ঢাকা ০৪:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সমর্থন সংশয় দুটোই বিএনপিতে

এস আলমের গৃহকর্মীর ব্যাংক হিসাবে কোটি টাকা

আজকের প্রত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান খবর:

প্রথম আলো:

এস আলমের গৃহকর্মীর ব্যাংক হিসাবে কোটি টাকা
কর বিভাগের তদন্ত
এস আলমের গৃহকর্মী মর্জিনা আকতারের নামে ইসলামী ব্যাংকে এক কোটি টাকার স্থায়ী আমানতের সন্ধান পাওয়া গেছে।

ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলমের একজন গৃহকর্মীর নামেই মিলেছে কোটি টাকা। এই গৃহকর্মীর নাম মর্জিনা আকতার। তিনি চট্টগ্রামভিত্তিক বিতর্কিত এই ব্যবসায়ীর বাসায় কাজ করতেন। মর্জিনা আকতারের নামেই ব্যাংকে এক কোটি টাকার স্থায়ী আমানতের সন্ধান পেয়েছেন কর কর্মকর্তারা।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর অঞ্চল-১৫–এর একটি অনুসন্ধানী দল এস আলম পরিবারের কর ফাঁকির বিষয়টি তদন্ত করছে। সে তদন্ত চালাতে গিয়ে মর্জিনা আকতারের নামে খোলা ব্যাংক হিসাবে এ অর্থ পেয়েছেন তদন্তকারীরা।কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম শহরে ইসলামী ব্যাংকের পাঁচলাইশের এসএফএ টাওয়ার শাখায় ২২টি স্থায়ী আমানতের মাধ্যমে এক কোটি টাকা গচ্ছিত রেখেছেন গৃহকর্মী মর্জিনা আকতার। এসব স্থায়ী আমানত খোলা হয়েছে চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি। শুরুতে প্রতিটি এফডিআরে গড়ে সাড়ে চার লাখ টাকা করে রাখা হয়। এখন প্রতিটি এফডিআরের বিপরীতে সুদসহ ৪ লাখ ৭০ হাজার ৯০৩ টাকা জমা হয়েছে। সেই হিসাবে ইসলামী ব্যাংকে মর্জিনা আকতারের ২২টি এফডিআরে জমা আছে ১ কোটি ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৮৬৬ টাকা।

একজন গৃহকর্মীর ব্যাংক হিসাবে কোটি টাকার বেশি জমা থাকায় বিস্মিত কর কর্মকর্তারা। তাঁরা এ অর্থ জব্দ করার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু করেছেন। কর কর্মকর্তাদের ধারণা, এই টাকা মর্জিনা আকতারের না–ও হতে পারে। সম্ভবত তাঁর নামে হিসাব খুলে টাকা রাখা হয়েছে।

দেশ রুপান্তর:

সমর্থন সংশয় দুটোই বিএনপিতে

অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা ও যৌক্তিক সময় দেওয়ার কথা বলেছে বিএনপি। তবে সংস্কার ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দেশের পরিবর্তিত সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ‘সংশয়’ ও ‘সন্দেহ’ তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে। বিশেষ করে বিএনপির ও যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলো নেতাদের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে বর্তমান সরকার সব বিষয় স্পষ্ট না করায় সন্দেহের নানা ডালপালা রাজনৈতিক মহলে বিস্তার লাভ করেছে। যদিও বিএনপির ও জোটের শীর্ষ নীতিনির্ধারকরা বলছেন, সরকারকে আপাতত ‘সময় দেওয়া’ উচিত এবং এটি সর্বোচ্চ এক বছর হতে পারে। তাও নির্ভর করবে সরকারের কার্যক্রমের ওপর। তাদের মতে, দেশে বিভিন্ন পর্যায়ে সংস্কার প্রয়োজন। রাষ্ট্রের কাঠামোতে গুণগত পরিবর্তন না এলে পরবর্তী সরকারকে চাপে থাকতে হবে। ফলে গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সংস্কারের পক্ষে মত তাদের। তবে এক বছর পর নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের গাফিলতি দেখলে সোচ্চার হবে বিএনপি ও যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলো। চাপ তৈরি করতে বক্তব্য-বিবৃতি এমনকি নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে কর্মসূচিও দেওয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে বিএনপি ও সমমনাদের।

জানতে চাইলে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সংস্কারের প্রস্তাব বিএনপি সর্ব প্রথম ৩১ দফার দাবির মাধ্যমে জাতির সামনে তুলে ধরেছে। এখন অন্তর্বর্তী সরকার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছাত্রনেতারা, আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত সব গ্রহণযোগ্য রাজনৈতিক দল সংস্কারের বিষয়ে একমত। সবাই যেহেতু সংস্কার চায়, তাই সবার কাছে সংস্কারের কর্মকাণ্ডও পরিষ্কার হওয়া উচিত। কিন্তু সরকার এসব বিষয় স্পষ্ট করছে না। যে কারণে সন্দেহ ও সংশয়ের জায়গা তৈরি হয়েছে। গ্রহণযোগ্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রকাশ্যে বা অপ্রকাশ্যে আলোচনার মাধ্যমে সরকার সন্দেহ-সংশয় সহজেই দূর করতে পারে।’

