বর্তমান শিক্ষা সংস্কার কমিশন ছেঁটে ফেলে আস্তিক ও আগস্ট বিপ্লবের চেতনাধারীদের বসাতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পাবনা সরকারি অ্যাডওয়ার্ড কলেজ মাঠে পাবনা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ পরিবার ও আহতদের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং সুধী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াতের আমির বলেন, ‘গত ১৫ বছরের আমাদের ওপর যে জুলুম করা হয়েছে এমনটি আর কারো ওপর করা হয়নি। আমাদের প্রতীক কেড়ে নেওয়া হয়েছে, আমাদের অফিসগুলো সিলগালা করা হয়েছে। আমাদের ভাই-বোনদের হত্যা করা হয়েছে। আমাদের শেষ পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই যে জুলুম করা হয়েছে আমরা বলেছি, তার প্রতিশোধ নেব না। প্রতিশোধ নিতে গেলে আমাদের ওপর যেভাবে জুলুম করা হয়েছে, সেইভাবে জুলুম করতে হবে, আইন আমাদের হাতে তুলে নিতে হবে। আমরা আইন হাতে তুলে নেব না, এই জন্য ক্ষমা করেছি। তবে গণহত্যার জন্য নয়, আয়নাঘরে গুমের জন্য বা গণধর্ষণের জন্য ক্ষমা করিনি। হাজার হাজার মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, তার বিচার অবশ্যই হতে হবে।’
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের অনেক সাংবাদিক ভাইয়েরা জিজ্ঞাসা করেন, আপনার দলের শহিদের সংখ্যা কত? আমরা তাদের বলেছি, আমরা সংখ্যা বলব না, কারণ শহিদরা কারো দলের হতে পারে না। তারা জাতির সম্পদ, তারা জাতির বীর। এ জন্য আমরা আমাদের দলের শহিদের সংখ্যা বলবে না, কারণ এই শহিদরা সমস্ত জাতির।
জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবু তালেব মণ্ডলের সভাপতিত্বে এবং জেলা সেক্রেটারি অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইকবাল হুসাইনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, জেলা জামায়াতের সাবেক আমির আব্দুর রহিম, নায়েবে আমির মাওলানা জহুরুল ইসলাম খান, শহীদ জাহিদুল ইসলামের বাবা দুলাল উদ্দিন মাস্টার, শহীদ মাহবুব হাসান নিলয়ের বাবা আবুল কালাম, সমন্বয়ক রাসেল মাহমুদ, বরকতুল্লাহ ফাহাদ প্রমুখ।
এর আগে, আজ সকাল ১১টার দিকে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ মাঠে জামায়াতে ইসলামীর পাবনা জেলার রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জামায়াতের আমির। দুপুরে দারুল আমান ট্রাস্টে এতিমদের সঙ্গে দুপুরের খাবার খান এবং শহিদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।