আজকের প্রত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান খবর:
বনিক বার্তা:
ফজলুর রহমান থেকে সালমান এফ রহমান
শাইনপুকুর গ্রামের উর্দুভাষী এক প্রভাবশালী পরিবারের উত্থান-পতন
ঢাকার দোহার উপজেলায় পদ্মা-তীরবর্তী গ্রাম শাইনপুকুর। এ গ্রামের সবচেয়ে প্রভাবশালী পরিবারটির পত্তন ঘটেছিল দেশভাগ-পরবর্তী পাকিস্তানে, লিয়াকত আলী খান মন্ত্রিসভার এক সদস্যের হাত ধরে। তৎকালীন পূর্ববঙ্গের সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনীতিবিদদের অন্যতম এ রাজনীতিকের নাম ফজলুর রহমান। ব্যবসায়ী হিসেবেও বেশ নাম করেছিলেন তিনি। দাবি করা হয়, পাকিস্তান আমলে প্রথম বাঙালি জুট মিল ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা ছিলেন ফজলুর রহমান।
শাইনপুকুরের উর্দুভাষী পরিবারটি পরে স্বাধীন বাংলাদেশে আরো প্রভাবশালী হয়ে ওঠে। ব্যবসা-বাণিজ্যে তার সফলতার ধারা খুব ভালোভাবেই ধরে রাখতে পেরেছেন ফজলুর রহমানের দুই ছেলে সোহেল ফসিউর রহমান ও সালমান ফজলুর রহমান। তাদের হাত ধরে দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্প গ্রুপ হয়ে ওঠে বেক্সিমকো। আর সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টার পদে থেকে সালমান এফ রহমান হয়ে উঠেছিলেন গত দেড় দশকে আর্থিক খাতসহ সার্বিক অর্থনীতির অন্যতম বড় নিয়ন্ত্রক। তবে দেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এ পরিবারের প্রভাব অনেকটাই ম্রিয়মাণ হয়ে পড়েছে। সালমান এফ রহমান এখন কারাগারে। পরিবারের অন্য সদস্যরাও আছেন লোকচক্ষুর অন্তরালে।
পরিবারটি প্রথমবারের মতো প্রতিপত্তির চূড়ায় ওঠে দেশভাগের পর। পাকিস্তান আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছিলেন ফজলুর রহমান। পাকিস্তান আমলে উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার সমর্থক ছিলেন তিনি। আরবি হরফে বাংলা লেখার ধারণাটির অন্যতম প্রবক্তা ছিলেন তিনি। পরিবারের সদস্যরা এখনো নিজেদের মধ্যে উর্দুতেই কথা বলেন।
ফজলুর রহমানের জন্ম ১৯০৫ সালে। পূর্ব পাকিস্তানের ধনী, শিক্ষিত ও মুসলিম পরিবারের এ সদস্য মাধ্যমিক পর্যায়ের লেখাপড়া সম্পন্ন করেন দোহারের ভারগা উচ্চ বিদ্যালয়ে। তিনি ১৯২৯ সালে ইতিহাস বিষয়ে বিএ এবং ১৯৩৩ সালে এলএলএম ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর তিনি আইন ব্যবসায় নিয়োজিত হন। কর্মজীবনের শুরুতেই মুসলিম লীগে যোগ দেন। এক পর্যায়ে বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগের ওয়ার্কিং কমিটি এবং নিখিল পাকিস্তান মুসলিম লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হন। ঢাকা শহর থেকে বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার সদস্য নির্বাচিত হন ১৯৩৭ সালে।
১৯৪৩ সালে ফজলুর রহমান ব্যবস্থাপক সভার চিফ হুইপ এবং ১৯৪৬ সালে বঙ্গীয় সরকারের রাজস্বমন্ত্রী নিযুক্ত হন। ১৯৪৬ সালে পুনরায় তিনি ব্যবস্থাপক সভার সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর লিয়াকত আলী খানের কেন্দ্রীয় সরকারের শিক্ষা, বাণিজ্য ও শরণার্থীবিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৫১-৫৩ সালে খাজা নাজিমউদ্দীনের নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার শিক্ষা ও বাণিজ্যমন্ত্রী নিযুক্ত হন। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে মুসলিম লীগের প্রার্থী হিসেবে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে পূর্ববঙ্গ প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।
