পোর্টস বাংলাদেশ লিমিটেড’ নামে একটি জয়েন্ট স্টক কোম্পানির নিবন্ধন করেন তিনি। ৬০ শতাংশ শেয়ার থাকায় কোম্পানিটির চেয়ারম্যান ছিলেন সারোয়ার চৌধুরী। বাকি ৪০ শতাংশ শেয়ার নিয়ে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হন মামলার তিন নম্বর আসামি ইমাম হাসান।

দেশরুপান্তর:

নীতিবাক্য আওড়ে নিজেই নীতিবিরুদ্ধ
মুখে হররোজ নীতিবাক্য আওড়ালেও বাস্তবে নীতিবিরুদ্ধ কর্মকাণ্ডের প্রতীক হয়ে ওঠেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারে ও দলটির সবার কাছেই নীতিবিরুদ্ধ কর্মকাণ্ড এবং স্বৈরাচারী আচরণের এক উদাহরণ হয়ে ওঠেন তিনি। যদিও তার রোষানলের শিকার হওয়ার ভয়ে এতদিন মুখ খোলেননি কেউই। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা এবং সড়ক ও সেতু বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, ওপরে সততার খোলস পড়ে থাকলেও ওবায়দুল কাদেরের ভেতরটা সম্পূর্ণ উল্টো। অনেকের মতে, আওয়ামী লীগের ইতিহাসে তিনিই একমাত্র সাধারণ সম্পাদক, ভাবমূর্তির মানদণ্ডে সবার কাছেই যার অবস্থান ছিল শূন্যের কোটায়। তবুও এ নেতাই হয়ে যান দলটির তিনবারের সাধারণ সম্পাদক। যে কারণে দল প্রতিষ্ঠার পর থেকে সবচেয়ে বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হয়েছে কাদেরের নেতৃত্বের আওয়ামী লীগকে।

তার দায়িত্বে থাকা সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে বড় বড় কাজে বড় দুর্নীতি-অনিয়মের খবর এখন বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। সেতু বিভাগের কর্মকর্তারা দেশ রূপান্তরকে বলেন, মুখে সততার কথা বললেও কার্যত অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাটকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার মতো ঘৃণ্য কাজ করতেন সাবেক এ মন্ত্রী।

যেভাবে গায়েব হয় সমবায়ের ১২ হাজার ভরি স্বর্ণ

আপডেট সময় ০৮:০০:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪

আজকের প্রত্রিকাগুলোর প্রধধান প্রধান খবর

মানবজমিন:

যেভাবে গায়েব হয় সমবায়ের ১২ হাজার ভরি স্বর্ণ
রোববার অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ ‘সমবায় ব্যাংকের ১২ হাজার ভরি সোনার খোঁজ’ পাওয়া যাচ্ছে না, এমন বক্তব্য দেয়ার পর এ নিয়ে মতিঝিলের ব্যাংক পাড়ায় তোলপাড় শুরু হয়। ব্যাংকের সোনা কীভাবে গায়েব হলো সেটি নিয়ে কৌতূহল ছড়িয়ে পড়ে। সামাজিক মাধ্যমেও আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে।
এদিকে গ্রাহকরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। টাকা উত্তোলনে আমানতকারীদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সোমবার ব্যাংকটির হেড অফিস মতিঝিল শাখায় এ চিত্র দেখা গেছে।
কুমিল্লায় এক অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা এএফ হাসান আরিফ বলেন, দায়িত্ব নেয়ার পর কোথায় কী অবস্থা রয়েছে সব খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছি। সমবায় ব্যাংকের অবস্থা দেখতে গিয়ে জানলাম, ব্যাংকের ১২ হাজার ভরি স্বর্ণের হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। ব্যাংকের সম্পত্তি বেদখল হয়ে আছে। যারা একসময় ব্যাংকে ছিলেন তারাই বেদখল করে বসে আছেন। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া সমবায় ব্যাংক ঘুরে দাঁড়াতেও পারছে না। অনিয়ম-অব্যবস্থাপনার জন্যই ডুবতে বসেছে ব্যাংকটি। তার এই বক্তব্য দেয়ার পরপরই বিষয়টি গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে অনেকেই কৌতূহলী হয়ে ওঠেন।

