ঢাকা ১২:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিরপুরে ‘স্বৈরাচারের চল্লিশা’ পালন

  • লিমন হোসেন
  • আপডেট সময় ১১:২৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 65

বাঙালি মুসলিমের একটি বহুল পরিচিত ঐতিহ্য হচ্ছে কেউ মারা গেলে চল্লিশতম দিনে দোয়ার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, যেখানে থাকে খাবারও এটিকে “চল্লিশা” বলা হয়। রীতি অনুযায়ী এটা প্রায় সবখানেই পালন করা হয়।

চল্লিশা মূলত শোক পালনের উদ্দেশে পালন করা হলেও এবার ব্যতিক্রম ভাবে ‘চল্লিশা’ উদযাপন করল মিরপুরবাসী। তবে এটা কোনো মৃত ব্যক্তির জন্য নয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী হাসিনার পতনের চল্লিশ দিন উপলক্ষ্যে এই চল্লিশার আয়োজন করা হয়।

যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্বৈরাচারের চল্লিশা’।

গত কাল শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বরে আজমল হাসপাতালের গলিতে এই চল্লিশার আয়োজন করে মিরপুরবাসী।

স্বৈরাচারের চল্লিশা উপলক্ষে গরু জবাই ও বিরিয়ানী রান্না করা হয়। একই সঙ্গে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। পরে এলাকাবাসীসহ সকলের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।

চল্লিশার আয়োজক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, আন্দোলনে এলাকাবাসীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল, বিশেষ করে আজমল হাসপাতালের এই গলিতে সাধারণ জনগণের অংশগ্রহণে এই এলাকা হয়ে ওঠে এক অভেদ্য দূর্গ ও আন্দোলনকারীদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল। তাই আজ স্বৈরাচার পতনের চল্লিশ তম দিনে আমরা বাঙালি মুসলিমের ঐতিহ্য অনুযায়ী চল্লিশা পালনের মাধ্যমে এলাকাবাসীর অবদানের কৃতজ্ঞতা স্বরূপ তাদের আপ্যায়নের একটা চেষ্টা করলাম।
এ সময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী আজমেরি হক বাঁধন। আরো উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পরিচিত মুখ মো. নাহী, মাসুদুর রহমান, ফারদিন হাসানসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাধারণ শিক্ষার্থী, শ্রমিক, দিনমজুর ও এলকাবাসী।

প্রঙ্গসত, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অভেদ্য দুর্গ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিল রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বর। শুধু মিরপুরেই পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গুলিতে ছাত্র-জনতাসহ নানা শ্রেণি-পেশার শতাধিক নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। ছাত্র-জনতার সফল গণঅভ্যুত্থানের ফলে গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে চলে গেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর গঠন হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

গণতন্ত্রের জন্য অনৈক্যই মূল চ্যালেঞ্জ : আইন উপদেষ্টা

মিরপুরে ‘স্বৈরাচারের চল্লিশা’ পালন

আপডেট সময় ১১:২৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বাঙালি মুসলিমের একটি বহুল পরিচিত ঐতিহ্য হচ্ছে কেউ মারা গেলে চল্লিশতম দিনে দোয়ার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, যেখানে থাকে খাবারও এটিকে “চল্লিশা” বলা হয়। রীতি অনুযায়ী এটা প্রায় সবখানেই পালন করা হয়।

চল্লিশা মূলত শোক পালনের উদ্দেশে পালন করা হলেও এবার ব্যতিক্রম ভাবে ‘চল্লিশা’ উদযাপন করল মিরপুরবাসী। তবে এটা কোনো মৃত ব্যক্তির জন্য নয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী হাসিনার পতনের চল্লিশ দিন উপলক্ষ্যে এই চল্লিশার আয়োজন করা হয়।

যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্বৈরাচারের চল্লিশা’।

গত কাল শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বরে আজমল হাসপাতালের গলিতে এই চল্লিশার আয়োজন করে মিরপুরবাসী।

স্বৈরাচারের চল্লিশা উপলক্ষে গরু জবাই ও বিরিয়ানী রান্না করা হয়। একই সঙ্গে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। পরে এলাকাবাসীসহ সকলের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।

চল্লিশার আয়োজক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, আন্দোলনে এলাকাবাসীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল, বিশেষ করে আজমল হাসপাতালের এই গলিতে সাধারণ জনগণের অংশগ্রহণে এই এলাকা হয়ে ওঠে এক অভেদ্য দূর্গ ও আন্দোলনকারীদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল। তাই আজ স্বৈরাচার পতনের চল্লিশ তম দিনে আমরা বাঙালি মুসলিমের ঐতিহ্য অনুযায়ী চল্লিশা পালনের মাধ্যমে এলাকাবাসীর অবদানের কৃতজ্ঞতা স্বরূপ তাদের আপ্যায়নের একটা চেষ্টা করলাম।
এ সময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী আজমেরি হক বাঁধন। আরো উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পরিচিত মুখ মো. নাহী, মাসুদুর রহমান, ফারদিন হাসানসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাধারণ শিক্ষার্থী, শ্রমিক, দিনমজুর ও এলকাবাসী।

প্রঙ্গসত, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অভেদ্য দুর্গ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিল রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বর। শুধু মিরপুরেই পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গুলিতে ছাত্র-জনতাসহ নানা শ্রেণি-পেশার শতাধিক নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। ছাত্র-জনতার সফল গণঅভ্যুত্থানের ফলে গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে চলে গেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর গঠন হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।