নেপালে টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৬৬ জন হয়েছে। প্রধান সড়ক ডুবে বন্ধ হয়ে গেছে যোগাযোগ। ব্যাহত হচ্ছে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চলাচল। কর্মকর্তাদের বরাতে শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
অধিকাংশ মৃত্যুই রাজধানী কাঠমান্ডু উপত্যকায় হয়েছে। সেখানে ৪০ লাখ মানুষের বসবাস। বন্যার কারণে সেখানে যানবাহন চলাচল ও স্বাভাবিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা দিল কুমার তামাং জানিয়েছেন, বৃষ্টিজনিত দুর্ঘটনায় ৬০ জন আহত হয়েছেন। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ৬৬ জন। মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হিমালয়ের এই দেশটির অধিকাংশ নদীর পানি উপচে তীরবর্তী এলাকার সড়ক, সেতু ও বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে। সেখানে ২০০ মিলিমিটারেরও (৮ ইঞ্চি) বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে।
কাঠমান্ডুর কিছু অংশে শুক্রবার ৩২২ দশমিক ২ মিলিমিটার (১২.৬৮ ইঞ্চি) পর্যন্ত বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। হেলিকপ্টার ও রাবার বোট ব্যবহার করে ছাদে বা উঁচু টিলায় আটকা পড়া বাসিন্দাদের উদ্ধার করেছেন উদ্ধারকর্মীরা।
পুলিশের মুখপাত্র দান বাহাদুর কারকি জানিয়েছেন, ২৮টি স্থানে ভূমিধসের কারণে মহাসড়ক অবরুদ্ধ হওয়ার খবর পেয়েছে তারা। পুলিশ ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করে রাস্তায় যান চলাচলের ব্যবস্থা করছেন তারা। কাঠমান্ডু বিমানবন্দরের মুখপাত্র রিনজি শেরপা বলেছেন, আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল অব্যাহত থাকলেও বেশ কিছু অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট ব্যাহত হয়েছে।
প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ঘেরা এই দেশে ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যায় শত শত মানুষ মারা যায়।