যেভাবে গায়েব হলো সোনা: ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ১৫ বছরে দেশের অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংকের মতো অনেকটা আড়ালে থাকা বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক লিমিটেডেও লুটপাটের মহোৎসব চলেছে। ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে জুন মাসের মধ্যে ব্যাংকটি থেকে লুট হয়েছে ১২ হাজার ভরি স্বর্ণ।

এত স্বর্ণ কারা রেখেছিল-এই প্রশ্নের উত্তর জানতে সমবায় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় সূত্র জানায়, সমবায় ব্যাংকের লকার থেকে খোয়া যাওয়া ওই ১২ হাজার ভরি স্বর্ণের মালিক নারায়ণগঞ্জ কো-অপারেটিভ ক্রেডিট লিমিটেড। তারা তাদের গ্রাহকদের স্বর্ণ বন্ধক রেখে ব্যাংক থেকে প্রায় ১২ কোটি টাকা নিয়েছিল, যার সুদের পরিমাণ ১০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।

প্রথম আলো:
দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যু দুটোই বাড়ছে
ডেঙ্গু প্রতিরোধে ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনে দুটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

পার্থ শঙ্কর সাহা ও সুহাদা আফরিন, ঢাকা

দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যু দুটোই বাড়ছে। এ বছর প্রথম ৯ মাসে ১৬৩ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে শুধু গত সেপ্টেম্বরেই মারা গেছেন ৮০ জন। আক্রান্ত মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে। একই মাসে প্রতি সপ্তাহে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ২০ শতাংশের বেশি হারে বেড়েছে।

জনস্বাস্থ্যবিদ, কীটতত্ত্ববিদ ও চিকিৎসকেরা বলছেন, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা অক্টোবর মাসে আরও বাড়তে পারে। কারণ, রোগটি বৃদ্ধির অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু ডেঙ্গু প্রতিরোধে

কার্যকর ব্যবস্থার অভাব রয়েছে। স্থানীয় সরকারের অব্যবস্থাপনা, স্থানীয় সরকারের সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সমন্বয়ের অভাব বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। তাঁদের পরামর্শ, পরিস্থিতি আরও নাজুক হওয়ার আগে ডেঙ্গু মোকাবিলায় সরকারের জোর প্রচেষ্টা নেওয়া উচিত।

অবশ্য গতকাল সোমবার ডেঙ্গু প্রতিরোধে ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনে দুটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। প্রতিটি কমিটিতে দেশের তিনজন বিশেষজ্ঞকে সদস্য করা হয়েছে।এ

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, চলতি বছরের শুরু থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৩০ হাজার ৯৩৮ জন। এর মধ্যে শুধু সেপ্টেম্বরেই আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজারের বেশি মানুষ। তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত মাসের প্রথম সপ্তাহে আক্রান্তের হার ছিল ১৪ শতাংশ। মাসের শেষে সপ্তাহে দেখা যাচ্ছে, তা বেড়ে হয়েছে ২৪ শতাংশ।

বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যাও। সেপ্টেম্বরের প্রথম ৭ দিনে ডেঙ্গুতে প্রাণ হারান ১১ জন। আর শেষ ৭ দিনে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৩০ জন।

ডেঙ্গু সংক্রমণের সঙ্গে বাড়ছে এডিস মশার বিস্তারও। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক কবিরুল বাশারের নেতৃত্বে করা গবেষণায় দেখা যায়, এবার সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে তার আগের সপ্তাহের তুলনায় এডিস মশা বেড়ে গেছে ১৫ শতাংশের বেশি। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন ও সাভারের বিভিন্ন এলাকায় জরিপ করে তিনি এমন তথ্য পেয়েছেন।

গত বছর দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুর সর্বোচ্চ সংক্রমণ হয়। সে বছর সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন সেপ্টেম্বর মাসে। ওই মাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৭৯ হাজার ৫৯৮ জন। মারা গিয়েছিলেন ৩৯৬ জন।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ একজন নিহত
ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে একজন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় চারজন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। ভাঙচুর করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বেশ কটি গাড়ি। আশুলিয়ার টঙ্গাবাড়ী এলাকার মণ্ডল নিটওয়্যার কারখানার সামনে গতকাল দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। হামলা-সংঘর্ষে জড়িত সন্দেহে তিন নারীসহ ৫১ জনকে আটক করা হয়েছে। নিহত শ্রমিকের নাম কাউসার আহাম্মেদ (২৬)। তিনি টঙ্গাবাড়ীর ম্যাঙ্গো টেক্স লিমিটেড কারখানায় সুইং অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন।

আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বলেন, সোমবার সকাল থেকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে তৈরি পোশাক শ্রমিকরা শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করছিলেন। দুপুরের দিকে মণ্ডল নিটওয়্যার কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে মালিকপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ত্রিপক্ষীয় মিটিং চলছিল। সমঝোতা না হওয়ায় শ্রমিকরা কারখানার বাইরে অবস্থান নেন। অন্য কারখানার শ্রমিকরাও সেখানে জড়ো হতে থাকেন। একপর্যায়ে পার্শ্ববর্তী ম্যাঙ্গো টেক্স ও ন্যাচারাল ডেনিম কারখানার শ্রমিকরা আমাদের ওপর হামলা করেন। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জসহ টিয়ার শেল নিক্ষেপ করা হয়।

আশুলিয়ায় বেতন ও হাজিরা বোনাস বৃদ্ধিসহ ১৮ দফা দাবি পূরণের যৌথ ঘোষণার পর শিল্পকারখানায় স্বাভাবিকভাবে কাজ করছিলেন তৈরি পোশাক শ্রমিকরা। এর মধ্যে কয়েকটি কারখানায় মালিক পক্ষের সঙ্গে শ্রমিকদের বনিবনা না হওয়ায় নিরাপত্তার স্বার্থে কারখানাগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে। এসব কারখানার শ্রমিকরা একজোট হয়ে বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়াসহ বিভিন্ন দাবি আদায়ে আন্দোলন করে আসছেন। শ্রমিকরা দলবেঁধে চালু থাকা কারখানায় গিয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে হামলা ও ভাঙচুর চালালে কারখানা কর্তৃপক্ষ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করতে বাধ্য হয়।
শ্রমিকরা জানান, সকালে মণ্ডল গ্রুপের শ্রমিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে মিটিংয়ে সমঝোতা না হওয়ায় বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা সেখানে জড়ো হতে থাকেন। দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা শ্রমিকদের বুঝিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। শ্রমিকরা র?্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেন। হামলায় শিল্প পুলিশের এসপি সারোয়ার আলম গুরুতর আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ শ্রমিকদের লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

কালের কন্ঠ:

সংস্কার-নির্বাচন দ্রুতই হবে
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশে দ্রুত সংস্কার ও নির্বাচন অনুষ্ঠানের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। তিনি জাপানের টোকিওভিত্তিক নিউজ আউটলেট এনএইচকে ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ড. ইউনূস জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে যোগ দিতে নিউইয়র্ক সফরের সময় গৃহীত এই সাক্ষাৎকারভিত্তিক রিপোর্ট গত রবিবার সংবাদমাধ্যমটি প্রকাশ করেছে।
টানা ১৫ বছরের বেশি সময় ক্ষমতায় থাকার পর ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের পর ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেন।

সাক্ষাৎকারে ইউনূস বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ হচ্ছে যত দ্রুত সম্ভব সংস্কার করা এবং সরকার প্রস্তুত হলেই নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে। তিনি বলেন, ‘ব্যর্থতা এমন কিছু নয়, যা আমরা মেনে নিতে পারি।’ ইউনূস বলেন, তরুণরা তাদের জীবন দিয়েছে। তিনি নীতি নির্ধারণে তরুণ প্রজন্মকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে তাঁর অবস্থানের ইঙ্গিত দেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এই সংকটময় সময়ে’ বাংলাদেশ তার সবচেয়ে বড় দাতা জাপানের কাছ থেকে সহায়তার অপেক্ষায় রয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, তাঁর দেশের অর্থনীতি পুনর্গঠন এবং বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে দৃঢ়মূল করতে সহায়তার জন্য জাপানের সহযোগিতা অপরিহার্য।

যুগান্তর:

শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে লাঠিচার্জ টিয়ারশেল বহু আহত তীব্র যানজট
চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি, লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার দুপুরে মিছিল নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ও বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নিতে গেলে এ ঘটনা ঘটে। এরপর শিক্ষার্থীরা দাবি মেনে নিতে বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত এক ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন। সন্ধ্যার দিকে শিক্ষার্থীদের সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার প্রতিনিধি উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও নাহিদ ইসলামের সঙ্গে বৈঠক করেন।