যুগান্তর:
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার নামে বরাদ্দ
শেখ হাসিনা-রেহানার নির্দেশে খাল ইজারা
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানার নির্দেশে রাজধানীর রামচন্দ্রপুর খালের একাংশ ‘সুরের ধারা’ নামের একটি গানের স্কুলের নামে ইজারা দেওয়া হয়েছে। ওই গানের স্কুলের স্বত্বাধিকারী রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী অধ্যাপক রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা।
প্রবাহ বন্ধ করে খাল ইজারা দেওয়ায় রামচন্দ্রপুর ও কাঁটাসুর খালের পানি নিষ্কাশনের এই পথটি বন্ধ হয়ে গেছে। ভারি বর্ষায় ওই এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের। আরও জানা গেছে, শেখ হাসিনা-রেহানার ক্ষমতা দেখিয়ে সুরের ধারা কর্তৃপক্ষ সেখানে বহুতল ভবন তৈরি করতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্র নেন।
এরপর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ছাড়পত্র নেন। সিএস ও আরএস রেকর্ডে ওই জায়গা খাল হিসাবে থাকায় রাজউক ও সিটি করপোরেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা অনুমোদন দিতে অসম্মতি জানিয়েছিলেন। তখন রাজউকের ওই বিভাগের এক কর্মকর্তাকে ডেকে অনুমোদনের জন্য চাপ সৃষ্টি করেন তৎকালীন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী।
এরপর সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের অনুমোদন দিতে বাধ্য করেন তৎকালীন মেয়র। তারা (গণপূর্তমন্ত্রী ও মেয়র) কর্মকর্তাদের বলেছিলেন, এটি শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার নির্দেশ এবং তাদের ঘনিষ্ঠজন সংগীতশিল্পী বন্যার গানের স্কুল সুরের ধারার নামে বরাদ্দকৃত জায়গাটির প্রয়োজনীয় অনুমোদন দিতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ওই ফাইলের অনুমোদন দেন।
প্রথম আলো:
বাংলাদেশে সংস্কার ও সুষ্ঠু নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন থাকবে
ড. ইউনূস–ব্লিঙ্কেন বৈঠক
রোহিঙ্গা সংকট, সন্ত্রাস দমন, শ্রমবিষয়ক সংকট, পাচার হওয়া অর্থ পুনরুদ্ধারসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
বাংলাদেশের সঙ্গে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট দীর্ঘদিনের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিষয়ে সহযোগিতা আরও গভীর করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশংসা করে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, বাংলাদেশকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে। সংস্কার ও সুষ্ঠু নির্বাচনে সমর্থন থাকবে যুক্তরাষ্ট্রের।
গতকাল বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, জাতিসংঘ সদর দপ্তরের নির্ধারিত সভাস্থলে গতকাল স্থানীয় সময় সকালে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় আধা ঘণ্টার বৈঠকে কোন প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়েছে, সেই পরিস্থিতির আলোচনার পাশাপাশি বাংলাদেশের সংস্কারপ্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা কামনা করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে বলা হয়েছে, ড. ইউনূসের সঙ্গে ব্লিঙ্কেনের বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানানোর পাশাপাশি অর্থনৈতিক সহযোগিতা, রোহিঙ্গা সংকট সমাধান, সন্ত্রাস দমন, শ্রমবিষয়ক সংকট, পাচার হওয়া অর্থ পুনরুদ্ধারসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