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

সংস্কারে সরাসরি থাকবে যুক্তরাষ্ট্রন
♦ দুর্নীতির সাগরে ছিলাম, রাষ্ট্র পুনর্গঠন, সংস্কার ও পাচারের অর্থ ফেরাতে সহায়তা দিন : প্রধান উপদেষ্টা ♦ বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাওয়াকে পৃষ্ঠপোষকতা করব : মার্কিন দূতাবাস ♦ ২০০ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে ইউএসএইড
অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদে প্রথম গুরুত্বপূর্ণ সফরে আসা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে রাষ্ট্র সংস্কার প্রক্রিয়ায় সরাসরি যুক্ত থাকার আগ্রহের কথা জানিয়েছে। এ জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে। গতকাল সফরের দ্বিতীয় দিনে দিনভর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ বিভিন্ন উপদেষ্টা ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে তারা এ বার্তা দেন। বাংলাদেশের পক্ষেও এ রাষ্ট্র পুনর্গঠন, সংস্কার ও বিশেষত পাচার হয়ে যাওয়া বিশাল অঙ্কের অর্থ ফেরত আনতে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান রাজস্ব দপ্তরের ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যানের নেতৃত্বে দেশটির দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুসহ ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল গতকাল সকালে পরপর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে তারা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় মার্কিন প্রতিনিধি দল ওয়ার্কিং লাঞ্চে অংশ নেন পররাষ্ট্র সচিব, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব, রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, বাণিজ্য সচিব, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে। বিকালে বৈঠক হয় বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরের সঙ্গে। এর বাইরে আরও বেশ কয়েকটি কর্মসূচিতে ব্যস্ত সময় পার করেন তারা।

কালের কন্ঠ:

বিদেশে অর্থ পাচারে আওয়ামী লীগের অর্ধশত মন্ত্রী-এমপি
আওয়ামী লীগের অর্ধশত মন্ত্রী-এমপি বিপুল অর্থ-সম্পদ বিদেশে পাচার করেছেন। গত ১৫ বছরে ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে যে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন, এর বেশির ভাগই তাঁরা বিদেশে পাচার করেছেন। এ তথ্য বের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধান, আমলে নেওয়া অভিযোগ ও কমিশনের গোয়েন্দা রিপোর্ট থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

গত এক মাসে আমলে নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৮৩ জনই মন্ত্রী-এমপি। এর মধ্যে অর্ধশত মন্ত্রী-এমপির বিদেশে সম্পদের তথ্য-প্রমাণ পেয়েছে দুদক। পাচারকারীরা হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি খাতবিষয়ক উপদেষ্টা ও এমপি সালমান এফ রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক অর্থমন্ত্রী ও এমপি আ হ ম মুস্তফা কামাল, সাবেক বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ও এমপি ডা. দীপু মনি, সাবেক ভূমিমন্ত্রী ও এমপি সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খানসহ আরো অনেকে। এ ছাড়া এস আলম গ্রুপের মালিক সাইফুল আলম মাসুদ, সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া ও সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ, সাবেক মন্ত্রিপরিষদসচিব কবির বিন আনোয়ারসহ ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকা অন্তত ৭০ জনের বিরুদ্ধে বিদেশে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দুদকের হাতে রয়েছে।

নয়াদিগন্ত:

বিদ্যুত খাতে অনিয়ম-দূর্নীতি
লুটপাট আড়াল করতে দায়মুক্তি আইন
উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে কোনো প্রকল্পের চুক্তি করা হলে একদিকে যেমন ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত হয়, অপরদিকে লুটপাটের সুযোগ কম থাকে। বরং থাকে দায়বদ্ধতা। কিন্তু শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোনো ন্যায্যতা ছিল না। উপরন্তু সরকার সমর্থিত কিছু ব্যবসায়ী ও ব্যক্তিকে এ খাত থেকে লুটপাটের সুযোগ করে দেয়া হয়েছিল। আর এ সব দুর্নীতি আড়াল করতে করা হয় দায়মুক্তি আইন। এ আইনের আওতায় বিনা টেন্ডারে শতাধিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের লাইসেন্স পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খুব ঘনিষ্ঠ লোকদের দেয়া হয়। উচ্চ মূল্যের এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর অর্ধেকই কোনো কাজে না আসলেও দেশ ও জনগণের ঘাড়ে চাপানো হয়েছে ঋণের বোঝা। জনগণের পকেট থেকে লাখ লাখ কোটি টাকা বের করে নেয়া হয়েছে বিদ্যুতের বাড়তি মূল্য পরিশোধের জন্য। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য দেশ বিদেশ থেকে ঋণ গ্রহণ করা হয়েছে। এসব ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা না থাকায় নতুন করে ঋণ নিয়ে পুরনো ঋণ পরিশোধ করা হচ্ছে।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডির (সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ) গবেষণা পরিচালন খন্দকার গোলাম মেয়াজ্জেম এ বিষয়ে গতকাল নয়া দিগন্তকে জানিয়েছেন, বিনা টেন্ডারে শতাধিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের লাইসন্সে দেয়া হয়েছিল দায়মুক্তি আইনের মাধ্যমে। এ আইন করা হয়েছিল, বিদ্যুৎ খাতে বিনা টেন্ডারে যেসব কেন্দ্রের অনুমতি দেয়া হবে সে বিষয়ে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না। এতে পতিত আওয়ামী লীগ সরকার সমর্থিত কিছু মানুষ বিপুল অর্থের মালিক হয়েছেন। এ আইনের আওতায় সরকার ও দেশের জনগণের বিপুল ক্ষতিসাধন হয়েছে। দেশ তথা জনগণের ঘাড়ে বাড়তি দেনা চেপেছে। নতুন ঋণ নিয়ে পুরনো ঋণ পরিশোধ করতে হচ্ছে। ঋণের দুষ্ট চক্রে আটকে গেছে সরকার। তিনি মনে করেন, বিদ্যুৎ খাতের লুটপাট বন্ধে দায়মুক্তি আইন বাতিল করতে হবে। এ আইনের আওতায় যতগুলো চুক্তি হয়েছে তা পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে। যেসব ধারা দেশ ও জনগণের বিপেক্ষ রয়েছে সেগুলো বাতিল করতে হবে। আর এ আইনের আওতায় যেসব প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে সেগুলো আর নবায়ন করা যাবে না। তিনি বলেন, সামনে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত নিয়ে যতগুলো চুক্তি হবে তা উম্মুক্ত প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে করতে হবে, যাতে কেউ কোনো প্রশ্ন করতে না পারে।

