ঢাকা ০২:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিক্ষোভ করা ৫৭ বাংলাদেশীকে ক্ষমা করল আমিরাত

  • লিমন হোসেন
  • আপডেট সময় ০৭:১৩:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 110

আজকের প্রত্রিকার প্রধান প্রধান খবর

বনিক র্বাতা:

বিক্ষোভ করা ৫৭ বাংলাদেশীকে ক্ষমা করল আমিরাত
অধ্যাপক ইউনূসের কৃতজ্ঞতা
কোটা সংস্কার আন্দোলনের পক্ষে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করা ৫৭ বাংলাদেশীকে ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান গতকাল তাদের ক্ষমা ঘোষণা করেন। বাংলাদেশী এসব প্রবাসীকে অবিলম্বে দেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা এমিরেটস নিউ এজেন্সি (ডব্লিউএএম) এ খবর জানিয়েছে।
ক্ষমা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসও। গতকাল দেশের প্রিন্ট মিডিয়ার সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠকের সময় তিনি এ তথ্য জানান।
বাংলাদেশী প্রবাসীদের ক্ষমা করে দেয়ায় ‘গভীর কৃতজ্ঞতা’ জানিয়ে আমিরাতের প্রেসিডেন্টকে একটি বার্তাও পাঠিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। এতে তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ করা ৫৭ বাংলাদেশীকে ক্ষমা করে দেয়ায় আপনার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমাদের টেলিফোন কথোপকথনের পর এ ক্ষমাশীলতা শুধু আপনার সহানুভূতিশীল নেতৃত্বই তুলে ধরে না, একই সঙ্গে তা আমাদের দুই দেশের ভ্রাতৃত্বের স্থায়ী বন্ধনকে শক্তিশালী করার বার্তাও বহন করে।’

দৈনিক সংগ্রাম:

অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ দুই থেকে তিন বছর হতে পারে
সরকারের ভুল-ত্রুটি নির্দ্বিধায় ছাপতে বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাস করেন। তিনি সরকারের ভুল-ত্রুটি নির্দ্বিধায় ছাপতে বলেছেন জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সম্পাদকদের। প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্ধৃত করে প্রেসসচিব শফিকুল আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান রাষ্ট্র মেরামত করা জন্য মস্ত বড় সুযোগ এনে দিয়েছে। বাংলাদেশকে নতুন শিখরে নেয়ার জন্য এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। তবে এর জন্য জাতীয় ঐক্যের খুব প্রয়োজন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধান উপদেষ্টাকে তারা বলেছিলেন অন্তর্বর্তী সরকার যেন যৌক্তিক সময় পর্যন্ত থাকেন। এই যৌক্তিক সময় আসলে কতটা সময়- সে বিষয়ে ড. ইউনূস সম্পাদকদের কাছে জানতে চান। এই সময়টাতে কী কী মৌলিক কাজ সরকারের করা উচিত- এ বিষয়েও পরামর্শ চান তিনি। সম্পাদকদের দেওয়া প্রস্তাবসমূহ তুলে ধরে শফিকুল আলম বলেন, ‘বিভিন্ন রকম কথা এসেছে যেমন- অন্তত ২ বছর মেয়াদ দেওয়া যেতে পারে। অনেকে আবার দুই থেকে তিন বছরের কথা বলেছেন। আবার কেউ কেউ প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করতে যতটা সময় লাগে তা দেওয়ার পক্ষে প্রস্তাব দেন।’

 

শফিকুল আলম বলেন, তবে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ নিয়ে বেশির ভাগই বলেছেন, যেসব সংস্কার কাজ বা যে কর্মপরিকল্পনা অন্তর্বর্তী সরকারের রয়েছে, সেটিই আসলে নির্ধারণ করবে এই সরকারের মেয়াদ কতদিন হবে।

বৈঠকে সম্পাদকদের পক্ষ থেকে আসা পরামর্শ তুলে ধরে প্রেস সচিব আরও বলেন, ‘সংবিধান সংশোধন, সংবিধান পুনর্লিখন, আইন কমিশন, সংবিধান কমিশন, মিডিয়া কমিশন ও পুলিশ কমিশন গঠনের কথা এসেছে। পুলিশকে আরো কার্যকরভাবে কাজে লাগানো যায় এবং নির্বাচন কমিশন সংস্কারের কথা এসেছে।’

এদিকে আলোচনা শেষে সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেছেন, আমাদের কাছে ওনার আবেদন হচ্ছে, আমরা যেন লিখনির মাধ্যমে জাতীয় ঐক্যমত প্রতিষ্ঠা করি। আমাদের সাজেশান্স উনি সাদরে গ্রহণ করেছেন। আমাদের বলেছেন, সরকার পরিচালনায় ভুল-ত্রুটি হলে আমরা যেন নির্দ্বিধায় কাগজে ছাপি। ওনার সরকারকে সহযোগিতা করি।

মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার সরকারি বাসভবন যমুনায় পত্রিকার সম্পাদকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সভায় দেশের প্রথম সারির ২০টি দৈনিকের সম্পাদকেরা উপস্থিত ছিলেন। তবে ২২ জন উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও দুজন দেশের বাইরে অবস্থান করায় অংশ নিতে পারেননি বলে জানা গেছে। বৈঠক শেষে যমুনার গেটে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম।

কালের কন্ঠ:

