ঢাকা ০৯:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫, ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo কুষ্টিয়ায় জামায়াতের রোকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত Logo ডাকাতির চেষ্টায় গণপিটুনির শিকার সেই বিএনপি নেতা বহিষ্কার Logo জবির আইইআর-এ র‌্যাগিং, ১০ দিনেও উদ্যোগহীন পরিচালক; আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে ভুক্তভোগীরা Logo ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সংসদ নির্বাচন : সিইসি Logo নাটোরে মিনি স্টেডিয়াম উদ্বোধন করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা Logo সাংবাদিক তুহিন হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে অন্যতম আসামি স্বাধীন Logo আগামীর কর্মপরিকল্পনা নিয়ে জুলাই মঞ্চ লক্ষ্মীপুরের আলোচনা সভা Logo আগামীর সংবিধানে ইসলামী শ্রমনীতি অন্তর্ভুক্তির বিকল্প নেই Logo চাঁদা না পেয়ে গাজীপুরের পোশাক শ্রমিককে পেটাল ছাত্রদল নেতা Logo সীমাবদ্ধতার মাঝেও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন: সিইসি

সেনা কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি

  • লিমন হোসেন
  • আপডেট সময় ০৮:৫২:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 471

সারা দেশে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি (বিচারিক) ক্ষমতা দিয়েছে সরকার। গতকার মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জনপ্রশাসনের প্রজ্ঞাপনে বলা হয় ,আগামী ৬০ দিন (দুই মাস) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমিশন্ড অফিসাররা এই বিচারিক ক্ষমতা কাজে লাগাতে পারবেন। এর ফলে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে অপরাধীকে সাজা দিতে পারবেন তারা।

ফৌজদারী কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ধারা ৬৪,৬৫,৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ এবং ১৪২।

৬৪ ধারায় বলা আছে, পেশাগত অসদাচরণ, অপরাধ, চুক্তি বাতিল, ইত্যাদি।

(১) এই আইনের অধীন পণ্য, কার্য বা সেবা ক্রয় কর্মকান্ডের সহিত সংশ্লিষ্ট কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী এই আইন বা তদধীন প্রণীত কোন বিধির বিধান লঙ্ঘন করিয়া কোন পণ্য, সেবা বা কার্য ক্রয় বা সংগ্রহ করিবেন না বা করিবার চেষ্টা করিবেন না।

(২) ক্রয়কারী, ক্রয় প্রক্রিয়াকরণ ও চুক্তি বাস্তবায়নকালে, উহার কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ যেন কোন দুর্নীতি, প্রতারণা, চক্রান্ত, জবরদস্তিমূলক বা অন্য কোন কর্মকাণ্ডে জড়িত না হন তাহার নিশ্চয়াতা বিধান করিবে এবং একইভাবে এই আইনে সংজ্ঞায়িত কোন দরপত্রদাতা বা পরামর্শক বা ব্যক্তি নৈতিক বিধি পালন করিবে এবং এই মর্মে নিশ্চয়তা বিধান করিবে যে, উহা বা উহার কর্মচারীগণ বা উহার পক্ষে কোন মধ্যস্ততাকারী যেন অনুরূপ কোন কর্মকাণ্ডে জড়িত না হন।

(৩) এই আইন প্রযোজ্য হয় এমন কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী উপ-ধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করিয়া কোন কার্য করিয়া থাকিলে তিনি Government Servants (Discipline and Appeal) Rules, 1985 এর rule 3(b) এবং 3(d) বা উক্ত কর্মকর্তা বা কর্মচারীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য সাধারণ আচরণ ও শৃঙ্খলা সংক্রান্ত চাকুরী বিধি অনুযায়ী অসদাচরণ বা দুর্নীতির জন্য দায়ী হইবে এবং উক্ত কারণে তাহার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শৃঙ্খলামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা যাইবে।

(৪) উপ-ধারা (৩) এর ব্যবস্থার বিকল্প বা অতিরিক্ত হিসাবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, কর্মচারী বা কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে Prevention of Corruption Act, 1947 এর সংশ্লিষ্ট ধারা এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে Penal Code, 1860 এর অধীনেও ফৌজদারী কার্যক্রম গ্রহণ করা যাইবে।

(৫) কোন ব্যক্তি যদি এই আইনের কোন বিধান লঙ্ঘন করিয়াছে বলিয়া প্রতীয়মান হয়, তাহা হইলে ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান উক্ত ব্যক্তিকে সংশ্লিষ্ট ক্রয় কার্যক্রমে বা ভবিষ্যতে অন্য কোন ক্রয় কার্যক্রমে অংশগ্রহণে অযোগ্য বলিয়া ঘোষণা করিতে পারিবেন।

(৬) কোন ব্যক্তি এই আইনের অধীন ক্রয়কারীর সহিত সম্পাদিত চুক্তির কোন মৌলিক শর্ত ভঙ্গ করিলে বা এই আইন ও বিধির সহিত সঙ্গতিপূর্ণ নহে এইরূপ কোন কার্যসম্পাদন করিলে, ক্রয়কারী, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে চুক্তি বাতিল করিতে পারিবে এবং উক্ত ব্যক্তি, ঠিকাদার, সরবরাহকারী বা পরামর্শককে উপ-ধারা (৫) অনুযায়ী, বিধি দ্বারা নির্ধারিত মেয়াদ উল্লেখ ক্রমে, সকল সরকারি ক্রয় কার্যক্রমে অংশগ্রহণে অযোগ্য বলিয়া ঘোষণা করিতে পারিবে।

