ঢাকা ১২:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo তুরস্কে ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্প, ধসে পড়েছে অনেক ভবন Logo পুলিশের বিশেষ অভিযানে মামা বাহিনীর সদস্য ও কুখ্যাত সন্ত্রাসী সিরাজ গ্রেপ্তার Logo র‍্যাগিংয়ের দায়ে জবির ৩ শিক্ষার্থী বহিষ্কার,৪ জনের ক্লাস নিষেধাজ্ঞা Logo তুরস্কে ভয়াভহ ভূমিকম্পের আঘাত, ধসে পড়েছে বহু ভবন Logo চানখারপুল আনাসসহ ৬ হত্যা মামলা: হাবিবুরসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ আজ Logo জবিতে নারী নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের অভিযোগ যার বিরুদ্ধে, ছাত্রদলের প্যাডে তিনিই পাঠালেন বিবৃতি Logo আজ তিন দিনের সফরে মালয়েশিয়া যাবে প্রধান উপদেষ্টা Logo জামায়াত আমিরকে দেখতে গিয়েছিলেন হাসপাতালে নিরাপত্তা উপদেষ্টা Logo আল জাজিরার ৫ সাংবাদিককে হত্যা করল ইসরায়েল Logo লক্ষ্মীপুরে অস্ত্র-মাদকসহ যুবদল নেতা আটক

দিনমজুরের ছেলে থেকে শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট

গণবিক্ষোভের মুখে সরকার পতনের দুই বছর পর নির্বাচিত নতুন প্রেসিডেন্ট পেল ভারত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলংকা।

শ্রীলংকার গতানুগতিক রাজনৈতিক পরিবারে তার বেড়ে ওঠা নয় তার বাবা একজন দিনমজুর এবং তার মা একজন গৃহিণী।তিনি একসময় বিদ্রোহী হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিলেন। সে আর কেউ নয় শ্রীলংকার নতুন প্রেসিডেন্ট বামপন্থি রাজনীতিবিদ অনুরা কুমার দিসানায়কে। নতুন মুখ অনুরার উত্থান নিয়ে অনেকে বিস্মিত হয়েছেন।

দিসানায়কে দেশটির রাজনৈতিক জোট ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ার তথা এনপিপি থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। প্রথম দফার ভোটে দিশানায়েক পান ৪১ দশমিক ৩১ শতাংশ ভোট অন্যদিকে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাজিথ প্রেমাদাসা পেয়েছিলেন ৩২ দশমিক ৭২ শতাংশ ভোট। দ্বিতীয় দফার ভোটে তারা ৫৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ ও ৪৪ দশমিক ১১ শতাংশ ভোট পান।

দেশের রাজনীতিতে প্রেমাদাসা ভারতপন্থি ও দিশানায়েক চীনপন্থি হিসেবে পরিচিত। দিশানায়েক শ্রীলংকার রাজধানী কলম্বো থেকে প্রায় ১৭০ কিলোমিটার দূরে অনুরাধাপুরা জেলার থাম্বুতেগামা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কেলানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।

জনতা বিমুক্তি পেরামুনা তথা জেভিপি প্রধান দিশানায়েক ১৯৮৭ থেকে ৮৯ সালের মধ্যে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জয়াবর্ধনে সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহে যোগ দিয়েছিলেন। তে পরিচালিত করেছিল। ১৯৯৫ সালে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র সমিতির জাতীয় সংগঠক এবং পরে জেভিপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটিতে নিযুক্ত হন দিশানায়েক। ১৯৯৮ সালে তিনি জেভিপির পলিট ব্যুরোর সদস্য হন।২০০৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মাহিন্দা রাজাপাকসের ইউনাইটেড পিপলস ফ্রিডম অ্যালায়েন্সের সঙ্গে জোট গঠন করে জেভিপি। বৌদ্ধ ভিক্ষুদের মধ্যে একটি নির্বাচনি প্রচারণায় ভাষণ দিতে গিয়ে দিসানায়েক তাদের আশ্বস্ত করেন যে সংবিধানের ৯ নং অনুচ্ছেদে, যা বৌদ্ধধর্মকে সবার ওপরে স্থান দেওয়ার নিশ্চয়তা দেয়, তার ‘ঐশ্বরিক সুরক্ষা’ রয়েছে এবং এতে যেকোনো সংশোধনীর বিরুদ্ধে তাদের গ্যারান্টি দেওয়া হয়েছে।

