ঢাকা ০৪:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারত থেকে কম শুল্কের পেঁয়াজ আমদানি শুরু, দাম কমার আশা

ভারত থেকে কম শুল্কের পেঁয়াজ আমদানি শুরু, দাম কমার আশা

ভারতের সার্ভারের জটিলতা কাটিয়ে দুদিন পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চারটি ট্রাকে ১২৩ টন পেঁয়াজ দেশে প্রবেশ করে। নতুন শুল্কায়নের এসব পেঁয়াজ আসায় দেশে দাম কমবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। এসব পেঁয়াজ আমদানি করছে মেসার্স শওকত ট্রেডার্স, মেসার্স সুমাইয়া ইন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স বি কে ট্রেডার্স।

হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা জানান, সম্প্রতি ভারতে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় ১৩ সেপ্টেম্বর পণ্যটি রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক থেকে ২০ শতাংশ করা হয়। আর রপ্তানি মূল্য টনপ্রতি ৫৫০ মার্কিন ডলার থেকে ১৪৫ ডলার কমিয়ে ৪০৫ ডলার করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু ভারতের কাস্টমস সার্ভারে সেটি সংযুক্ত না হওয়ায় পেঁয়াজ আমদানি গত দুদিন ধরে বন্ধ ছিল। আজ সেই জটিলতা কাটিয়ে বন্দর দিয়ে শুরু হয়েছে আমদানি।

এর আগে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ সংকটের অজুহাতে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। এরপর মার্চ মাসে অনির্দিষ্টকালের জন্য দ্বিতীয় দফায় নিষেধাজ্ঞা দেয়। এতে দেশে পেঁয়াজের সংকট দেখা দেওয়ায় দাম বাড়তে থাকে। এরপর প্রায় পাঁচ মাস পর ৪ মে ন্যূনতম ৫৫০ মার্কিন ডলার রপ্তানি মূল্য এবং ৪০ শতাংশ হারে শুল্ক নির্ধারণ করে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম শহিদ জানান, সম্প্রতি ভারত অভ্যন্তরে পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্কায়ন থেকে ২০ শতাংশ এবং টনপ্রতি ন্যূনতম ৫৫০ ডলারের থেকে কমিয়ে ৪০৫ ডলার নির্ধারণ করেছে। কিন্তু সার্ভারে আগের ৪০ শতাংশ শুল্ক এবং ৫৫০ ডলার সংযুক্ত থাকায় আমদানি করা সম্ভব হয়নি। মঙ্গলবার বিকেলে সেই জটিলতা কাটিয়ে বন্দর দিয়ে আমদানি শুরু হয়েছে। নতুন নিয়ম সার্ভারে সংযুক্ত হওয়ায় ১০-১৫ টাকা আমদানি খরচ কমেছে।

ভারতকে উড়িয়ে সেমিফাইনালে বাংলাদেশ

ভারত থেকে কম শুল্কের পেঁয়াজ আমদানি শুরু, দাম কমার আশা

আপডেট সময় ০৮:৪১:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ভারতের সার্ভারের জটিলতা কাটিয়ে দুদিন পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চারটি ট্রাকে ১২৩ টন পেঁয়াজ দেশে প্রবেশ করে। নতুন শুল্কায়নের এসব পেঁয়াজ আসায় দেশে দাম কমবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। এসব পেঁয়াজ আমদানি করছে মেসার্স শওকত ট্রেডার্স, মেসার্স সুমাইয়া ইন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স বি কে ট্রেডার্স।

হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা জানান, সম্প্রতি ভারতে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় ১৩ সেপ্টেম্বর পণ্যটি রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক থেকে ২০ শতাংশ করা হয়। আর রপ্তানি মূল্য টনপ্রতি ৫৫০ মার্কিন ডলার থেকে ১৪৫ ডলার কমিয়ে ৪০৫ ডলার করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু ভারতের কাস্টমস সার্ভারে সেটি সংযুক্ত না হওয়ায় পেঁয়াজ আমদানি গত দুদিন ধরে বন্ধ ছিল। আজ সেই জটিলতা কাটিয়ে বন্দর দিয়ে শুরু হয়েছে আমদানি।

এর আগে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ সংকটের অজুহাতে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। এরপর মার্চ মাসে অনির্দিষ্টকালের জন্য দ্বিতীয় দফায় নিষেধাজ্ঞা দেয়। এতে দেশে পেঁয়াজের সংকট দেখা দেওয়ায় দাম বাড়তে থাকে। এরপর প্রায় পাঁচ মাস পর ৪ মে ন্যূনতম ৫৫০ মার্কিন ডলার রপ্তানি মূল্য এবং ৪০ শতাংশ হারে শুল্ক নির্ধারণ করে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম শহিদ জানান, সম্প্রতি ভারত অভ্যন্তরে পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্কায়ন থেকে ২০ শতাংশ এবং টনপ্রতি ন্যূনতম ৫৫০ ডলারের থেকে কমিয়ে ৪০৫ ডলার নির্ধারণ করেছে। কিন্তু সার্ভারে আগের ৪০ শতাংশ শুল্ক এবং ৫৫০ ডলার সংযুক্ত থাকায় আমদানি করা সম্ভব হয়নি। মঙ্গলবার বিকেলে সেই জটিলতা কাটিয়ে বন্দর দিয়ে আমদানি শুরু হয়েছে। নতুন নিয়ম সার্ভারে সংযুক্ত হওয়ায় ১০-১৫ টাকা আমদানি খরচ কমেছে।