দ্যা কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর ১৯৯৮ এর ১২ (১) ও ১৭ ধারা অনুযায়ী বর্ণিত অধিক্ষেত্রে ও সময়কালে স্পেশাল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা পেল সেনাবাহিনী।

জনপ্রিয় সংবাদ

কুষ্টিয়ায় জামায়াতের রোকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত

সেনা কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি

আপডেট সময় ০৮:৫২:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সারা দেশে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি (বিচারিক) ক্ষমতা দিয়েছে সরকার। গতকার মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জনপ্রশাসনের প্রজ্ঞাপনে বলা হয় ,আগামী ৬০ দিন (দুই মাস) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমিশন্ড অফিসাররা এই বিচারিক ক্ষমতা কাজে লাগাতে পারবেন। এর ফলে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে অপরাধীকে সাজা দিতে পারবেন তারা।

ফৌজদারী কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ধারা ৬৪,৬৫,৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ এবং ১৪২।

৬৪ ধারায় বলা আছে, পেশাগত অসদাচরণ, অপরাধ, চুক্তি বাতিল, ইত্যাদি।

(১) এই আইনের অধীন পণ্য, কার্য বা সেবা ক্রয় কর্মকান্ডের সহিত সংশ্লিষ্ট কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী এই আইন বা তদধীন প্রণীত কোন বিধির বিধান লঙ্ঘন করিয়া কোন পণ্য, সেবা বা কার্য ক্রয় বা সংগ্রহ করিবেন না বা করিবার চেষ্টা করিবেন না।

(২) ক্রয়কারী, ক্রয় প্রক্রিয়াকরণ ও চুক্তি বাস্তবায়নকালে, উহার কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ যেন কোন দুর্নীতি, প্রতারণা, চক্রান্ত, জবরদস্তিমূলক বা অন্য কোন কর্মকাণ্ডে জড়িত না হন তাহার নিশ্চয়াতা বিধান করিবে এবং একইভাবে এই আইনে সংজ্ঞায়িত কোন দরপত্রদাতা বা পরামর্শক বা ব্যক্তি নৈতিক বিধি পালন করিবে এবং এই মর্মে নিশ্চয়তা বিধান করিবে যে, উহা বা উহার কর্মচারীগণ বা উহার পক্ষে কোন মধ্যস্ততাকারী যেন অনুরূপ কোন কর্মকাণ্ডে জড়িত না হন।

(৩) এই আইন প্রযোজ্য হয় এমন কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী উপ-ধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করিয়া কোন কার্য করিয়া থাকিলে তিনি Government Servants (Discipline and Appeal) Rules, 1985 এর rule 3(b) এবং 3(d) বা উক্ত কর্মকর্তা বা কর্মচারীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য সাধারণ আচরণ ও শৃঙ্খলা সংক্রান্ত চাকুরী বিধি অনুযায়ী অসদাচরণ বা দুর্নীতির জন্য দায়ী হইবে এবং উক্ত কারণে তাহার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শৃঙ্খলামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা যাইবে।

(৪) উপ-ধারা (৩) এর ব্যবস্থার বিকল্প বা অতিরিক্ত হিসাবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, কর্মচারী বা কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে Prevention of Corruption Act, 1947 এর সংশ্লিষ্ট ধারা এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে Penal Code, 1860 এর অধীনেও ফৌজদারী কার্যক্রম গ্রহণ করা যাইবে।

(৫) কোন ব্যক্তি যদি এই আইনের কোন বিধান লঙ্ঘন করিয়াছে বলিয়া প্রতীয়মান হয়, তাহা হইলে ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান উক্ত ব্যক্তিকে সংশ্লিষ্ট ক্রয় কার্যক্রমে বা ভবিষ্যতে অন্য কোন ক্রয় কার্যক্রমে অংশগ্রহণে অযোগ্য বলিয়া ঘোষণা করিতে পারিবেন।

(৬) কোন ব্যক্তি এই আইনের অধীন ক্রয়কারীর সহিত সম্পাদিত চুক্তির কোন মৌলিক শর্ত ভঙ্গ করিলে বা এই আইন ও বিধির সহিত সঙ্গতিপূর্ণ নহে এইরূপ কোন কার্যসম্পাদন করিলে, ক্রয়কারী, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে চুক্তি বাতিল করিতে পারিবে এবং উক্ত ব্যক্তি, ঠিকাদার, সরবরাহকারী বা পরামর্শককে উপ-ধারা (৫) অনুযায়ী, বিধি দ্বারা নির্ধারিত মেয়াদ উল্লেখ ক্রমে, সকল সরকারি ক্রয় কার্যক্রমে অংশগ্রহণে অযোগ্য বলিয়া ঘোষণা করিতে পারিবে।

দ্যা কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর ১৯৯৮ এর ১২ (১) ও ১৭ ধারা অনুযায়ী বর্ণিত অধিক্ষেত্রে ও সময়কালে স্পেশাল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা পেল সেনাবাহিনী।