যুগান্তর:

জুলাই-আগস্টের গণহত্যায় বিএনপির ৪২২ জন নিহত
নির্বাচনসংক্রান্ত সংস্কার শেষে ভোট দিতে ২ মাসের বেশি সময় লাগার কথা নয় * ফ্যাসিবাদের দোসরদের ইঙ্গিতে শিল্পাঞ্চলগুলোতে চলমান অস্থিরতা
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জুলাই-আগস্টের গণহত্যায় বিএনপির ৪২২ জন নিহত হয়েছেন। দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল হিসাবে, গণআকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়ে গণঅভ্যুত্থানে সর্বশক্তি দিয়ে রাজপথে নেমে আসে বিএনপি এবং এর সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন। আন্দোলনের কৃতিত্ব নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল নয়, বিএনপির উদ্দেশ্য ছিল সর্বস্তরের নেতাকর্মী-সমর্থকদের অংশগ্রহণে, গণঅভ্যুত্থানে সাংগঠনিকভাবে সর্বোচ্চ ভূমিকা রেখে, ফ্যাসিবাদের পতনের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা। আর তাই, বিএনপির যে ৬০ লাখ সদস্যের নামে ফ্যাসিবাদের সময় মিথ্যা মামলা হয়েছে, তার সুবিশাল অংশ সাধারণ মানুষের পাশে থেকে, রাষ্ট্রযন্ত্রের ষড়যন্ত্র ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে ঢাল হয়ে রুখে দাঁড়ান। ফলে যার-যার অবস্থান থেকে জনগণের কাতারে নেমে আসে বিএনপি ও সমমনা সব রাজনৈতিক দল, তথা গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তিগুলো। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার সংস্কারে হাত দিয়েছে। আমরা মনে করি নির্বাচনসংক্রান্ত সংস্কার শেষে ভোট দিতে ২ মাসের বেশি সময় লাগার কথা নয়।

রোববার দুপুরে বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে ‘গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের পথযাত্রায় বিএনপির ভূমিকা, অবদান এবং প্রত্যাশা’র বিষয়গুলো তুলে ধরতে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

মানবজমিন:

জাহিদ মালেক পরিবারের ৬০০০ শতাংশ জমির খোঁজ
জাহিদ মালেক স্বপন। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চারবার সংসদ সদস্য। এরমধ্যে এক মেয়াদে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী অন্যবার মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে হাতিয়েছেন হাজার কোটি টাকা। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে জাহিদ মালেক ও তার ছেলে-মেয়েদের নামে থাকা বিপুল সম্পদের তথ্য। এক মানিকগঞ্জেই এই পরিবারের নামে থাকা ৬ হাজার ৫৩ শতাংশ জমির তথ্য পেয়েছে সংস্থাটি। সম্প্রতি জেলার সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে জাহিদ মালেক ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা সম্পদের তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছিল দুদক। সেই চিঠির জবাবে তাদের নামে ছয় হাজার ৫৩ শতাংশ জমির পরিমাণ উল্লেখ করা হয়। দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র মানবজমিনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
দুদক সূত্র জানায়, মানিকগঞ্জ জেলার বিভিন্ন মৌজায় কেনা এসব জমির মধ্যে জাহিদ মালেকের নামেই রয়েছে ২ হাজার ১৯৩.০৫৩ শতাংশ। তার ছেলে রাহাত মালেকের নামে ১ হাজার ৭৪২.০১৬ শতাংশ এবং ২ হাজার ১১৮.৭৮ শতাংশ জমি কেনা হয়েছে মেয়ে সিনথিয়া মালেকের নামে। বিপুল পরিমাণ এই জমির বাজার মূল্যও টাকার অঙ্কে হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করছেন দুদকের অনুসন্ধান সংশ্লিষ্টরা। তবে জমির দলিল মূল্যে দাম অনেক কম দেখানো হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুদকের এক কর্মকর্তা মানবজমিনকে বলেন, আমরা সবে অনুসন্ধানটা শুরু করেছি। সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বিপুল সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ রয়েছে আমাদের কাছে। এসব অভিযোগের অংশ হিসেবে মানিকগঞ্জে জাহিদ মালেক ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা সম্পদের তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছিলাম। সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয় থেকে দেয়া তথ্য অনুযায়ী সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এই জমিগুলোর তথ্য এসেছে।

