ঢাকা ১২:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘অনির্বাচিত সরকার জনগণের মতামতে বেশি গুরুত্ব দেয়’

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, ভালো নির্বাচনে নির্বাচিত সরকার বেশির ভাগ সময়ে স্বৈরশাসক হয়েছিল। কিন্তু, অনির্বাচিত সরকারগুলি অনেক বেশি গণতন্ত্রমনা ছিল। অনির্বাচিত সরকারগুলোই জনগণের মতামতের বেশি গুরুত্ব দেয়। তাই, অনির্বাচিত সরকারকে সংস্কারের জন্য সময় দিতে আমাদের আপত্তি নেই। আমরা চাই বর্তমান সরকার যেন আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে পারে, দ্রব্য মূল্য যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে, কর্মসংস্থান যেন থাকে তাহলে আমাদের অপেক্ষা করতে আপত্তি নেই।

তিনি বলেন, আমরা এখনই নির্বাচন চাই না। কারণ, ভালো নির্বাচন আমরা অতীতে অনেক দেখেছি। ভালো নির্বাচনের পরে ভালো সরকার হয় না। ভালো নির্বাচনের পরে ভালো সরকার দেখতে চাই। যাদের জনগণের কাছে জবাবদিহিতা থাকবে। যারা ব্যক্তিগত ও দলীয় সম্পদ হিসেবে দেশকে ব্যবহার করবে না। সেই রকম সরকারের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে হবে, সেজন্য বর্তমান সরকারকে আমরা সময় দিতেও রাজি আছি।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দলের বনানী কার্যালয়ে জাতীয় ছাত্রসমাজ কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, রাজনীতিতে অনেক হিসাব-নিকাশ আছে। আওয়ামী লীগ মাঠে নেই, কিন্তু তাদের একটি সমর্থক গোষ্ঠী আছে। আগামী নির্বাচনে তাদের একটা ভূমিকা থাকবে। আমাদের দুর্ভাগ্য হচ্ছে, বিএনপি ক্ষমতায় না এসেই তাদের নেতা-কর্মীরা যে অবস্থা সৃষ্টি করেছে তা সাধারণ মানুষ পছন্দ করছে না। রংপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের সাথে বিএনপির মুখোমুখি অবস্থা। কেউ দখলবাজী শুরু করলে, ছাত্ররা তার প্রতিবাদ করছে। শেষ পর্যন্ত জনগণ কার পক্ষে থাকবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। জাতীয় ছাত্র সমাজকে আরও সংগঠিত হতে হবে। ছাত্র রাজনীতি করতে হবে সুশৃঙ্খল ভাবে। বর্তমানে দেশে বিশৃঙ্খলা আছে, এটা চলতেই থাকলে জনগণ এই সরকারের ওপর বিরক্ত হয়ে উঠবে। আবেগ ও জীবন দিয়ে দেশ রক্ষা করা যায় কিন্তু দেশ চালানো যায় না। দেশ চালাতে জ্ঞান, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা দরকার হবে। এককভাবে ছাত্ররা দেশ রক্ষা করতে পেরেছে, কিন্তু এককভাবে ছাত্ররা দেশ চালাতে পারবে না।

তিনি বলেন, আমি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্রদের বলেছিলাম তোমরা শহীদ মিনারে গিয়ে শপথ নাও। শহীদ মিনার হচ্ছে বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনের প্রতীক। স্বাধীনতা যুদ্ধে লক্ষ্য ছিল বৈষম্যমুক্ত নিজেদের একটি দেশ। জাতীয় স্মৃতিসৌধ হচ্ছে বৈষম্যমুক্ত রাষ্ট্র গঠনের চেতনার প্রতীক। আওয়ামী লীগ দেশে বৈষম্য সৃষ্টি করেছিল, তাদের শোষণ ও নির্যাতনের জন্যই তাদের পতন হয়েছে। কোন রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগের পতন হয়নি। সরকারের পতন হয়েছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার অন্দোলনের মুখে। আমরা সব সময় বৈষম্য ও দুর্নীতি ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কথা বলেছি। সাধারণ মানুষের ধারণা ছিলো, ছাত্ররা রাজনীতিতে আসতে চায় না। কেউই বুঝতে পারেনি, ছাত্ররা এতটাই রাজনীতি সচেতন। প্রমাণ করেছে, ছাত্ররা আমাদের চেয়ে বেশি রাজনীতি বোঝে। ছাত্রদের প্রধান শক্তি হচ্ছে একতা আর দ্বিতীয় শক্তি হচ্ছে জনগণের আস্থা। ছাত্রদের প্রতি জনগণের আস্থা ছিল, তারা দেশের জন্যই আন্দোলন করেছে। সে জন্যই ছাত্রদের ঐক্য ধরে রাখতে হবে এবং ক্ষমতা ও লোভ লালসার বাইরে থাকতে হবে।

পাকিস্তানজুড়ে দফায় দফায় সংঘর্ষ, সেনা মোতায়েন

‘অনির্বাচিত সরকার জনগণের মতামতে বেশি গুরুত্ব দেয়’

আপডেট সময় ০৫:৫৩:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, ভালো নির্বাচনে নির্বাচিত সরকার বেশির ভাগ সময়ে স্বৈরশাসক হয়েছিল। কিন্তু, অনির্বাচিত সরকারগুলি অনেক বেশি গণতন্ত্রমনা ছিল। অনির্বাচিত সরকারগুলোই জনগণের মতামতের বেশি গুরুত্ব দেয়। তাই, অনির্বাচিত সরকারকে সংস্কারের জন্য সময় দিতে আমাদের আপত্তি নেই। আমরা চাই বর্তমান সরকার যেন আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে পারে, দ্রব্য মূল্য যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে, কর্মসংস্থান যেন থাকে তাহলে আমাদের অপেক্ষা করতে আপত্তি নেই।

তিনি বলেন, আমরা এখনই নির্বাচন চাই না। কারণ, ভালো নির্বাচন আমরা অতীতে অনেক দেখেছি। ভালো নির্বাচনের পরে ভালো সরকার হয় না। ভালো নির্বাচনের পরে ভালো সরকার দেখতে চাই। যাদের জনগণের কাছে জবাবদিহিতা থাকবে। যারা ব্যক্তিগত ও দলীয় সম্পদ হিসেবে দেশকে ব্যবহার করবে না। সেই রকম সরকারের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে হবে, সেজন্য বর্তমান সরকারকে আমরা সময় দিতেও রাজি আছি।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দলের বনানী কার্যালয়ে জাতীয় ছাত্রসমাজ কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, রাজনীতিতে অনেক হিসাব-নিকাশ আছে। আওয়ামী লীগ মাঠে নেই, কিন্তু তাদের একটি সমর্থক গোষ্ঠী আছে। আগামী নির্বাচনে তাদের একটা ভূমিকা থাকবে। আমাদের দুর্ভাগ্য হচ্ছে, বিএনপি ক্ষমতায় না এসেই তাদের নেতা-কর্মীরা যে অবস্থা সৃষ্টি করেছে তা সাধারণ মানুষ পছন্দ করছে না। রংপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের সাথে বিএনপির মুখোমুখি অবস্থা। কেউ দখলবাজী শুরু করলে, ছাত্ররা তার প্রতিবাদ করছে। শেষ পর্যন্ত জনগণ কার পক্ষে থাকবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। জাতীয় ছাত্র সমাজকে আরও সংগঠিত হতে হবে। ছাত্র রাজনীতি করতে হবে সুশৃঙ্খল ভাবে। বর্তমানে দেশে বিশৃঙ্খলা আছে, এটা চলতেই থাকলে জনগণ এই সরকারের ওপর বিরক্ত হয়ে উঠবে। আবেগ ও জীবন দিয়ে দেশ রক্ষা করা যায় কিন্তু দেশ চালানো যায় না। দেশ চালাতে জ্ঞান, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা দরকার হবে। এককভাবে ছাত্ররা দেশ রক্ষা করতে পেরেছে, কিন্তু এককভাবে ছাত্ররা দেশ চালাতে পারবে না।

তিনি বলেন, আমি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্রদের বলেছিলাম তোমরা শহীদ মিনারে গিয়ে শপথ নাও। শহীদ মিনার হচ্ছে বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনের প্রতীক। স্বাধীনতা যুদ্ধে লক্ষ্য ছিল বৈষম্যমুক্ত নিজেদের একটি দেশ। জাতীয় স্মৃতিসৌধ হচ্ছে বৈষম্যমুক্ত রাষ্ট্র গঠনের চেতনার প্রতীক। আওয়ামী লীগ দেশে বৈষম্য সৃষ্টি করেছিল, তাদের শোষণ ও নির্যাতনের জন্যই তাদের পতন হয়েছে। কোন রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগের পতন হয়নি। সরকারের পতন হয়েছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার অন্দোলনের মুখে। আমরা সব সময় বৈষম্য ও দুর্নীতি ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কথা বলেছি। সাধারণ মানুষের ধারণা ছিলো, ছাত্ররা রাজনীতিতে আসতে চায় না। কেউই বুঝতে পারেনি, ছাত্ররা এতটাই রাজনীতি সচেতন। প্রমাণ করেছে, ছাত্ররা আমাদের চেয়ে বেশি রাজনীতি বোঝে। ছাত্রদের প্রধান শক্তি হচ্ছে একতা আর দ্বিতীয় শক্তি হচ্ছে জনগণের আস্থা। ছাত্রদের প্রতি জনগণের আস্থা ছিল, তারা দেশের জন্যই আন্দোলন করেছে। সে জন্যই ছাত্রদের ঐক্য ধরে রাখতে হবে এবং ক্ষমতা ও লোভ লালসার বাইরে থাকতে হবে।