ছাত্র হত্যার হোতা শতাধিক পুলিশ
রাজধানী ঢাকা থেকে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) শহীদুল হক ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেপ্তার করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে এই দুই সাবেক আইজিপিকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাবেক এই দুই আইজিপির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। এর মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র হত্যার অভিযোগে হত্যা মামলা করা হয়।
অভিযোগ আছে গণহত্যারও।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত জুলাই-আগস্টে শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছিল পুলিশ। এসব গুলির ঘটনায় শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার অন্তত এক হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কয়েক হাজার।
আন্দোলনে গুলি চালিয়ে লাশ ফেলার মাস্টারমাইন্ড হিসেবে কাজ করেছেন শতাধিক পুলিশ সদস্য।
সাবেক দুই আইজিপিকে গ্রেপ্তারের বিষয় নিশ্চিত করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, সাবেক আইজিপি শহীদুল হক ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন ডিবি হেফাজতে রয়েছেন। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। পুলিশের একটি সূত্র জানায়, সাবেক আইজিপি শহীদুল হককে উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ।

নয়াদিগন্ত:

নতুন ইতিহাস টাইগারদের
সিরিজ শুরুর আগে নাজমুল হোসেন শান্ত বলেছিলেন, পাকিস্তান সফরে তারা পরিসংখ্যান নতুন করে লিখতে চান। শান্ত তার কথা রেখে নতুন ইতিহাস তৈরি করেছেন। ২ টেস্টের সিরিজে পাকিস্তানের মাটিতে তাদেরকে বাংলাওয়াশ করেছে টাইগাররা।
আগের দিনই প্রস্তুত ছিল ইতিহাস সৃষ্টির পট। যা গতকাল বৃষ্টিতে ধুয়ে যেতে পারত; কিন্তু আবহাওয়ার পূর্বাভাসকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে রাওয়ালপিন্ডির আকাশ। গল্পের শেষটা বাংলাদেশও টেনেছে তুলি দিয়ে। চতুর্থ ইনিংসের ব্যাটিং চ্যালেঞ্জ উতরে পাকিস্তানকে হারিয়েছে ৬ উইকেটে। দেশের বাইরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ের পর তৃতীয় টেস্ট সিরিজ জিতল বাংলাদেশ।

এই টেস্টে আরেকটি অনন্য রেকর্ড গড়েছে টাইগাররা। টেস্ট ইতিহাসে দ্বিতীয় দল হিসেবে প্রথম ইনিংসে ৩০ রানের নিচে ৬ উইকেট হারানোর পরও টেস্ট জিতেছে। এমন কীর্তি দেখা গিয়েছিল ১৩৭ বছর আগে ১৮৮৭ সালে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিডনিতে প্রথম ইনিংসে ১৭ রানে ৬ উইকেট হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। পরে তারা অলআউট হয়ে গিয়েছিল স্রেফ ৪৫ রানেই। তারপরও অসিদের জয়ের জন্য ১১১ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিয়ে ১৩ রানে ম্যাচ জিতেছিল ইংল্যান্ড। আবরার আহমেদের বল এক্সট্রা কাভার দিয়ে সীমানা ছাড়া করলেন সাকিব আল হাসান। ড্রেসিংরুমের বারান্দায় দাঁড়িয়ে উল্লøাস করে উঠল পুরো দল। রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানকে টানা দুই টেস্ট হারিয়ে বাংলাওয়াশের নজির স্থাপন করল টাইগাররা। প্রতিপক্ষ, প্রেক্ষাপট বিবেচনায় এই সিরিজ জয় নিশ্চিতভাবেই সবার উপরে।

সমকাল:

মামলায় নানা অসংগতি, মনগড়া এজাহার
দেশের বাইরে থেকেও কেউ কেউ ‘ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে গুলি ছুড়ে’ হয়েছেন অভিযুক্ত। দুই স্থানে একই সময়ের ঘটনায় করা আলাদা মামলায় উঠেছে অভিন্ন আসামির নাম। কিছু মামলায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে আসামি হিসেবে জুড়ে দেওয়া হয়েছে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীর নামও। প্রতিপক্ষ ঘায়েলে ইচ্ছা করেই নাম ঢোকানো হয়েছে কোনো কোনো মামলায়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার পটভূমিতে করা বেশ কিছু মামলার এজাহার ঘেঁটে এমন নানা অসংগতি পেয়েছে সমকাল। যেমন খুশি তেমন মনগড়া মামলায় আসামি হয়ে অস্বস্তিতে পড়েছেন নিরপরাধ অনেক ব্যক্তি। এমনকি মামলায় জড়িয়ে অনৈতিক সুবিধা নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। এসব কারণে কিছু মামলার এজাহার হয়ে গেছে বেশ দুর্বল।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এসব অসংগতি ও কমজোরি এজাহারের কারণে অভিযোগের সত্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে। এ কারণে সুবিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে বঞ্চিত হতে পারে ভুক্তভোগী পরিবার।

পাকিস্তানের দেয়া ১৮৫ রানের লক্ষ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে জয় স্পর্শ করে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। নাটকীয়তায় ভরা টেস্টে প্রথম ইনিংসে ২৭৪ রান করেছিল স্বাগতিকরা। জবাবে প্রথম ইনিংসে ২৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজের বিশ্বরেকর্ড গড়া ১৬৫ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায়। লিটনের অনবদ্য ১৩৮ রানে ২৬২ রান তুলে লড়াইয়ে ফেরে বাংলাদেশ। এরপর বোলারদের পালা। দ্বিতীয় ইনিংসে তিন পেসার হাসান-নাহিদ-তাসকিন ১০ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানকে ১৭২ রানে আটকে দেয়। টেস্টে এই কৃতিত্ব বাংলাদেশের প্রথম। এর মধ্যে হাসান মাহমুদ নেন পাঁচ উইকেট।

