বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার মিছিলে রাজধানীর পৃথক দুই স্থানে দুইজন ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে পুলিশের সাবেক দুই মহাপরিদর্শকের (আইজিপি)শহীদুল হক ও আবদুল্লাহ আল মামুনকে রিমান্ড দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) মধ্য রাতে তাদের উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করে তাদেরকে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬.৪৫ মিনিটে তাদের আদালতে তোলা হয়।সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের প্রত্যেককে দশ দিনের রিমান্ডে চেয়ে আবেদন করা হয়। শুনানী শেষে আদালত শহিদুল ৭দিন ও মামুনকে ৮ করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
শুনানির সময় আদালতে সাবেক আইজিপি শহীদুল হক নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আদালতকে বলেন, আমাকে রিমান্ডে চাওয়া হল কেন, সেটাই তো বুঝতেছি না। আমি এ মামলা সম্পর্কে কিছুই জানি না। আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ, তাই আদালতের কাছে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করছি। আমি পুলিশ প্রধান থাকতে কোনো মিথ্যা মামলা দিয়ে কাউকে হয়রানি করিনি। পুলিশকে জনগণের কাছে নিয়ে গেছি। আমি যতদিন চাকরি করেছি মানুষের সেবা করেছি। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তার কোনোটাই সত্য নয়। আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ। শুনানির এক পর্যায়ে হেলমেট খুলে ফেলেন শহীদুল হক।
এ সময় রিমান্ড শুনানির সময় আদালতে নিশ্চুপ সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। আদালতের এজলাস কক্ষের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আইনজীবীদের বক্তব্য শোনেন তিনি। এসময় পুলিশের হেলমেট পরিধেয় অবস্থায় তাকে দেখা যায়।
গত জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার মিছিলে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক আইজিপি শহীদুল হক, মোহাম্মদপুরে মুদি দোকানি আবু সায়েদকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও হাজারীবাগ থানার অপহরণ মামলায় ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সুপার নিউমারারি পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) আব্দুল্লাহিল কাফিকে সকালে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর রাজধানীর পৃথক তিন থানার মামলায় তাদের প্রত্যেককে দশ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে পুলিশ। আদালত মামুন ও কাফিকে ৮ দিন করে ও শহিদুলকে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।