ঢাকা ১২:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫, ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আমরা হাতে ধরে গণ-অভ্যুত্থানকে মেরে ফেলছি : সামান্তা শারমিন Logo তারেক রহমানের কাছে সন্ত্রাসবাদ-চাঁদাবাজের ঠাই নেই: বিএনপি নেতা মধু Logo কমলগঞ্জে নিজ ঘর থেকে সাবেক ছাত্রদল নেতার গলা কাটা লাশ উদ্ধার Logo হাসিনা বারোটা বাজিয়েছে, এ সরকার চব্বিশটা বাজায়ে দিসে: মির্জা আব্বাস Logo প্রথমবারের মতো সরকারিভাবে টাইফয়েডের টিকা পাবে ৫ কোটি শিশু Logo কুষ্টিয়ায় জামায়াতের রোকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত Logo ডাকাতির চেষ্টায় গণপিটুনির শিকার সেই বিএনপি নেতা বহিষ্কার Logo জবির আইইআর-এ র‌্যাগিং, ১০ দিনেও উদ্যোগহীন পরিচালক; আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে ভুক্তভোগীরা Logo ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সংসদ নির্বাচন : সিইসি Logo নাটোরে মিনি স্টেডিয়াম উদ্বোধন করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

চাঁদপুরে অগ্রণী ব্যাংকের ভল্ট থেকে ৭৫ লাখ টাকা উধাও

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ০৬:২০:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 211

চাঁদপুরে অগ্রণী ব্যাংকের ভল্ট থেকে ৭৫ লাখ টাকা উধাও

চাঁদপুরের মতলব উত্তরে অগ্রণী ব্যাংকের ছেংগারচর বাজার শাখার ভল্ট থেকে ৭৫ লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়ে ব্যাংকটির ক্যাশ কর্মকর্তা দীপঙ্কর ঘোষ উধাও হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত ২৯ আগস্ট টাকা নিয়ে যাওয়ার পর ওই কর্মকর্তা আর ব্যাংকে আসেননি। এ ঘটনায় মতলব উত্তর থানায় মামলা করেছেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মো. ইউসুফ মিয়া।

অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তা দীপঙ্কর ঘোষের বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলায়। তিনি ২০১৯ সালে অগ্রণী ব্যাংকের মতলব উত্তর থানার ছেংগারচর বাজার শাখায় যোগদান করেন। তিনি উপজেলার ছেংগারচর এলাকায় ছেংগারচর সরকারি ডিগ্রি কলেজের পাশে একটি ভাড়া বাসায় একাকি থাকতেন। বর্তমানে বাসাটি তালাবদ্ধ। তার মুঠোফোনও বন্ধ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ আগস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপক ও অন্যা কর্মকর্তারা এসে দেখেন ব্যাংকের ভল্ট খোলা এবং সেখানে ৭৫ লাখ ২০ হাজার টাকা নেই। এরপর থেকে দীপঙ্করের কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে বিষয়টি জানাজানি হলে কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে। ২৯ আগস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপক ইউসুফ মিয়া বিষয়টি অগ্রণী ব্যাংকের চাঁদপুর অঞ্চলের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) তপন চন্দ্র সরকারকে জানান। এরপর ২ সেপ্টেম্বর ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ব্যবস্থাপক থানায় মামলা করেন।

ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক মো. ইউসুফ মিয়া জানান, অর্থ আত্মসাতের ঘটনা তদন্তে ঢাকার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের উদ্যোগে চার সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। সেখানকার একজন জ্যেষ্ঠ প্রধান কর্মকর্তার (এসপিও) নেতৃত্বে ২ সেপ্টেম্বর থেকে তদন্ত ও নিরীক্ষা (অডিট) চলছে। প্রাথমিক তদন্তে ওই ক্যাশ কর্মকর্তা ব্যাংকের ভল্ট থেকে ৭৫ লাখ ২০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে সত্যতা পাওয়া গেছে।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে ওই কর্মকর্তার মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। মতলব উত্তর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) ছানোয়ার হোসেন বলেন, ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় করা মামলার তদন্ত চলছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

আমরা হাতে ধরে গণ-অভ্যুত্থানকে মেরে ফেলছি : সামান্তা শারমিন

চাঁদপুরে অগ্রণী ব্যাংকের ভল্ট থেকে ৭৫ লাখ টাকা উধাও

আপডেট সময় ০৬:২০:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

চাঁদপুরের মতলব উত্তরে অগ্রণী ব্যাংকের ছেংগারচর বাজার শাখার ভল্ট থেকে ৭৫ লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়ে ব্যাংকটির ক্যাশ কর্মকর্তা দীপঙ্কর ঘোষ উধাও হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত ২৯ আগস্ট টাকা নিয়ে যাওয়ার পর ওই কর্মকর্তা আর ব্যাংকে আসেননি। এ ঘটনায় মতলব উত্তর থানায় মামলা করেছেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মো. ইউসুফ মিয়া।

অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তা দীপঙ্কর ঘোষের বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলায়। তিনি ২০১৯ সালে অগ্রণী ব্যাংকের মতলব উত্তর থানার ছেংগারচর বাজার শাখায় যোগদান করেন। তিনি উপজেলার ছেংগারচর এলাকায় ছেংগারচর সরকারি ডিগ্রি কলেজের পাশে একটি ভাড়া বাসায় একাকি থাকতেন। বর্তমানে বাসাটি তালাবদ্ধ। তার মুঠোফোনও বন্ধ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ আগস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপক ও অন্যা কর্মকর্তারা এসে দেখেন ব্যাংকের ভল্ট খোলা এবং সেখানে ৭৫ লাখ ২০ হাজার টাকা নেই। এরপর থেকে দীপঙ্করের কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে বিষয়টি জানাজানি হলে কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে। ২৯ আগস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপক ইউসুফ মিয়া বিষয়টি অগ্রণী ব্যাংকের চাঁদপুর অঞ্চলের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) তপন চন্দ্র সরকারকে জানান। এরপর ২ সেপ্টেম্বর ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ব্যবস্থাপক থানায় মামলা করেন।

ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক মো. ইউসুফ মিয়া জানান, অর্থ আত্মসাতের ঘটনা তদন্তে ঢাকার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের উদ্যোগে চার সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। সেখানকার একজন জ্যেষ্ঠ প্রধান কর্মকর্তার (এসপিও) নেতৃত্বে ২ সেপ্টেম্বর থেকে তদন্ত ও নিরীক্ষা (অডিট) চলছে। প্রাথমিক তদন্তে ওই ক্যাশ কর্মকর্তা ব্যাংকের ভল্ট থেকে ৭৫ লাখ ২০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে সত্যতা পাওয়া গেছে।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে ওই কর্মকর্তার মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। মতলব উত্তর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) ছানোয়ার হোসেন বলেন, ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় করা মামলার তদন্ত চলছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।