ম্যাচ শুরুর আগেই রাওয়ালপিন্ডিতে দ্বিতীয় টেস্টে চোখ রাঙিয়েছিল বৃষ্টি। সেই পূর্বাভাসই অনেকাংশেই সত্যি হয়েছিল। ম্যাচের প্রথম দিনের পুরোটাই গিয়েছিল বৃষ্টির পেটে। এরপর ম্যাচের চতুর্থ দিন আবারও হানা দেয় বৃষ্টি। ততক্ষণে প্রথম ইনিংসে ২৬ রানে ৬ উইকেটের বিপর্যয় কাটিয়ে পাকিস্তানকে নাগালের মধ্যে অল আউট করে ম্যাচ জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করে রেখেছিল টাইগাররা। পঞ্চম দিনও বৃষ্টির সম্ভাবনা ছিল। সেই সাথে ছিল বজ্রঝড়ের আশঙ্কা। তবে সব শঙ্কার মেঘ দূর করে পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। তাতে লাল বলের ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো পাকিস্তানকে বাংলাওয়াশের স্বাদ দিয়েছে টাইগাররা। প্রথম টেস্টে পাকিস্তানকে হারিয়েছিল ১০ উইকেটে।

যুগান্তর:

ভুয়া কোম্পানিতে ৯০০ কোটি টাকার কাজ
সাবেক জ্বালানি সচিব আবু হেনা রহমাতুল মুনিমের চাপে কোনো যাচাই-বাছাই ছাড়া বাংলাদেশ গ্যাসফিল্ড কোম্পানি লিমিটেডের (বিজিএফসিএল) ৯শ কোটি টাকার প্রকল্পের কার্যাদেশ একটি ভুয়া ও নামসর্বস্ব কোম্পানিকে দেওয়া হয়েছিল। নোয়া (নোটিফেকেশন অব অ্যাওয়ার্ড) ইস্যুর পরপরই পেট্রোবাংলার এক বৈঠকে ফাঁস হয়ে যায় পুরো জাল-জালিয়াতি। কোম্পানিটিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি খাতের একটি বড় বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান হিসাবে দেখিয়ে দরপত্রে অংশ নেওয়ার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিলেন মুনিম সিন্ডিকেট। পরে তদন্তে দেখা গেছে এই নামে কোনো কোম্পানিই নেই যুক্তরাষ্ট্রে। টেকনোস্টিম এনার্জি নামে ওই কোম্পানিটির মালিকানার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন খোদ সাবেক জ্বালানি সচিব রহমাতুল মুনিমের চাচা। যিনি এক সময় তিতাস গ্যাস কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার ও পরবর্তী সময়ে পেট্রোবাংলার পরিচালক ছিলেন। শুধু তাই নয়, জাল-জালিয়াতির ভয়াবহ এ তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয় দফায় ফের রহমাতুল মুনিমের চাপে ওই কোম্পানির দেওয়া বিডবন্ডটিও আত্মসাৎ করে নেয় সিন্ডিকেট। পরে ওই টাকা ভাগবাঁটোয়ারা করে নেন তারা সবাই। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করে এবং যুগান্তরের নিজস্ব অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য।

অভিযোগ আছে-সাবেক বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই ইলাহীর ঘনিষ্ঠভাজন হওয়ায় এরকম ভয়াবহ জাল-জালিয়াতি ও বিডবন্ড আত্মসাতের সঙ্গে জড়িত থাকার পরও রহমাতুল মুনিমের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উলটো তাকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান করে পুরস্কৃত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা এর কারণ হিসাবে বলেন, এই রহমাতুল মুনিমের মাধ্যমে নসরুল হামিদ সিন্ডিকেট জ্বালানি খাতের শত শত কোটি টাকার প্রকল্প বাগিয়ে নিয়েছিল।

শুধু তাই নয়, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এ ঘটনায় তদন্ত করার জন্য একজন তদন্তকারী কর্মকর্তা নিযুক্ত করলেও তৎকালীন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা রহমাতুল মুনিমের চাপে সেই তদন্ত কার্যক্রমও আলোর মুখ দেখেনি। জানা গেছে, ২০২২ সালের ২৪ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন উপপরিচালক মো. আবু বকর সিদ্দিক এই ঘটনার তদন্ত করতে পেট্রোবাংলার কাছে এসংক্রান্ত সব ধরনের তথ্য চেয়ে চিঠি দেন। কিন্তু রহমাতুল মুনিমের কারণে পেট্রোবাংলা সেই চিঠির এখন পর্যন্ত কোনো উত্তর দেয়নি। দুদকের পক্ষ থেকেও অদ্যাবধি এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য চেয়ে পালটা চিঠি দেয়নি পেট্রোবাংলাকে। এই সুযোগে সিন্ডিকেটের একটি পক্ষ পেট্রোবাংলা থেকে এই প্রকল্পের সব ধরনের ডকুমেন্ট গায়েব করে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, এর সঙ্গে পেট্রোবাংলার একজন জেনারেল ম্যানেজার জড়িত রয়েছেন। মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে তিনি এই কাজ করেছেন বলে অভিযোগ আছে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

ভুয়া কাগজে ব্যাংক লুট
সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকে সম্পত্তি বন্ধক রেখে নেওয়া ঋণের অডিট জরুরি ♦ জমি বন্ধক রেখে ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের পরিমাণ ৯ লাখ ২০ হাজার ৯০৪ কোটি টাকা ♦ অর্থ আত্মসাৎকারীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা ও ব্যাংক খাতের সংস্কার চান অংশীজনেরা
বিগত ১৫ বছরে ঋণের জামানত হিসেবে জমি আর ফ্ল্যাটের ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে ব্যাংক খাতে মহালুটপাট হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। সূত্রমতে, ব্যাংকে বন্ধক রাখা সম্পদ বিক্রি করেও খেলাপি ঋণের অর্থ আদায় করতে পারেনি অধিকাংশ সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক।

