ঢাকা ০৭:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছে জামায়াত’

‘কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছে জামায়াত’

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেছেন, একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছে জামায়াতে ইসলামী। কোনো কিছুই চাপিয়ে দেব না। সবাই স্বাধীনভাবে ঘোরাফেরা করবে। নারীরা পর্দা করবে। যে নারী পর্দা করবে না তাকে চাপিয়ে দেওয়া হবে না। কিন্তু একটা শ্রেণী জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে সঠিক না জেনে ঘৃণা চাষ করে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের উদ্যোগে সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর কাকরাইলস্থ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, সমাজে কিছু সমস্যা বিরাজ করছে সেগুলো সমাধানে জামায়াতে ইসলামীর ভূমিকা ও অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে। মানুষের কাছে যেতে হবে। নারী পুরুষ নির্বিশেষে সবার কাছে জামায়াতে ইসলামীর অবস্থান জানান দিতে হবে। আমরা যে একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র চাই সেটার জানান দিতে হবে।

জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীরা আল্লাহ ছাড়া যে আর কাউকে ভয় বা পরোয়া করে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামীর কর্মীরা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সন্তান, কারণ তারা সত্যের জন্য, মানুষের অধিকারের জন্য, স্বাধীনতার পক্ষে, মানুষের শোষণ-বঞ্চনা থেকে মুক্তির জন্য লড়াই করে। যারা হাজারো সম্পদকে লাথি মারে আল্লাহ’র দ্বীনের জন্য, যারা পেটে পাথর বেঁধে নারায়ে তাকবীর শ্লোগান দিতে পারে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে অবশ্যই একদিন পরিপূর্ণভাবে ইসলাম কায়েম হবে। পূর্ব আকাশে দীপ্ত সূর্য উদিত হবে। নারী-পুরুষ নির্বিশেষ আল্লাহকে সিজদার জন্য মসজিদে মিলিত হবে। ক্ষুধার্ত মানুষ থাকবে না। খাদ্যের অভাব থাকবে না, লোক দেখানো নয়, শিক্ষায় শিক্ষিত মানুষ থাকবে, রাহাজানি ডাকাতি হবে না, হবে না কোনও সন্ত্রাস। লুটপাট জুলুম থাকবে না। ভাতৃত্ববোধে শান্তির ফল্গুধারা প্রবাহিত হবে। সেই ধরণের বাংলাদেশ আমরাই গড়বো ইনশাল্লাহ।

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ চালু করলো পাকিস্তান

‘কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছে জামায়াত’

আপডেট সময় ০৪:৩৭:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেছেন, একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছে জামায়াতে ইসলামী। কোনো কিছুই চাপিয়ে দেব না। সবাই স্বাধীনভাবে ঘোরাফেরা করবে। নারীরা পর্দা করবে। যে নারী পর্দা করবে না তাকে চাপিয়ে দেওয়া হবে না। কিন্তু একটা শ্রেণী জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে সঠিক না জেনে ঘৃণা চাষ করে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের উদ্যোগে সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর কাকরাইলস্থ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, সমাজে কিছু সমস্যা বিরাজ করছে সেগুলো সমাধানে জামায়াতে ইসলামীর ভূমিকা ও অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে। মানুষের কাছে যেতে হবে। নারী পুরুষ নির্বিশেষে সবার কাছে জামায়াতে ইসলামীর অবস্থান জানান দিতে হবে। আমরা যে একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র চাই সেটার জানান দিতে হবে।

জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীরা আল্লাহ ছাড়া যে আর কাউকে ভয় বা পরোয়া করে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামীর কর্মীরা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সন্তান, কারণ তারা সত্যের জন্য, মানুষের অধিকারের জন্য, স্বাধীনতার পক্ষে, মানুষের শোষণ-বঞ্চনা থেকে মুক্তির জন্য লড়াই করে। যারা হাজারো সম্পদকে লাথি মারে আল্লাহ’র দ্বীনের জন্য, যারা পেটে পাথর বেঁধে নারায়ে তাকবীর শ্লোগান দিতে পারে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে অবশ্যই একদিন পরিপূর্ণভাবে ইসলাম কায়েম হবে। পূর্ব আকাশে দীপ্ত সূর্য উদিত হবে। নারী-পুরুষ নির্বিশেষ আল্লাহকে সিজদার জন্য মসজিদে মিলিত হবে। ক্ষুধার্ত মানুষ থাকবে না। খাদ্যের অভাব থাকবে না, লোক দেখানো নয়, শিক্ষায় শিক্ষিত মানুষ থাকবে, রাহাজানি ডাকাতি হবে না, হবে না কোনও সন্ত্রাস। লুটপাট জুলুম থাকবে না। ভাতৃত্ববোধে শান্তির ফল্গুধারা প্রবাহিত হবে। সেই ধরণের বাংলাদেশ আমরাই গড়বো ইনশাল্লাহ।