ড. ইউনূস ও ব্লিঙ্কেনের বৈঠকের পর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বৈঠকের বিষয়ে পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে জানান, বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন ড. ইউনূস ও ব্লিঙ্কেন। সেখানে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার দিকে এগিয়ে নিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে সহায়তা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগ অব্যাহত থাকা নিশ্চিত করতে সংস্কারের গুরুত্বের বিষয়টি তুলে ধরেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সহায়তার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন, যেখানে অন্তর্ভুক্তিমূলক, গণতান্ত্রিক এবং বাংলাদেশির ন্যায়সংগত ভবিষ্যৎ নিশ্চিত হবে। ড. ইউনূস ও ব্লিঙ্কেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা, আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন শ্রম অধিকারের প্রতি সম্মান, বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের মানবাধিকার রক্ষা এবং রোহিঙ্গা ও সব সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের অধিকার রক্ষায় শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান গড়ার গুরুত্বের বিষয়টি আলোচনা করেন।
কালের কন্ঠ:
ডলার জোগাড়ে ইউনূস কারিশমা
অর্থনৈতিক অস্থিরতা আর চরম ডলার সংকটের সময়ে আশা-জাগানিয়া খবর এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সফরেই অন্তত পৌনে সাত বিলিয়ন ডলারের অর্থ জোগাড়ের প্রাথমিক সাফল্য পাওয়া গেছে। বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে এই বড় অঙ্কের ডলার পাওয়ার আশ্বাস এসেছে। ফলে শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে বিপুল অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা যোগ হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
এর বাইরেও চীনের প্রস্তাবে বড় বিনিয়োগের সোলার প্লান্ট স্থাপন, নেপালের পক্ষ থেকে জলবিদ্যুৎ, জ্বালানি আমদানিসহ বিভিন্ন খাতে সহায়তারও আশ্বাস এসেছে বিশ্বনেতাদের কাছ থেকে। অর্থনীতিবিদরা এটাকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বের প্রাথমিক সাফল্য হিসেবে দেখছেন। তবে এ জন্য ঋণের শর্ত মেনে নানা খাতের সংস্কারগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এখন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
নয়াদিগন্ত:
তুলে নিয়ে বেঁধে মারধর, মৃত ভেবে দুই ছাত্রদল নেতাকে ফেলে গেল দুর্বৃত্তরা
চট্টগ্রামের রাউজানে দুই ছাত্রদল নেতাকে তুলে নিয়ে মারধরের পর মৃত ভেবে নদীর চরে ফেলে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তারা হলেন- মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন (৩২) ও সাজ্জাদ হোসেন (৩০)। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। তবে তাদের অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক।