অনেক ক্ষেত্রে ব্যাংক আর ক্রেতা যোগসাজশে ঋণের বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছে। এমন পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সম্পত্তি বন্ধক রেখে নেওয়া ঋণের অডিট প্রয়োজন। আর্থিক খাতের দুর্বৃত্তায়ন ঠেকাতে অর্থ আত্মসাৎকারীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হওয়া উচিত। পাশাপাশি ব্যাংক খাতের সংস্কারও নিশ্চিত করতে হবে বলে মনে করেন অংশীজনেরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের গতকাল প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্যমতে, খেলাপি ঋণ ২ লাখ ১১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা, যা ব্যাংকগুলোর বিতরণ হওয়া ঋণের ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। আর মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৮৩ হাজার ৩৯৬ কোটি টাকা। খেলাপি ঋণ নিয়ে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট বা বিআইবিএম ২০২৩ সালে ‘ক্রেডিট অপারেশনস অব ব্যাংকস’ শীর্ষক গবেষণায় বলছে, গত বছরের জুন শেষে জমি বন্ধক রেখে ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ৯ লাখ ২০ হাজার ৯০৪ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। বিশাল অঙ্কের এ ঋণের ৬৩ দশমিক ৬৮ শতাংশই জমি-ফ্ল্যাট-বাড়িসহ রিয়েল এস্টেট সম্পত্তি বন্ধক রেখে নেওয়া হয়েছে। অতীতে এসব তথ্য একাধিকবার গণমাধ্যমে উঠে এলেও সরকার এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি বলে জানা গেছে।

প্রথম আলো:

ভুল ধরিয়ে দিতে গণমাধ্যমকে সোচ্চার থাকার আহ্বান
যেসব কালাকানুন স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য অন্তরায়, সেগুলো বাতিল করার দাবি জানিয়েছেন সংবাদপত্রের সম্পাদকেরা। একই সঙ্গে স্বাধীন গণমাধ্যম কমিশন গঠন, সংবিধান সংস্কারে কমিশন, ব্যাংকিং খাত সংস্কারে কমিশন, সুশাসন প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন পর্যায়ে সংস্কারেরও প্রস্তাব করেছেন তাঁরা।

গতকাল মঙ্গলবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করে এসব দাবি ও প্রস্তাব তুলে ধরেছেন সংবাদপত্রের সম্পাদকেরা। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি সত্যিকার অর্থে সক্রিয় (ভাইব্র্যান্ট) গণমাধ্যম চান। সত্যিকার অর্থে তিনি গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন। আর এই সক্রিয় গণমাধ্যমের জন্য যা যা করা প্রয়োজন, তা–ই করবেন। প্রধান উপদেষ্টা সরকার পরিচালনায় ভুলত্রুটি ধরিয়ে দিতেও গণমাধ্যমকে সোচ্চার থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকের পর সাংবাদিকদের আলাদাভাবে ব্রিফ করেন সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
এ ছাড়া বৈঠকে উপস্থিত সূত্রে আলোচনার বিভিন্ন বিষয় জানা গেছে। বৈঠকে ২০ জন সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন। দুই পক্ষই জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে।

কালবেলা:

জাতীয় স্বার্থে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে
প্রতিহিংসা-প্রতিশোধ নয়; বরং ক্ষমা ও সংশোধনের উদ্দেশ্যে গণমুখী নতুন ধারার রাজনীতি প্রবর্তনের জন্য গণমাধ্যমকর্মীদের কলমকে শানিত করার আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে একটি রেস্টুরেন্টে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত সিনিয়র ও জামায়াত বিট সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

মহানগর উত্তর জামায়াতের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন উত্তরের নায়েবে আমির আব্দুর রহমান মূসা, প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা, সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান ও নাজিম উদ্দীন মোল্লা, ডা. ফখরুদ্দিন মানিক, ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক মু. আতাউর রহমান সরকারসহ কর্মপরিষদ সদস্যরা।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, বিগত সাড়ে ১৫ বছর সরকারের জুলুম-নির্যাতনের কারণেই আমরা আপনাদের সঙ্গে খোলা মনে কথা বলতে পারিনি। গণমানুষের কল্যাণে নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারিনি। অথচ শুধু মানুষ নয়; বরং আল্লাহর সব সৃষ্টিকে সম্মান করা আমাদের দায়িত্ব। মানুষ সৃষ্টির সেরা। মানুষের কল্যাণের জন্যই সবকিছু সৃষ্টি করা হয়েছে। তাই মন্দের বিপরীতে মন্দের চর্চার কোনো সুযোগ নেই।

তিনি সাংবাদিকদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের কথা উল্লেখ করে বলেন, সাংবাদিক ও রাজনীতিকরাই সমাজ পরিবর্তনে এবং ন্যায়-ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় যুগপৎভাবে কাজ করেন। রাজনীতিকরা যেমন রাজপথে গুলিতে মারা যান, সাংবাদিকরাও ঠিক তেমনি। তাই আমাদের পেছনে তাকানোর কোনো সুযোগ নেই। জাতীয় স্বার্থে এক কাতারে এসে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের দেশাত্মবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বাধীনভাবে পেশাগত দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।

