ঢাকা ০১:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোদিকে ‘ভাঁড়’ বলা মালদ্বীপের দুই মন্ত্রীর পদত্যাগ

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ০৬:২২:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 79

মোদিকে ‘ভাঁড়’ বলা মালদ্বীপের দুই মন্ত্রীর পদত্যাগ

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উদ্দেশ্য করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আক্রমণাত্মক কথা বলা এবং তাকে ‘ক্লাউন’বা ভাঁড় হিসেবে উল্লেখকারী মালদ্বীপের দুই মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। মঙ্গলবার মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুর দপ্তরে পদত্যাগপত্র জমা দেন তারা।

অব্যাহতি নেওয়া দুই মন্ত্রী হলেন মারিয়াম শিউনা ও মালশা শরিফ। পদত্যাগ পত্রে তারা বলেছেন, ব্যক্তিগত কারণে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। মালদ্বীপ সরকারের একজন কর্মকর্তা ভারতের সংবাদমাধ্যম উইয়নকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাক্ষাদ্বীপ ভ্রমণে গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ভ্রমণ শেষে ফিরে ভারত মহাসাগরের তীরে অবস্থিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই দ্বীপটির কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেন নরেন্দ্র মোদি।

তার সেসব ছবি শেয়ারের পর পরই শোরগোল পড়ে যায় মালদ্বীপের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। দেশটির সাধারণ নেটিজেনদের পাশাপাশি এতে জড়িয়ে পড়েন মালদ্বীপের কয়েক জন সরকারি কর্মকর্তা-মন্ত্রিসভার সদস্যরাও। তাদের অভিযোগ, ভারতীয় পর্যটকরা যেন মালদ্বীপের পরিবর্তে লাক্ষাদ্বীপকে নিজেদের পর্যটনগন্তব্য হিসেবে বেছে নেন— ছবির মাধ্যমে সেই বার্তাই দিয়েছেন মোদি।

তাদের অভিযোগের পাল্টা জবাব দিতে সরব হয়ে ওঠেন ভারতীয় নেটিজেনরাও। পর্যটনগন্তব্য হিসেবে মালদ্বীপকে বয়কটের ডাক দেন তারা। এক্স, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘বয়কটমালদ্বীপ’হ্যাশট্যাগে রীতিমতো সয়লাব হয়ে যায়।

এই ঘটনার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে মালদ্বীপের অর্থনীতিতে। এত দিন বিশ্বের যেসব দেশ থেকে পর্যটকরা মালদ্বীপে যেতেন, তাদের অর্ধেকই ছিলেন ভারতীয়, কিন্তু মালদ্বীপ বয়কটের ডাক দেওয়ার পর চলতি বছর থেকে দেশটিতে ভারতীয় পর্যটকের সংখ্যা ব্যাপকহারে কমে যায়। ফলে শুধুমাত্র পর্যটনখাত নির্ভর এই দেশটির অর্থনীতির মূলে আঘাত আসে।

প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর মন্ত্রিসভার তিন জন সদস্যের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মোদিকে উদ্দেশ্য করে অবমাননাকর মন্তব্য এবং তাকে ‘ক্লাউন’ বলে উল্লেখ করার অভিযোগ ওঠে। এরা হলেন মারিয়াম শিউনা, মালসা শরিফ ও মাহজুম মজিদ। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে অবমাননাকর বক্তব্যের অভিযোগে এই তিনজনকেই গত জানুয়ারি মাসে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে মারিয়াম ও মালসা মন্ত্রিসভা থেকে অব্যাহতি নিলেন মঙ্গলবার। মাহজুম মাজিদ এখনও পদত্যাগপত্র জমা দেননি।

জনপ্রিয় সংবাদ

মোদিকে ‘ভাঁড়’ বলা মালদ্বীপের দুই মন্ত্রীর পদত্যাগ

আপডেট সময় ০৬:২২:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উদ্দেশ্য করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আক্রমণাত্মক কথা বলা এবং তাকে ‘ক্লাউন’বা ভাঁড় হিসেবে উল্লেখকারী মালদ্বীপের দুই মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। মঙ্গলবার মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুর দপ্তরে পদত্যাগপত্র জমা দেন তারা।

অব্যাহতি নেওয়া দুই মন্ত্রী হলেন মারিয়াম শিউনা ও মালশা শরিফ। পদত্যাগ পত্রে তারা বলেছেন, ব্যক্তিগত কারণে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। মালদ্বীপ সরকারের একজন কর্মকর্তা ভারতের সংবাদমাধ্যম উইয়নকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাক্ষাদ্বীপ ভ্রমণে গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ভ্রমণ শেষে ফিরে ভারত মহাসাগরের তীরে অবস্থিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই দ্বীপটির কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেন নরেন্দ্র মোদি।

তার সেসব ছবি শেয়ারের পর পরই শোরগোল পড়ে যায় মালদ্বীপের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। দেশটির সাধারণ নেটিজেনদের পাশাপাশি এতে জড়িয়ে পড়েন মালদ্বীপের কয়েক জন সরকারি কর্মকর্তা-মন্ত্রিসভার সদস্যরাও। তাদের অভিযোগ, ভারতীয় পর্যটকরা যেন মালদ্বীপের পরিবর্তে লাক্ষাদ্বীপকে নিজেদের পর্যটনগন্তব্য হিসেবে বেছে নেন— ছবির মাধ্যমে সেই বার্তাই দিয়েছেন মোদি।

তাদের অভিযোগের পাল্টা জবাব দিতে সরব হয়ে ওঠেন ভারতীয় নেটিজেনরাও। পর্যটনগন্তব্য হিসেবে মালদ্বীপকে বয়কটের ডাক দেন তারা। এক্স, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘বয়কটমালদ্বীপ’হ্যাশট্যাগে রীতিমতো সয়লাব হয়ে যায়।

এই ঘটনার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে মালদ্বীপের অর্থনীতিতে। এত দিন বিশ্বের যেসব দেশ থেকে পর্যটকরা মালদ্বীপে যেতেন, তাদের অর্ধেকই ছিলেন ভারতীয়, কিন্তু মালদ্বীপ বয়কটের ডাক দেওয়ার পর চলতি বছর থেকে দেশটিতে ভারতীয় পর্যটকের সংখ্যা ব্যাপকহারে কমে যায়। ফলে শুধুমাত্র পর্যটনখাত নির্ভর এই দেশটির অর্থনীতির মূলে আঘাত আসে।

প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর মন্ত্রিসভার তিন জন সদস্যের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মোদিকে উদ্দেশ্য করে অবমাননাকর মন্তব্য এবং তাকে ‘ক্লাউন’ বলে উল্লেখ করার অভিযোগ ওঠে। এরা হলেন মারিয়াম শিউনা, মালসা শরিফ ও মাহজুম মজিদ। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে অবমাননাকর বক্তব্যের অভিযোগে এই তিনজনকেই গত জানুয়ারি মাসে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে মারিয়াম ও মালসা মন্ত্রিসভা থেকে অব্যাহতি নিলেন মঙ্গলবার। মাহজুম মাজিদ এখনও পদত্যাগপত্র জমা দেননি।