ঢাকা ০৪:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গডফাদাররা ধরাছোঁয়ার বাইরে

বাংলাদেশকে ফিনল্যান্ড বানাতে চেয়েছিলেন যারা

  • লিমন হোসেন
  • আপডেট সময় ০৮:০৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 75

আজকের প্রত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান খবর:
বনিক বর্তা:

বাংলাদেশকে ফিনল্যান্ড বানাতে চেয়েছিলেন যারা!

জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১: প্রাক-প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণী
স্ক্যান্ডিনেভীয় দেশ ফিনল্যান্ড। এখানে প্রাথমিক থেকে শুরু করে উচ্চ শিক্ষা পর্যন্ত প্রতিটি পর্যায়েই শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রমটি পুরোপুরি মেধাভিত্তিক ও উচ্চ পর্যায়ের প্রশিক্ষণনির্ভর। শিক্ষকদের বেতনও অনেক বেশি। ফিনল্যান্ডের শিক্ষা ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সেখানে স্থানীয় মুদ্রায় নিম্ন মাধ্যমিক স্তরের একজন শিক্ষকের সর্বনিম্ন মাসিক বেতন প্রায় ৩ হাজার ৩১৮ ডলারের সমপরিমাণ, যা বাংলাদেশে সমপর্যায়ের একজন শিক্ষকের বেতনের তুলনায় প্রায় ২৮ গুণ। অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও অনেক বেশি। এ কারণে দেশটির সবচেয়ে মেধাবীদের শিক্ষকতা পেশায়ই আগ্রহ দেখা যায় সবচেয়ে বেশি।

বাংলাদেশেও ‘ফিনল্যান্ডের আদলে একই ধরনের শিক্ষাক্রম’ চালুর উদ্যোগ নিয়েছিল বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। যদিও এ শিক্ষাক্রমকে কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের পূর্বশর্তগুলো উপেক্ষিতই থেকে যায়। নতুন শিক্ষাক্রমের জন্য প্রণীত পাঠ্যপুস্তক নিয়েও ছিল মানহীনতার অভিযোগ। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণে প্রচুর অর্থ ব্যয় হলেও এর মান নিয়েও প্রশ্ন ছিল শুরু থেকেই। অন্যান্য প্রক্রিয়া শেষে এ শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয় গত বছর। সে সময় নতুন শিক্ষাক্রম ও এর জন্য প্রণীত পাঠ্যপুস্তক নিয়ে প্রশ্ন তুলতে থাকেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। অভিযোগ ওঠে, এ শিক্ষাক্রম তৈরি করতে গিয়ে দেশের বাস্তব প্রেক্ষাপটকে বিবেচনায় নেয়া হয়নি। আবার নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিকে বইয়ের কনটেন্টও ছিল নিম্নমানের। যদিও তৎকালীন সরকারের দাবি ছিল, নতুন এ শিক্ষাক্রম তৈরি হয়েছে ফিনল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, জাপানসহ বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর শিক্ষাব্যবস্থার আদলে। নতুন শিক্ষাক্রম তৈরি এবং এর জন্য পাঠ্যপুস্তক গ্রন্থনার সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থাগুলোর উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের পাশাপাশি শিক্ষাবিদরাও জড়িত ছিলেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনের তথ্য অনুযায়ী, জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটির সদস্য শিক্ষাবিদদের মধ্যে ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. অমল কৃষ্ণ হালদার, রোবোটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. লতিফা জামান, মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মেহতাব খানম, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) অধ্যাপক ড. এম তারিক আহসান, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ইকবাল রউফ মামুন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আবুল মোমেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ প্রমুখ। এছাড়া পদাধিকারবলে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান বা সদস্যদেরও এ কমিটিতে রাখা হয়।

কালের কন্ঠ:

গডফাদাররা ধরাছোঁয়ার বাইরে
সোনা চোরাচালান মামলার তদন্ত ও বিচার কার্যক্রম চলছে ধীরগতিতে। ত্রুটিপূর্ণ এজাহার, জব্দ তালিকায় গরমিল, উল্টো সাক্ষ্য দেওয়া, উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশসহ নানা কারণে মামলার তদন্ত ও বিচার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। আর বিচারের এই দীর্ঘসূত্রতার সুযোগে বেশির ভাগ আসামিই জামিনে মুক্তি পাচ্ছেন। ফলে জড়িতদের কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থার আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে না।

বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই গডফাদাররা থাকছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। চোরাকারবারিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ায় প্রতিনিয়তই চোরাচালানের ঘটনা ঘটছে।
কালের কণ্ঠ’র অনুসন্ধানে জানা গেছে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গত এক দশকে চোরাচালানের বিপুল সোনা আটক করেছে ঢাকা কাস্টম হাউস। তবে এসব ঘটনায় থানায় হওয়া মামলাগুলোর প্রায় আসামিই জামিন পেয়েছেন।
ঢাকা কাস্টম হাউস গত ১০ বছরে চোরাকারবারিদের হাতেনাতে আটক করে থানায় সোপর্দ করে। বড় চালানের দিক থেকে এ সময় অন্তত ৪৬টি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০ মামলায় আসামিরা কারাগারে আছেন। বাকি ৩৫টি মামলায় আসামিরা জামিনে আছেন।

নায়দিগন্ত:

খাদ্যনিরাপত্তা নিয়ে বড় চ্যালেঞ্জের আশঙ্কা
– আগেই বন্ধ হয়েছে আরো তিনটি চালু থাকল শুধু ঘোড়াশাল
– ডিসেম্বর পর্যন্ত আছে সারের মজুদ। বোরো ও সরিষা মৌসুম নিয়ে শঙ্কা
অন্তর্বর্তী সরকার কি খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে বড় চ্যালেঞ্জে পড়তে যাচ্ছে? একের পর এক সারকারখানা বন্ধ, ডলার সঙ্কটে সার আমদানির জন্য এলসি খুলতে না পারায় এমন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কৃষিসংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে সারের যে মজুদ রয়েছে তা আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। এই সার দিয়ে চলমান আমন, আউশসহ অন্যান্য ফসল ঘরে তুলতে পারবেন কৃষক। কিন্তু ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া দেশের সবচেয়ে বড় রবি মৌসুমে সারের সঙ্কট দেখা দিতে পারে। সে সময় সারের চাহিদা থাকে বেশি। সেই চাহিদা মেটাতে জরুরি ভিত্তিতে ইউরিয়া ও নন ইউরিয়া সার আমদানি করতে হবে। কিন্তু পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের আমলে যে লুটপাট হয়েছে তাতে দেশের অর্থনীতি ভঙ্গুর অবস্থায়। পাচার হয়েছে অন্তত ১৮ লাখ কোটি টাকা। রিজার্ভ ঘাটতির কারণে ডলার সঙ্কটে ব্যাংকগুলো এলসি খুলতে পারছে না। এতে কয়েক মাস ধরে বন্ধ আছে সার আমদানি।

 

এ আশঙ্কার মধ্যেই গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎই বন্ধ হয়ে যায় সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের হজরত শাহজালাল সারকারখানার উৎপাদন কার্যক্রম। এ অবস্থায় আগামী বোরো ও সরিষা মৌসুম নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে খাত সংশ্লিষ্টদের। তারা বলছেন, এমনিতেই চলমান বন্যায় এবার আউশ ও আমন মিলে প্রায় সাত-আট লাখ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন কম হবে। এ ঘাটতি মেটানোর লক্ষ্যে আগামী বোরো মৌসুমকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছিল; কিন্তু এলসি সমস্যার সমাধান না হওয়া এবং ফেঞ্চুগঞ্জ সারকারখানার উৎপাদন বন্ধ হয়ে পড়ায় দেশের খাদ্যনিরাপত্তা নিয়ে হুমকি দেখা দিয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সামনে যতগুলো সমস্যা রয়েছে তার মধ্যে খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।

কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম নয়া দিগন্তকে বলেন, যদি সময় মতো সার আমদানি করা না যায়, দেশে উৎপাদন বাড়ানো না যায়, তাহলে কৃষি উৎপাদনে বড় সমস্যা হবে। দেশের খাদ্যনিররাপত্তা হুমকিতে পড়বে

যুগান্তর:

ভল্টের টাকায় অবৈধ বাণিজ্য
রাজধানীর উত্তরার তরুণ ব্যবসায়ী সুজা উদ্দিন। হঠাৎ তার ব্যবসায় পুঁজির সংকট দেখা দেয়। এক আত্মীয়ের মাধ্যমে মেলে ঝটপট সমাধান। দৃশ্যপটে আসেন সোনালী ব্যাংক হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কাস্টম হাউজ শাখার এক কর্মকর্তা।

তিনি ব্যাংকের সুরক্ষিত ভল্ট থেকে অতিগোপনে বেআইনিভাবে ৫৫ লাখ টাকা বের করে তুলে দেন সুজার হাতে। শর্ত-এক মাস পর সুদ-আসল মিলিয়ে ৭০ লাখ টাকা ফেরত দিতে হবে। কোনো উপায় না থাকায় ভবিষ্যৎ চিন্তা না করেই অস্বাভাবিক চড়া সুদে এই টাকা নেন সুজা। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে টাকা ফেরত দিতে না পারায় তাকে নানাভাবে হয়রানির কবলে পড়তে হয়। ফলে ফাঁস করে দেন সোনালী ব্যাংক হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কাস্টম হাউজ শাখায় কর্মরত অসৎ কর্তাদের ভল্টের টাকায় অবৈধ বাণিজ্যের তথ্য।

অভিযোগ আছে-শুধু সোনালী ব্যাংকের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কাস্টম হাউজ শাখায় নয়, অসৎ কর্মকর্তাদের ভয়ংকর সিন্ডিকেট আছে বিভিন্ন ব্যাংকের শাখায়। তারা দীর্ঘদিন ধরেই বেআইনিভাবে ভল্টের টাকায় জমজমাট কারবার চালিয়ে আসছে। একাধিক ব্যাংকে এমন জালিয়াতি ও ভল্টের টাকা উধাও হওয়ার ঘটনার তদন্ত চলছে। একটি ঘটনায় মামলাও করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরপরও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর মনিটরিংয়ের অভাবে অবৈধ এ কারবার বন্ধ করা যাচ্ছে না। যুগান্তরের অনুসন্ধানে উল্লিখিত তথ্য পাওয়া গেছে

দৈনিক সংগ্রাম:

নতুন বাংলাদেশ গড়তে অন্তর্বর্তী সরকারকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে জামায়াত 
গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম নগরীর সাফা আর্কেডে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম জোনের উদ্যোগে আয়োজিত দায়িত্বশীল সমাবেশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, নতুন বাংলাদেশ গড়তে অন্তর্বর্তী সরকারকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে জামায়াত।

কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর আমীর সাবেক এমপি আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরার সদস্য অধ্যাপক আহছানুল্লাহ ভুঁইয়া, মুহাম্মদ জাফর সাদেক, অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আমিরুজ্জামান, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আমীর অধ্যাপক নুরুল আমিন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আমীর আনোয়ারুল আলম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরার সদস্য মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন প্রমুখ।

অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, আল্লাহ তায়ালা মজলুম সংগঠন জামায়াতে ইসলামীসহ গোটা দেশের প্রতি গত ৫ আগস্ট করুণা করেছেন। দেশের সমস্ত রাজনৈতিক দল, সংগঠন, পেশাজীবী, ওলামায়ে কেরাম, সুশীল সমাজসহ সকল শ্রেণি পেশার ওপর গত সাড়ে ১৫ বছরের যে অত্যাচার ও নির্যাতন, সেইসব থেকে আল্লাহ তায়ালা সকলকে মুক্তি দিয়েছেন, আমাদের বুকের ওপরে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী শাসকের জগদ্দল পাথর সরে গিয়ে একটি নতুন বাংলাদেশ আমরা উপহার পেয়েছি। এই ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের অবসানের জন্য কোটি কোটি মানুষ যে সংগ্রাম ও আত্মত্যাগ করেছে, রক্ত ঝরিয়েছে তা বাংলার ইতিহাসে আজীবন লেখা থাকবে।

প্রথম আলো:

দুই ম্যুরালে ব্যয় ১১৭ কোটি টাকা

পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে দুটি ম্যুরাল ও ম্যুরালের জন্য কিছু স্থাপনা নির্মাণেই ১১৭ কোটি টাকা ব্যয় করেছে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। ম্যুরাল নির্মাতা ও স্থপতিরা বলছেন, এত টাকা ব্যয় একেবারেই অস্বাভাবিক।

পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই ম্যুরাল নির্মাণের জন্য কোনো দরপত্র ডাকা হয়নি। অন্যতম ঠিকাদার ছিল রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে বালিশ-কাণ্ডে বিতর্কিত মজিদ সন্স কনস্ট্রাকশন লিমিটেড।

শুধু ম্যুরাল নির্মাণ নয়, অস্বাভাবিক ব্যয় করা হয়েছে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও। সেখানে ব্যয় করা হয়েছে ৮৯ কোটি টাকা। এ ক্ষেত্রেও উন্মুক্ত দরপত্র নয়, ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে নিজেদের পছন্দমতো। পদ্মা সেতু প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগ করা হলে ম্যুরাল দুটি নির্মাণে ৫০ কোটি টাকাও লাগত না। ম্যুরালে ব্যবহার করা নির্মাণসামগ্রীর দু-তিন গুণ দাম ধরে ঠিকাদার বিল তুলে নিয়েছেন।

২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে তড়িঘড়ি করে দুই প্রান্তে ম্যুরাল নির্মাণ করা হয়। ম্যুরাল সেতুটির প্রকল্প প্রস্তাবে অন্তর্ভুক্ত ছিল না। ম্যুরাল ও সংশ্লিষ্ট স্থাপনার নাম দেওয়া হয়েছিল ইনোগ্রেশন বা উদ্বোধনী কমপ্লেক্স।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

সরকার ব্যবসায়ী এক টিম
বিজনেস ডায়ালগে প্রধান উপদেষ্টা, পরিবেশ চান ব্যবসায়ীরা
দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সরকারের সঙ্গে একজোট হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, আমরা একযোগে নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। সরকার এবং সরকারের বাইরে যারা আছেন সবাই একজোট। এক টিম। এটা একটা কমপ্যাক্ট টিম। আপনারা সেই টিমের মেম্বার। যতটুকু সময় আমরা দায়িত্বে আছি একটা টিম হিসেবে কাজ করতে চাই। গতকাল রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ন্যাশনাল বিজনেস ডায়ালগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স, বাংলাদেশ (আইসিসিবি) এ ডায়ালগের আয়োজন করে।

আইসিসিবি সভাপতি মাহবুবুর রহমানের পক্ষে অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য দেন সংগঠনের নির্বাহী কমিটির সদস্য মীর নাসির হোসেন। আরও বক্তব্য দেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।

প্রধান উপদেষ্টা নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য সমর্থন চেয়ে ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, উৎপাদনশীলতা, সক্ষমতা ও প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াতে এক টিম হিসেবে কাজ করলে বিশ্ববাজারে কার্যকরভাবে প্রতিযোগিতা করতে পারবে বাংলাদেশ।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমার সামনে যারা বসে আছেন, আপনারা সবাই বিশ্বমানের উদ্যোক্তা। অতীতের পচনশীল দেশ থেকে বেরিয়ে এসে নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য ব্যবসায়ীদের কাছে সহায়তা চান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, যতটুকু সময় আমরা সরকারে আছি, ততটুকু সময়ই আমরা টিম হিসেবে কাজ করব। সবাই মিলে তরুণদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করব। তরুণরা যদি সুযোগ না করে দিত, তাহলে জাতিকে পচনের হাত থেকে রক্ষা করা যেত না। এজন্য আমাদের সুস্থ-সমৃদ্ধ দেশ হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের নতুনভাবে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা এটা যেন হারিয়ে না ফেলি। আর যদি হারিয়ে ফেলি তাহলে কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না। ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা চেয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সব বিষয় আমরা জানি না; কিন্তু একযোগে কাজ করলে অভিজ্ঞতা হবে। স্বল্প আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার ফলে আমাদের অনেক সুযোগসুবিধা হারাতে হবে।

যেসব ব্যবসায়ী ইউরোপ-আমেরিকায় আছে, তাদের কাছে আমাদের ফরিয়াদ আমাদের আপনারা সমর্থন দিন। তিনি বলেন, আমার এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লুৎফে সিদ্দিক ব্যবসায়ীদের কথা শুনবেন। তার মাধ্যমে আপনারা সবকিছু আমাকে জানাতে পারবেন। শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা এ অঙ্গীকার করলাম। সংস্কার শুধু সরকারের ওপর ছেড়ে না দিয়ে সবাই মিলে করার আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা। যেটা না করলে দেশের জন্য ভালো হয়, সেখান থেকে বেরিয়ে আসার আহবানও জানান তিনি। ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, যে সময়টা আমরা সরকারে থাকব শ্রমিক-মালিক-সরকার সম্পর্কটা সুন্দরভাবে গড়ে তুলব। এটা না করলে সামনে এগোনো কষ্ট হবে। আপনারা সাহস দেন, এগিয়ে আসেন সবাই মিলে আইএলও সনদে স্বাক্ষর করে ফেলব। সামাজিক ব্যবসা করতে ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সরকারের ওপর ভরসা না করে আপনাদের ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলায় বিশুদ্ধ পানি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা নিশ্চিত করতে সামাজিক ব্যবসা করুন। যেখানে আপনাদের শিল্পকারখানা সেখানেও করতে পারেন