দুদকের এই কর্মকর্তা আরও জানান, মানিকগঞ্জের জমি ছাড়াও ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি, ফ্ল্যাট থাকার তথ্য রয়েছে। এসব সম্পদের বিষয়েও ইতিমধ্যে খোঁজ নেয়া শুরু হয়ে গেছে। দুদক সূত্র জানায়, মানিকগঞ্জে জাহিদ মালেক ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে যে ছয় হাজার শতক জমি ছেলে রাহাত মালেকের নামে ৯১টি দলিল, মেয়ে সিনথিয়ার নামে ২২টি এবং জাহিদ মালেকের নামে রয়েছে ৪৬টি দলিল।

বনিকবার্তা:

১৫০ কোটি ডলার দেবে এডিবি, বিশ্বব্যাংক ১০০ ও যুক্তরাষ্ট্র ২০ কোটি
বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ২৭০ কোটি ডলারের আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি পেয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ব্যাংক ও আর্থিক খাত সংস্কারে ২৫০ কোটি ডলার দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক ও এডিবি। ২৫০ কোটির মধ্যে এডিবি দেবে ১৫০ কোটি; বাকিটা দেবে বিশ্বব্যাংক। অন্যদিকে স্বাস্থ্য, সুশাসন ও অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র দেবে ২০ কোটি ডলার। ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার দুই মাস না পেরোতেই এ প্রতিশ্রুতি মিলল। আর তিনটি প্রতিশ্রুতির ঘোষণাই আসে গতকাল।বিশ্বব্যাংকের কাছে ১০০ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা চেয়ে ১২ সেপ্টেম্বর চিঠি দেয় বাংলাদেশ সরকার। দুই কিস্তিতে ৫০ কোটি ডলার করে এ অর্থ চেয়েছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা গতকাল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বাংলাদেশকে ১০০ কোটি বা ১ বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক। এর মধ্যে পলিসি বেসড ঋণ হিসেবে ৭৫ কোটি ডলার ও ইনভেস্টমেন্ট ঋণ হিসেবে ২৫ কোটি ডলার পাওয়া যাবে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বিশ্বব্যাংকের বোর্ডে এ ঋণ অনুমোদন হওয়ার কথা রয়েছে। তবে ঋণ পেতে তিনটি শর্ত পালন করতে হবে বাংলাদেশকে।’

কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, বেসরকারি খাতে অ্যাসেস ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি করা, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে খেলাপি ঋণের নতুন সংজ্ঞায়ন করা এবং নতুন গঠিত টাস্কফোর্সের অডিট ফার্মের কার্যবিবরণী বিশ্বব্যাংকে উপস্থাপন করার শর্ত মানতে হবে বাংলাদেশকে।

কালবেলা:

গ্রেপ্তার সাবেক দুই ডজন মন্ত্রী-এমপি
দীর্ঘ দেড় দশকের বেশি সময় ক্ষমতায় থাকা দেশের ঐতিহ্যবাহী ও প্রাচীন দল আওয়ামী লীগের শীর্ষ থেকে তৃণমূলের নেতা, মন্ত্রী, উপদেষ্টা ও এমপি এখন গ্রেপ্তার ও মামলা আতঙ্কে ভুগছেন। গ্রেপ্তার এড়াতে কেউ দেশে নিরাপদ আশ্রয়ে, কেউ বা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বিদেশে অবস্থান করছেন। এরই মধ্যে অন্তত দুই ডজন মন্ত্রী-এমপি, দলের শীর্ষ নেতা হয়েছেন গ্রেপ্তার, রিমান্ড শেষে অনেকে কারাগারে দিনাতিপাত করছেন। যারা দেশত্যাগ করতে পারেননি, তারা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন দেশের বিভিন্ন স্থানে। এই তালিকায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা যেমন আছেন, তেমনি আছেন সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারাও।

জানা গেছে, গণহারে হত্যা মামলায় বাদ পড়ছেন না কেউ। শঙ্কা জেগেছে আইনি লড়াইয়ের মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনের। যাদের নামে এখনো মামলা হয়নি, তাদের কাছে অজ্ঞাতনামা আসামি যেন আতঙ্কের নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে। হুমকি পেয়ে কেউ কেউ অর্থের বিনিময়ে মামলা থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন। আপসরফা না হলেই নেমে আসছে হত্যা মামলার মতো খড়্গ। অনেকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বসতবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভাঙচুরের শিকার বেশিরভাগই। আত্মগোপনে থাকায় অনেকে চাকরিস্থল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যেতে না পারায় অর্থকষ্টে আছেন পরিবারের সদস্যরা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশত্যাগ করেন। বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে ছোট বোন শেখ রেহানাসহ ভারতে যান। অবসান ঘটে আওয়ামী লীগের টানা চারবারের শাসনামলের। দায়িত্ব নেয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এর পর থেকে দ্রুত দৃশ্যপট পাল্টে যেতে থাকে। আওয়ামী লীগের নেতা, মন্ত্রী ও এমপিরা গা-ঢাকা দিতে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান, অনেকে দেশত্যাগ করেন। গ্রেপ্তার হতে শুরু করেন আওয়ামী লীগের নেতা, আলোচিত মন্ত্রী ও এমপি। এরই মধ্যে দেশজুড়ে শুরু হয় গণহারে হত্যা মামলা দায়ের, আসামির সংখ্যায় উল্লেখ করা হয় শত শত আওয়ামী লীগের অনুসারীর নাম, অজ্ঞাত রাখা হয় হাজার হাজার। একের পর এক এসব মামলায় আসামির তালিকায় আসতে থাকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা, তার ছোট বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানসহ শীর্ষ প্রায় সব নেতা ও এমপি-মন্ত্রীর নাম।

