ঢাকা ১০:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মামলাটি তদন্ত করে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

ফেনীতে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আকবরের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা

ফেনীতে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আকবরের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা

ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুর ভাই আকবর হোসেনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দাগনভূঞার আমলি আদালতে একই উপজেলার মেহেদীপুর গ্রামের যুবদলের কর্মী মো. স্বপন নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা লোকমান পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- মো. মনছুর ভুঁইয়া, ইউসুফ, শাহীন, ইলিয়াস, মিজানুর রহমান, নাসির, জসীম উদ্দিন, আবুল কালাম ও মিলন। তারা সবাই দাগনভূঞা উপজেলার বাসিন্দা। জানা গেছে, আসামিরা প্রত্যেকে ছাত্রদল ও  যুবদলের পদ-পদবিতে রয়েছেন।

মামলার উল্লিখিত বিবরণে জানা যায়, স্বপনের পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে আসামি ইউসুফের সম্পত্তিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। এসবের জেরে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে অভিযুক্তরা দলবদ্ধ হয়ে লোহার রড, রামদা, চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে স্বপনকে হত্যার উদ্দেশ্যে বসতঘরে হামলা চালিয়ে জখম করেন। এসময় তারা বাড়িঘর ভাঙচুর, স্বর্ণালংকার লুট ও নগদ টাকা নিয়ে যান। পরে স্বপনের স্ত্রী শোর চিৎকার শুরু করলে তাকেও মারধর করে শ্লীলতাহানি করা হয়।
এ ঘটনায় মামলা করতে গেলে আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় দাগনভূঞা থানায় মামলা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানায় বলে উল্লেখ করেন ভুক্তভোগী স্বপন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. মোশাররফ হোসেন খোন্দকার বলেন, ওই ব্যক্তি বাদী হয়ে দাগনভূঞার আমলি আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আদালতের বিচারক পিবিআইকে মামলাটি তদন্ত করে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে প্রধান অভিযুক্ত আকবর হোসেন বলেন, ‘কোথাকার কোন স্বপন আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছে আমি তাকে চিনি না। তবে শুনেছি স্বপন যাদের দারা নির্যাতিত হয়েছে তারাই স্বপনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছে। সেই মামলার বিপরীতে স্বপন আরেকটি মামলা করে। আমি উপজেলা বিএনপির সভাপতি, তাই দলের প্রত্যেকের দেখাশুনা করতে হয় এজন্য আমাকে মামলায় জড়িয়েছে।’

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মামলাটি তদন্ত করে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

ফেনীতে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আকবরের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা

আপডেট সময় ০৪:১০:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুর ভাই আকবর হোসেনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দাগনভূঞার আমলি আদালতে একই উপজেলার মেহেদীপুর গ্রামের যুবদলের কর্মী মো. স্বপন নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা লোকমান পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- মো. মনছুর ভুঁইয়া, ইউসুফ, শাহীন, ইলিয়াস, মিজানুর রহমান, নাসির, জসীম উদ্দিন, আবুল কালাম ও মিলন। তারা সবাই দাগনভূঞা উপজেলার বাসিন্দা। জানা গেছে, আসামিরা প্রত্যেকে ছাত্রদল ও  যুবদলের পদ-পদবিতে রয়েছেন।

মামলার উল্লিখিত বিবরণে জানা যায়, স্বপনের পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে আসামি ইউসুফের সম্পত্তিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। এসবের জেরে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে অভিযুক্তরা দলবদ্ধ হয়ে লোহার রড, রামদা, চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে স্বপনকে হত্যার উদ্দেশ্যে বসতঘরে হামলা চালিয়ে জখম করেন। এসময় তারা বাড়িঘর ভাঙচুর, স্বর্ণালংকার লুট ও নগদ টাকা নিয়ে যান। পরে স্বপনের স্ত্রী শোর চিৎকার শুরু করলে তাকেও মারধর করে শ্লীলতাহানি করা হয়।
এ ঘটনায় মামলা করতে গেলে আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় দাগনভূঞা থানায় মামলা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানায় বলে উল্লেখ করেন ভুক্তভোগী স্বপন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. মোশাররফ হোসেন খোন্দকার বলেন, ওই ব্যক্তি বাদী হয়ে দাগনভূঞার আমলি আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আদালতের বিচারক পিবিআইকে মামলাটি তদন্ত করে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে প্রধান অভিযুক্ত আকবর হোসেন বলেন, ‘কোথাকার কোন স্বপন আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছে আমি তাকে চিনি না। তবে শুনেছি স্বপন যাদের দারা নির্যাতিত হয়েছে তারাই স্বপনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছে। সেই মামলার বিপরীতে স্বপন আরেকটি মামলা করে। আমি উপজেলা বিএনপির সভাপতি, তাই দলের প্রত্যেকের দেখাশুনা করতে হয় এজন্য আমাকে মামলায় জড়িয়েছে।’