ঢাকা ০১:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

ব্যাংক দেউলিয়া হলেও ৯৫ শতাংশ আমানতকারী সম্পূর্ণ টাকা নিরাপদ: গভর্নর

ব্যাংক দেউলিয়া হলেও ৯৫ শতাংশ আমানতকারী সম্পূর্ণ টাকা নিরাপদ: গভর্নর

ব্যাংক খাতে সংস্কার শুরু হয়েছে। কিছু হলেও কাজ হচ্ছে। এই মুহূর্তে আমাদের প্রধান লক্ষ্য আমানতকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনা। তাই আমানতকারীকে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ, আমানত বীমা স্কিমের আওতা দ্বিগুণ করা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ফলে ব্যাংকের ৯৫ শতাংশ আমানতকারীর আমানত সম্পূর্ণ নিরাপদ। এখন যদি কোনও ব্যাংক দেউলিয়াও হয়ে যায়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে এই স্কিম থেকে ব্যাংকটির ৯৪.৪ শতাংশ আমানতকারীর সম্পূর্ণ টাকা ফেরত দেওয়া হবে। তাই, আমানতকারীদের ব্যাংক খাত সংস্কারের ওপর আস্থা রাখতে হবে। রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমানত বীমার পরিমাণ এক লাখ থেকে ২ লাখ টাকায় উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এর মাধ্যমে প্রায় ৯৫ শতাংশ আমানতকারীর আমানত সম্পূর্ণরূপে নিরাপদ করা হয়েছে। পৃথিবীর কোনও দেশেই ১০০ শতাংশ আমানতকারীর টাকার গ্যারান্টি দিতে পারে না। আমরাও পারবো না। কোনও ব্যাংক দেউলিয়া হলে ছোট ছোট আমানতকারীরা সঙ্গে সঙ্গে টাকা ফেরত পাবেন। অঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ইতোমধ্যে ব্যাংক খাতে সংস্কার শুরু হয়েছে। কিছু হলেও কাজ হচ্ছে। এই মুহূর্তে আমাদের প্রধান লক্ষ্য আমানতকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনা। তাই, আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন গভর্নর।

ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের বিষয়ে গভর্নর বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা কোনও প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্ট জব্দ করিনি; সেটা এস আলমের হোক বা সালমান এফ রহমানের হোক। কোনও প্রতিষ্ঠানের ব্যাংকহিসাব জব্দ করা হয়নি। যাদের অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে, সবগুলো ব্যক্তি অ্যাকাউন্ট। আমরা কোনও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে হাত দিতে চাই না। কর্মসংস্থান নষ্ট এবং উৎপাদন ব্যাহত হোক, আমরা সেটা চাই না।

তিনি বলেন, আমরা আশা করি না কোনও ব্যাংক দেউলিয়া হোক, তবে কমপক্ষে ১০টি ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার মত খারাপ অবস্থায় চলে গেছে। সরকার তাদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে।

তিনি আরও বলেন, এসএমই লোনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে টাকা আছে। কিন্তু ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের দিতে পারছি না। শুধু তাই নয়, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ও আইএমএফ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য বিনিয়োগ করতে যায়। কিন্তু, কোনও একটা সমস্যার কারণে ব্যাংকের মাধ্যমে এ ঋণগুলো বিতরণ হচ্ছে না। আমরা ব্যাংকগুলোকে লিখিতভাবে এই সমস্যা কারণ এবং সমাধান জানাতে বলেছি। খুব শিগগিরই ক্ষুদ্রঋণের প্রবাহ ব্যাপকভাবে বাড়বে। গভর্নর বলেন, আগামী দশ দিনের মধ্যে ট্রান্সফোর্স তাদের কাজ শুরু করবে। ব্যাংক খাতের সমস্যা নিরূপণ এবং আগের নীতিমালাগুলো রিভিউ করবে ট্রান্সফোর্স।

জনপ্রিয় সংবাদ

দিনাজপুরে ইসলামী ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত

ব্যাংক দেউলিয়া হলেও ৯৫ শতাংশ আমানতকারী সম্পূর্ণ টাকা নিরাপদ: গভর্নর

আপডেট সময় ০৯:৩২:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ব্যাংক খাতে সংস্কার শুরু হয়েছে। কিছু হলেও কাজ হচ্ছে। এই মুহূর্তে আমাদের প্রধান লক্ষ্য আমানতকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনা। তাই আমানতকারীকে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ, আমানত বীমা স্কিমের আওতা দ্বিগুণ করা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ফলে ব্যাংকের ৯৫ শতাংশ আমানতকারীর আমানত সম্পূর্ণ নিরাপদ। এখন যদি কোনও ব্যাংক দেউলিয়াও হয়ে যায়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে এই স্কিম থেকে ব্যাংকটির ৯৪.৪ শতাংশ আমানতকারীর সম্পূর্ণ টাকা ফেরত দেওয়া হবে। তাই, আমানতকারীদের ব্যাংক খাত সংস্কারের ওপর আস্থা রাখতে হবে। রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমানত বীমার পরিমাণ এক লাখ থেকে ২ লাখ টাকায় উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এর মাধ্যমে প্রায় ৯৫ শতাংশ আমানতকারীর আমানত সম্পূর্ণরূপে নিরাপদ করা হয়েছে। পৃথিবীর কোনও দেশেই ১০০ শতাংশ আমানতকারীর টাকার গ্যারান্টি দিতে পারে না। আমরাও পারবো না। কোনও ব্যাংক দেউলিয়া হলে ছোট ছোট আমানতকারীরা সঙ্গে সঙ্গে টাকা ফেরত পাবেন। অঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ইতোমধ্যে ব্যাংক খাতে সংস্কার শুরু হয়েছে। কিছু হলেও কাজ হচ্ছে। এই মুহূর্তে আমাদের প্রধান লক্ষ্য আমানতকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনা। তাই, আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন গভর্নর।

ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের বিষয়ে গভর্নর বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা কোনও প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্ট জব্দ করিনি; সেটা এস আলমের হোক বা সালমান এফ রহমানের হোক। কোনও প্রতিষ্ঠানের ব্যাংকহিসাব জব্দ করা হয়নি। যাদের অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে, সবগুলো ব্যক্তি অ্যাকাউন্ট। আমরা কোনও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে হাত দিতে চাই না। কর্মসংস্থান নষ্ট এবং উৎপাদন ব্যাহত হোক, আমরা সেটা চাই না।

তিনি বলেন, আমরা আশা করি না কোনও ব্যাংক দেউলিয়া হোক, তবে কমপক্ষে ১০টি ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার মত খারাপ অবস্থায় চলে গেছে। সরকার তাদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে।

তিনি আরও বলেন, এসএমই লোনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে টাকা আছে। কিন্তু ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের দিতে পারছি না। শুধু তাই নয়, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ও আইএমএফ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য বিনিয়োগ করতে যায়। কিন্তু, কোনও একটা সমস্যার কারণে ব্যাংকের মাধ্যমে এ ঋণগুলো বিতরণ হচ্ছে না। আমরা ব্যাংকগুলোকে লিখিতভাবে এই সমস্যা কারণ এবং সমাধান জানাতে বলেছি। খুব শিগগিরই ক্ষুদ্রঋণের প্রবাহ ব্যাপকভাবে বাড়বে। গভর্নর বলেন, আগামী দশ দিনের মধ্যে ট্রান্সফোর্স তাদের কাজ শুরু করবে। ব্যাংক খাতের সমস্যা নিরূপণ এবং আগের নীতিমালাগুলো রিভিউ করবে ট্রান্সফোর্স।