জনপ্রিয় সংবাদ

দিনাজপুরে ইসলামী ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত

সমর্থন সংশয় দুটোই বিএনপিতে

এস আলমের গৃহকর্মীর ব্যাংক হিসাবে কোটি টাকা

আপডেট সময় ০৭:১৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আজকের প্রত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান খবর:

প্রথম আলো:

এস আলমের গৃহকর্মীর ব্যাংক হিসাবে কোটি টাকা
কর বিভাগের তদন্ত
এস আলমের গৃহকর্মী মর্জিনা আকতারের নামে ইসলামী ব্যাংকে এক কোটি টাকার স্থায়ী আমানতের সন্ধান পাওয়া গেছে।

ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলমের একজন গৃহকর্মীর নামেই মিলেছে কোটি টাকা। এই গৃহকর্মীর নাম মর্জিনা আকতার। তিনি চট্টগ্রামভিত্তিক বিতর্কিত এই ব্যবসায়ীর বাসায় কাজ করতেন। মর্জিনা আকতারের নামেই ব্যাংকে এক কোটি টাকার স্থায়ী আমানতের সন্ধান পেয়েছেন কর কর্মকর্তারা।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর অঞ্চল-১৫–এর একটি অনুসন্ধানী দল এস আলম পরিবারের কর ফাঁকির বিষয়টি তদন্ত করছে। সে তদন্ত চালাতে গিয়ে মর্জিনা আকতারের নামে খোলা ব্যাংক হিসাবে এ অর্থ পেয়েছেন তদন্তকারীরা।কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম শহরে ইসলামী ব্যাংকের পাঁচলাইশের এসএফএ টাওয়ার শাখায় ২২টি স্থায়ী আমানতের মাধ্যমে এক কোটি টাকা গচ্ছিত রেখেছেন গৃহকর্মী মর্জিনা আকতার। এসব স্থায়ী আমানত খোলা হয়েছে চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি। শুরুতে প্রতিটি এফডিআরে গড়ে সাড়ে চার লাখ টাকা করে রাখা হয়। এখন প্রতিটি এফডিআরের বিপরীতে সুদসহ ৪ লাখ ৭০ হাজার ৯০৩ টাকা জমা হয়েছে। সেই হিসাবে ইসলামী ব্যাংকে মর্জিনা আকতারের ২২টি এফডিআরে জমা আছে ১ কোটি ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৮৬৬ টাকা।

একজন গৃহকর্মীর ব্যাংক হিসাবে কোটি টাকার বেশি জমা থাকায় বিস্মিত কর কর্মকর্তারা। তাঁরা এ অর্থ জব্দ করার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু করেছেন। কর কর্মকর্তাদের ধারণা, এই টাকা মর্জিনা আকতারের না–ও হতে পারে। সম্ভবত তাঁর নামে হিসাব খুলে টাকা রাখা হয়েছে।

দেশ রুপান্তর:

সমর্থন সংশয় দুটোই বিএনপিতে

অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা ও যৌক্তিক সময় দেওয়ার কথা বলেছে বিএনপি। তবে সংস্কার ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দেশের পরিবর্তিত সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ‘সংশয়’ ও ‘সন্দেহ’ তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে। বিশেষ করে বিএনপির ও যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলো নেতাদের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে বর্তমান সরকার সব বিষয় স্পষ্ট না করায় সন্দেহের নানা ডালপালা রাজনৈতিক মহলে বিস্তার লাভ করেছে। যদিও বিএনপির ও জোটের শীর্ষ নীতিনির্ধারকরা বলছেন, সরকারকে আপাতত ‘সময় দেওয়া’ উচিত এবং এটি সর্বোচ্চ এক বছর হতে পারে। তাও নির্ভর করবে সরকারের কার্যক্রমের ওপর। তাদের মতে, দেশে বিভিন্ন পর্যায়ে সংস্কার প্রয়োজন। রাষ্ট্রের কাঠামোতে গুণগত পরিবর্তন না এলে পরবর্তী সরকারকে চাপে থাকতে হবে। ফলে গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সংস্কারের পক্ষে মত তাদের। তবে এক বছর পর নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের গাফিলতি দেখলে সোচ্চার হবে বিএনপি ও যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলো। চাপ তৈরি করতে বক্তব্য-বিবৃতি এমনকি নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে কর্মসূচিও দেওয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে বিএনপি ও সমমনাদের।

জানতে চাইলে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সংস্কারের প্রস্তাব বিএনপি সর্ব প্রথম ৩১ দফার দাবির মাধ্যমে জাতির সামনে তুলে ধরেছে। এখন অন্তর্বর্তী সরকার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছাত্রনেতারা, আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত সব গ্রহণযোগ্য রাজনৈতিক দল সংস্কারের বিষয়ে একমত। সবাই যেহেতু সংস্কার চায়, তাই সবার কাছে সংস্কারের কর্মকাণ্ডও পরিষ্কার হওয়া উচিত। কিন্তু সরকার এসব বিষয় স্পষ্ট করছে না। যে কারণে সন্দেহ ও সংশয়ের জায়গা তৈরি হয়েছে। গ্রহণযোগ্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রকাশ্যে বা অপ্রকাশ্যে আলোচনার মাধ্যমে সরকার সন্দেহ-সংশয় সহজেই দূর করতে পারে।’

