ঢাকা ০৩:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo হাইকোর্টে জামিন পেলেন জোবাইদা রহমান Logo ঢাবি ছাত্রদল নেতা সাম্য হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩ Logo জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের লং মার্চে পুলিশের টিয়ারগ্যাস লাঠি চার্জ আহত অর্ধ শত Logo আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল নিশ্চিতের দাবিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে রেল অবরোধ Logo মুরাদনগরে মব লিঞ্চিং: যুবককে পিটিয়ে হত্যা, আটক ৩ Logo জামায়াতের নিবন্ধন ও প্রতীক ফেরত চেয়ে আপিলের রায় ১ জুন Logo ওয়েবসাইট–ফেসবুক–ইউটিউবসহ আ. লীগ–অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম বন্ধে বিটিআরসিকে চিঠি Logo ঢাবি ভিসির ওপর দায় চাপিয়ে সত্যকে আড়াল করার পাঁয়তারা: সারজিস Logo চট্টগ্রাম বন্দর নেপাল-ভুটান, সেভেন সিস্টার্সের হৃৎপিণ্ড : প্রধান উপদেষ্টা Logo আ’মী লীগ নিয়ে ভারতের প্রতিক্রিয়ায় জবাব দিলেন প্রেস সচিব

বাগেরহাটে টানা বৃষ্টিতে ২০ কোটি টাকার সবজি ও মাছের ক্ষতি

  • মোশারফ হোসেন
  • আপডেট সময় ১১:২৪:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 152

বাগেরহাটে টানা বৃষ্টিতে ২০ কোটি টাকার সবজি ও মাছের ক্ষতি

সোহেল রানা, বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি: বাগেরহাট জেলার চিতলমারীতে টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে স্থানীয় কৃষি ও মৎস্য খাত। প্রায় ২০ কোটি টাকার সবজি ও মাছের ক্ষয়ক্ষতির হিসাব পাওয়া গেছে। উপজেলার অন্তত ১০ হাজার ৫০০ কৃষক পরিবার এই দুর্যোগের শিকার হয়েছেন, যার ফলে তারা ঋণগ্রস্থ অবস্থায় চরম বিপদে পড়েছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সিফাত-আল-মারুফ এবং সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শেখ আসাদুল্লাহ বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তবে স্থানীয় চাষিদের দাবি, ক্ষতির পরিমাণ আরও দ্বিগুণ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

চিতলমারী উপজেলার ৩০ হাজার কৃষক পরিবারের মধ্যে অনেকেই বিভিন্ন ফসলের চাষাবাদ করে থাকেন। উপজেলার মোট ৩৫ হাজার একর আবাদি জমির বেশির ভাগই ধান, পান, টমেটো, বরবটি, মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন সবজি চাষের জন্য ব্যবহৃত হয়। বৃষ্টির কারণে প্রাথমিকভাবে প্রায় ১৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার সবজি নষ্ট হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এই ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

চিতলমারীতে মোট ১৬ হাজার মৎস্য ঘের ও ৬ হাজার ৯৫৮টি পুকুর রয়েছে। এর মধ্যে বাগদা ও গলদা চিংড়ির চাষ বেশি জনপ্রিয়। মৎস্য কর্মকর্তা শেখ আসাদুল্লাহ জানিয়েছেন, অতি বৃষ্টিতে ৫ হাজার ৫০০ চিংড়ি ঘের ও ৩০০ পুকুর প্লাবিত হয়ে গেছে, যার ফলে কমপক্ষে ১ কোটি ২১ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে।

স্থানীয় মৎস্য ও সবজি চাষিরা জানান, তাদের অনেকেই দেনার দায়ে জর্জরিত। তারা নেটজাল ও পাটা দিয়ে শেষ মুহূর্তে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও সফল হতে পারেননি। চাষি স্বপন মণ্ডল, হৃদয় বসু বুদ্ধ, প্রকাশ মাঝি, মৃনাল বৈরাগী, প্রদীপ বৈরাগী, তাপস ভক্তসহ অনেকেই এই দুরবস্থার কথা জানিয়েছেন। তাদের দাবি, এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সরকারি সহায়তা খুবই জরুরি।

জনপ্রিয় সংবাদ

হাইকোর্টে জামিন পেলেন জোবাইদা রহমান

বাগেরহাটে টানা বৃষ্টিতে ২০ কোটি টাকার সবজি ও মাছের ক্ষতি

আপডেট সময় ১১:২৪:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সোহেল রানা, বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি: বাগেরহাট জেলার চিতলমারীতে টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে স্থানীয় কৃষি ও মৎস্য খাত। প্রায় ২০ কোটি টাকার সবজি ও মাছের ক্ষয়ক্ষতির হিসাব পাওয়া গেছে। উপজেলার অন্তত ১০ হাজার ৫০০ কৃষক পরিবার এই দুর্যোগের শিকার হয়েছেন, যার ফলে তারা ঋণগ্রস্থ অবস্থায় চরম বিপদে পড়েছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সিফাত-আল-মারুফ এবং সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শেখ আসাদুল্লাহ বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তবে স্থানীয় চাষিদের দাবি, ক্ষতির পরিমাণ আরও দ্বিগুণ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

চিতলমারী উপজেলার ৩০ হাজার কৃষক পরিবারের মধ্যে অনেকেই বিভিন্ন ফসলের চাষাবাদ করে থাকেন। উপজেলার মোট ৩৫ হাজার একর আবাদি জমির বেশির ভাগই ধান, পান, টমেটো, বরবটি, মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন সবজি চাষের জন্য ব্যবহৃত হয়। বৃষ্টির কারণে প্রাথমিকভাবে প্রায় ১৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার সবজি নষ্ট হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এই ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

চিতলমারীতে মোট ১৬ হাজার মৎস্য ঘের ও ৬ হাজার ৯৫৮টি পুকুর রয়েছে। এর মধ্যে বাগদা ও গলদা চিংড়ির চাষ বেশি জনপ্রিয়। মৎস্য কর্মকর্তা শেখ আসাদুল্লাহ জানিয়েছেন, অতি বৃষ্টিতে ৫ হাজার ৫০০ চিংড়ি ঘের ও ৩০০ পুকুর প্লাবিত হয়ে গেছে, যার ফলে কমপক্ষে ১ কোটি ২১ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে।

স্থানীয় মৎস্য ও সবজি চাষিরা জানান, তাদের অনেকেই দেনার দায়ে জর্জরিত। তারা নেটজাল ও পাটা দিয়ে শেষ মুহূর্তে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও সফল হতে পারেননি। চাষি স্বপন মণ্ডল, হৃদয় বসু বুদ্ধ, প্রকাশ মাঝি, মৃনাল বৈরাগী, প্রদীপ বৈরাগী, তাপস ভক্তসহ অনেকেই এই দুরবস্থার কথা জানিয়েছেন। তাদের দাবি, এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সরকারি সহায়তা খুবই জরুরি।