এদিকে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা যায় কিনা সে বিষয়ে পর্যালোচনার জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে সরকার। তারা বিষয়টি নিয়ে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারকে পরামর্শ দেবে। দুই উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা সাংবাদিকদের জানান, আন্দোলনকারীদের দাবিকে যৌক্তিক বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। তারা আজ সরকারের গঠিত কমিটির সঙ্গে আলোচনা করবেন।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে কাকরাইল থেকে ইন্টারকন্টিনেন্টাল সড়কের দুই পাশে ব্যারিকেড দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে আশপাশের সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। চরম ভোগান্তির শিকার হন যাত্রী ও পরিবহণ শ্রমিকরা। রহিম নামে এক বাইকার বলেন, শুধু কাকরাইল মোড় পার হতে ৪০ মিনিট লেগেছে। রফিক নামে এক সিএনজিচালক বলেন, কয়েকটি রাস্তা ঘুরে কাকরাইল থেকে সাতরাস্তা পর্যন্ত আসতে দেড় ঘণ্টা লেগেছে।

নয়াদিগন্ত:

খেলাপি ঋণে আর ছাড় নয়

খেলাপি ঋণ নবায়নে আর কোনো ছাড় দেয়া হবে না। এমনকি মেয়াদি ঋণ নবায়নের ক্ষেত্রেও কোনো প্রকার শিথিলতা দেখানো হবে না। ব্যাংক কোম্পানি আইন ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ীই ঋণ পুনঃতফসিল করতে হবে। মেয়াদি ঋণ খেলাপির ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ইতোমধ্যে যে ৩ মাস সময় এগিয়ে আনা হয়েছে তাই বলবৎ থাকবে। আর এ কারণে এস আলমসহ বড় বড় রাঘব বোয়ালদের ঋণ গতকাল থেকে খেলাপি হওয়া শুরু হয়েছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে।

ইসলামী ব্যাংকসহ ৮ ব্যাংক থেকে সাইফুল আলম মাসুদ ওরফে এস আলম নামে বেনামে প্রায় ২ লাখ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছিলেন। এত দিন ব্যাংকগুলো তার দখলে থাকায় নানা উপায়ে পরিশোধ না করে নিয়মিত দেখানো হতো। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলোর পর্ষদ ভেঙে দিয়ে নতুন পর্ষদ গঠন করে দিয়েছে। এরপর থেকেই ওইসব ঋণ আর অনিয়মের মাধ্যমে নবায়ন হচ্ছে না। ইতোমধ্যেই ওইসব ঋণ অনিয়মিত হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, মাফিয়াদের নামে বেনামে থাকা ঋণ আর কোনোক্রমেই নিয়মিত করা হবে না। একমাত্র সমাধান হবে জনগণের আমানতের অর্থ ফেরত দেয়া। অন্যথায় এসব ঋণ খেলাপি করা হবে। আর খেলাপি হলে ওইসব প্রতিষ্ঠান আর কোনো এলসি খুলতে পারবে না।
সমকাল:

জয়, পুতুল ও ববির অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল এবং তাঁর বোন শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববির ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।

এ ছাড়া আওয়ামী লীগের গবেষণা সেল সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই), সিআরআই-ইয়াং বাংলা প্রজেক্ট এবং সাবেক মন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর, প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু ও ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানের অ্যাকাউন্টও ফ্রিজ করা হয়েছে। একই সঙ্গে এসব হিসাবের লেনদেনসহ যাবতীয় তথ্য চাওয়া হয়েছে। আজ সোমবার সব ব্যাংকে এ-সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়।

সজীব ওয়াজেদ জয় সিআরআইর চেয়ারম্যান, পুতুল ভাইস চেয়ারম্যান এবং ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ববি। আর ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সাবেক বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। দলীয় বিভিন্ন এজেন্ডা বাস্তবায়ন ও জনমত গঠনে ২০১০ সালে দৃশ্যমান হয় সিআরআই। ২০১৪ সালে ‘ইয়াং বাংলা’ নামে অঙ্গপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়।

সিআরআইর তত্ত্বাবধানে কয়েক বছর ধরে যুব উদ্যোক্তা ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে চালু করা হয় ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’। আর বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে কেন্দ্র করে ‘জয় বাংলা কনসার্ট’ হয়ে আসছিল।