জনপ্রিয় সংবাদ

বগুড়া সদর উপজেলা দোকান মালিক সমিতি খাঁন মার্কেটের সভাপতি ইনছান, সা: সম্পাদক জহুরুল

বিক্ষোভ করা ৫৭ বাংলাদেশীকে ক্ষমা করল আমিরাত

আপডেট সময় ০৭:১৩:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আজকের প্রত্রিকার প্রধান প্রধান খবর

বনিক র্বাতা:

বিক্ষোভ করা ৫৭ বাংলাদেশীকে ক্ষমা করল আমিরাত
অধ্যাপক ইউনূসের কৃতজ্ঞতা
কোটা সংস্কার আন্দোলনের পক্ষে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করা ৫৭ বাংলাদেশীকে ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান গতকাল তাদের ক্ষমা ঘোষণা করেন। বাংলাদেশী এসব প্রবাসীকে অবিলম্বে দেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা এমিরেটস নিউ এজেন্সি (ডব্লিউএএম) এ খবর জানিয়েছে।
ক্ষমা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসও। গতকাল দেশের প্রিন্ট মিডিয়ার সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠকের সময় তিনি এ তথ্য জানান।
বাংলাদেশী প্রবাসীদের ক্ষমা করে দেয়ায় ‘গভীর কৃতজ্ঞতা’ জানিয়ে আমিরাতের প্রেসিডেন্টকে একটি বার্তাও পাঠিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। এতে তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ করা ৫৭ বাংলাদেশীকে ক্ষমা করে দেয়ায় আপনার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমাদের টেলিফোন কথোপকথনের পর এ ক্ষমাশীলতা শুধু আপনার সহানুভূতিশীল নেতৃত্বই তুলে ধরে না, একই সঙ্গে তা আমাদের দুই দেশের ভ্রাতৃত্বের স্থায়ী বন্ধনকে শক্তিশালী করার বার্তাও বহন করে।’

দৈনিক সংগ্রাম:

অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ দুই থেকে তিন বছর হতে পারে
সরকারের ভুল-ত্রুটি নির্দ্বিধায় ছাপতে বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাস করেন। তিনি সরকারের ভুল-ত্রুটি নির্দ্বিধায় ছাপতে বলেছেন জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সম্পাদকদের। প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্ধৃত করে প্রেসসচিব শফিকুল আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান রাষ্ট্র মেরামত করা জন্য মস্ত বড় সুযোগ এনে দিয়েছে। বাংলাদেশকে নতুন শিখরে নেয়ার জন্য এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। তবে এর জন্য জাতীয় ঐক্যের খুব প্রয়োজন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধান উপদেষ্টাকে তারা বলেছিলেন অন্তর্বর্তী সরকার যেন যৌক্তিক সময় পর্যন্ত থাকেন। এই যৌক্তিক সময় আসলে কতটা সময়- সে বিষয়ে ড. ইউনূস সম্পাদকদের কাছে জানতে চান। এই সময়টাতে কী কী মৌলিক কাজ সরকারের করা উচিত- এ বিষয়েও পরামর্শ চান তিনি। সম্পাদকদের দেওয়া প্রস্তাবসমূহ তুলে ধরে শফিকুল আলম বলেন, ‘বিভিন্ন রকম কথা এসেছে যেমন- অন্তত ২ বছর মেয়াদ দেওয়া যেতে পারে। অনেকে আবার দুই থেকে তিন বছরের কথা বলেছেন। আবার কেউ কেউ প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করতে যতটা সময় লাগে তা দেওয়ার পক্ষে প্রস্তাব দেন।’

 

শফিকুল আলম বলেন, তবে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ নিয়ে বেশির ভাগই বলেছেন, যেসব সংস্কার কাজ বা যে কর্মপরিকল্পনা অন্তর্বর্তী সরকারের রয়েছে, সেটিই আসলে নির্ধারণ করবে এই সরকারের মেয়াদ কতদিন হবে।

বৈঠকে সম্পাদকদের পক্ষ থেকে আসা পরামর্শ তুলে ধরে প্রেস সচিব আরও বলেন, ‘সংবিধান সংশোধন, সংবিধান পুনর্লিখন, আইন কমিশন, সংবিধান কমিশন, মিডিয়া কমিশন ও পুলিশ কমিশন গঠনের কথা এসেছে। পুলিশকে আরো কার্যকরভাবে কাজে লাগানো যায় এবং নির্বাচন কমিশন সংস্কারের কথা এসেছে।’

এদিকে আলোচনা শেষে সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেছেন, আমাদের কাছে ওনার আবেদন হচ্ছে, আমরা যেন লিখনির মাধ্যমে জাতীয় ঐক্যমত প্রতিষ্ঠা করি। আমাদের সাজেশান্স উনি সাদরে গ্রহণ করেছেন। আমাদের বলেছেন, সরকার পরিচালনায় ভুল-ত্রুটি হলে আমরা যেন নির্দ্বিধায় কাগজে ছাপি। ওনার সরকারকে সহযোগিতা করি।

মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার সরকারি বাসভবন যমুনায় পত্রিকার সম্পাদকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সভায় দেশের প্রথম সারির ২০টি দৈনিকের সম্পাদকেরা উপস্থিত ছিলেন। তবে ২২ জন উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও দুজন দেশের বাইরে অবস্থান করায় অংশ নিতে পারেননি বলে জানা গেছে। বৈঠক শেষে যমুনার গেটে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম।

কালের কন্ঠ:

ছাত্র হত্যার হোতা শতাধিক পুলিশ
রাজধানী ঢাকা থেকে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) শহীদুল হক ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেপ্তার করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে এই দুই সাবেক আইজিপিকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাবেক এই দুই আইজিপির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। এর মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র হত্যার অভিযোগে হত্যা মামলা করা হয়।
অভিযোগ আছে গণহত্যারও।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত জুলাই-আগস্টে শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছিল পুলিশ। এসব গুলির ঘটনায় শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার অন্তত এক হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কয়েক হাজার।
আন্দোলনে গুলি চালিয়ে লাশ ফেলার মাস্টারমাইন্ড হিসেবে কাজ করেছেন শতাধিক পুলিশ সদস্য।
সাবেক দুই আইজিপিকে গ্রেপ্তারের বিষয় নিশ্চিত করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, সাবেক আইজিপি শহীদুল হক ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন ডিবি হেফাজতে রয়েছেন। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। পুলিশের একটি সূত্র জানায়, সাবেক আইজিপি শহীদুল হককে উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ।

নয়াদিগন্ত:

নতুন ইতিহাস টাইগারদের
সিরিজ শুরুর আগে নাজমুল হোসেন শান্ত বলেছিলেন, পাকিস্তান সফরে তারা পরিসংখ্যান নতুন করে লিখতে চান। শান্ত তার কথা রেখে নতুন ইতিহাস তৈরি করেছেন। ২ টেস্টের সিরিজে পাকিস্তানের মাটিতে তাদেরকে বাংলাওয়াশ করেছে টাইগাররা।
আগের দিনই প্রস্তুত ছিল ইতিহাস সৃষ্টির পট। যা গতকাল বৃষ্টিতে ধুয়ে যেতে পারত; কিন্তু আবহাওয়ার পূর্বাভাসকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে রাওয়ালপিন্ডির আকাশ। গল্পের শেষটা বাংলাদেশও টেনেছে তুলি দিয়ে। চতুর্থ ইনিংসের ব্যাটিং চ্যালেঞ্জ উতরে পাকিস্তানকে হারিয়েছে ৬ উইকেটে। দেশের বাইরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ের পর তৃতীয় টেস্ট সিরিজ জিতল বাংলাদেশ।

এই টেস্টে আরেকটি অনন্য রেকর্ড গড়েছে টাইগাররা। টেস্ট ইতিহাসে দ্বিতীয় দল হিসেবে প্রথম ইনিংসে ৩০ রানের নিচে ৬ উইকেট হারানোর পরও টেস্ট জিতেছে। এমন কীর্তি দেখা গিয়েছিল ১৩৭ বছর আগে ১৮৮৭ সালে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিডনিতে প্রথম ইনিংসে ১৭ রানে ৬ উইকেট হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। পরে তারা অলআউট হয়ে গিয়েছিল স্রেফ ৪৫ রানেই। তারপরও অসিদের জয়ের জন্য ১১১ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিয়ে ১৩ রানে ম্যাচ জিতেছিল ইংল্যান্ড। আবরার আহমেদের বল এক্সট্রা কাভার দিয়ে সীমানা ছাড়া করলেন সাকিব আল হাসান। ড্রেসিংরুমের বারান্দায় দাঁড়িয়ে উল্লøাস করে উঠল পুরো দল। রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানকে টানা দুই টেস্ট হারিয়ে বাংলাওয়াশের নজির স্থাপন করল টাইগাররা। প্রতিপক্ষ, প্রেক্ষাপট বিবেচনায় এই সিরিজ জয় নিশ্চিতভাবেই সবার উপরে।

সমকাল:

মামলায় নানা অসংগতি, মনগড়া এজাহার
দেশের বাইরে থেকেও কেউ কেউ ‘ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে গুলি ছুড়ে’ হয়েছেন অভিযুক্ত। দুই স্থানে একই সময়ের ঘটনায় করা আলাদা মামলায় উঠেছে অভিন্ন আসামির নাম। কিছু মামলায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে আসামি হিসেবে জুড়ে দেওয়া হয়েছে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীর নামও। প্রতিপক্ষ ঘায়েলে ইচ্ছা করেই নাম ঢোকানো হয়েছে কোনো কোনো মামলায়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার পটভূমিতে করা বেশ কিছু মামলার এজাহার ঘেঁটে এমন নানা অসংগতি পেয়েছে সমকাল। যেমন খুশি তেমন মনগড়া মামলায় আসামি হয়ে অস্বস্তিতে পড়েছেন নিরপরাধ অনেক ব্যক্তি। এমনকি মামলায় জড়িয়ে অনৈতিক সুবিধা নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। এসব কারণে কিছু মামলার এজাহার হয়ে গেছে বেশ দুর্বল।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এসব অসংগতি ও কমজোরি এজাহারের কারণে অভিযোগের সত্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে। এ কারণে সুবিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে বঞ্চিত হতে পারে ভুক্তভোগী পরিবার।

পাকিস্তানের দেয়া ১৮৫ রানের লক্ষ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে জয় স্পর্শ করে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। নাটকীয়তায় ভরা টেস্টে প্রথম ইনিংসে ২৭৪ রান করেছিল স্বাগতিকরা। জবাবে প্রথম ইনিংসে ২৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজের বিশ্বরেকর্ড গড়া ১৬৫ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায়। লিটনের অনবদ্য ১৩৮ রানে ২৬২ রান তুলে লড়াইয়ে ফেরে বাংলাদেশ। এরপর বোলারদের পালা। দ্বিতীয় ইনিংসে তিন পেসার হাসান-নাহিদ-তাসকিন ১০ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানকে ১৭২ রানে আটকে দেয়। টেস্টে এই কৃতিত্ব বাংলাদেশের প্রথম। এর মধ্যে হাসান মাহমুদ নেন পাঁচ উইকেট।

ম্যাচ শুরুর আগেই রাওয়ালপিন্ডিতে দ্বিতীয় টেস্টে চোখ রাঙিয়েছিল বৃষ্টি। সেই পূর্বাভাসই অনেকাংশেই সত্যি হয়েছিল। ম্যাচের প্রথম দিনের পুরোটাই গিয়েছিল বৃষ্টির পেটে। এরপর ম্যাচের চতুর্থ দিন আবারও হানা দেয় বৃষ্টি। ততক্ষণে প্রথম ইনিংসে ২৬ রানে ৬ উইকেটের বিপর্যয় কাটিয়ে পাকিস্তানকে নাগালের মধ্যে অল আউট করে ম্যাচ জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করে রেখেছিল টাইগাররা। পঞ্চম দিনও বৃষ্টির সম্ভাবনা ছিল। সেই সাথে ছিল বজ্রঝড়ের আশঙ্কা। তবে সব শঙ্কার মেঘ দূর করে পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। তাতে লাল বলের ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো পাকিস্তানকে বাংলাওয়াশের স্বাদ দিয়েছে টাইগাররা। প্রথম টেস্টে পাকিস্তানকে হারিয়েছিল ১০ উইকেটে।

যুগান্তর:

ভুয়া কোম্পানিতে ৯০০ কোটি টাকার কাজ
সাবেক জ্বালানি সচিব আবু হেনা রহমাতুল মুনিমের চাপে কোনো যাচাই-বাছাই ছাড়া বাংলাদেশ গ্যাসফিল্ড কোম্পানি লিমিটেডের (বিজিএফসিএল) ৯শ কোটি টাকার প্রকল্পের কার্যাদেশ একটি ভুয়া ও নামসর্বস্ব কোম্পানিকে দেওয়া হয়েছিল। নোয়া (নোটিফেকেশন অব অ্যাওয়ার্ড) ইস্যুর পরপরই পেট্রোবাংলার এক বৈঠকে ফাঁস হয়ে যায় পুরো জাল-জালিয়াতি। কোম্পানিটিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি খাতের একটি বড় বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান হিসাবে দেখিয়ে দরপত্রে অংশ নেওয়ার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিলেন মুনিম সিন্ডিকেট। পরে তদন্তে দেখা গেছে এই নামে কোনো কোম্পানিই নেই যুক্তরাষ্ট্রে। টেকনোস্টিম এনার্জি নামে ওই কোম্পানিটির মালিকানার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন খোদ সাবেক জ্বালানি সচিব রহমাতুল মুনিমের চাচা। যিনি এক সময় তিতাস গ্যাস কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার ও পরবর্তী সময়ে পেট্রোবাংলার পরিচালক ছিলেন। শুধু তাই নয়, জাল-জালিয়াতির ভয়াবহ এ তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয় দফায় ফের রহমাতুল মুনিমের চাপে ওই কোম্পানির দেওয়া বিডবন্ডটিও আত্মসাৎ করে নেয় সিন্ডিকেট। পরে ওই টাকা ভাগবাঁটোয়ারা করে নেন তারা সবাই। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করে এবং যুগান্তরের নিজস্ব অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য।

অভিযোগ আছে-সাবেক বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই ইলাহীর ঘনিষ্ঠভাজন হওয়ায় এরকম ভয়াবহ জাল-জালিয়াতি ও বিডবন্ড আত্মসাতের সঙ্গে জড়িত থাকার পরও রহমাতুল মুনিমের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উলটো তাকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান করে পুরস্কৃত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা এর কারণ হিসাবে বলেন, এই রহমাতুল মুনিমের মাধ্যমে নসরুল হামিদ সিন্ডিকেট জ্বালানি খাতের শত শত কোটি টাকার প্রকল্প বাগিয়ে নিয়েছিল।

শুধু তাই নয়, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এ ঘটনায় তদন্ত করার জন্য একজন তদন্তকারী কর্মকর্তা নিযুক্ত করলেও তৎকালীন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা রহমাতুল মুনিমের চাপে সেই তদন্ত কার্যক্রমও আলোর মুখ দেখেনি। জানা গেছে, ২০২২ সালের ২৪ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন উপপরিচালক মো. আবু বকর সিদ্দিক এই ঘটনার তদন্ত করতে পেট্রোবাংলার কাছে এসংক্রান্ত সব ধরনের তথ্য চেয়ে চিঠি দেন। কিন্তু রহমাতুল মুনিমের কারণে পেট্রোবাংলা সেই চিঠির এখন পর্যন্ত কোনো উত্তর দেয়নি। দুদকের পক্ষ থেকেও অদ্যাবধি এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য চেয়ে পালটা চিঠি দেয়নি পেট্রোবাংলাকে। এই সুযোগে সিন্ডিকেটের একটি পক্ষ পেট্রোবাংলা থেকে এই প্রকল্পের সব ধরনের ডকুমেন্ট গায়েব করে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, এর সঙ্গে পেট্রোবাংলার একজন জেনারেল ম্যানেজার জড়িত রয়েছেন। মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে তিনি এই কাজ করেছেন বলে অভিযোগ আছে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

