ঢাকা ০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ইসরায়েলের পার্লামেন্টে ভাষণ দিতে গিয়ে বাধার মুখে ট্রাম্প Logo জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগে ১৬ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার Logo এবার শাপলা প্রতীকের আরেক দাবিদারের আবেদন ইসিতে Logo ব্রাজিলের হয়ে বিশ্বকাপে ইতিহাস গড়তে প্রস্তুত আনচেলত্তি Logo শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আশ্বাসে ৭ কলেজের আন্দোলন স্থগিত Logo স্বর্নের দামে নতুন রেকর্ড, ভরি ২১৩৭১৯ টাকা Logo ‘পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে চাঁদাবাজ, দখলবাজ ও দুর্নীতিবাজদের জায়গা থাকবে না’ Logo ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব গড়তে প্রধান উপদেষ্টার ৬ প্রস্তাবনা Logo বাড়ল সয়াবিন তেলের দাম Logo পুলিশ ফ্যাসিবাদী কায়দায় শিক্ষকদের ওপর হামলা করেছে-সাদিক কায়েম

টানা ভারী বর্ষণে ফের বন্যার কবলে নোয়াখালী, আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে মানুষ

টানা ভারী বর্ষণে ফের ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ছে নোয়াখালী জেলা। গত কয়েকদিনে পানি কমলেও এক রাতের বৃষ্টিতে আবার বাড়তে শুরু করেছে বন্যার পানি। এতে আতঙ্ক বাড়ছে পানিবন্দি ও বানভাসীদের। ফলে ফের আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে মানুষ।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে সরেজমিনে নোয়াখালীর বিভিন্ন উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, নিম্নাঞ্চলগুলো ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে প্লাবিত হয়েছে। ডুবে আছে বসতঘর ও সড়ক। বসতঘরে পানি ওঠায় অনেকেই ছুটছেন আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে।

জেলা আবহাওয়া অফিস বলছে, শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ১১১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

জেলা প্রশাসকের তথ্য মতে, নোয়াখালীর ৮ উপজেলার ৮৭ ইউনিয়নের প্রায় ১১ লাখ ৫৫ হাজার ৩০০ মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছেন। ৩৩৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন ৩৫ হাজার মানুষ।

সদর উপজেলার দরবেশপুর গ্রামের বিবি রহিমা বলেন, বন্যার পানি আবার বাড়ছে। মানুষ জিনিসপত্র গুছিয়ে নিচ্ছে। গত বন্যায় আমার প্রায় ৪০ একরের ঘেরের এক কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে। এছাড়া খামার ও সবজির প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। সব শেষ এখন আর কিছুই বলার নাই।

জেলা আবহাওয়া কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার দিনে তেমন বৃষ্টি হয়নি। কেবল রাতে হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হচ্ছে। আবার কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হচ্ছে। শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ১১১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বর্তমানে সমুদ্রে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত চলছে।

নোয়াখালীর নবাগত জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, ফের নোয়াখালী জেলা বন্যার কবলে পড়ছে। আমরা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্গম এলাকায় যোগাযোগ রাখছি। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। মানুষজন আশ্রয়কেন্দ্রে আসছেন। বৃষ্টি না হলে আমাদের বন্যা পরিস্থিতি আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হবে বলে আমরা আশা করছি।

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসরায়েলের পার্লামেন্টে ভাষণ দিতে গিয়ে বাধার মুখে ট্রাম্প

টানা ভারী বর্ষণে ফের বন্যার কবলে নোয়াখালী, আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে মানুষ

আপডেট সময় ০১:০৩:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

টানা ভারী বর্ষণে ফের ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ছে নোয়াখালী জেলা। গত কয়েকদিনে পানি কমলেও এক রাতের বৃষ্টিতে আবার বাড়তে শুরু করেছে বন্যার পানি। এতে আতঙ্ক বাড়ছে পানিবন্দি ও বানভাসীদের। ফলে ফের আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে মানুষ।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে সরেজমিনে নোয়াখালীর বিভিন্ন উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, নিম্নাঞ্চলগুলো ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে প্লাবিত হয়েছে। ডুবে আছে বসতঘর ও সড়ক। বসতঘরে পানি ওঠায় অনেকেই ছুটছেন আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে।

জেলা আবহাওয়া অফিস বলছে, শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ১১১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

জেলা প্রশাসকের তথ্য মতে, নোয়াখালীর ৮ উপজেলার ৮৭ ইউনিয়নের প্রায় ১১ লাখ ৫৫ হাজার ৩০০ মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছেন। ৩৩৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন ৩৫ হাজার মানুষ।

সদর উপজেলার দরবেশপুর গ্রামের বিবি রহিমা বলেন, বন্যার পানি আবার বাড়ছে। মানুষ জিনিসপত্র গুছিয়ে নিচ্ছে। গত বন্যায় আমার প্রায় ৪০ একরের ঘেরের এক কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে। এছাড়া খামার ও সবজির প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। সব শেষ এখন আর কিছুই বলার নাই।

জেলা আবহাওয়া কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার দিনে তেমন বৃষ্টি হয়নি। কেবল রাতে হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হচ্ছে। আবার কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হচ্ছে। শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ১১১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বর্তমানে সমুদ্রে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত চলছে।

নোয়াখালীর নবাগত জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, ফের নোয়াখালী জেলা বন্যার কবলে পড়ছে। আমরা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্গম এলাকায় যোগাযোগ রাখছি। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। মানুষজন আশ্রয়কেন্দ্রে আসছেন। বৃষ্টি না হলে আমাদের বন্যা পরিস্থিতি আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হবে বলে আমরা আশা করছি।