দক্ষিণ আফ্রিকার দেয়া ৩৮৩ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়ায় ১২২ রানে ৭ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শঙ্কা জাগে রানের বিচারে সবচেয়ে বড় হারের। তবে শেষপর্যন্ত সেটি হতে দেননি মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ। বাংলাদেশ ১৪৯ রানে হারলেও সেঞ্চুরি পেয়েছেন মাহমুদ।
মুম্বাইয়ে কুইন্টন ডি ককের সেঞ্চুরি ও হেনরিক ক্লাসেনের ঝড়ো ব্যাটে ৩৮২ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়া বোলারদের তোপের মুখে ৩১ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। আজও সুবিধা করতে পারেনি ওপেনিং জুটি। লিটন দাস, নাজমুল হোসেনদের সঙ্গে সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিমও ব্যাট হাতে ব্যর্থ।
১২২ রানে ৭ উইকে4ট হারানো বাংলাদেশের সামনে তখন নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে সব চেয়ে বড় রানে হারের শঙ্কা। এর সঙ্গে বিশ্বকাপে নিজেদের বড় হার বাঁচাতে বাংলাদেশকে করতে হতো অন্তত ১৭৬ রান। সেখান থেকে দলের হাল ধরেন মাহমুদ। ছয়ে নেমে খেলেন ১১১ বলে ১১১ রানের ইনিংস।
অষ্টম উইকেটে হাসান মাহমুদের সঙ্গে ৩৭ ও নবম উইকেটে মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে ৬৮ রানের জুটিতে দলকে আরো বড় রানের হাত থেকে বাঁচানোর সঙ্গে ওয়ানডে বিশ্বকাপে নিজের তৃতীয় শতক তুলে নেন বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলে থাকা বা না থাকার দোলাচলে থাকা এই ক্রিকেটার। ১১টি চার ও ৪টি ছয়ের মারে এই ইনিংসটি সাজান তিনি। ৪৭তম ওভারে বাংলাদেশ থামে ২৩৩ রানে। এর আগে টস হেরে ফিল্ডিং করতে নেমে ৩৬ রানের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার ২ উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। তবে উচ্ছ্বাস থামে ওখানেই।
বিধ্বংসী রূপ নেয়া ডি কক, হ্যানরিক ক্লাসেনদের ব্যাটিং তোপে উড়ে গেছেন বাংলাদেশের বোলাররা। চলতি বিশ্বকাপের তৃতীয় সেঞ্চুরি করা ডি কক করেন ১৭৪ রান। ১৪০ বলের ইনিংসে ১৫ চার ও ৭ ছক্কা মারেন এই ওপেনার। আউট হওয়ার আগে তৃতীয় উইকেটে এইডেন মারক্রামের সঙ্গে ১৩১ ও চতুর্থ উইকেটে ক্লাসেনের সঙ্গে ১৪২ রানের জুটি গড়ে যান ডি কক। প্রোটিয়াদের ৩৮২ রানের সংগ্রহে দলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেন ক্লাসেন। আগের ম্যাচে শতক করা এই ব্যাটার আজ ফেরেন ৯০ রানে। মাত্র ৪৯ বল খেলে ২টি চার ও ৮টি ছয় মারেন তিনি। সাথে মারক্রাম করেন ৬০ রান।
শেষ ১০ ওভারে তাণ্ডব চালিয়ে ১৪৪ রান তলে দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশের হয়ে হাসান মাহমুদ ২, মিরাজ, সাকিব ও শরিফুল নেন ১টি করে উইকেট। এই ম্যাচ শেষে ৫ ম্যাচ খেলে দক্ষিণ আফ্রিকার যেখানে ৪ জয়, সেখানে বাংলাদেশের হার ৪টি।