ভুয়া কাগজে ব্যাংক লুট
সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকে সম্পত্তি বন্ধক রেখে নেওয়া ঋণের অডিট জরুরি ♦ জমি বন্ধক রেখে ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের পরিমাণ ৯ লাখ ২০ হাজার ৯০৪ কোটি টাকা ♦ অর্থ আত্মসাৎকারীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা ও ব্যাংক খাতের সংস্কার চান অংশীজনেরা
বিগত ১৫ বছরে ঋণের জামানত হিসেবে জমি আর ফ্ল্যাটের ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে ব্যাংক খাতে মহালুটপাট হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। সূত্রমতে, ব্যাংকে বন্ধক রাখা সম্পদ বিক্রি করেও খেলাপি ঋণের অর্থ আদায় করতে পারেনি অধিকাংশ সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক।

অনেক ক্ষেত্রে ব্যাংক আর ক্রেতা যোগসাজশে ঋণের বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছে। এমন পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সম্পত্তি বন্ধক রেখে নেওয়া ঋণের অডিট প্রয়োজন। আর্থিক খাতের দুর্বৃত্তায়ন ঠেকাতে অর্থ আত্মসাৎকারীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হওয়া উচিত। পাশাপাশি ব্যাংক খাতের সংস্কারও নিশ্চিত করতে হবে বলে মনে করেন অংশীজনেরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের গতকাল প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্যমতে, খেলাপি ঋণ ২ লাখ ১১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা, যা ব্যাংকগুলোর বিতরণ হওয়া ঋণের ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। আর মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৮৩ হাজার ৩৯৬ কোটি টাকা। খেলাপি ঋণ নিয়ে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট বা বিআইবিএম ২০২৩ সালে ‘ক্রেডিট অপারেশনস অব ব্যাংকস’ শীর্ষক গবেষণায় বলছে, গত বছরের জুন শেষে জমি বন্ধক রেখে ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ৯ লাখ ২০ হাজার ৯০৪ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। বিশাল অঙ্কের এ ঋণের ৬৩ দশমিক ৬৮ শতাংশই জমি-ফ্ল্যাট-বাড়িসহ রিয়েল এস্টেট সম্পত্তি বন্ধক রেখে নেওয়া হয়েছে। অতীতে এসব তথ্য একাধিকবার গণমাধ্যমে উঠে এলেও সরকার এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি বলে জানা গেছে।

প্রথম আলো:

ভুল ধরিয়ে দিতে গণমাধ্যমকে সোচ্চার থাকার আহ্বান
যেসব কালাকানুন স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য অন্তরায়, সেগুলো বাতিল করার দাবি জানিয়েছেন সংবাদপত্রের সম্পাদকেরা। একই সঙ্গে স্বাধীন গণমাধ্যম কমিশন গঠন, সংবিধান সংস্কারে কমিশন, ব্যাংকিং খাত সংস্কারে কমিশন, সুশাসন প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন পর্যায়ে সংস্কারেরও প্রস্তাব করেছেন তাঁরা।

গতকাল মঙ্গলবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করে এসব দাবি ও প্রস্তাব তুলে ধরেছেন সংবাদপত্রের সম্পাদকেরা। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি সত্যিকার অর্থে সক্রিয় (ভাইব্র্যান্ট) গণমাধ্যম চান। সত্যিকার অর্থে তিনি গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন। আর এই সক্রিয় গণমাধ্যমের জন্য যা যা করা প্রয়োজন, তা–ই করবেন। প্রধান উপদেষ্টা সরকার পরিচালনায় ভুলত্রুটি ধরিয়ে দিতেও গণমাধ্যমকে সোচ্চার থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকের পর সাংবাদিকদের আলাদাভাবে ব্রিফ করেন সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
এ ছাড়া বৈঠকে উপস্থিত সূত্রে আলোচনার বিভিন্ন বিষয় জানা গেছে। বৈঠকে ২০ জন সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন। দুই পক্ষই জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে।

কালবেলা:

জাতীয় স্বার্থে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে
প্রতিহিংসা-প্রতিশোধ নয়; বরং ক্ষমা ও সংশোধনের উদ্দেশ্যে গণমুখী নতুন ধারার রাজনীতি প্রবর্তনের জন্য গণমাধ্যমকর্মীদের কলমকে শানিত করার আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে একটি রেস্টুরেন্টে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত সিনিয়র ও জামায়াত বিট সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

মহানগর উত্তর জামায়াতের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন উত্তরের নায়েবে আমির আব্দুর রহমান মূসা, প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা, সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান ও নাজিম উদ্দীন মোল্লা, ডা. ফখরুদ্দিন মানিক, ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক মু. আতাউর রহমান সরকারসহ কর্মপরিষদ সদস্যরা।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, বিগত সাড়ে ১৫ বছর সরকারের জুলুম-নির্যাতনের কারণেই আমরা আপনাদের সঙ্গে খোলা মনে কথা বলতে পারিনি। গণমানুষের কল্যাণে নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারিনি। অথচ শুধু মানুষ নয়; বরং আল্লাহর সব সৃষ্টিকে সম্মান করা আমাদের দায়িত্ব। মানুষ সৃষ্টির সেরা। মানুষের কল্যাণের জন্যই সবকিছু সৃষ্টি করা হয়েছে। তাই মন্দের বিপরীতে মন্দের চর্চার কোনো সুযোগ নেই।

তিনি সাংবাদিকদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের কথা উল্লেখ করে বলেন, সাংবাদিক ও রাজনীতিকরাই সমাজ পরিবর্তনে এবং ন্যায়-ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় যুগপৎভাবে কাজ করেন। রাজনীতিকরা যেমন রাজপথে গুলিতে মারা যান, সাংবাদিকরাও ঠিক তেমনি। তাই আমাদের পেছনে তাকানোর কোনো সুযোগ নেই। জাতীয় স্বার্থে এক কাতারে এসে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের দেশাত্মবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বাধীনভাবে পেশাগত দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।