ঢাকা ০৬:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ১২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ঢালাও আসামি করায় প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে মামলা

হাসিনার সামনে দুটো অপশন, ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় কিংবা দেশে ফেরা

  • লিমন হোসেন
  • আপডেট সময় ০৭:৪৫:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 63

আজকের প্রত্রিকা গুলোর প্রধান প্রধান খবর

মানবজমিন:

হাসিনার সামনে দুটো অপশন, ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় কিংবা দেশে ফেরা
ক্ষমতাচ্যুত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে দুটো অপশন খোলা। হয় ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় নতুবা দেশে ফিরে আসা। এই মুহূর্তে আর কোনো বিকল্প নেই। ৭৭ বছর বয়সী এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী এখন ভারতে অবস্থান করছেন। শতাধিক মামলা রুজু হয়েছে তার বিরুদ্ধে। এরমধ্যে হত্যা মামলাই বেশি। গণহত্যার মামলা নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতেও যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে। তার পাসপোর্ট বাতিল হওয়ায় ভিন্ন গন্তব্যে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা উবে গেছে। ভারতীয় আইন অনুযায়ী বিনা ভিসায় তিনি ৪৫ দিন থাকতে পারবেন। এর মধ্যে কেটে গেছে ২৭ দিন।

যা কিছু করার এর মধ্যেই করতে হবে শেখ হাসিনাকে। শেখ রেহানার অবশ্য পরিস্থিতি ভিন্ন। তার কাছে রয়েছে বৃটিশ পাসপোর্ট। তিনি ইচ্ছা করলে বৃটেন কিংবা অন্য যেকোনো দেশে যেতে পারেন। ভারত এখন কী করবে। তারা কি শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেবে? যেমনটা দিয়েছিল ১৯৭৫-এ বঙ্গবন্ধু হত্যার পর। ছয় বছর ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে আশ্রয়ে ছিলেন হাসিনা। যতদূর জানা যায়, ভারত এখন উভয় সংকটে। তারা কি তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক তৈরি করবে? যে সম্পর্ক এখন অনেক তিক্ততায় পরিণত হয়েছে! ভারতবিরোধী সেন্টিমেন্ট আগের থেকে অনেক অনেক বেশি এখন। বহির্বিশ্বেও ভারতের সামপ্রতিক তৎপরতা নিয়ে নানা প্রশ্ন দানা বাঁধছে। হাসিনার সঙ্গে তাদের সম্পর্ক সর্বজনবিদিত। ৩৬ দিনে শেখ হাসিনার শাসন খতম হয়ে যাওয়ার পর ভারত বাংলাদেশের উপর নানা চাপ সৃষ্টি করতে থাকে।

সংখ্যালঘু কার্ড ব্যর্থ হয়েছে। দলমত নির্বিশেষে বাংলাদেশের মানুষজন হিন্দুদের বাড়িঘর পাহারা দিয়েছে। ঢালাও অভিযোগ ভুল প্রমাণিত হয়েছে। যদিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা প্রচারণা জারি রয়েছে। এই পটভূমিতে ভারত কি শেখ হাসিনাকে প্রোটেকশন দেবে? পাসপোর্ট বাতিল হয়ে যাওয়ায় শেখ হাসিনা এখন উদ্বাস্তু। অন্য কোনো দেশে যাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও তা খুবই কঠিন। চীন এবং ভারত হাসিনাকে নিয়ে বাজি ধরেছিল। দুটো দেশই হেরেছে। মাঝখানে জিতে গেছে অন্য একটি দেশ। চীন সতর্ক হয়ে গেছে। ভারত হাসিনাকে ঘিরে স্বপ্ন দেখছে এখনো। কিন্তু ইতিহাস অন্য কথা বলে। ১৯৭৫ সনের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার পর ধারণা করা হয়েছিল ভারত ভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখাবে। কেউ কেউ নানা অ্যাকশনের কথাও বলেছিলেন। বাস্তবে দেখা গেল উল্টোটা।

