ঢাকা ০১:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নেপালে বন্যা ও ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১২

নেপালে বন্যা ও ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১২

নেপালে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১২ জনে। অবিরাম বর্ষণে দেশজুড়ে সৃষ্ট এই দুর্যোগে তারা প্রাণ হারান। এ ছাড়া নিখোঁজ রয়েছে বহু মানুষ। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাঠমান্ডু পোস্ট।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকাল থেকে টানা বর্ষণে দেশজুড়ে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধস হয়েছে। এতে শনিবার রাত পর্যন্ত অন্তত ১১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্তত ৩৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

কাঠমান্ডু পোস্ট আরও জানিয়েছে, বন্যা এবং ভূমিধসের জেরে পার্বত্য এই দেশটির অনেক অংশে মানুষের জীবনযাত্রাকে বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে, অনেক মহাসড়ক এবং রাস্তার চলাচল ব্যাহত হয়েছে, শত শত বাড়ি ও সেতু চাপা পড়েছে বা ভেসে গেছে এবং শত শত পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়র কারণে বিভিন্ন স্থানে হাজার হাজার যাত্রী আটকা পড়েছেন।

গতকাল শনিবার কাঠমান্ডু উপত্যকায় ১৯৭০ সালের পর সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ওই বছর থেকেই নেপালে প্রথম বৃষ্টিপাত পরিমাপ এবং রেকর্ড রাখার ব্যবস্থা শুরু করে।

পুলিশের মুখপাত্র দান বাহাদুর কারকি জানিয়েছেন, ২৮টি জায়গায় ভূমিধসের কারণে মহাসড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। পুলিশ ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার এবং রাস্তাগুলো পুনরায় চালু করার জন্য কাজ করছে। কাঠমান্ডুর আবহাওয়া কর্মকর্তা বিনু মহারজান জানান, রোববার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।

জনপ্রিয় সংবাদ

নেপালে বন্যা ও ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১২

আপডেট সময় ০৮:৩৪:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নেপালে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১২ জনে। অবিরাম বর্ষণে দেশজুড়ে সৃষ্ট এই দুর্যোগে তারা প্রাণ হারান। এ ছাড়া নিখোঁজ রয়েছে বহু মানুষ। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাঠমান্ডু পোস্ট।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকাল থেকে টানা বর্ষণে দেশজুড়ে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধস হয়েছে। এতে শনিবার রাত পর্যন্ত অন্তত ১১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্তত ৩৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

কাঠমান্ডু পোস্ট আরও জানিয়েছে, বন্যা এবং ভূমিধসের জেরে পার্বত্য এই দেশটির অনেক অংশে মানুষের জীবনযাত্রাকে বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে, অনেক মহাসড়ক এবং রাস্তার চলাচল ব্যাহত হয়েছে, শত শত বাড়ি ও সেতু চাপা পড়েছে বা ভেসে গেছে এবং শত শত পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়র কারণে বিভিন্ন স্থানে হাজার হাজার যাত্রী আটকা পড়েছেন।

গতকাল শনিবার কাঠমান্ডু উপত্যকায় ১৯৭০ সালের পর সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ওই বছর থেকেই নেপালে প্রথম বৃষ্টিপাত পরিমাপ এবং রেকর্ড রাখার ব্যবস্থা শুরু করে।

পুলিশের মুখপাত্র দান বাহাদুর কারকি জানিয়েছেন, ২৮টি জায়গায় ভূমিধসের কারণে মহাসড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। পুলিশ ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার এবং রাস্তাগুলো পুনরায় চালু করার জন্য কাজ করছে। কাঠমান্ডুর আবহাওয়া কর্মকর্তা বিনু মহারজান জানান, রোববার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।