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

সংস্কারে সরাসরি থাকবে যুক্তরাষ্ট্রন
♦ দুর্নীতির সাগরে ছিলাম, রাষ্ট্র পুনর্গঠন, সংস্কার ও পাচারের অর্থ ফেরাতে সহায়তা দিন : প্রধান উপদেষ্টা ♦ বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাওয়াকে পৃষ্ঠপোষকতা করব : মার্কিন দূতাবাস ♦ ২০০ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে ইউএসএইড
অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদে প্রথম গুরুত্বপূর্ণ সফরে আসা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে রাষ্ট্র সংস্কার প্রক্রিয়ায় সরাসরি যুক্ত থাকার আগ্রহের কথা জানিয়েছে। এ জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে। গতকাল সফরের দ্বিতীয় দিনে দিনভর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ বিভিন্ন উপদেষ্টা ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে তারা এ বার্তা দেন। বাংলাদেশের পক্ষেও এ রাষ্ট্র পুনর্গঠন, সংস্কার ও বিশেষত পাচার হয়ে যাওয়া বিশাল অঙ্কের অর্থ ফেরত আনতে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান রাজস্ব দপ্তরের ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যানের নেতৃত্বে দেশটির দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুসহ ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল গতকাল সকালে পরপর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে তারা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় মার্কিন প্রতিনিধি দল ওয়ার্কিং লাঞ্চে অংশ নেন পররাষ্ট্র সচিব, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব, রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, বাণিজ্য সচিব, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে। বিকালে বৈঠক হয় বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরের সঙ্গে। এর বাইরে আরও বেশ কয়েকটি কর্মসূচিতে ব্যস্ত সময় পার করেন তারা।

কালের কন্ঠ:

বিদেশে অর্থ পাচারে আওয়ামী লীগের অর্ধশত মন্ত্রী-এমপি
আওয়ামী লীগের অর্ধশত মন্ত্রী-এমপি বিপুল অর্থ-সম্পদ বিদেশে পাচার করেছেন। গত ১৫ বছরে ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে যে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন, এর বেশির ভাগই তাঁরা বিদেশে পাচার করেছেন। এ তথ্য বের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধান, আমলে নেওয়া অভিযোগ ও কমিশনের গোয়েন্দা রিপোর্ট থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

গত এক মাসে আমলে নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৮৩ জনই মন্ত্রী-এমপি। এর মধ্যে অর্ধশত মন্ত্রী-এমপির বিদেশে সম্পদের তথ্য-প্রমাণ পেয়েছে দুদক। পাচারকারীরা হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি খাতবিষয়ক উপদেষ্টা ও এমপি সালমান এফ রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক অর্থমন্ত্রী ও এমপি আ হ ম মুস্তফা কামাল, সাবেক বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ও এমপি ডা. দীপু মনি, সাবেক ভূমিমন্ত্রী ও এমপি সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খানসহ আরো অনেকে। এ ছাড়া এস আলম গ্রুপের মালিক সাইফুল আলম মাসুদ, সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া ও সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ, সাবেক মন্ত্রিপরিষদসচিব কবির বিন আনোয়ারসহ ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকা অন্তত ৭০ জনের বিরুদ্ধে বিদেশে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দুদকের হাতে রয়েছে।

নয়াদিগন্ত:

বিদ্যুত খাতে অনিয়ম-দূর্নীতি
লুটপাট আড়াল করতে দায়মুক্তি আইন
উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে কোনো প্রকল্পের চুক্তি করা হলে একদিকে যেমন ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত হয়, অপরদিকে লুটপাটের সুযোগ কম থাকে। বরং থাকে দায়বদ্ধতা। কিন্তু শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোনো ন্যায্যতা ছিল না। উপরন্তু সরকার সমর্থিত কিছু ব্যবসায়ী ও ব্যক্তিকে এ খাত থেকে লুটপাটের সুযোগ করে দেয়া হয়েছিল। আর এ সব দুর্নীতি আড়াল করতে করা হয় দায়মুক্তি আইন। এ আইনের আওতায় বিনা টেন্ডারে শতাধিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের লাইসেন্স পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খুব ঘনিষ্ঠ লোকদের দেয়া হয়। উচ্চ মূল্যের এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর অর্ধেকই কোনো কাজে না আসলেও দেশ ও জনগণের ঘাড়ে চাপানো হয়েছে ঋণের বোঝা। জনগণের পকেট থেকে লাখ লাখ কোটি টাকা বের করে নেয়া হয়েছে বিদ্যুতের বাড়তি মূল্য পরিশোধের জন্য। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য দেশ বিদেশ থেকে ঋণ গ্রহণ করা হয়েছে। এসব ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা না থাকায় নতুন করে ঋণ নিয়ে পুরনো ঋণ পরিশোধ করা হচ্ছে।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডির (সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ) গবেষণা পরিচালন খন্দকার গোলাম মেয়াজ্জেম এ বিষয়ে গতকাল নয়া দিগন্তকে জানিয়েছেন, বিনা টেন্ডারে শতাধিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের লাইসন্সে দেয়া হয়েছিল দায়মুক্তি আইনের মাধ্যমে। এ আইন করা হয়েছিল, বিদ্যুৎ খাতে বিনা টেন্ডারে যেসব কেন্দ্রের অনুমতি দেয়া হবে সে বিষয়ে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না। এতে পতিত আওয়ামী লীগ সরকার সমর্থিত কিছু মানুষ বিপুল অর্থের মালিক হয়েছেন। এ আইনের আওতায় সরকার ও দেশের জনগণের বিপুল ক্ষতিসাধন হয়েছে। দেশ তথা জনগণের ঘাড়ে বাড়তি দেনা চেপেছে। নতুন ঋণ নিয়ে পুরনো ঋণ পরিশোধ করতে হচ্ছে। ঋণের দুষ্ট চক্রে আটকে গেছে সরকার। তিনি মনে করেন, বিদ্যুৎ খাতের লুটপাট বন্ধে দায়মুক্তি আইন বাতিল করতে হবে। এ আইনের আওতায় যতগুলো চুক্তি হয়েছে তা পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে। যেসব ধারা দেশ ও জনগণের বিপেক্ষ রয়েছে সেগুলো বাতিল করতে হবে। আর এ আইনের আওতায় যেসব প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে সেগুলো আর নবায়ন করা যাবে না। তিনি বলেন, সামনে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত নিয়ে যতগুলো চুক্তি হবে তা উম্মুক্ত প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে করতে হবে, যাতে কেউ কোনো প্রশ্ন করতে না পারে।