মানবজমিন:

পোশাকশিল্পে বিশৃঙ্খলায় কারা?
আশুলিয়া, সাভার ও গাজীপুরে পোশাক কারখানাগুলোতে শ্রমিক অসন্তোষ থামছে না। সেনাসদস্য, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের যৌথ টহল সত্ত্বেও কিছু কারখানা বন্ধ রাখা হচ্ছে নিরাপত্তার অজুহাতে। পোশাক শিল্প-মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে সব পোশাক কারখানা চালু করার ঘোষণা দেয়া হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে তিন অঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষের মুখে প্রায় ২৫০টির মতো পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ও ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বড় কোনো কারণ ছাড়া এই অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টার পেছনে দেশি-বিদেশি চক্র জড়িত বলে শিল্পসংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। পোশাক খাতকে পেছনে নেয়া এবং দেশে স্থিতিশীলতা ফেরানোর উদ্যোগ বাধাগ্রস্ত করতে এমনটা করা হচ্ছে বলে তারা মনে করছেন।

এদিকে গতকাল ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে অন্তর্বর্তী সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ন্ত্রণে আসবে। তিনি বলেন, শ্রমিকদের অসন্তোষ নিয়ে প্রতিদিন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর উপদেষ্টারা বসছি। আমরা খুব গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টি দেখছি। যেসব সমস্যা আছে সেগুলো সমাধানের জন্য একটি পর্যালোচনা কমিটি শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে করে দেয়া হয়েছে। আমরা শ্রমিক ভাইদের আহ্বান জানাবো, যেকোনো অভিযোগ যেগুলো নিষ্পত্তিযোগ্য তারা শ্রম আইনের মধ্যে সমাধান করতে পারবেন-সেগুলো সেখানে দেয়ার জন্য বলেছি। আশাকরি দ্রুত সময়ের মধ্যে যে শ্রমিক অসন্তোষ আছে সেটা নিয়ন্ত্রণে আসবে। শ্রমিকদের যেসব সমস্যা আছে সেগুলোর সমাধান দিতে পারবো।

জানা গেছে, সরকার পরিবর্তনের পর শিল্পাঞ্চলগুলোতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংকট শুরু হলেও শ্রমিকদের বেশকিছু ন্যায্য দাবিও ছিল। তবে কেউ কেউ এর নেপথ্য কারণ নতুন বাংলাদেশ গঠনের সময়টাকে অস্থির করার চেষ্টা বলেও মনে করেন। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেন, এভাবে চলতে থাকলে বৈশ্বিক ক্রেতারা বাংলাদেশ থেকে তাদের কার্যাদেশ অন্য দেশে স্থানান্তর করতে পারে। এমন ঘটনা হলে মালিক-শ্রমিক উভয়ের জন্য নেতিবাচক। সামগ্রিকভাবে পোশাক শিল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা শঙ্কা দেখা দিয়েছে। মূলত পোশাক খাত নিয়ে দেশি ও বিদেশি গভীর ষড়যন্ত্র কাজ করছে। এর মধ্যে রাজনীতিও ঢুকে পড়েছে। এ সংকট দ্রুত শক্তভাবে প্রতিহত করতে না পারলে দেশের পুরো পোশাক শিল্পে বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে আসতে পারে।

কালবেলা:

রেলের ‘কালো বিড়াল’ সুজন
শেখ হাসিনার তৃতীয় মেয়াদে রেলমন্ত্রী ছিলেন নূরুল ইসলাম সুজন। ২০১৯ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি রেলকে দুর্নীতিমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে পাঁচ বছর ধরে প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে করেছেন বিপরীত কাজ। ওই সময়ে একের পর এক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। অনিয়ম, দুর্নীতি আর ক্ষমতার চরম অপব্যবহার মিলিয়ে নূরুল ইসলাম সুজন নিজেই রেলের ‘কালো বিড়াল’ হয়ে উঠেছিলেন।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, নূরুল ইসলাম সুজন দায়িত্বে থাকা অবস্থায় রেলের রাজধানী করতে চেয়েছিলেন নিজ জেলা ‘পঞ্চগড়’। করোনায় সুরক্ষা সামগ্রী কেনাকাটায় তদন্তে অভিযুক্তদের পদোন্নতি দিয়েছেন তিনি। কাছের লোকদের দিয়েছেন নানা সুবিধা। অনেক অনিয়ম, দুর্নীতি হালাল করেছেন নিজ ক্ষমতা দিয়ে। রাজনৈতিক বিবেচনায় ও ঠিকাদারদের পরামর্শে প্রকল্প গ্রহণে সায় দেওয়ার নজির অনেক।

রাজবাড়ী থেকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মাণ ও পুরোনো লাইন সংস্কারে ২ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয় করার সময় বলা হয়েছিল, এই রেললাইন দিয়ে দিনে ১৪টি ট্রেন চলাচল করবে। ২০১৮ সালের নভেম্বরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন এই রেলপথ উদ্বোধন করেন। এখন এ পথে ট্রেন চলছে মাত্র দুটি। আলোচনা আছে, মন্ত্রীর অদক্ষতা ও পরিকল্পনাহীনতার কারণেই রেলে বিপুল অর্থ ব্যয়ে প্রকল্প নির্মাণ হলেও প্রয়োজনীয় যাত্রী সুবিধা মেলেনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

দিনাজপুরে ইসলামী ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত

গডফাদাররা ধরাছোঁয়ার বাইরে

বাংলাদেশকে ফিনল্যান্ড বানাতে চেয়েছিলেন যারা

আপডেট সময় ০৮:০৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আজকের প্রত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান খবর:
বনিক বর্তা:

বাংলাদেশকে ফিনল্যান্ড বানাতে চেয়েছিলেন যারা!

জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১: প্রাক-প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণী
স্ক্যান্ডিনেভীয় দেশ ফিনল্যান্ড। এখানে প্রাথমিক থেকে শুরু করে উচ্চ শিক্ষা পর্যন্ত প্রতিটি পর্যায়েই শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রমটি পুরোপুরি মেধাভিত্তিক ও উচ্চ পর্যায়ের প্রশিক্ষণনির্ভর। শিক্ষকদের বেতনও অনেক বেশি। ফিনল্যান্ডের শিক্ষা ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সেখানে স্থানীয় মুদ্রায় নিম্ন মাধ্যমিক স্তরের একজন শিক্ষকের সর্বনিম্ন মাসিক বেতন প্রায় ৩ হাজার ৩১৮ ডলারের সমপরিমাণ, যা বাংলাদেশে সমপর্যায়ের একজন শিক্ষকের বেতনের তুলনায় প্রায় ২৮ গুণ। অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও অনেক বেশি। এ কারণে দেশটির সবচেয়ে মেধাবীদের শিক্ষকতা পেশায়ই আগ্রহ দেখা যায় সবচেয়ে বেশি।

বাংলাদেশেও ‘ফিনল্যান্ডের আদলে একই ধরনের শিক্ষাক্রম’ চালুর উদ্যোগ নিয়েছিল বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। যদিও এ শিক্ষাক্রমকে কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের পূর্বশর্তগুলো উপেক্ষিতই থেকে যায়। নতুন শিক্ষাক্রমের জন্য প্রণীত পাঠ্যপুস্তক নিয়েও ছিল মানহীনতার অভিযোগ। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণে প্রচুর অর্থ ব্যয় হলেও এর মান নিয়েও প্রশ্ন ছিল শুরু থেকেই। অন্যান্য প্রক্রিয়া শেষে এ শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয় গত বছর। সে সময় নতুন শিক্ষাক্রম ও এর জন্য প্রণীত পাঠ্যপুস্তক নিয়ে প্রশ্ন তুলতে থাকেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। অভিযোগ ওঠে, এ শিক্ষাক্রম তৈরি করতে গিয়ে দেশের বাস্তব প্রেক্ষাপটকে বিবেচনায় নেয়া হয়নি। আবার নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিকে বইয়ের কনটেন্টও ছিল নিম্নমানের। যদিও তৎকালীন সরকারের দাবি ছিল, নতুন এ শিক্ষাক্রম তৈরি হয়েছে ফিনল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, জাপানসহ বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর শিক্ষাব্যবস্থার আদলে। নতুন শিক্ষাক্রম তৈরি এবং এর জন্য পাঠ্যপুস্তক গ্রন্থনার সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থাগুলোর উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের পাশাপাশি শিক্ষাবিদরাও জড়িত ছিলেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনের তথ্য অনুযায়ী, জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটির সদস্য শিক্ষাবিদদের মধ্যে ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. অমল কৃষ্ণ হালদার, রোবোটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. লতিফা জামান, মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মেহতাব খানম, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) অধ্যাপক ড. এম তারিক আহসান, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ইকবাল রউফ মামুন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আবুল মোমেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ প্রমুখ। এছাড়া পদাধিকারবলে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান বা সদস্যদেরও এ কমিটিতে রাখা হয়।

কালের কন্ঠ:

গডফাদাররা ধরাছোঁয়ার বাইরে
সোনা চোরাচালান মামলার তদন্ত ও বিচার কার্যক্রম চলছে ধীরগতিতে। ত্রুটিপূর্ণ এজাহার, জব্দ তালিকায় গরমিল, উল্টো সাক্ষ্য দেওয়া, উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশসহ নানা কারণে মামলার তদন্ত ও বিচার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। আর বিচারের এই দীর্ঘসূত্রতার সুযোগে বেশির ভাগ আসামিই জামিনে মুক্তি পাচ্ছেন। ফলে জড়িতদের কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থার আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে না।

বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই গডফাদাররা থাকছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। চোরাকারবারিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ায় প্রতিনিয়তই চোরাচালানের ঘটনা ঘটছে।
কালের কণ্ঠ’র অনুসন্ধানে জানা গেছে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গত এক দশকে চোরাচালানের বিপুল সোনা আটক করেছে ঢাকা কাস্টম হাউস। তবে এসব ঘটনায় থানায় হওয়া মামলাগুলোর প্রায় আসামিই জামিন পেয়েছেন।
ঢাকা কাস্টম হাউস গত ১০ বছরে চোরাকারবারিদের হাতেনাতে আটক করে থানায় সোপর্দ করে। বড় চালানের দিক থেকে এ সময় অন্তত ৪৬টি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০ মামলায় আসামিরা কারাগারে আছেন। বাকি ৩৫টি মামলায় আসামিরা জামিনে আছেন।

নায়দিগন্ত:

খাদ্যনিরাপত্তা নিয়ে বড় চ্যালেঞ্জের আশঙ্কা
– আগেই বন্ধ হয়েছে আরো তিনটি চালু থাকল শুধু ঘোড়াশাল
– ডিসেম্বর পর্যন্ত আছে সারের মজুদ। বোরো ও সরিষা মৌসুম নিয়ে শঙ্কা
অন্তর্বর্তী সরকার কি খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে বড় চ্যালেঞ্জে পড়তে যাচ্ছে? একের পর এক সারকারখানা বন্ধ, ডলার সঙ্কটে সার আমদানির জন্য এলসি খুলতে না পারায় এমন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কৃষিসংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে সারের যে মজুদ রয়েছে তা আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। এই সার দিয়ে চলমান আমন, আউশসহ অন্যান্য ফসল ঘরে তুলতে পারবেন কৃষক। কিন্তু ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া দেশের সবচেয়ে বড় রবি মৌসুমে সারের সঙ্কট দেখা দিতে পারে। সে সময় সারের চাহিদা থাকে বেশি। সেই চাহিদা মেটাতে জরুরি ভিত্তিতে ইউরিয়া ও নন ইউরিয়া সার আমদানি করতে হবে। কিন্তু পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের আমলে যে লুটপাট হয়েছে তাতে দেশের অর্থনীতি ভঙ্গুর অবস্থায়। পাচার হয়েছে অন্তত ১৮ লাখ কোটি টাকা। রিজার্ভ ঘাটতির কারণে ডলার সঙ্কটে ব্যাংকগুলো এলসি খুলতে পারছে না। এতে কয়েক মাস ধরে বন্ধ আছে সার আমদানি।

 

এ আশঙ্কার মধ্যেই গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎই বন্ধ হয়ে যায় সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের হজরত শাহজালাল সারকারখানার উৎপাদন কার্যক্রম। এ অবস্থায় আগামী বোরো ও সরিষা মৌসুম নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে খাত সংশ্লিষ্টদের। তারা বলছেন, এমনিতেই চলমান বন্যায় এবার আউশ ও আমন মিলে প্রায় সাত-আট লাখ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন কম হবে। এ ঘাটতি মেটানোর লক্ষ্যে আগামী বোরো মৌসুমকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছিল; কিন্তু এলসি সমস্যার সমাধান না হওয়া এবং ফেঞ্চুগঞ্জ সারকারখানার উৎপাদন বন্ধ হয়ে পড়ায় দেশের খাদ্যনিরাপত্তা নিয়ে হুমকি দেখা দিয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সামনে যতগুলো সমস্যা রয়েছে তার মধ্যে খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।

কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম নয়া দিগন্তকে বলেন, যদি সময় মতো সার আমদানি করা না যায়, দেশে উৎপাদন বাড়ানো না যায়, তাহলে কৃষি উৎপাদনে বড় সমস্যা হবে। দেশের খাদ্যনিররাপত্তা হুমকিতে পড়বে

যুগান্তর:

ভল্টের টাকায় অবৈধ বাণিজ্য
রাজধানীর উত্তরার তরুণ ব্যবসায়ী সুজা উদ্দিন। হঠাৎ তার ব্যবসায় পুঁজির সংকট দেখা দেয়। এক আত্মীয়ের মাধ্যমে মেলে ঝটপট সমাধান। দৃশ্যপটে আসেন সোনালী ব্যাংক হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কাস্টম হাউজ শাখার এক কর্মকর্তা।

তিনি ব্যাংকের সুরক্ষিত ভল্ট থেকে অতিগোপনে বেআইনিভাবে ৫৫ লাখ টাকা বের করে তুলে দেন সুজার হাতে। শর্ত-এক মাস পর সুদ-আসল মিলিয়ে ৭০ লাখ টাকা ফেরত দিতে হবে। কোনো উপায় না থাকায় ভবিষ্যৎ চিন্তা না করেই অস্বাভাবিক চড়া সুদে এই টাকা নেন সুজা। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে টাকা ফেরত দিতে না পারায় তাকে নানাভাবে হয়রানির কবলে পড়তে হয়। ফলে ফাঁস করে দেন সোনালী ব্যাংক হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কাস্টম হাউজ শাখায় কর্মরত অসৎ কর্তাদের ভল্টের টাকায় অবৈধ বাণিজ্যের তথ্য।

অভিযোগ আছে-শুধু সোনালী ব্যাংকের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কাস্টম হাউজ শাখায় নয়, অসৎ কর্মকর্তাদের ভয়ংকর সিন্ডিকেট আছে বিভিন্ন ব্যাংকের শাখায়। তারা দীর্ঘদিন ধরেই বেআইনিভাবে ভল্টের টাকায় জমজমাট কারবার চালিয়ে আসছে। একাধিক ব্যাংকে এমন জালিয়াতি ও ভল্টের টাকা উধাও হওয়ার ঘটনার তদন্ত চলছে। একটি ঘটনায় মামলাও করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরপরও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর মনিটরিংয়ের অভাবে অবৈধ এ কারবার বন্ধ করা যাচ্ছে না। যুগান্তরের অনুসন্ধানে উল্লিখিত তথ্য পাওয়া গেছে

দৈনিক সংগ্রাম:

নতুন বাংলাদেশ গড়তে অন্তর্বর্তী সরকারকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে জামায়াত 
গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম নগরীর সাফা আর্কেডে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম জোনের উদ্যোগে আয়োজিত দায়িত্বশীল সমাবেশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, নতুন বাংলাদেশ গড়তে অন্তর্বর্তী সরকারকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে জামায়াত।

কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর আমীর সাবেক এমপি আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরার সদস্য অধ্যাপক আহছানুল্লাহ ভুঁইয়া, মুহাম্মদ জাফর সাদেক, অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আমিরুজ্জামান, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আমীর অধ্যাপক নুরুল আমিন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আমীর আনোয়ারুল আলম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরার সদস্য মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন প্রমুখ।

অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, আল্লাহ তায়ালা মজলুম সংগঠন জামায়াতে ইসলামীসহ গোটা দেশের প্রতি গত ৫ আগস্ট করুণা করেছেন। দেশের সমস্ত রাজনৈতিক দল, সংগঠন, পেশাজীবী, ওলামায়ে কেরাম, সুশীল সমাজসহ সকল শ্রেণি পেশার ওপর গত সাড়ে ১৫ বছরের যে অত্যাচার ও নির্যাতন, সেইসব থেকে আল্লাহ তায়ালা সকলকে মুক্তি দিয়েছেন, আমাদের বুকের ওপরে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী শাসকের জগদ্দল পাথর সরে গিয়ে একটি নতুন বাংলাদেশ আমরা উপহার পেয়েছি। এই ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের অবসানের জন্য কোটি কোটি মানুষ যে সংগ্রাম ও আত্মত্যাগ করেছে, রক্ত ঝরিয়েছে তা বাংলার ইতিহাসে আজীবন লেখা থাকবে।

প্রথম আলো:

দুই ম্যুরালে ব্যয় ১১৭ কোটি টাকা

পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে দুটি ম্যুরাল ও ম্যুরালের জন্য কিছু স্থাপনা নির্মাণেই ১১৭ কোটি টাকা ব্যয় করেছে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। ম্যুরাল নির্মাতা ও স্থপতিরা বলছেন, এত টাকা ব্যয় একেবারেই অস্বাভাবিক।

পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই ম্যুরাল নির্মাণের জন্য কোনো দরপত্র ডাকা হয়নি। অন্যতম ঠিকাদার ছিল রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে বালিশ-কাণ্ডে বিতর্কিত মজিদ সন্স কনস্ট্রাকশন লিমিটেড।

শুধু ম্যুরাল নির্মাণ নয়, অস্বাভাবিক ব্যয় করা হয়েছে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও। সেখানে ব্যয় করা হয়েছে ৮৯ কোটি টাকা। এ ক্ষেত্রেও উন্মুক্ত দরপত্র নয়, ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে নিজেদের পছন্দমতো। পদ্মা সেতু প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগ করা হলে ম্যুরাল দুটি নির্মাণে ৫০ কোটি টাকাও লাগত না। ম্যুরালে ব্যবহার করা নির্মাণসামগ্রীর দু-তিন গুণ দাম ধরে ঠিকাদার বিল তুলে নিয়েছেন।

২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে তড়িঘড়ি করে দুই প্রান্তে ম্যুরাল নির্মাণ করা হয়। ম্যুরাল সেতুটির প্রকল্প প্রস্তাবে অন্তর্ভুক্ত ছিল না। ম্যুরাল ও সংশ্লিষ্ট স্থাপনার নাম দেওয়া হয়েছিল ইনোগ্রেশন বা উদ্বোধনী কমপ্লেক্স।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

সরকার ব্যবসায়ী এক টিম
বিজনেস ডায়ালগে প্রধান উপদেষ্টা, পরিবেশ চান ব্যবসায়ীরা
দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সরকারের সঙ্গে একজোট হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, আমরা একযোগে নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। সরকার এবং সরকারের বাইরে যারা আছেন সবাই একজোট। এক টিম। এটা একটা কমপ্যাক্ট টিম। আপনারা সেই টিমের মেম্বার। যতটুকু সময় আমরা দায়িত্বে আছি একটা টিম হিসেবে কাজ করতে চাই। গতকাল রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ন্যাশনাল বিজনেস ডায়ালগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স, বাংলাদেশ (আইসিসিবি) এ ডায়ালগের আয়োজন করে।

আইসিসিবি সভাপতি মাহবুবুর রহমানের পক্ষে অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য দেন সংগঠনের নির্বাহী কমিটির সদস্য মীর নাসির হোসেন। আরও বক্তব্য দেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।

প্রধান উপদেষ্টা নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য সমর্থন চেয়ে ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, উৎপাদনশীলতা, সক্ষমতা ও প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াতে এক টিম হিসেবে কাজ করলে বিশ্ববাজারে কার্যকরভাবে প্রতিযোগিতা করতে পারবে বাংলাদেশ।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমার সামনে যারা বসে আছেন, আপনারা সবাই বিশ্বমানের উদ্যোক্তা। অতীতের পচনশীল দেশ থেকে বেরিয়ে এসে নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য ব্যবসায়ীদের কাছে সহায়তা চান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, যতটুকু সময় আমরা সরকারে আছি, ততটুকু সময়ই আমরা টিম হিসেবে কাজ করব। সবাই মিলে তরুণদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করব। তরুণরা যদি সুযোগ না করে দিত, তাহলে জাতিকে পচনের হাত থেকে রক্ষা করা যেত না। এজন্য আমাদের সুস্থ-সমৃদ্ধ দেশ হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের নতুনভাবে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা এটা যেন হারিয়ে না ফেলি। আর যদি হারিয়ে ফেলি তাহলে কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না। ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা চেয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সব বিষয় আমরা জানি না; কিন্তু একযোগে কাজ করলে অভিজ্ঞতা হবে। স্বল্প আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার ফলে আমাদের অনেক সুযোগসুবিধা হারাতে হবে।

যেসব ব্যবসায়ী ইউরোপ-আমেরিকায় আছে, তাদের কাছে আমাদের ফরিয়াদ আমাদের আপনারা সমর্থন দিন। তিনি বলেন, আমার এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লুৎফে সিদ্দিক ব্যবসায়ীদের কথা শুনবেন। তার মাধ্যমে আপনারা সবকিছু আমাকে জানাতে পারবেন। শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা এ অঙ্গীকার করলাম। সংস্কার শুধু সরকারের ওপর ছেড়ে না দিয়ে সবাই মিলে করার আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা। যেটা না করলে দেশের জন্য ভালো হয়, সেখান থেকে বেরিয়ে আসার আহবানও জানান তিনি। ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, যে সময়টা আমরা সরকারে থাকব শ্রমিক-মালিক-সরকার সম্পর্কটা সুন্দরভাবে গড়ে তুলব। এটা না করলে সামনে এগোনো কষ্ট হবে। আপনারা সাহস দেন, এগিয়ে আসেন সবাই মিলে আইএলও সনদে স্বাক্ষর করে ফেলব। সামাজিক ব্যবসা করতে ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সরকারের ওপর ভরসা না করে আপনাদের ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলায় বিশুদ্ধ পানি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা নিশ্চিত করতে সামাজিক ব্যবসা করুন। যেখানে আপনাদের শিল্পকারখানা সেখানেও করতে পারেন

