ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সশস্ত্র শাখা জানিয়েছে, ইসরাইলের সামরিক চাপ অব্যাহত থাকলে গাজায় থাকা পণবন্দীরা ইসরাইলে ফিরবে ‘কফিনে।’ ইসরাইলি সৈন্যরা বন্দীদের উদ্ধারে কাছাকাছি এসে পড়লে করণীয় সম্পর্কে যোদ্ধাদের ‘নতুন নির্দেশনা’ দেয়া হয়েছে বলেও তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে।
কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবায়দা বলেন, ‘চুক্তির বদলে সামরিক শক্তির মাধ্যমে বন্দীদের মুক্ত করার ব্যাপারে [ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন] নেতানিয়াহুর জোরাজুরির অর্থ হলো তারা কফিনে করে তাদের পরিবারের কাছে ফিরে যাবে। তাদের পরিবারকে মৃত বা জীবিত গ্রহণ করবে, তার কোনো একটা বেছে নিতে হবে।’
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) তিনি এই বিবৃতি দেন। এর দু’দিন আগে ইসরাইল গাজা থেকে ছয় বন্দীর মৃতদেহ উদ্ধার করে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইসরাইল ইচ্ছাকৃতভাবে যেকোনো ধরনের বন্দী বিনিময় চুক্তিতে বাধা দেয়ার প্রেক্ষাপটে বন্দীদের মৃত্যুর জন্য নেতানিয়াহু এবং তার সেনাবাহিনী দায়ী।’
এর আগে নেতানিয়াহু দাবি করেন, দক্ষিণ গাজার রাফার একটি সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধার হওয়া মৃতদেহগুলোকে হামাস হত্যা করেছে।
তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘তাদেরকে জীবিত না আনতে পেরে আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’
উল্লেখ্য, গাজায় আটক পণবন্দীদের উদ্ধারে হামাসের সাথে চুক্তি করার জন্য ইসরাইলে ব্যাপক বিক্ষোভ হচ্ছে।
নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমরা কাছাকাছি চলে এসেছিলাম। কিন্তু সফল হতে পারিনি। হামাসকে এজন্য অনেক মূল্য দিতে হবে।’
তবে হামাসের সিনিয়র কর্মর্তা ইজ্জাত আল-রিশেক বলেন, ওই ছয় বন্দী ইসরাইলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছে।
ওই হামলার ফলে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর ওপর যুদ্ধবিরতি চুক্তি করার জন্য চাপ বাড়ছে।