ঢাকা ০৬:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫, ১০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ববি তে বিজয় ভোজের বাজেট নিয়ে শিক্ষার্থীদের অসন্তোষ Logo দেশের স্বার্থেই জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপন: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করতে নেমে ৭৪ রানে হারল টাইগাররা Logo থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সংঘাত: সামরিকভাবে কে শক্তিশালী Logo ইসলাম সব মানুষের নিরাপত্তা এবং অধিকার নিশ্চিত করেছে: জামায়াত সেক্রেটারি Logo ৬ বিলিয়ন পাউন্ডের মুক্তবাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর ভারত ও যুক্তরাজ্যের Logo কুমারখালীতে চাঁদা না দেওয়ায় প্রবাসীর বাড়িতে ভাংচুর লুটপাটের অভিযোগ Logo এবার বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুঁড়ে দিল পাকিস্তান Logo গত ১৫ বছরে আওয়ামী সন্ত্রাসে নিহতদের তালিকা প্রস্তুতের নির্দেশ Logo প্রেমিকাকে ফেসবুকে ফলো করায় বন্ধুকে খুন 

জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দিচ্ছেন ড. ইউনূস

জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দিচ্ছেন ড. ইউনূস

তিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে বাংলায় ভাষণ দিচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় শুক্রবার সকালে জাতিসংঘ সদরদপ্তরের জেনারেল অ্যাসেম্বলি হলে ভাষণ দেওয়া শুরু করেন তিনি।

বক্তব্যে জুলাই-আগস্টে ছাত্র জনতার গণ-আন্দোলনের নানা দিক তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টা। ভাষণের শুরুতেই জুলাই-আগস্ট মাসে বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের একটি প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন অধ্যাপক ইউনূস।

বাংলাদেশে যে বিশেষ প্রেক্ষাপটে তাকে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নিতে হয়েছে সেই কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, গত জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে যে যুগান্তকারী পরিবর্তন সংঘটিত হয়েছে, তার প্রেক্ষিতেই আজ আমি বিশ্বসম্প্রদায়ের এ মহান সংসদে উপস্থিত হতে পেরেছি। আমাদের গণমানুষের, বিশেষ করে তরুণ সমাজের, অফুরান শক্তি আমাদের বিদ্যমান রাষ্ট্র কাঠামো ও প্রতিষ্ঠানগুলোর আমূল রূপান্তরের এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। আমাদের ছাত্র ও যুব সমাজের আন্দোলন প্রথমদিকে মূলত ছিল বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন। পর্যায়ক্রমে তা গণআন্দোলনে রূপ নেয়।

এরপর সারা পৃথিবী অবাক বিস্ময়ে দেখেছে কীভাবে সমগ্র বাংলাদেশের মানুষ একনায়কতন্ত্র, নিপীড়ন, বৈষম্য, অবিচার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাজপথে এবং সামাজিক-যোগাযোগ মাধ্যমে দৃঢ়ভাবে রুখে দাঁড়িয়েছিল।

আমাদের ছাত্রজনতা তাদের অদম্য সংকল্প ও প্রত্যয়ের মাধ্যমে একটি স্বৈরাচারী ও অগণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা থেকে মুক্তি এনে দিয়েছে। তাদের এই সম্মিলিত সংকল্পের মধ্যেই আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ নিহিত, যা এ দেশটিকে বিশ্ব সম্প্রদায়ের মাঝে একটি দায়িত্বশীল জাতির মর্যাদায় উন্নীত করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।এই গণআন্দোলন রাজনৈতিক অধিকার ও উন্নয়নের সুবিধাবঞ্চিত বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণকে ঐক্যবদ্ধ করেছে।

বাংলাদেশের মানুষ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অন্তর্ভুক্তিমূলক অংশীদারিত্ব চেয়েছিল। আমাদের জনগণ একটি ন্যায্য, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও কার্যকর গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে, যার জন্য আমাদের নতুন প্রজন্ম জীবন উৎসর্গ করেছে। আমাদের এই তরুণরা যে প্রজ্ঞা, সাহস ও প্রত্যয় দেখিয়েছে তা আমাদের অভিভূত করেছে। বন্দুকের গুলি উপেক্ষা করেও, বুক পেতে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল আমাদের এই তরুণরা। তারা অবৈধ রাষ্ট্রক্ষমতার বিরুদ্ধে প্রবলভাবে সোচ্চার হয়েছিল।

স্কুলপড়ুয়া কিশোর-কিশোরীরা নিঃশঙ্কচিত্তে উৎসর্গ করে তাদের জীবন।

জনপ্রিয় সংবাদ

ববি তে বিজয় ভোজের বাজেট নিয়ে শিক্ষার্থীদের অসন্তোষ

জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দিচ্ছেন ড. ইউনূস

আপডেট সময় ০৯:৪৪:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

তিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে বাংলায় ভাষণ দিচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় শুক্রবার সকালে জাতিসংঘ সদরদপ্তরের জেনারেল অ্যাসেম্বলি হলে ভাষণ দেওয়া শুরু করেন তিনি।

বক্তব্যে জুলাই-আগস্টে ছাত্র জনতার গণ-আন্দোলনের নানা দিক তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টা। ভাষণের শুরুতেই জুলাই-আগস্ট মাসে বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের একটি প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন অধ্যাপক ইউনূস।

বাংলাদেশে যে বিশেষ প্রেক্ষাপটে তাকে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নিতে হয়েছে সেই কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, গত জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে যে যুগান্তকারী পরিবর্তন সংঘটিত হয়েছে, তার প্রেক্ষিতেই আজ আমি বিশ্বসম্প্রদায়ের এ মহান সংসদে উপস্থিত হতে পেরেছি। আমাদের গণমানুষের, বিশেষ করে তরুণ সমাজের, অফুরান শক্তি আমাদের বিদ্যমান রাষ্ট্র কাঠামো ও প্রতিষ্ঠানগুলোর আমূল রূপান্তরের এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। আমাদের ছাত্র ও যুব সমাজের আন্দোলন প্রথমদিকে মূলত ছিল বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন। পর্যায়ক্রমে তা গণআন্দোলনে রূপ নেয়।

এরপর সারা পৃথিবী অবাক বিস্ময়ে দেখেছে কীভাবে সমগ্র বাংলাদেশের মানুষ একনায়কতন্ত্র, নিপীড়ন, বৈষম্য, অবিচার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাজপথে এবং সামাজিক-যোগাযোগ মাধ্যমে দৃঢ়ভাবে রুখে দাঁড়িয়েছিল।

আমাদের ছাত্রজনতা তাদের অদম্য সংকল্প ও প্রত্যয়ের মাধ্যমে একটি স্বৈরাচারী ও অগণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা থেকে মুক্তি এনে দিয়েছে। তাদের এই সম্মিলিত সংকল্পের মধ্যেই আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ নিহিত, যা এ দেশটিকে বিশ্ব সম্প্রদায়ের মাঝে একটি দায়িত্বশীল জাতির মর্যাদায় উন্নীত করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।এই গণআন্দোলন রাজনৈতিক অধিকার ও উন্নয়নের সুবিধাবঞ্চিত বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণকে ঐক্যবদ্ধ করেছে।

বাংলাদেশের মানুষ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অন্তর্ভুক্তিমূলক অংশীদারিত্ব চেয়েছিল। আমাদের জনগণ একটি ন্যায্য, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও কার্যকর গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে, যার জন্য আমাদের নতুন প্রজন্ম জীবন উৎসর্গ করেছে। আমাদের এই তরুণরা যে প্রজ্ঞা, সাহস ও প্রত্যয় দেখিয়েছে তা আমাদের অভিভূত করেছে। বন্দুকের গুলি উপেক্ষা করেও, বুক পেতে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল আমাদের এই তরুণরা। তারা অবৈধ রাষ্ট্রক্ষমতার বিরুদ্ধে প্রবলভাবে সোচ্চার হয়েছিল।

স্কুলপড়ুয়া কিশোর-কিশোরীরা নিঃশঙ্কচিত্তে উৎসর্গ করে তাদের জীবন।