ঢাকা ১১:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo গকসু নির্বাচন: শিবির সমর্থিতদের জিএস-এজিএস পদে জয় পাওয়ায় ছাত্রদলের বিক্ষোভ Logo খালেদা জিয়াকে ১ সদস্য করে ফুলগাজীতে বিএনপির ৬ ইউনিয়নে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা Logo নোয়াখালী কলেজ ছাত্রদলের দুই নেতার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় শোকজ Logo গত ২৪ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ২২৩ কোটি ডলার Logo গাজাগামী জাহাজের বহরে হামলা, তবু থামানো যাচ্ছে না বহর Logo বগুড়ায় সিঙ্গেল ডিজিট শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিলো ছাত্রশিবির Logo স্বাস্থ্যসেবাকে অর্থ উপার্জনকারীদের হাতে ছেড়ে দেয়া উচিত নয়: প্রধান উপদেষ্টা Logo টিভিতে যে খেলা দেখবেন আজ Logo গকসু ছাত্র সংসদের ভিপি ইয়াছিন, জিএস রায়হান Logo লক্ষ্মীপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে গৃহবধুকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা, আহত ৩

আবু সাঈদ হত্যা: রিমান্ড শেষে ২ আসামি কারাগারে

  • মোশারফ হোসেন
  • আপডেট সময় ০৯:৩৩:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 268

আবু সাঈদ হত্যা: রিমান্ড শেষে ২ আসামি কারাগারে

রংপুরের আবু সাঈদ হত্যা মামলার প্রধান দুই আসামি পুলিশের এএসআই আমীর হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শুনানি শেষে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন রংপুর মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-২ এর বিচারক আসাদুজ্জামান।

চার দিনের রিমান্ডে থাকা এ দুই আসামির শারীরিক অসুস্থতার কারণে একদিন আগে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে। রিমান্ড থাকা অবস্থায় একদিন আগে স্বীকারোক্তি শেষে আসামি দুজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর আদালতের পরিদর্শক পৃথীশ কুমার সরকার।

পৃথীশ কুমার সরকার বলেন, ‘আবু সাঈদ হত্যা মামলার এএসআই আমির হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত তাদের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তবে আজ রিমান্ড শেষের একদিন আগে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। শুনেছি একজন অসুস্থ। এর বেশি কিছু জানি না।’

বাদী পক্ষের আইনজীবী রায়হানুজ্জামান বলেন, আবু সাঈদ হত্যায় এ দুই আসামি সরাসরি সম্পৃক্ত। এ হত্যার সঙ্গে জড়িত সকল আসামিকে আইনের আওতায় এনে দ্রুত শাস্তির দাবি করেন তিনি। একইসঙ্গে কারাগারে পাঠানো আসামিদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী জড়িত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও আইনের আওতায় আনার দাবি জানান এই আইনজীবী।

গত ১৬ জুলাই দুপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেটের সামনে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। এতে গুলিতে নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। এ ঘটনায় গত ১৮ আগস্ট রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাজহাট আমলি আদালতে আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী বাদী হয়ে পুলিশ কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষকসহ ১৬ জনের নামে এবং অজ্ঞাত ৩০ থেকে ৩৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

গকসু নির্বাচন: শিবির সমর্থিতদের জিএস-এজিএস পদে জয় পাওয়ায় ছাত্রদলের বিক্ষোভ

আবু সাঈদ হত্যা: রিমান্ড শেষে ২ আসামি কারাগারে

আপডেট সময় ০৯:৩৩:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রংপুরের আবু সাঈদ হত্যা মামলার প্রধান দুই আসামি পুলিশের এএসআই আমীর হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শুনানি শেষে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন রংপুর মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-২ এর বিচারক আসাদুজ্জামান।

চার দিনের রিমান্ডে থাকা এ দুই আসামির শারীরিক অসুস্থতার কারণে একদিন আগে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে। রিমান্ড থাকা অবস্থায় একদিন আগে স্বীকারোক্তি শেষে আসামি দুজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর আদালতের পরিদর্শক পৃথীশ কুমার সরকার।

পৃথীশ কুমার সরকার বলেন, ‘আবু সাঈদ হত্যা মামলার এএসআই আমির হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত তাদের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তবে আজ রিমান্ড শেষের একদিন আগে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। শুনেছি একজন অসুস্থ। এর বেশি কিছু জানি না।’

বাদী পক্ষের আইনজীবী রায়হানুজ্জামান বলেন, আবু সাঈদ হত্যায় এ দুই আসামি সরাসরি সম্পৃক্ত। এ হত্যার সঙ্গে জড়িত সকল আসামিকে আইনের আওতায় এনে দ্রুত শাস্তির দাবি করেন তিনি। একইসঙ্গে কারাগারে পাঠানো আসামিদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী জড়িত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও আইনের আওতায় আনার দাবি জানান এই আইনজীবী।

গত ১৬ জুলাই দুপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেটের সামনে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। এতে গুলিতে নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। এ ঘটনায় গত ১৮ আগস্ট রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাজহাট আমলি আদালতে আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী বাদী হয়ে পুলিশ কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষকসহ ১৬ জনের নামে এবং অজ্ঞাত ৩০ থেকে ৩৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন।