ঢাকা ১১:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেনেও আঁতকে উঠেন আ. লীগ নেতাকর্মীরা

সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলায় সরকার পতনের পর গ্রেফতার আতঙ্কে দিন পার করছেন আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা। অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেন কিংবা বিশেষ কোনো টহল গাড়ির শব্দ শুনলেই আঁতকে উঠছেন তারা।

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বিয়ানীবাজার থানায় তিনটি হত্যা মামলায় প্রায় ১৩৩ জনকে আসামি করা হয়েছে যার মধ্যে স্থানীয় সাংবাদিকসহ প্রবাসীদের নাম রয়েছে।

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বিয়ানীবাজার পৌর শহরে উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীলদের কার্যালয়ে ভাঙচুরসহ লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এরপর থেকেই আত্নগোপনে রয়েছেন দলের সিংহভাগ নেতাকর্মী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, গ্রেফতার আতঙ্কে বাড়িতে রাতে ঘুমাতে পারছি না, অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেন শুনে আঁতকে উঠি। কখন পুলিশ আসে বলা যায় না।

ছাত্রলীগের শীর্ষ পর্যায়ের এক সাবেক নেতা বলেন, গত পরশু রাতে বাড়িতে দূর থেকে গাড়ির লাইট দেখে আঁতকে উঠি। পরে জানতে পারি এক আত্মীয়। দল ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় কোনো রাজনৈতিক কারণে কারো ক্ষতি করিনি। তারপরও আমাদের আতঙ্কের মধ্যে দিন যাপন করতে হচ্ছে।

তবে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা দেশে থাকলেও দেশের বাইরে রয়েছেন স্থানীয় শীর্ষ পর্যায়ের বেশ কয়েকজন নেতা। তাদের মধ্যে লন্ডনে অবস্থান করছেন বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আব্দুস শুকুর, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক পৌর মেয়র ফারুকুল হক, জেলা পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ খছরুল হক প্রমুখ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেনেও আঁতকে উঠেন আ. লীগ নেতাকর্মীরা

আপডেট সময় ০৬:৪০:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলায় সরকার পতনের পর গ্রেফতার আতঙ্কে দিন পার করছেন আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা। অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেন কিংবা বিশেষ কোনো টহল গাড়ির শব্দ শুনলেই আঁতকে উঠছেন তারা।

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বিয়ানীবাজার থানায় তিনটি হত্যা মামলায় প্রায় ১৩৩ জনকে আসামি করা হয়েছে যার মধ্যে স্থানীয় সাংবাদিকসহ প্রবাসীদের নাম রয়েছে।

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বিয়ানীবাজার পৌর শহরে উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীলদের কার্যালয়ে ভাঙচুরসহ লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এরপর থেকেই আত্নগোপনে রয়েছেন দলের সিংহভাগ নেতাকর্মী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, গ্রেফতার আতঙ্কে বাড়িতে রাতে ঘুমাতে পারছি না, অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেন শুনে আঁতকে উঠি। কখন পুলিশ আসে বলা যায় না।

ছাত্রলীগের শীর্ষ পর্যায়ের এক সাবেক নেতা বলেন, গত পরশু রাতে বাড়িতে দূর থেকে গাড়ির লাইট দেখে আঁতকে উঠি। পরে জানতে পারি এক আত্মীয়। দল ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় কোনো রাজনৈতিক কারণে কারো ক্ষতি করিনি। তারপরও আমাদের আতঙ্কের মধ্যে দিন যাপন করতে হচ্ছে।

তবে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা দেশে থাকলেও দেশের বাইরে রয়েছেন স্থানীয় শীর্ষ পর্যায়ের বেশ কয়েকজন নেতা। তাদের মধ্যে লন্ডনে অবস্থান করছেন বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আব্দুস শুকুর, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক পৌর মেয়র ফারুকুল হক, জেলা পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ খছরুল হক প্রমুখ।