লালকেল্লা ময়দানে জাতীয় কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর কাছে বার্তা পৌঁছেছিল ঢাকায় অভ্যুত্থান হয়েছে। মুজিব ডেড। ধীর-স্থির প্রধানমন্ত্রী কুচকাওয়াজে অংশ নিলেন। তেমন একটা প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেল না। অবশ্য একটা দৃশ্যমান পরিবর্তন দেখা গেল। তখন বাংলাদেশে নিযুক্ত হাইকমিশনার সমর সেন দিল্লিতে। তাকে ডেকে পাঠানো হলো। বলা হলো- এক্ষুণি ঢাকায় যেতে হবে। ঢাকা-দিল্লি বিমান যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ঢাকায় কারফিউ। সমর সেন দিল্লি থেকে কলকাতা এলেন বিমানে। বেনাপোল সীমান্ত ক্রস করে বাই রোডে সোজা এলেন ঢাকায়। গন্তব্য বঙ্গভবন। সেখানেই থাকতেন আগস্ট অভ্যুত্থানের খলনায়ক, ষড়যন্ত্রকারী খন্দকার মোশ্‌তাক আহমেদ। দুপুর গড়িয়ে তখন সন্ধ্যা হয়ে গেছে।

 

তাহেরউদ্দিন ঠাকুর মোশ্‌তাককে খবর দিলেন- সমর সেন বঙ্গভবনে পৌঁছে গেছেন। এর পরের দৃশ্য পত্রিকার প্রথম পাতায় পরদিন দেখা গেল। সমর সেন বঙ্গভবনে পৌঁছেই খন্দকার মোশ্‌তাকের সঙ্গে কোলাকুলি করলেন। অন্য কী বার্তা দিয়েছিলেন তা অবশ্য জানা যায়নি। এখনকার পরিস্থিতি কী। শেখ হাসিনা সরকার উৎখাতের পর ভারত কি আসলেই কোনো প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে? যা থেকে ধরে নেয়া যায় তারা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করবে? বাস্তব অবস্থা দেখে যে কেউ এই ধারণা করতেই পারেন। ভারত যেটুকু পেয়েছে শেখ হাসিনার কাছ থেকে সেটুকু ধরে রাখতে চায়। তাই বলে হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতাবোধ দেখাতেও তারা কসুর করছে না। বিগত সাড়ে ১৫ বছরে ভারত অনেক কিছুই নিয়েছে। দিয়েছে স্বল্প। অবশ্য ক্ষমতায় থাকার একচেটিয়া লাইসেন্স দিয়েছে। নির্বাচনগুলোতে প্রভাব বিস্তার করেছে। এক পর্যায়ে তারাই বাংলাদেশের রাজনীতির নিয়ামক শক্তি হিসেবে কলকাঠি নেড়েছে। কখনো গোপনে, কখনো প্রকাশ্যে। চোখ বুজে টিকিয়ে রেখেছে হাসিনার অগণতান্ত্রিক শাসনকে।

পরিণতিতে হারিয়েছে বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষকে। দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর হাসিনার ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো স্পষ্ট ধারণা দেন নি। এই অবস্থায় হাসিনা যদি ভারতের রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে বসেন তখন তাদের নীতি কী হবে তা নিয়ে উভয় সংকটে প্রশাসন। রাজনৈতিক পণ্ডিতরা দ্বিধাবিভক্ত। হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে চাপ বাড়বে ভারতের উপর। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন এরকমই একটা ইঙ্গিত দিয়েছেন।

প্রথম আলো:

ঢালাও আসামি করায় প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে মামলা

একের পর এক মামলা

যে হত্যা মামলাগুলো হচ্ছে, তাতে বেশির ভাগ আসামির ক্ষেত্রে ‘হুকুমদাতা-নির্দেশদাতা’ উল্লেখ করা হয়েছে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঠেকাতে শেখ হাসিনার সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি দলীয় কর্মীদের দিয়ে নির্বিচার গুলি করে মানুষ হত্যা করেছে। কিন্তু এসব ঘটনায় একের পর এক মামলায় ঢালাওভাবে আসামি করা হচ্ছে। এর ফলে মামলা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। এ ধরনের মামলায় ভুক্তভোগীদের অর্থাৎ নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের ন্যায়বিচার প্রাপ্তিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে বলে মনে করছেন আইনবিশেষজ্ঞরা।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ঘটনাই ঘটেনি, তারপরও কাল্পনিক কাহিনি সাজিয়ে অসংখ্য মামলা দিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক নেতা–কর্মীসহ সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা হতো। এসব মামলা গায়েবি মামলা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। গায়েবি মামলার বাদীরা ছিল হয় পুলিশ, নয়তো আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মী। কিন্তু এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে প্রথম আলোর হিসাব অনুযায়ী, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের গুলি, সংঘর্ষ ও বিভিন্ন ধরনের সহিংসতায় গত ১৬ জুলাই থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে কমপক্ষে ৭৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে শিক্ষার্থী, নারী, শিশু, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কেউ ঘটনাস্থলে আবার কেউ চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরে হাসপাতালে মারা গেছেন।
নিহত ব্যক্তিদের স্বজনদের করা কোনো কোনো মামলায় ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষকে আসামি করা হয়েছে। স্থানীয় বিরোধের জেরেও কোনো কোনো ব্যক্তিকে অন্য অনেকের সঙ্গে মামলায় আসামি করার অভিযোগ আছে।

আইনবিশেষজ্ঞরা বলছেন, হত্যা মামলা করার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকতে হয়। কিন্তু যে মামলাগুলো হচ্ছে, তাতে বেশির ভাগ আসামির ক্ষেত্রে ‘হুকুমদাতা-নির্দেশদাতা’ উল্লেখ করা হয়েছে। এ ধরনের মামলা আদালতে টিকবে, এমন সম্ভাবনা কম। তাই ভুক্তভোগীরা যাতে ন্যায়বিচার পান, সে জন্য থানায় বা আদালতে মামলা নেওয়ার ক্ষেত্রে যাচাই–বাছাইয়ের বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে দিকনির্দেশনা দেওয়া প্রয়োজন।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয় : তারেক রহমান
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে নতুন বাংলাদেশ গড়ার শপথে মির্জা ফখরুলসহ নেতা-কর্মীরা
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বাংলাদেশে আর কোনোদিন কেউ যাতে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে স্বৈরাচার হয়ে উঠতে না পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। সেজন্য বিএনপি সংবিধানে এমন ব্যবস্থা রাখতে চায়, যাতে কেউ যেন পর পর দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে না পারেন। গতকাল কুমিল্লা ও ফরিদপুর বিভাগের তৃণমূল বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় দেওয়া ভার্চুয়াল বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে দেশব্যাপী বিএনপির বিভাগ ওয়ারি তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে ধারাবাহিক মতবিনিময় সভার অংশ হিসেবে এ সভার আয়োজন করা হয়। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশায় যুক্ত হয়েছে নতুন আশাবাদ। আর পরিবর্তিত হয়েছে ভাষা, এই পরিবর্তিত নতুন ভাষা পড়তে ও বুঝতে হবে আর মানুষের আশাবাদকে বাস্তবে রূপ দিতে হবে। সেটা করতে না পারলে ছিটকে পড়তে হবে।