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের কচুখাইন গ্রামের বাধের গোড়ার মাঝের চর থেকে দুই ছাত্রদল নেতাকে উদ্ধার করা হয়। কর্ণফুলী ও হালদা নদীর মোহনার পাশে এই চর অবস্থিত। এ সময় তাদের হাত, পা ও মুখ বাঁধা ছিল। এর আগে বেলা ১টায় নোয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে দু’জনকে ১০-১২ জনের সশস্ত্র একটি দল অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায়।
তুলে নিয়ে যাওয়া দু’জনের মধ্যে জয়নাল আবেদীন উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্যসচিব ও সাজ্জাদ হোসেন ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি। জয়নালের বাড়ি নোয়াপাড়া ইউনিয়নের নিরামিশপাড়া এবং সাজ্জাদের বাড়ি কচুখাইন গ্রামে। রাজনৈতিক কারণে তাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করছেন বিএনপির নেতারা। তারা দু’জন উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দু’জনই চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পরিবারের সদস্য ও ইউপি কার্যালয়ে কর্মরত ব্যক্তিরা জানান, দুই ছাত্রদল নেতা জন্মনিবন্ধন সনদ নিতে ইউপি কার্যালয়ে এসেছিলেন। ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল এসে দুইজনকে অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায়। ওখানে চৌধুরীঘাট কূলে নিয়ে দুইজনকে হকিস্টিক, রড ও লাঠিসোটা দিয়ে মারধর করা হয়। মারা গেছে ভেবে এই জায়গা থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে কচুখাইন গ্রামের কর্ণফুলী ও হালদা নদীর মোহনায় থাকা মাঝের চরে হাত, পা ও মুখ বেঁধে ফেলে দিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। তবে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
আহত ছাত্রদল নেতা মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীনের বাবা শওকত হোসেন বলেন, অপহরণকারীরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। সন্ত্রাসীরা তার ছেলেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর মুক্তিপণ চেয়েছিল। টাকা না দেয়ায় পিটিয়ে জখম করে মেরে ফেলতে চেয়েছিল।
দৈনিক সংগ্রাম:
বিদ্যুতের ভূতুড়ে বিলে দিশেহারা শত শত গ্রাহক
স্টাফ রিপোর্টার : নির্মাণ শ্রেণির একটি প্রিপেইড মিটারে গত মে মাসে ৩ হাজার টাকা রিচার্জ করেছিলেন মনিরুল ইসলাম। রশিদ দেখে চোখ কপালে ওঠে তার, বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে ব্যালেন্স (এনার্জি) পেয়েছেন মাত্র ৩৩৩ টাকা ৫৫ পয়সা! বাদ বাকি টাকা থেকে দুই মাসের ডিমান্ড চার্জ বাবদ ১৬৮০ টাকা, ভ্যাট হিসাবে ১৪২ টাকা ৮৬ পয়সা কাটা হয়েছে। তিনি রিবেট বা ছাড় পেয়েছেন ১৪ টাকা ২১ পয়সা।
যোগবিয়োগের এই অংক মেলানো কঠিন ঠেকছিল মনিরুলের কাছে। ফোন দিলেন ডেসকোর (ঢাকা ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি) হটলাইনে, সেখান থেকে যে ব্যাখ্যা দেওয়া হলো তাতে সন্তুষ্ট হতে পারলেন না। ক্ষোভ দেখিয়ে ফোন রেখে দিলেন।
মনিরুল বলছিলেন, “আগে কম কিলোওয়াটের একটি মিটার বসিয়েছিলাম। সেটা কিছুদিনের মধ্যে আর লোড নিচ্ছিল না। পরে তাদের কথামত ৭ কিলোওয়াটের মিটার বসাতে হয়েছে। তারপর মে মাসে ৩ হাজার টাকা লোড করে পেলাম মাত্র ৩৩৩ টাকা। তারা যে কী দিয়ে কী বুঝ দিল- কিছুই বুঝতে পারলাম না।”
