ঢাকা ০১:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ১৮ জনের মৃত্যু Logo চীনে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে যা বলেছিলেন ড. ইউনূস? যেজন্য হতভম্ব ভারত Logo জামায়াতের ঈদ উপলক্ষে প্রীতি ভোজের ঘটনায় বিএনপি – যুবলীগের হামলা Logo শহীদ নাসিব হাসান রিহান-এর পরিবারের সদস্যদের সাথে আমীরে জামায়াতের ঈদ কুশল বিনিময় Logo ড. ইউনূসকে শেহবাজের ফোন, পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ Logo মিয়ানমারে ভূমিকম্প: ২ হাজার ছাড়াল নিহতের সংখ্যা Logo গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: খালেদা জিয়া Logo ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচের পদত্যাগ Logo ঈদের নামাজ শেষে ‘জয় বাংলা’স্লোগান, বিএনপির সাথে সংঘর্ষ গুলিবিদ্ধ ১ Logo আইপিএলসহ টিভিতে যা দেকবেন আজ

ভারতে ৪২০০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ!

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:৩৪:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 0 Views

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ভারতে ইলিশ রপ্তানি নিষিদ্ধ করার সঙ্গে সঙ্গে ভারতের মাছ বিক্রেতারা অবৈধভাবে আমদানি করতে শুরু করেছে ইলিশ। আসন্ন দুর্গাপূজায় ইলিশের চাহিদা মেটাতে সীমিত হিমায়িত স্টকে থাকা ইলিশ আকাশচুম্বী দামে বিক্রি করছে অনেকে।

রাজধানী দিল্লিতে বাংলাদেশি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩,০০০ রূপি (৪,২০০ টাকা)। রেস্তোরাঁগুলোও তাদের উত্সবের মেনুতে ইলিশের দাম বাড়ানোর কথা ভাবছে।

এতে রেস্তোরাঁয় ইলিশ খেতে হলে গ্রাহকদের গুনতে হবে বাড়তি টাকা। পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক দিল্লির সিআর পার্ক মার্কেট-১ এর এক মাছের দোকানের মালিক জানান, তিনি এবং আরো অনেকে অবৈধভাবে পাচ্ছেন ইলিশ মাছ। তারা প্রতি কেজি ইলিশ ৩ হাজার রুপিতে বিক্রি করছেন।

তিনি বলেন, ‘দুর্গা পূজা আসছে। বাঙালি ক্রেতারা ইলিশ চায়। আমাদেরকে তাদের চাহিদা মেটাতে হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতার বিখ্যাত গড়িয়াহাট বাজারের একজন মাছের পাইকারি বিক্রেতা জানান, তিনি প্রতি কেজি ইলিশ ২০০০ রুপিতে বিক্রি করছেন। একটি মাছের আকার কমপক্ষে ১.৫ কেজি।

তিনি বলেন, ‘গোপন চ্যানেলের মাধ্যমে অবৈধভাবে মাছ ভারতে আসছে। ভারত তাদের সবচেয়ে বড় আমদানিকারক। নিষেধাজ্ঞার আগে, কলকাতা ও দিল্লিতে তাজা ইলিশ বিক্রি হত ১২০০-১৫০০ রুপি প্রতি কিলো।’

চেন্নাইয়ের আদিয়ার জেকে ফিশ স্টলের করিম ভাই একমাত্র বিক্রেতা যিনি চেন্নাইয়ে বাংলাদেশি ইলিশ বিক্রি করেন। তিনি তার সমস্ত হিমায়িত স্টক বের করে নিয়েছেন যা হট কেকের মতো বিক্রি হচ্ছে।

সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১০০ কেজির মতো। তিনি প্রতি কেজি ইলিশের দাম ১৬০০ রুপি থেকে ২০০০ রুপি পর্যন্ত দাম বাড়িয়েছেন। তিনি জানান, উৎসব শেষ হলে এক মাস পরে দাম কমবে। চেন্নাই-ভিত্তিক ক্লাউড কিচেন আহারের মালিক অত্রি কুমার সিনহা বলেন, ‘কাঁচা ইলিশের দাম এত বেশি যে এক টুকরো ভাপা ইলিশ ৫০০ টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ১৮ জনের মৃত্যু

ভারতে ৪২০০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ!

আপডেট সময় ১২:৩৪:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ভারতে ইলিশ রপ্তানি নিষিদ্ধ করার সঙ্গে সঙ্গে ভারতের মাছ বিক্রেতারা অবৈধভাবে আমদানি করতে শুরু করেছে ইলিশ। আসন্ন দুর্গাপূজায় ইলিশের চাহিদা মেটাতে সীমিত হিমায়িত স্টকে থাকা ইলিশ আকাশচুম্বী দামে বিক্রি করছে অনেকে।

রাজধানী দিল্লিতে বাংলাদেশি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩,০০০ রূপি (৪,২০০ টাকা)। রেস্তোরাঁগুলোও তাদের উত্সবের মেনুতে ইলিশের দাম বাড়ানোর কথা ভাবছে।

এতে রেস্তোরাঁয় ইলিশ খেতে হলে গ্রাহকদের গুনতে হবে বাড়তি টাকা। পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক দিল্লির সিআর পার্ক মার্কেট-১ এর এক মাছের দোকানের মালিক জানান, তিনি এবং আরো অনেকে অবৈধভাবে পাচ্ছেন ইলিশ মাছ। তারা প্রতি কেজি ইলিশ ৩ হাজার রুপিতে বিক্রি করছেন।

তিনি বলেন, ‘দুর্গা পূজা আসছে। বাঙালি ক্রেতারা ইলিশ চায়। আমাদেরকে তাদের চাহিদা মেটাতে হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতার বিখ্যাত গড়িয়াহাট বাজারের একজন মাছের পাইকারি বিক্রেতা জানান, তিনি প্রতি কেজি ইলিশ ২০০০ রুপিতে বিক্রি করছেন। একটি মাছের আকার কমপক্ষে ১.৫ কেজি।

তিনি বলেন, ‘গোপন চ্যানেলের মাধ্যমে অবৈধভাবে মাছ ভারতে আসছে। ভারত তাদের সবচেয়ে বড় আমদানিকারক। নিষেধাজ্ঞার আগে, কলকাতা ও দিল্লিতে তাজা ইলিশ বিক্রি হত ১২০০-১৫০০ রুপি প্রতি কিলো।’

চেন্নাইয়ের আদিয়ার জেকে ফিশ স্টলের করিম ভাই একমাত্র বিক্রেতা যিনি চেন্নাইয়ে বাংলাদেশি ইলিশ বিক্রি করেন। তিনি তার সমস্ত হিমায়িত স্টক বের করে নিয়েছেন যা হট কেকের মতো বিক্রি হচ্ছে।

সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১০০ কেজির মতো। তিনি প্রতি কেজি ইলিশের দাম ১৬০০ রুপি থেকে ২০০০ রুপি পর্যন্ত দাম বাড়িয়েছেন। তিনি জানান, উৎসব শেষ হলে এক মাস পরে দাম কমবে। চেন্নাই-ভিত্তিক ক্লাউড কিচেন আহারের মালিক অত্রি কুমার সিনহা বলেন, ‘কাঁচা ইলিশের দাম এত বেশি যে এক টুকরো ভাপা ইলিশ ৫০০ টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি।