ঢাকা ০৩:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইসলামী ব্যাংকের অর্ধেকের বেশি ঋণ এস আলমের পকেটে

  • মোশারফ হোসেন
  • আপডেট সময় ০৭:১৯:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 83

ইসলামী ব্যাংকের অর্ধেকের বেশি ঋণ এস আলমের পকেটে

ইসলামী ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ‘জামায়াতমুক্ত’ করার নামে ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি অভিনব কায়দায় এস আলম গ্রুপ ইসলামী ব্যাংক দখলে নেয়। এরপর নিয়ম না মেনেই ব্যাংকটির অর্থ লুটপাট করে চট্রগ্রামের গ্রুপটি। নামে-বেনামে ব্যাংকটির মোট ঋণের অর্ধেকের বেশি এস আলম নিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে নতুন বোর্ডের সভা শেষে ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ এসব তথ্য জানান।

চলতি বছরের জুন শেষে ইসলামী ব্যাংকের ঋণ স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭৪ হাজার ৭৬০ কোটি টাকা। সেই হিসাবে প্রায় এক লাখ কোটি টাকা এস আলমের পকেটে আছে। ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ বলেন, এস আলম গ্রুপ ব্যাংকটির মোট ঋণের অর্ধেকের বেশি নিয়ে গেছে। তবে পুরো তথ্য পেতে আরো এক সপ্তাহ সময় লাগবে।

গ্রুপটি সম্পদ অতিমূল্যায়ন করে ঋণ বের করে নিয়েছে। ইতোমধ্যে গ্রুপটি সম্পদ নতুন করে মূল্যায়ন করা হচ্ছে। এ ছাড়া ঋণের বিপরীতে যেসব জামানত রয়েছে তা দিয়ে কাভার হবে না। তাই জামানতের বাইরে যেসব সম্পদ রয়েছে তা বের করার জন্য আইন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, নতুন বোর্ড দায়িত্ব নেওয়ার সময় ২৩০০ কোটি টাকা শর্টে ছিল। তা প্রতিদিন কমে আসছে। আজকে কমে তা দুই হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। আশা করি, এ বছরের মধ্যে তা ইতিবাচক ধারায় ফিরবে ব্যাংকটি।

তিনি আরো বলেন, অনেক গ্রাহকের এতদিন টাকা তুলতে যে সমস্যা হয়েছে তা আজকের পর আর হবে না। কারণ গত এক সপ্তাহ যে পরিমাণ জমা হয়েছে তার চেয়ে বের হয়েছে কম। নিট ব্যালেন্স পজিটিভ।

এস আলমকে সহযোগিতা করেছেন বিভিন্ন কর্মকর্তা তাদের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা নিচের দিকে যেসব কর্মকর্তা আছেন তাদের এখনই সরাতে চাচ্ছি না। কারণ নিচে এখন হিট করলে সব ভেঙে পড়বে। ইতোমধ্যে ওপরের কিছু সরানো হচ্ছে। ধীরে ধীরে সব সরানো হবে। আইন অনুযায়ী, সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ ছাড় পাবে না। তবে ভুল প্রক্রিয়ায় কাউকে সরানো হবে না।

তিনি বলেন, ব্যাংকটি ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য একটি রোডম্যাপ করা হয়েছে। তিনটি পর্যায়ে এ রোডম্যাপ করা হয়। প্রথমত, নতুন বোর্ডের শুরু থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে অনিয়ম খুঁজে বের করা ও বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া। দ্বিতীয়ত ২০২৫-২৬ সাল দেওয়া হয়েছে ঘুরে দাঁড়ানোর বছর। তৃতীয় ২০২৭, ২৮ ও ২৯ সাল এগিয়ে যাওয়ার বছর।

জনপ্রিয় সংবাদ

ইকুয়েডরকে ৭ গোল দিল আর্জেন্টিনা

ইসলামী ব্যাংকের অর্ধেকের বেশি ঋণ এস আলমের পকেটে

আপডেট সময় ০৭:১৯:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ইসলামী ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ‘জামায়াতমুক্ত’ করার নামে ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি অভিনব কায়দায় এস আলম গ্রুপ ইসলামী ব্যাংক দখলে নেয়। এরপর নিয়ম না মেনেই ব্যাংকটির অর্থ লুটপাট করে চট্রগ্রামের গ্রুপটি। নামে-বেনামে ব্যাংকটির মোট ঋণের অর্ধেকের বেশি এস আলম নিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে নতুন বোর্ডের সভা শেষে ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ এসব তথ্য জানান।

চলতি বছরের জুন শেষে ইসলামী ব্যাংকের ঋণ স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭৪ হাজার ৭৬০ কোটি টাকা। সেই হিসাবে প্রায় এক লাখ কোটি টাকা এস আলমের পকেটে আছে। ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ বলেন, এস আলম গ্রুপ ব্যাংকটির মোট ঋণের অর্ধেকের বেশি নিয়ে গেছে। তবে পুরো তথ্য পেতে আরো এক সপ্তাহ সময় লাগবে।

গ্রুপটি সম্পদ অতিমূল্যায়ন করে ঋণ বের করে নিয়েছে। ইতোমধ্যে গ্রুপটি সম্পদ নতুন করে মূল্যায়ন করা হচ্ছে। এ ছাড়া ঋণের বিপরীতে যেসব জামানত রয়েছে তা দিয়ে কাভার হবে না। তাই জামানতের বাইরে যেসব সম্পদ রয়েছে তা বের করার জন্য আইন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, নতুন বোর্ড দায়িত্ব নেওয়ার সময় ২৩০০ কোটি টাকা শর্টে ছিল। তা প্রতিদিন কমে আসছে। আজকে কমে তা দুই হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। আশা করি, এ বছরের মধ্যে তা ইতিবাচক ধারায় ফিরবে ব্যাংকটি।

তিনি আরো বলেন, অনেক গ্রাহকের এতদিন টাকা তুলতে যে সমস্যা হয়েছে তা আজকের পর আর হবে না। কারণ গত এক সপ্তাহ যে পরিমাণ জমা হয়েছে তার চেয়ে বের হয়েছে কম। নিট ব্যালেন্স পজিটিভ।

এস আলমকে সহযোগিতা করেছেন বিভিন্ন কর্মকর্তা তাদের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা নিচের দিকে যেসব কর্মকর্তা আছেন তাদের এখনই সরাতে চাচ্ছি না। কারণ নিচে এখন হিট করলে সব ভেঙে পড়বে। ইতোমধ্যে ওপরের কিছু সরানো হচ্ছে। ধীরে ধীরে সব সরানো হবে। আইন অনুযায়ী, সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ ছাড় পাবে না। তবে ভুল প্রক্রিয়ায় কাউকে সরানো হবে না।

তিনি বলেন, ব্যাংকটি ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য একটি রোডম্যাপ করা হয়েছে। তিনটি পর্যায়ে এ রোডম্যাপ করা হয়। প্রথমত, নতুন বোর্ডের শুরু থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে অনিয়ম খুঁজে বের করা ও বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া। দ্বিতীয়ত ২০২৫-২৬ সাল দেওয়া হয়েছে ঘুরে দাঁড়ানোর বছর। তৃতীয় ২০২৭, ২৮ ও ২৯ সাল এগিয়ে যাওয়ার বছর।