কালবেলা:

মাশরাফীর বিরুদ্ধে সিলেট স্ট্রাইকার্স দখলের মামলা
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দল সিলেট স্ট্রাইকার্সের মালিকানা ইস্যুতে ফেঁসে যাচ্ছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। জোরপূর্বক মালিকানা দখলের অভিযোগে সাবেক এ সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার ফ্র্যাঞ্চাইজিটির সাবেক কর্ণধার সারোয়ার চৌধুরী রাজধানীর পল্লবী থানায় মামলাটি করেন। মামলার ১ নম্বর আসামি করা হয় মাশরাফীকে। মামলার বিষয়টি মোবাইল ফোনে কালবেলাকে নিশ্চিত করেন পল্লবী থানার অফিসার ইনর্চাজ নজরুল ইসলাম।

মামলার বাদী সারোয়ার চৌধুরীর দাবি, তার কাছ থেকে জোরপূর্বক সিলেট স্ট্রাইকার্সের মাদার প্রতিষ্ঠান ফিউচার স্পোর্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের মালিকানা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মাশরাফীর কার্যালয়ে বসে সিলেট স্ট্রাইকার্সের আরেক মালিক হেলাল বিন ইউসুফ শুভ্র মামলার বাদী সারোয়ার চৌধুরীর মাথায় রিভলবার ঠেকিয়ে রাখেন।

মাশরাফী ছাড়াও এ মামলায় আসামি করা হয়েছে যথাক্রমে হেলাল বিন ইউসুফ শুভ্র, মো. ইমাম হাসান, অজ্ঞাতপরিচয় (রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানির এক কর্মকর্তা), কে এম রাসেল, বাবলু, আরও অজ্ঞাতসহ মোট ৮ জনকে।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ব্যবসায়ী সারোয়ার চৌধুরীর সঙ্গে মাশরাফীর পরিচয় হয় মামলার দুই নম্বর আসামি হেলাল বিন ইউসুফের মাধ্যমে। দুজনের আমন্ত্রণে বিপিএলে দল কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেন সারোয়ার চৌধুরী। এরপর ‘ফিউচার স্পোর্টস বাংলাদেশ লিমিটেড’ নামে একটি জয়েন্ট স্টক কোম্পানির নিবন্ধন করেন তিনি। ৬০ শতাংশ শেয়ার থাকায় কোম্পানিটির চেয়ারম্যান ছিলেন সারোয়ার চৌধুরী। বাকি ৪০ শতাংশ শেয়ার নিয়ে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হন মামলার তিন নম্বর আসামি ইমাম হাসান।

দেশরুপান্তর:

নীতিবাক্য আওড়ে নিজেই নীতিবিরুদ্ধ
মুখে হররোজ নীতিবাক্য আওড়ালেও বাস্তবে নীতিবিরুদ্ধ কর্মকাণ্ডের প্রতীক হয়ে ওঠেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারে ও দলটির সবার কাছেই নীতিবিরুদ্ধ কর্মকাণ্ড এবং স্বৈরাচারী আচরণের এক উদাহরণ হয়ে ওঠেন তিনি। যদিও তার রোষানলের শিকার হওয়ার ভয়ে এতদিন মুখ খোলেননি কেউই। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা এবং সড়ক ও সেতু বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, ওপরে সততার খোলস পড়ে থাকলেও ওবায়দুল কাদেরের ভেতরটা সম্পূর্ণ উল্টো। অনেকের মতে, আওয়ামী লীগের ইতিহাসে তিনিই একমাত্র সাধারণ সম্পাদক, ভাবমূর্তির মানদণ্ডে সবার কাছেই যার অবস্থান ছিল শূন্যের কোটায়। তবুও এ নেতাই হয়ে যান দলটির তিনবারের সাধারণ সম্পাদক। যে কারণে দল প্রতিষ্ঠার পর থেকে সবচেয়ে বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হয়েছে কাদেরের নেতৃত্বের আওয়ামী লীগকে।

তার দায়িত্বে থাকা সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে বড় বড় কাজে বড় দুর্নীতি-অনিয়মের খবর এখন বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। সেতু বিভাগের কর্মকর্তারা দেশ রূপান্তরকে বলেন, মুখে সততার কথা বললেও কার্যত অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাটকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার মতো ঘৃণ্য কাজ করতেন সাবেক এ মন্ত্রী।