তিনি বলেন, এতদিন শুধু আওয়ামী লীগ ছিল প্রকাশ্য প্রতিপক্ষ। আমরা তাদের আক্রমণের ধরন বুঝতাম ও জানতাম। এখন ওরা ছাড়াও চারদিকে অসংখ্য অদৃশ্য প্রতিপক্ষ, এদের অবস্থান অন্ধকারে, এরা সর্বত্র ছড়িয়ে আছে। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে এই দৃশ্যমান আর অদৃশ্য প্রতিপক্ষ মোকাবিলায়। বিএনপির রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারের পরিকল্পনার কথা বলতে গিয়ে তারেক রহমান গত বছর জুলাইয়ে উপস্থাপিত দলের ৩১ দফা কর্মসূচির মৌলিক বিষয়গুলো তুলে ধরে বলেন, বিএনপি ভবিষ্যতে এদেশে স্বৈরশাসনের কবর রচনা করতে চায়। আইন, বিচার ও নির্বাহী বিভাগের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য রাখতে চায়। রাষ্ট্র পরিচালনায় সমাজের জ্ঞানী গুণীদের প্রতিনিধিত্ব ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে দুই কক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট ব্যবস্থার প্রবর্তন করতে চায়। তরুণ ও বেকারদের জন্য কর্মসংস্থান, আর কর্মসংস্থান না হওয়া পর্যন্ত যোগ্যতা অনুযায়ী ভাতা প্রবর্তন করতে চায়। নিশ্চিত করতে চায় সর্বস্তরে নারীর অংশ গ্রহণ। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, অর্থনীতি সব ক্ষেত্রে আনতে চায় যুগোপযোগী আমূল পরিবর্তন। গড়তে চায় ধর্ম-বর্ণ গোত্র গোষ্ঠী সমতল পাহাড়ি নির্বিশেষে এক সুষম সমঅধিকারের আধুনিক বাংলাদেশ।

বিএনপির এই শীর্ষনেতা দলের সব নেতা-কর্মীকে এ বার্তা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর নির্দেশ দেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সফলতা আর জনপ্রিয়তার একমাত্র ভিত্তি ছিল, দেশের সর্বস্তরের মানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসা। এদেশের মানুষের প্রাণঢালা ভালোবাসা আর আস্থাই বিএনপির একমাত্র শক্তি। জনগণের এই প্রতিষ্ঠিত ভালোবাসাকে যে কোনো মূল্যে রক্ষা করতে হবে। কোনোভাবেই এটা বিনষ্ট করা যাবে না। আর কেউ যদি কোনো অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়, তাহলে সে যত বড়ই হোক দল তাকে বিন্দুমাত্র প্রশ্রয় দেবে না। বিএনপি পরিবার ঐক্যবদ্ধ থাকলে যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে অতীতের মত আবারও দল হিসাবে সফল হবেন আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারেক রহমান।

কালের কন্ঠ:

দিনভর ভোগান্তি, শর্তে স্থগিত চিকিৎসকদের ‘শাটডাউন’
কর্মস্থলে নিজেদের নিরাপত্তাসহ চার দফা দাবিতে ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত করেছেন চিকিৎসকরা। স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে আশ্বাস পেয়ে গতকাল রবিবার সন্ধ্যার দিকে তাঁরা কর্মসূচি স্থগিত করেন। এই কর্মসূচি চলাকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রায় আট ঘণ্টা চিকিৎসাসেবা বন্ধ ছিল। এতে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে রোগীদের।
গত শনিবার রাতে এক শিক্ষার্থী ও একজন কিডনি রোগী মৃত্যুর ঘটনায় অবহেলার অভিযোগ এনে স্বজনরা ঢাকা মেডিক্যালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ওপর হামলা ও হাসপাতাল ভাঙচুর করে। একই রাতে হাসপাতালের ওয়ার্ডে অস্ত্র নিয়ে ঢুকে বহিরাগত দুই গ্রুপ মারামারি ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটায়।

দুপুর ২টার দিকে হাসপাতালে প্রশাসনিক ভবনের সামনে আন্দোলনরত ইন্টার্ন চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে সারা দেশে কমপ্লিট শাটডাউনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। তাঁদের কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে সারা দেশের হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা কর্মবিরতি শুরু করেন। এর মধ্যেই বিকেলে রোগীর মৃত্যুর জেরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।ওই সময় পুলিশ ও সেনা সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সকাল থেকেই বন্ধ রাখা হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ ও ভর্তি রোগীদের সেবা কার্যক্রম।
ফলে নিদারুণ ভোগান্তিতে পড়ে দেশের সবচেয়ে বড় এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা।

বিকেল ৩টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ছুটে আসেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূর জাহান বেগম। তাঁর সঙ্গে বৈঠক শেষে বিকেল ৪টার দিকে শর্তসাপেক্ষে কর্মসূচি স্থগিত করেন আন্দোলনকারীরা।

যুগান্তর:

বিপু সিন্ডিকেটে ডুবছে ডেসকো
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু সিন্ডিকেটে ডুবতে বসেছে ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো)। এ সিন্ডিকেটের ভয়াবহ অনিয়ম-দুর্নীতি আর লুটপাটের কারণে বিদ্যুৎ খাতের সবচেয়ে লাভজনক কোম্পানিটি দিনদিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। বাড়ছে সিস্টেম লস। এখন সিস্টেম লস গড়ে সাড়ে ৬ শতাংশের বেশি। দিনদিন কমছে লাভ। ২০১৪ সালে নসরুল হামিদ মন্ত্রী হওয়ার আগে ডেসকো বছরে আড়াইশ থেকে ৪০০ কোটি টাকার বেশি লাভ করত। এখন মাসে গড়ে ২৫ থেকে ৩০ কোটি টাকা লোকসান দিচ্ছে।

সিন্ডিকেটের দুর্নীতি, ঘুস বাণিজ্য আর নানা অদক্ষতার কারণে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে নেওয়া ৩ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পটি শুরু করতে পারেনি এ কোম্পানি। কারণ, প্রকল্পের নেতৃত্বে যারা, তাদের অধিকাংশই বিপু সিন্ডিকেটের সদস্য। ফলে গ্রাহক সংখ্যা বাড়ানো যাচ্ছে না। আবাসিক এবং শিল্প খাতের গ্রাহকরা তাদের লোড বাড়াতে পারছে না। ছোটখাটো ঝড়বৃষ্টিতে ট্রিপ করছে লাইন।

ধারণক্ষমতার বেশি লোড হলে ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণ ঘটছে। দুই বছর আগে নেওয়া এ প্রকল্পের মোট ৭টি লটের মধ্যে এখনো ৩টির কার্যাদেশ দেওয়া সম্ভব হয়নি। বাকিগুলোর কার্যাদেশ দেওয়া হলেও কাজ শুরু হয়নি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ প্রকল্পের আওতায় সাব-স্টেশন বসানো, লাইন কনস্ট্রাকশনের মাধ্যমে সিস্টেমের সক্ষমতা ও ক্যাপাসিটি বাড়ানোর কথা। কিন্তু প্রকল্পটি বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণে এখন পিক আওয়ারে অনেক বাসাবাড়ি, শিল্পকারখানা ও মার্কেট প্রতিষ্ঠানে জোর করে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দিতে হচ্ছে। তা না হলে সিস্টেম পুড়ে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দেয়। এ রিপোর্টের তথ্যগুলো কোনো কর্মকর্তা নাম প্রকাশ করে বলতে সম্মত হননি।

সিন্ডিকেটের অদূরদর্শিতা আর কমিশন বাণিজ্যের কারণে ডেসকোর ৪০০ কোটি টাকার বেশি অর্থ কয়েকটি দুর্বল ব্যাংকে ফ্রিজ হয়ে আছে। তারল্য সংকটের কারণে ওই টাকা দিতে পারছে না ব্যাংকগুলো। সম্প্রতি পদ্মা ব্যাংকের একটি বড় এফডিআর মেয়াদপূর্ণ করলে সেটি ভাঙানো যাচ্ছে না ব্যাংকের ফান্ড স্বল্পতার কারণে। বর্তমানে ডেসকোর ৩০০ কোটি টাকার বেশি অর্থ এফডিআর আকারে ফার্মারস ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, পদ্মা ও বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকে পড়ে আছে। বারবার চিঠি দিয়েও এ টাকা উঠানো যাচ্ছে না। ব্যাংক বলছে তাদের কাছে টাকা নেই।

নয়াদিগন্ত:

৬ ছাত্রনেতার ওপর ভারতের ভিসা নিষেধাজ্ঞা
বাংলাদেশের ছয় ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে ভারতবিরোধী জনতাকে উসকে দেয়া ও ভারতের জাতীয় স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগ এনেছে নয়াদিল্লি। তাদের ঘনিষ্ঠজনদের ভিসা না দেয়ার জন্য কালো তালিকাভুক্ত করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত মৌখিক নির্দেশনা ঢাকাস্থ ইন্ডিয়ান হাইকমিশনে পাঠানো হয়েছে। দিল্লিতে কর্মরত কয়েকজন ভারতীয় গণমাধ্যমের সাংবাদিক দ্য মিরর এশিয়াকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এই তালিকায় আছেন গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর, গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির আহ্বায়ক আখতার হোসেন, সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম ও নুসরাত তাবাসসুম।

