ঢাকা ০৪:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যমজ দুই সন্তানকে ভিডিও কলে রেখে প্রবাসী বাবার আত্মহত্যা

যমজ দুই সন্তানকে ভিডিও কলে রেখে প্রবাসী বাবার আত্মহত্যা

সৌদিপ্রবাসী খোকন হাওলাদার মোবাইল ফোনে ভিডিও কলে কথা বলছিলেন দুই ছেলে আব্দুল করিম শান্ত ও আব্দুল রহিম শাওনের সঙ্গে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই সন্তানদের ভিডিও কলে রেখেই ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন বলে তার পরিবার থেকে দাবি করা হচ্ছে।

ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে। খোকন হাওলাদারের বাড়ি পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম সুবিদখালী গ্রামে। এ ঘটনায় এলাকার সবাই হতবিহ্বল।

এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপার্জনের জন্য খোকন হাওলাদার সাত থেকে আট বছর ধরে সৌদিতে আছেন। স্ত্রী নূপুর বেগম ও তার যমজ দুই সন্তান আবদুল করিম ও আবদুল রহিম এলাকায় থাকে। দুই ভাই এবার মির্জাগঞ্জ উপজেলার রহমান ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি পাস করে। এখন দুই ভাই বরিশাল বিএম কলেজের একাদশ শ্রেণিতে পড়ছে। সন্তানদের লেখাপড়ার জন্য নূপুর বেগম বরিশালের আমতলার মোড় এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকেন।

খোকন হাওলাদার কিছুদিন আগে ছুটিতে বাড়িতে এসেছিলেন। চলতি মাসের ১৪ তারিখ তিনি সৌদিতে কর্মস্থলে ফিরে যান। মঙ্গলবার দুপুরে খোকন হাওলাদার মুঠোফোনে ভিডিও কলে কথা বলছিলেন ছেলেদের সঙ্গে। এ সময় স্ত্রী নূপুর বেগম পাশেই ছিলেন। ছেলেদের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলার এক পর্যায়ে খোকন হাওলাদার একটি কাপড় দিয়ে বৈদ্যুতিক পাখার সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন।

নূপুর বেগম বলেন, ভিডিও কলে কথা বলার সময় আমিও পাশে ছিলাম। আমার সঙ্গে তার কোনো ঝামেলা ছিল না। সকালেও তার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। স্বামীর লাশ দেশে আনতে সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।

নাটোরে তাবলীগের সাদ ও জুবায়েরপন্থিদের সংঘর্ষে আহত ২০

যমজ দুই সন্তানকে ভিডিও কলে রেখে প্রবাসী বাবার আত্মহত্যা

আপডেট সময় ১১:০৭:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সৌদিপ্রবাসী খোকন হাওলাদার মোবাইল ফোনে ভিডিও কলে কথা বলছিলেন দুই ছেলে আব্দুল করিম শান্ত ও আব্দুল রহিম শাওনের সঙ্গে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই সন্তানদের ভিডিও কলে রেখেই ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন বলে তার পরিবার থেকে দাবি করা হচ্ছে।

ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে। খোকন হাওলাদারের বাড়ি পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম সুবিদখালী গ্রামে। এ ঘটনায় এলাকার সবাই হতবিহ্বল।

এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপার্জনের জন্য খোকন হাওলাদার সাত থেকে আট বছর ধরে সৌদিতে আছেন। স্ত্রী নূপুর বেগম ও তার যমজ দুই সন্তান আবদুল করিম ও আবদুল রহিম এলাকায় থাকে। দুই ভাই এবার মির্জাগঞ্জ উপজেলার রহমান ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি পাস করে। এখন দুই ভাই বরিশাল বিএম কলেজের একাদশ শ্রেণিতে পড়ছে। সন্তানদের লেখাপড়ার জন্য নূপুর বেগম বরিশালের আমতলার মোড় এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকেন।

খোকন হাওলাদার কিছুদিন আগে ছুটিতে বাড়িতে এসেছিলেন। চলতি মাসের ১৪ তারিখ তিনি সৌদিতে কর্মস্থলে ফিরে যান। মঙ্গলবার দুপুরে খোকন হাওলাদার মুঠোফোনে ভিডিও কলে কথা বলছিলেন ছেলেদের সঙ্গে। এ সময় স্ত্রী নূপুর বেগম পাশেই ছিলেন। ছেলেদের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলার এক পর্যায়ে খোকন হাওলাদার একটি কাপড় দিয়ে বৈদ্যুতিক পাখার সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন।

নূপুর বেগম বলেন, ভিডিও কলে কথা বলার সময় আমিও পাশে ছিলাম। আমার সঙ্গে তার কোনো ঝামেলা ছিল না। সকালেও তার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। স্বামীর লাশ দেশে আনতে সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।