ডেসকোর পোর্টালে মনিরুলের হিসাবে দেখা যায়, মে মাসের ২ তারিখে তিনি তিন হাজার টাকা রিচার্জ করেছেন। এর আগে তিনি মার্চ মাসের ১৫ তারিখে ৩ হাজার টাকা রিচার্জ করলেও এপ্রিলে রিচার্জ করেননি। ফলে মে মাসে এসে দুই মাসের ডিমান্ড চার্জ বাবদ ১৬৮০ টাকা কাটা পড়ে। আগের মাসের বিদ্যুৎ বিল ও অন্যান্য খরচ বাবদ বাদ যায় ৮৫৭ টাকা। এর বাইরে ৫ শতাংশ হারে ১৪২ টাকা ভ্যাট কাটা হয়। সবকিছু বাদ দিয়ে তিনি এনার্জি ব্যালেন্স পেয়েছেন ৩৩৩ টাকা ৫৫ পয়সা
বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য গ্রাহক যখন মিটারের জন্য আবেদন করেন, তখন তাকে সর্বোচ্চ লোড বা বিদ্যুৎ ব্যবহারের সীমা ঠিক করতে হয়। গ্রাহকের চাহিদা মত লোড সরবরাহ করতে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, মালামাল, অবকাঠামো নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করতে হয় বিতরণকারী কোম্পানিকে। এজন্য ওই কোম্পানি প্রতি কিলোওয়াট লোডে কত মাশুল নিতে পারবে তা ঠিক করে দেয় এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন।
গ্রাহকের চাহিদা মত সর্বোচ্চ লোডের সঙ্গে ওই মাশুল গুণ করে প্রতি মাসে ডিমান্ড চার্জ আদায় করে বিতরণকারী কোম্পানি। যেমন- নি¤œচাপের নির্মাণ শ্রেণির গ্রাহকের জন্য প্রতি কিলোওয়াটের ডিমান্ড চার্জ ১২০ টাকা। মনিরুল ৭ কিলোওয়াটের মিটার ব্যবহার করায় তাকে প্রতি মাসে ডিমান্ড চার্জ বাবদ ৮৪০ টাকা গুনতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ প্রতিদিন:
কাদেরের ছিল ১১ চেলা
দেশের সড়ক নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)-এর নিজের নিয়ন্ত্রণই ছিল অন্যদের হাতে। এ সংস্থায় অনিয়ম-দুর্নীতি, ঘুষবাণিজ্য, সিনিয়র কর্মকর্তাদের নির্যাতন ও জিম্মি করে টাকা আদায়সহ নানা ধরনের অপকর্মের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করত সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ১১ চেলা। এদের সবার বাড়িই নোয়াখালী। মন্ত্রীর ক্ষমতা ব্যবহার করে বিআরটিএতে যোগদান করা এসব কর্মচারী গুরুত্বপূর্ণ সার্কেলগুলোয় বদলি হয়ে চালিয়েছেন সব ধরনের অপকর্ম। ভুক্তভোগী ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্রই পাওয়া গেছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, এ সিন্ডিকেটের প্রভাবে সেবাদাতা এ প্রতিষ্ঠানটির প্রতিটি কার্যালয়েই ঘুষবাণিজ্য যেন এক প্রকার ওপেন সিক্রেট হয়ে উঠেছিল। যানবাহনের নিবন্ধন থেকে শুরু করে মালিকানা বদলি, ফিটনেস সনদ প্রদান ও রুট পারমিট পেতে প্রতিটি ধাপেই দিতে হতো কয়েক গুণ অতিরিক্ত টাকা। টাকা না দিলে হেনস্তার শিকার হতে হতো সেবাগ্রহীতাদের। বিআরটিএসূত্র জানান, বিআরটিএর সাবেক চেয়ারম্যান মশিউর রহমানের আমলে তারা সবচেয়ে বেশি অপকর্ম শুরু করেন। বিআরটিএর মিরপুর সার্কেলের সবকিছু জিম্মি ছিল তাদের হাতে। বিভাগীয় পরিচালক, উপপরিচালক, সহকারী পরিচালক ও মোটরযান পরিদর্শকরা তাদের কাছে জিম্মি ছিলেন। এসব কর্মচারীর কাছে দুর্বল ছিলেন বিআরটিএর চেয়ারম্যানেরাও। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকায় কর্মরত কয়েকজনকে কর্মস্থল পরিবর্তন করে বিভিন্ন স্থানে বদলি করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, বিআরটিএর বর্তমান চেয়ারম্যান গৌতম চন্দ্র পাল দীর্ঘ সময় ওবায়দুল কাদেরের পিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ কারণে মূলত বিআরটিএতে কাদেরের ঘনিষ্ঠদের সেফ করতেই তাদের শুধু বদলি করেছেন। এসব দুর্নীতিবাজ কর্মচারীর বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছেন বিআরটিএর সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
