ঢাকা ০১:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ কাঠামোয় সাত কলেজে ভর্তি কার্যক্রম শুরুর অনুমোদন Logo এ মাসে জুলাই সনদ না হলে দায় সরকার আর ঐকমত্য কমিশনের: সালাহউদ্দিন Logo মুন্সীগঞ্জে এনসিপির পথসভা: “নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধ লড়াই অব্যাহত থাকবে” Logo সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আব্দুল আজিজ, সেক্রেটারি শোয়াইব Logo পাবনায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে  জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে প্রতীকী ম্যারাথন Logo ‘যতদিন বাংলাদেশের নাম থাকবে, ততদিন উচ্চারিত হবে জুলাই যোদ্ধাদের নাম’ Logo গোপালগঞ্জকে ৪ জেলায় ভাগ করে দিয়ে ৬৩ জেলার বাংলাদেশ করা হোক- আমির হামজা Logo ‘সামনের জুলাই তুই কনে থাকবি’ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার হুমকি Logo যেসব অঞ্চলে বজ্রবৃষ্টি ও ভারি বর্ষণ হতে শঙ্কা Logo গোপালগঞ্জে সংঘর্ষে আরও একজনের মৃত্যু

৫ দফা দাবিতে ডম্বুর অভিমুখে লং মার্চের রোডম্যাপ ঘোষণা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনকিলাব মঞ্চের আয়োজনে ঢাকা থেকে ত্রিপুরার ডুম্বুর বাঁধ অভিমুখে ছাত্র-জনতার লং মার্চের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে৷

রোডম্যাপ অনুযায়ী আগামী শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় শাহবাগ থেকে রওনা করে বিভিন্ন জায়গায় পথসভা পরবর্তীতে বিকেলে বাঁধ অভিমুখে পদযাত্রা করা হবে৷

আজ বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে ‘বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের ‘পানিসন্ত্রাসে’র প্রতিবাদে ও আন্তঃসীমান্ত নদীগুলোতে ভারতের ‘অবৈধ’ ও ‘একতরফা’ সকল বাঁধ উচ্ছেদের দাবিতে ঢাকা থেকে ত্রিপুরার ডুম্বুর বাঁধ অভিমুখে ছাত্র-জনতার লং মার্চ’ বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে এই রোডম্যাপ প্রদান করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ উসমান হাদী। এ সময় তারা ৫ দফা দাবি পেশ করেন। তিনি বলেন, আগামী শুক্রবার সকাল ৯টায় আমরা শাহবাগে জমায়েত হব, আপনারা যারা লংমার্চে অংশ নিতে চান তারা ঠিক সময়ে শাহবাগ জমায়েত হবেন। আমরা ডুম্বুর বাঁধ অভিমুখে যাবার জন্য ১০টি ট্রাক ম্যানেজ করেছি। তবে আমাদের কেউ কেউ নিজস্ব পরিবহনে যারা কথা বলেছে। আবার কেউ চাইলে বাইকের মহড়া নিতে চাইলেও যে কেউ যেতে পারবে৷

তিনি বলেন, আমরা ১০টায় যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় একটি পথসভা করব। পরে জুমার নামাজের পর কুমিল্লার চান্দিনায় পথসভা করা হবে। পরবর্তীতে বিকেল ৪টায় টাউনহলে মহাসমাবেশ করব। মহাসমাবেশ শেষে সেখান থেকে মিছিল নিয়ে বিবির বাজার সীমান্ত পর্যন্ত পদযাত্রা করা হবে।

ইনকিলাব মঞ্চের ৫ দফা
১. অতিদ্রুত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া।
২. জাতিসংঘ পানিপ্রবাহ কনভেনশন ১৯৯৭-তে অতিসত্বর অনুস্বাক্ষর করা। এ কনভেনশন অনুযায়ী ভাটির দেশ হিসাবে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উজানের দেশের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করা।
৩. আন্তঃসীমান্ত নদীর নতুন তালিকা প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া।
৪. ৫৪টি আন্তঃসীমান্ত নদীর অববাহিকা ভিত্তিক পানিবণ্টনে সকল পন্থাকে অন্তর্ভুক্ত করা।
৫. ভারতের সকল অবৈধ বাঁধ উচ্ছেদের দাবীতে আন্তর্জাতিক ফোরামকে অন্তর্ভূক্ত করা।

জনপ্রিয় সংবাদ

‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ কাঠামোয় সাত কলেজে ভর্তি কার্যক্রম শুরুর অনুমোদন

৫ দফা দাবিতে ডম্বুর অভিমুখে লং মার্চের রোডম্যাপ ঘোষণা

আপডেট সময় ০৭:১৬:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনকিলাব মঞ্চের আয়োজনে ঢাকা থেকে ত্রিপুরার ডুম্বুর বাঁধ অভিমুখে ছাত্র-জনতার লং মার্চের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে৷

রোডম্যাপ অনুযায়ী আগামী শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় শাহবাগ থেকে রওনা করে বিভিন্ন জায়গায় পথসভা পরবর্তীতে বিকেলে বাঁধ অভিমুখে পদযাত্রা করা হবে৷

আজ বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে ‘বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের ‘পানিসন্ত্রাসে’র প্রতিবাদে ও আন্তঃসীমান্ত নদীগুলোতে ভারতের ‘অবৈধ’ ও ‘একতরফা’ সকল বাঁধ উচ্ছেদের দাবিতে ঢাকা থেকে ত্রিপুরার ডুম্বুর বাঁধ অভিমুখে ছাত্র-জনতার লং মার্চ’ বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে এই রোডম্যাপ প্রদান করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ উসমান হাদী। এ সময় তারা ৫ দফা দাবি পেশ করেন। তিনি বলেন, আগামী শুক্রবার সকাল ৯টায় আমরা শাহবাগে জমায়েত হব, আপনারা যারা লংমার্চে অংশ নিতে চান তারা ঠিক সময়ে শাহবাগ জমায়েত হবেন। আমরা ডুম্বুর বাঁধ অভিমুখে যাবার জন্য ১০টি ট্রাক ম্যানেজ করেছি। তবে আমাদের কেউ কেউ নিজস্ব পরিবহনে যারা কথা বলেছে। আবার কেউ চাইলে বাইকের মহড়া নিতে চাইলেও যে কেউ যেতে পারবে৷

তিনি বলেন, আমরা ১০টায় যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় একটি পথসভা করব। পরে জুমার নামাজের পর কুমিল্লার চান্দিনায় পথসভা করা হবে। পরবর্তীতে বিকেল ৪টায় টাউনহলে মহাসমাবেশ করব। মহাসমাবেশ শেষে সেখান থেকে মিছিল নিয়ে বিবির বাজার সীমান্ত পর্যন্ত পদযাত্রা করা হবে।

ইনকিলাব মঞ্চের ৫ দফা
১. অতিদ্রুত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া।
২. জাতিসংঘ পানিপ্রবাহ কনভেনশন ১৯৯৭-তে অতিসত্বর অনুস্বাক্ষর করা। এ কনভেনশন অনুযায়ী ভাটির দেশ হিসাবে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উজানের দেশের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করা।
৩. আন্তঃসীমান্ত নদীর নতুন তালিকা প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া।
৪. ৫৪টি আন্তঃসীমান্ত নদীর অববাহিকা ভিত্তিক পানিবণ্টনে সকল পন্থাকে অন্তর্ভুক্ত করা।
৫. ভারতের সকল অবৈধ বাঁধ উচ্ছেদের দাবীতে আন্তর্জাতিক ফোরামকে অন্তর্ভূক্ত করা।