মানবজমিন:

পোশাকশিল্পে বিশৃঙ্খলায় কারা?
আশুলিয়া, সাভার ও গাজীপুরে পোশাক কারখানাগুলোতে শ্রমিক অসন্তোষ থামছে না। সেনাসদস্য, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের যৌথ টহল সত্ত্বেও কিছু কারখানা বন্ধ রাখা হচ্ছে নিরাপত্তার অজুহাতে। পোশাক শিল্প-মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে সব পোশাক কারখানা চালু করার ঘোষণা দেয়া হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে তিন অঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষের মুখে প্রায় ২৫০টির মতো পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ও ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বড় কোনো কারণ ছাড়া এই অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টার পেছনে দেশি-বিদেশি চক্র জড়িত বলে শিল্পসংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। পোশাক খাতকে পেছনে নেয়া এবং দেশে স্থিতিশীলতা ফেরানোর উদ্যোগ বাধাগ্রস্ত করতে এমনটা করা হচ্ছে বলে তারা মনে করছেন।

এদিকে গতকাল ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে অন্তর্বর্তী সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ন্ত্রণে আসবে। তিনি বলেন, শ্রমিকদের অসন্তোষ নিয়ে প্রতিদিন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর উপদেষ্টারা বসছি। আমরা খুব গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টি দেখছি। যেসব সমস্যা আছে সেগুলো সমাধানের জন্য একটি পর্যালোচনা কমিটি শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে করে দেয়া হয়েছে। আমরা শ্রমিক ভাইদের আহ্বান জানাবো, যেকোনো অভিযোগ যেগুলো নিষ্পত্তিযোগ্য তারা শ্রম আইনের মধ্যে সমাধান করতে পারবেন-সেগুলো সেখানে দেয়ার জন্য বলেছি। আশাকরি দ্রুত সময়ের মধ্যে যে শ্রমিক অসন্তোষ আছে সেটা নিয়ন্ত্রণে আসবে। শ্রমিকদের যেসব সমস্যা আছে সেগুলোর সমাধান দিতে পারবো।

জানা গেছে, সরকার পরিবর্তনের পর শিল্পাঞ্চলগুলোতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংকট শুরু হলেও শ্রমিকদের বেশকিছু ন্যায্য দাবিও ছিল। তবে কেউ কেউ এর নেপথ্য কারণ নতুন বাংলাদেশ গঠনের সময়টাকে অস্থির করার চেষ্টা বলেও মনে করেন। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেন, এভাবে চলতে থাকলে বৈশ্বিক ক্রেতারা বাংলাদেশ থেকে তাদের কার্যাদেশ অন্য দেশে স্থানান্তর করতে পারে। এমন ঘটনা হলে মালিক-শ্রমিক উভয়ের জন্য নেতিবাচক। সামগ্রিকভাবে পোশাক শিল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা শঙ্কা দেখা দিয়েছে। মূলত পোশাক খাত নিয়ে দেশি ও বিদেশি গভীর ষড়যন্ত্র কাজ করছে। এর মধ্যে রাজনীতিও ঢুকে পড়েছে। এ সংকট দ্রুত শক্তভাবে প্রতিহত করতে না পারলে দেশের পুরো পোশাক শিল্পে বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে আসতে পারে।

কালবেলা:

রেলের ‘কালো বিড়াল’ সুজন
শেখ হাসিনার তৃতীয় মেয়াদে রেলমন্ত্রী ছিলেন নূরুল ইসলাম সুজন। ২০১৯ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি রেলকে দুর্নীতিমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে পাঁচ বছর ধরে প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে করেছেন বিপরীত কাজ। ওই সময়ে একের পর এক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। অনিয়ম, দুর্নীতি আর ক্ষমতার চরম অপব্যবহার মিলিয়ে নূরুল ইসলাম সুজন নিজেই রেলের ‘কালো বিড়াল’ হয়ে উঠেছিলেন।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, নূরুল ইসলাম সুজন দায়িত্বে থাকা অবস্থায় রেলের রাজধানী করতে চেয়েছিলেন নিজ জেলা ‘পঞ্চগড়’। করোনায় সুরক্ষা সামগ্রী কেনাকাটায় তদন্তে অভিযুক্তদের পদোন্নতি দিয়েছেন তিনি। কাছের লোকদের দিয়েছেন নানা সুবিধা। অনেক অনিয়ম, দুর্নীতি হালাল করেছেন নিজ ক্ষমতা দিয়ে। রাজনৈতিক বিবেচনায় ও ঠিকাদারদের পরামর্শে প্রকল্প গ্রহণে সায় দেওয়ার নজির অনেক।

রাজবাড়ী থেকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মাণ ও পুরোনো লাইন সংস্কারে ২ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয় করার সময় বলা হয়েছিল, এই রেললাইন দিয়ে দিনে ১৪টি ট্রেন চলাচল করবে। ২০১৮ সালের নভেম্বরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন এই রেলপথ উদ্বোধন করেন। এখন এ পথে ট্রেন চলছে মাত্র দুটি। আলোচনা আছে, মন্ত্রীর অদক্ষতা ও পরিকল্পনাহীনতার কারণেই রেলে বিপুল অর্থ ব্যয়ে প্রকল্প নির্মাণ হলেও প্রয়োজনীয় যাত্রী সুবিধা মেলেনি।