মানবজমিন:
সেভেন স্টার গ্রুপে জিম্মি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক
দুর্নীতিগ্রস্ত সাত কর্মকর্তার হাতে জিম্মি রাষ্ট্রমালিকানাধীন প্রবাসীদের জন্য বিশেষায়িত ব্যাংক প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক। এরা সবাই ব্যাংকে ‘সেভেন স্টার গ্রুপ’ নামে পরিচিত। ব্যাংকে ‘স্বাধীনতা ব্যাংকার্স পরিষদ’ নামধারী একটি সংগঠন আছে তাদের। এই সংগঠনটি বিধিবহির্ভূতভাবে পদোন্নতি, ব্যাংক থেকে বিভিন্ন অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ, বদলি বাণিজ্য ও কেনাকাটার অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। পাশাপাশি এদের প্রায় সবাই অবৈধভাবে নিয়োগ পেয়েছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। ব্যাংকটির অভ্যন্তরীণ একটি প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনের একটি কপি মানবজমিনের হাতে এসেছে।
সেভেন স্টার গ্রুপ নামের পরিচিতিরা হলেন- কামাল হোসেন, আসমা হক, ফরহাদ হোসেন, হাসনা হেনা, মো. সাইফুল ইসলাম, মাসুদুর রহমান ও সৈয়দ ইমরান। এদের বাঁচাতে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন একাধিক কর্মকর্তা।
ব্যাংকের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিষ্ঠাকালে ব্যাংকটির দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অস্থায়ী ও দৈনিক ভিত্তিতে কয়েকজন ইন্টার্ন কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেয়া হয় প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের নিজস্ব সার্ভিস রুল তৈরি করতে। সার্ভিস রুল তৈরি না হওয়া পর্যন্ত কর্মসংস্থান ব্যাংকের সার্ভিস রুল অনুসরণ করতে বলা হয়। কিন্তু ব্যাংকের তৎকালীন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ওই নির্দেশনা মানেনি, নিয়োগ দিয়েছে পছন্দের ব্যক্তিদের। সরকারি চাকরিবিধির চেয়ে বেশি বয়স হওয়া সত্ত্বেও এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার শর্ত পূরণ না করেও অনেকে নিয়োগ পান। এসব কর্মকর্তার সম্মিলিত চক্রই এখন ব্যাংকের কলকাঠি নাড়ছে। অনিয়মের মাধ্যমে চাকরি পাওয়া ওই কর্মকর্তাদের অনেকে এখন আর্থিক অনিয়মে জড়িয়ে পড়ছেন।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, একজন শাখা ব্যবস্থাপক, যিনি ঋণ ইস্যু করে নিজেই অর্থ তুলে নিয়েছেন। এ ছাড়া ওই শাখার পিয়নের নামে ইস্যু করেছেন প্রবাসী কর্মীর ঋণ। এভাবে নামে-বেনামে ঋণ তৈরি করায় তা ফেরত আসছে না। খেলাপি ঋণের উচ্চহারের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
কালবেলা:
থানায় মামলা মানেই মাহবুব আলীর পকেটে ‘সালামি’
হবিগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী শুধু নিজেই ধনী হননি, ধনী করেছেন তার চাচা, স্ত্রী, ব্যক্তিগত সহকারীসহ অনেক আত্মীয়স্বজনকে। মাহবুব আলীর নিজের ও তার স্ত্রীর নামে বিপুল পরিমাণ স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মাহবুব আলীর বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ, তিনি খুন-ধর্ষণ, অপহরণসহ স্পর্শকাতর কোনো মামলার আসামিকে বিশেষ সুবিধা দিতে মামলাপ্রতি থানা থেকে ২০ হাজার টাকা করে ‘সালামি’ নিতেন। এ ছাড়া সড়কের পাশে থাকা বিপুলসংখ্যক গাছ বিক্রির জন্য দরপত্রে ১১ কোটি টাকা দাম ওঠে। সেই দরপত্র বাতিল করে এর ১১ বছর পর সেই গাছ তার অনুগত এক ব্যক্তিকে দিয়ে মাত্র ৬ কোটি টাকায় কিনে নেন। তার বিরুদ্ধে পুকুর-খাল ভরাটের অর্থ এবং পৌরসভার খাস জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে। রয়েছে নবীগঞ্জ রিসোর্টের মালিকানা। ব্যাংক হিসাবে রয়েছে বিপুল অর্থ। সম্প্রতি দুদকের গোয়েন্দা শাখা থেকে পরিচালিত এক অনুসন্ধান প্রতিবেদনে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