যুগান্তর:

জুলাই-আগস্টের গণহত্যায় বিএনপির ৪২২ জন নিহত
নির্বাচনসংক্রান্ত সংস্কার শেষে ভোট দিতে ২ মাসের বেশি সময় লাগার কথা নয় * ফ্যাসিবাদের দোসরদের ইঙ্গিতে শিল্পাঞ্চলগুলোতে চলমান অস্থিরতা
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জুলাই-আগস্টের গণহত্যায় বিএনপির ৪২২ জন নিহত হয়েছেন। দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল হিসাবে, গণআকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়ে গণঅভ্যুত্থানে সর্বশক্তি দিয়ে রাজপথে নেমে আসে বিএনপি এবং এর সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন। আন্দোলনের কৃতিত্ব নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল নয়, বিএনপির উদ্দেশ্য ছিল সর্বস্তরের নেতাকর্মী-সমর্থকদের অংশগ্রহণে, গণঅভ্যুত্থানে সাংগঠনিকভাবে সর্বোচ্চ ভূমিকা রেখে, ফ্যাসিবাদের পতনের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা। আর তাই, বিএনপির যে ৬০ লাখ সদস্যের নামে ফ্যাসিবাদের সময় মিথ্যা মামলা হয়েছে, তার সুবিশাল অংশ সাধারণ মানুষের পাশে থেকে, রাষ্ট্রযন্ত্রের ষড়যন্ত্র ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে ঢাল হয়ে রুখে দাঁড়ান। ফলে যার-যার অবস্থান থেকে জনগণের কাতারে নেমে আসে বিএনপি ও সমমনা সব রাজনৈতিক দল, তথা গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তিগুলো। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার সংস্কারে হাত দিয়েছে। আমরা মনে করি নির্বাচনসংক্রান্ত সংস্কার শেষে ভোট দিতে ২ মাসের বেশি সময় লাগার কথা নয়।

রোববার দুপুরে বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে ‘গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের পথযাত্রায় বিএনপির ভূমিকা, অবদান এবং প্রত্যাশা’র বিষয়গুলো তুলে ধরতে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

মানবজমিন:

জাহিদ মালেক পরিবারের ৬০০০ শতাংশ জমির খোঁজ
জাহিদ মালেক স্বপন। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চারবার সংসদ সদস্য। এরমধ্যে এক মেয়াদে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী অন্যবার মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে হাতিয়েছেন হাজার কোটি টাকা। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে জাহিদ মালেক ও তার ছেলে-মেয়েদের নামে থাকা বিপুল সম্পদের তথ্য। এক মানিকগঞ্জেই এই পরিবারের নামে থাকা ৬ হাজার ৫৩ শতাংশ জমির তথ্য পেয়েছে সংস্থাটি। সম্প্রতি জেলার সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে জাহিদ মালেক ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা সম্পদের তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছিল দুদক। সেই চিঠির জবাবে তাদের নামে ছয় হাজার ৫৩ শতাংশ জমির পরিমাণ উল্লেখ করা হয়। দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র মানবজমিনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
দুদক সূত্র জানায়, মানিকগঞ্জ জেলার বিভিন্ন মৌজায় কেনা এসব জমির মধ্যে জাহিদ মালেকের নামেই রয়েছে ২ হাজার ১৯৩.০৫৩ শতাংশ। তার ছেলে রাহাত মালেকের নামে ১ হাজার ৭৪২.০১৬ শতাংশ এবং ২ হাজার ১১৮.৭৮ শতাংশ জমি কেনা হয়েছে মেয়ে সিনথিয়া মালেকের নামে। বিপুল পরিমাণ এই জমির বাজার মূল্যও টাকার অঙ্কে হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করছেন দুদকের অনুসন্ধান সংশ্লিষ্টরা। তবে জমির দলিল মূল্যে দাম অনেক কম দেখানো হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুদকের এক কর্মকর্তা মানবজমিনকে বলেন, আমরা সবে অনুসন্ধানটা শুরু করেছি। সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বিপুল সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ রয়েছে আমাদের কাছে। এসব অভিযোগের অংশ হিসেবে মানিকগঞ্জে জাহিদ মালেক ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা সম্পদের তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছিলাম। সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয় থেকে দেয়া তথ্য অনুযায়ী সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এই জমিগুলোর তথ্য এসেছে।