দিশানায়েকের জেভিপি ভারত থেকে আসা তামিল বংশোদ্ভূত এস্টেট শ্রমিকদের ‘ভারতীয় সম্প্রসারণবাদের হাতিয়ার’ বলে অভিযুক্ত করেছিলেন। এ ছাড়াও ভারতের সঙ্গে করা বাণিজ্যচুক্তি নিয়েও বিরোধিতা করেছিল তার দল। এর আগে তামিল বিদ্রোহের সময় দিশানায়েকের জেভিপি তামিলদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের বিরোধিতা করেছে। এমনকি এলটিটিই এর বিরুদ্ধে শ্রীলঙ্কান সেনাবাহিনীর যুদ্ধাপরাধ ও নৃশংস সামরিক অভিযানকে সমর্থন দিয়ে গেছে দিশানায়েকের নেতৃত্বাধীন জেভিপি।

জনপ্রিয় সংবাদ

তুরস্কে ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্প, ধসে পড়েছে অনেক ভবন

দিনমজুরের ছেলে থেকে শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট

আপডেট সময় ০৯:৪৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গণবিক্ষোভের মুখে সরকার পতনের দুই বছর পর নির্বাচিত নতুন প্রেসিডেন্ট পেল ভারত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলংকা।

শ্রীলংকার গতানুগতিক রাজনৈতিক পরিবারে তার বেড়ে ওঠা নয় তার বাবা একজন দিনমজুর এবং তার মা একজন গৃহিণী।তিনি একসময় বিদ্রোহী হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিলেন। সে আর কেউ নয় শ্রীলংকার নতুন প্রেসিডেন্ট বামপন্থি রাজনীতিবিদ অনুরা কুমার দিসানায়কে। নতুন মুখ অনুরার উত্থান নিয়ে অনেকে বিস্মিত হয়েছেন।

দিসানায়কে দেশটির রাজনৈতিক জোট ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ার তথা এনপিপি থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। প্রথম দফার ভোটে দিশানায়েক পান ৪১ দশমিক ৩১ শতাংশ ভোট অন্যদিকে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাজিথ প্রেমাদাসা পেয়েছিলেন ৩২ দশমিক ৭২ শতাংশ ভোট। দ্বিতীয় দফার ভোটে তারা ৫৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ ও ৪৪ দশমিক ১১ শতাংশ ভোট পান।

দেশের রাজনীতিতে প্রেমাদাসা ভারতপন্থি ও দিশানায়েক চীনপন্থি হিসেবে পরিচিত। দিশানায়েক শ্রীলংকার রাজধানী কলম্বো থেকে প্রায় ১৭০ কিলোমিটার দূরে অনুরাধাপুরা জেলার থাম্বুতেগামা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কেলানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।

জনতা বিমুক্তি পেরামুনা তথা জেভিপি প্রধান দিশানায়েক ১৯৮৭ থেকে ৮৯ সালের মধ্যে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জয়াবর্ধনে সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহে যোগ দিয়েছিলেন। তে পরিচালিত করেছিল। ১৯৯৫ সালে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র সমিতির জাতীয় সংগঠক এবং পরে জেভিপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটিতে নিযুক্ত হন দিশানায়েক। ১৯৯৮ সালে তিনি জেভিপির পলিট ব্যুরোর সদস্য হন।২০০৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মাহিন্দা রাজাপাকসের ইউনাইটেড পিপলস ফ্রিডম অ্যালায়েন্সের সঙ্গে জোট গঠন করে জেভিপি। বৌদ্ধ ভিক্ষুদের মধ্যে একটি নির্বাচনি প্রচারণায় ভাষণ দিতে গিয়ে দিসানায়েক তাদের আশ্বস্ত করেন যে সংবিধানের ৯ নং অনুচ্ছেদে, যা বৌদ্ধধর্মকে সবার ওপরে স্থান দেওয়ার নিশ্চয়তা দেয়, তার ‘ঐশ্বরিক সুরক্ষা’ রয়েছে এবং এতে যেকোনো সংশোধনীর বিরুদ্ধে তাদের গ্যারান্টি দেওয়া হয়েছে।

দিশানায়েকের জেভিপি ভারত থেকে আসা তামিল বংশোদ্ভূত এস্টেট শ্রমিকদের ‘ভারতীয় সম্প্রসারণবাদের হাতিয়ার’ বলে অভিযুক্ত করেছিলেন। এ ছাড়াও ভারতের সঙ্গে করা বাণিজ্যচুক্তি নিয়েও বিরোধিতা করেছিল তার দল। এর আগে তামিল বিদ্রোহের সময় দিশানায়েকের জেভিপি তামিলদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের বিরোধিতা করেছে। এমনকি এলটিটিই এর বিরুদ্ধে শ্রীলঙ্কান সেনাবাহিনীর যুদ্ধাপরাধ ও নৃশংস সামরিক অভিযানকে সমর্থন দিয়ে গেছে দিশানায়েকের নেতৃত্বাধীন জেভিপি।