মাহবুব আলী হবিগঞ্জ-৪ আসনের দুবারের সংসদ সদস্য। যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলায় গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন। হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার এই বাসিন্দা গত জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান। তবে তিনি বিপুল ভোটে পরাজিত হন যুবলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ সায়েদুল হক ওরফে ব্যারিস্টার সুমনের কাছে।
সমকাল:
থানা লুটের অস্ত্রে চলছে আধিপত্যের লড়াই
জেনেভা ক্যাম্পের মাদক কারবারের নাটাই নিজের হাতে রাখতে চলছে আধিপত্যের লড়াই। গেল ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ক্যাম্পের দখল নিতে আরও আগ্রাসী কারবারিরা। দেড় মাসে অন্তত ২০ দিন তারা সংঘাতে জড়িয়েছে। প্রতিপক্ষ ঘায়েলে বাড়িয়েছে অস্ত্রের মজুত। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর সহিংস পরিস্থিতির মধ্যে থানা থেকে লুট করা কিছু আগ্নেয়াস্ত্র তারা নানাভাবে সংগ্রহ করেছে। পাশাপাশি কিনেছে দেশি-বিদেশি অস্ত্র। তথ্য বলছে, ক্যাম্পের চারটি মাদক কারবারি চক্রের কাছে এখন ১৮টি আগ্নেয়াস্ত্র আছে। তাদের সংঘর্ষ ও গুলিতে এ পর্যন্ত শিশুসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে মারা গেছেন মো. সাগর (২৫) নামে এক যুবক। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন ১৫ জনের বেশি।
ক্যাম্পের বাসিন্দারা জানান, শীর্ষ মাদক কারবারি ভূঁইয়া সোহেল ওরফে বুনিয়া সোহেল ও চুয়া সেলিমের বিরোধ দীর্ঘদিনের। কয়েক মাসে এই শত্রুতা আরও দানা বেঁধেছে। ফলে মাঝেমধ্যেই সংঘর্ষে জড়াচ্ছে তারা। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে আরও কয়েকটি মাদক চক্র। এর মধ্যে সোহেলের সঙ্গে রয়েছে মোল্লা জাহিদের পৃষ্ঠপোষকতায় চলা সৈয়দপুরিয়া বাবু ওরফে আমজাদ আলী বাবু ও তার ভাই আলতাফ বামের দল। দিল্লি সাঈদ ও তার ভাগনে ইরফান বিরিয়ানির দলও রয়েছে একই পক্ষে। ইরফানের বাবা মো. কামালের বিরিয়ানির দোকান থাকায় তাঁকে লোকজন ‘কামাল বিরিয়ানি’ নামে চেনে। সেই সূত্রে ইরফানের নামের সঙ্গেও বিরিয়ানি শব্দটি যুক্ত হয়েছে। অন্যদিকে, সেলিম চক্রকে সব রকম সহায়তা করে মোল্লা আরশাদ ও পেলু আরমান। সংঘর্ষে সেলিমের পক্ষে রয়েছে কোপ মনু, আকরাম ও গেইল হীরার দল।
দেশরুপান্ত:
হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে বিচারের মুখোমুখি করা উচিত : ড. ইউনূস
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা উচিত বলে তিনি মনে করেন কি না। জবাবে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘কেন উচিত হবে না?’এরপর তিনি বলেন, ‘তিনি (শেখ হাসিনা) যদি অপরাধ করে থাকেন, তাহলে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা এবং বিচারের মুখোমুখি করা উচিত। আপনি তো বিচারের পক্ষে কথা বলছেন, তাহলে উনারও তো বিচারের মুখোমুখি হওয়া উচিত।’