দুদকের এই কর্মকর্তা আরও জানান, মানিকগঞ্জের জমি ছাড়াও ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি, ফ্ল্যাট থাকার তথ্য রয়েছে। এসব সম্পদের বিষয়েও ইতিমধ্যে খোঁজ নেয়া শুরু হয়ে গেছে। দুদক সূত্র জানায়, মানিকগঞ্জে জাহিদ মালেক ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে যে ছয় হাজার শতক জমি ছেলে রাহাত মালেকের নামে ৯১টি দলিল, মেয়ে সিনথিয়ার নামে ২২টি এবং জাহিদ মালেকের নামে রয়েছে ৪৬টি দলিল।

বনিকবার্তা:

১৫০ কোটি ডলার দেবে এডিবি, বিশ্বব্যাংক ১০০ ও যুক্তরাষ্ট্র ২০ কোটি
বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ২৭০ কোটি ডলারের আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি পেয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ব্যাংক ও আর্থিক খাত সংস্কারে ২৫০ কোটি ডলার দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক ও এডিবি। ২৫০ কোটির মধ্যে এডিবি দেবে ১৫০ কোটি; বাকিটা দেবে বিশ্বব্যাংক। অন্যদিকে স্বাস্থ্য, সুশাসন ও অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র দেবে ২০ কোটি ডলার। ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার দুই মাস না পেরোতেই এ প্রতিশ্রুতি মিলল। আর তিনটি প্রতিশ্রুতির ঘোষণাই আসে গতকাল।বিশ্বব্যাংকের কাছে ১০০ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা চেয়ে ১২ সেপ্টেম্বর চিঠি দেয় বাংলাদেশ সরকার। দুই কিস্তিতে ৫০ কোটি ডলার করে এ অর্থ চেয়েছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা গতকাল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বাংলাদেশকে ১০০ কোটি বা ১ বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক। এর মধ্যে পলিসি বেসড ঋণ হিসেবে ৭৫ কোটি ডলার ও ইনভেস্টমেন্ট ঋণ হিসেবে ২৫ কোটি ডলার পাওয়া যাবে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বিশ্বব্যাংকের বোর্ডে এ ঋণ অনুমোদন হওয়ার কথা রয়েছে। তবে ঋণ পেতে তিনটি শর্ত পালন করতে হবে বাংলাদেশকে।’

কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, বেসরকারি খাতে অ্যাসেস ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি করা, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে খেলাপি ঋণের নতুন সংজ্ঞায়ন করা এবং নতুন গঠিত টাস্কফোর্সের অডিট ফার্মের কার্যবিবরণী বিশ্বব্যাংকে উপস্থাপন করার শর্ত মানতে হবে বাংলাদেশকে।

কালবেলা:

গ্রেপ্তার সাবেক দুই ডজন মন্ত্রী-এমপি
দীর্ঘ দেড় দশকের বেশি সময় ক্ষমতায় থাকা দেশের ঐতিহ্যবাহী ও প্রাচীন দল আওয়ামী লীগের শীর্ষ থেকে তৃণমূলের নেতা, মন্ত্রী, উপদেষ্টা ও এমপি এখন গ্রেপ্তার ও মামলা আতঙ্কে ভুগছেন। গ্রেপ্তার এড়াতে কেউ দেশে নিরাপদ আশ্রয়ে, কেউ বা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বিদেশে অবস্থান করছেন। এরই মধ্যে অন্তত দুই ডজন মন্ত্রী-এমপি, দলের শীর্ষ নেতা হয়েছেন গ্রেপ্তার, রিমান্ড শেষে অনেকে কারাগারে দিনাতিপাত করছেন। যারা দেশত্যাগ করতে পারেননি, তারা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন দেশের বিভিন্ন স্থানে। এই তালিকায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা যেমন আছেন, তেমনি আছেন সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারাও।

জানা গেছে, গণহারে হত্যা মামলায় বাদ পড়ছেন না কেউ। শঙ্কা জেগেছে আইনি লড়াইয়ের মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনের। যাদের নামে এখনো মামলা হয়নি, তাদের কাছে অজ্ঞাতনামা আসামি যেন আতঙ্কের নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে। হুমকি পেয়ে কেউ কেউ অর্থের বিনিময়ে মামলা থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন। আপসরফা না হলেই নেমে আসছে হত্যা মামলার মতো খড়্গ। অনেকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বসতবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভাঙচুরের শিকার বেশিরভাগই। আত্মগোপনে থাকায় অনেকে চাকরিস্থল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যেতে না পারায় অর্থকষ্টে আছেন পরিবারের সদস্যরা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশত্যাগ করেন। বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে ছোট বোন শেখ রেহানাসহ ভারতে যান। অবসান ঘটে আওয়ামী লীগের টানা চারবারের শাসনামলের। দায়িত্ব নেয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এর পর থেকে দ্রুত দৃশ্যপট পাল্টে যেতে থাকে। আওয়ামী লীগের নেতা, মন্ত্রী ও এমপিরা গা-ঢাকা দিতে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান, অনেকে দেশত্যাগ করেন। গ্রেপ্তার হতে শুরু করেন আওয়ামী লীগের নেতা, আলোচিত মন্ত্রী ও এমপি। এরই মধ্যে দেশজুড়ে শুরু হয় গণহারে হত্যা মামলা দায়ের, আসামির সংখ্যায় উল্লেখ করা হয় শত শত আওয়ামী লীগের অনুসারীর নাম, অজ্ঞাত রাখা হয় হাজার হাজার। একের পর এক এসব মামলায় আসামির তালিকায় আসতে থাকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা, তার ছোট বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানসহ শীর্ষ প্রায় সব নেতা ও এমপি-মন্ত্রীর নাম।