হাসনাত আবদুল্লাহর চিকেন নেক নিয়ে বক্তব্য ও নুসরাত তাবাসসুমের সেভেন সিস্টার নিয়ে ফেসবুকের স্টাটাসকে আমলে নেয়া হয়েছে ভিসা নিষেধাজ্ঞায়।

মূলত, সরকারের উপদেষ্টা হওয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদের নাম সেখানে উল্লেখ করা হয়নি। মাহফুজ আলম সরকারের অংশ হওয়ার আগেই এই নোটটি পাঠানো হয়। ফলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী হওয়ার পর মাহফুজ আলমের জন্য ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে কিনা তা জানতে পারেনি দ্য মিরর এশিয়া।

দৈনিক সংগ্রাম:

জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে —————ডা. শফিকুর রহমান
স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, এখন যারা ধরা পড়ছে তারা বলছে, এটা আমি নিজ থেকে করি নাই, অমুকের হুকুমে করেছি। আর যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন সবসময় বলা হতো-গাছটা এদিকে দুলছে, ওদিকে গাছের পাতা নড়ছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) দেখছেন। সব কিছুতেই উনার অনুমতি লাগবে, উনার নির্দেশনা লাগবে। শেখ হাসিনার উদ্দেশে তিনি বলেন, তাহলে তো আপনার লোকেরাই আপনাকে মাস্টারমাইন্ড এবং গডমাদার বানিয়েছে, আমরা বানাইনি।

গতকাল রোববার সকাল ৯টায় কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের আয়োজনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় কুষ্টিয়া জেলার ১৫ জন শহীদ পরিবারের সদস্যদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং প্রত্যক পরিবারকে নগদ ২ লক্ষ টাকা করে অনুদান দেন প্রধান অতিথি ডা. শফিকুর রহমান।

শেখ হাসিনার উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, “আপনি বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল।’ আপনার কথা যদি সত্যি হতো তাহলে ১৫ বছরের মাথায় আপনাদের এভাবে দেশ ছেড়ে পালাতে হতো না।”

জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আবুল হাসেমের সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক সুজা উদ্দিন জোয়ার্দারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আগামীতে কেউ যেন আবার এদেশের মানুষের ওপর স্বৈরাচারী ব্যবস্থা চাপিয়ে দিতে না পারে এ ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। কারা ক্ষমতায় যাবে আর কারা যাবে না ফায়সালা করবে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন।

আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অনেক দায়িত্ব রয়েছে। তারা আওয়ামী বাকশালীদের হাত থেকে একটি বিধ্বস্ত দেশ পেয়েছে। দেশের সকল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও নির্বাচন কমিশন সংস্কারসহ দেশের প্রয়োজনীয় সংস্কার ও সংশোধনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যৌক্তিক সময় প্রয়োজন। এই সময় দিতে দেশের মানুষ প্রস্তুত রয়েছে।

বনিক বার্তা:

২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের যাত্রা শুরু
দেশে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধানে ২০০৭ সালের ডিসেম্বরে সাতটি ভাড়াভিত্তিক (রেন্টাল) বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অনুমোদন দেয় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকার। স্বল্পমেয়াদের এসব কেন্দ্রের কাজ পেয়েছিল স্থানীয় ও বিদেশী তিন কোম্পানি। এরপর ২০১০ সালে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির বিশেষ আইনের আওতায় ব্যাপক হারে শুরু হয় কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অনুমোদন। জ্বালানি খাত বিশেষজ্ঞদের অভিমত, রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের মধ্য দিয়েই এ খাতে লুণ্ঠনের সংস্কৃতি শুরু হয়েছিল।
দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা (ইনস্টল ক্যাপাসিটি) এখন ২৮ হাজার ১৬৬ মেগাওয়াট। এর মধ্যে বড় একটি অংশই রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র। সংকটকালীন এসব ভাড়াভিত্তিক কেন্দ্র অনুমোদন দেয়া হলেও প্রতিশ্রুতি ছিল ২০২৪ সালের মধ্যে সব বন্ধ করে দেয়ার। তবে বিশেষজ্ঞদের নানা আপত্তি সত্ত্বেও ‘নো ইলেকট্রিসিটি নো পেমেন্টের’ যুক্তি দেখিয়ে বছরের পর বছর নবায়ন করা হয়েছে চুক্তি। এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ খাত থেকে লুটে নেয়া হয়েছে বিপুল পরিমাণ অর্থ, যা বিভিন্ন সময় উঠে এসেছে।
ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বণিক বার্তাকে জানান, পুরো বিদ্যুৎ খাতে লুণ্ঠনের পরিকল্পনা হিসেবে কাজ করেছে রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো। দেশের গুরুত্বপূর্ণ এ খাতে লুণ্ঠনের সংস্কৃতি ২০০৭ সাল থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় বলে দাবি তার।

কালবেলা:

দুর্গাপূজায় পূর্ণ সহযোগিতা পাবে হিন্দু সম্প্রদায়
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, সব ধর্মের মানুষের ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনের পূর্ণ অধিকার আছে। সামনে দুর্গাপূজায় হিন্দু সম্প্রদায় তাদের ধর্মীয় আচার পালনে পূর্ণ সহযোগিতা পাবে। আমরা এ ব্যাপারে তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করব। এ দেশ সবার, দেশে শান্তি এলে তার সুফল মুসলিম, হিন্দু, খ্রিষ্টান সবাই ভোগ করতে পারবে। এর নিশ্চয়তা জামায়াতে ইসলামী দিচ্ছে। গতকাল রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

চলমান পরিস্থিতিতে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা বলছি এখন শহীদ পরিবারের পাশে দাঁড়াতে হবে। তাদের কাছে যেতে হবে। যারা আহত আছে তাদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। আর বন্যার্ত এলাকায় সবাইকে যার যার সামর্থ্য দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। এ কাজগুলো আমাদের অগ্রাধিকার। তার পাশাপাশি আমরা যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুন্দরভাবে সবাই মিলে ফিরিয়ে আনতে পারি, সেজন্য সেভাবে সবার সহযোগিতা দরকার।

নির্বাচন পরিস্থিতি নিয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা সবাইকে নিয়ে ইনশাআল্লাহ অহিংস অখণ্ডিত একটা দেশ গড়ব। আমরা দেশকে আর বিভক্ত করতে দেব না। অতীতে যারা জাতিকে বিভক্ত করেছিল তারাই জাতিকে সর্বনাশ করে গেছে। ঐক্যবদ্ধ একটা জাতি নিয়ে আমরা সামনের দিনে এগোতে চাই। নির্বাচনের সময় আসুক, নির্বাচন পাব ইনশাআল্লাহ। আমরা আশাবাদী। নির্বাচনের ব্যাপারে প্রত্যাশার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমরা এখনো কিছু বলতে চাচ্ছি না। আরও কিছুদিন দেখে আমরা আমাদের স্পষ্ট ম্যাপ তৈরি করব।
জানা গেছে, কোটা সংস্কার আন্দোলন ও শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবি আদায়ের আন্দোলনে কুষ্টিয়া জেলায় যেসব শিক্ষার্থীসহ যারা শহীদ হয়েছেন তাদের প্রত্যেকের পরিবারকে নগদ অর্থ প্রদান করেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। আর শহীদ পরিবারের আর্থিক সাহায্যের পর কুষ্টিয়া থেকে রাজধানী ঢাকা যাওয়ার পথে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া বাসটার্মিনাল এলাকায় সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় ও পথসভা করেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। পরে দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরিঘাটে নেতাকর্মীদের প্রটোকলে ফেরিতে ওঠেন তিনি। ফেরির মধ্যে নেতাকর্মীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

 

 

ঢালাও আসামি করায় প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে মামলা

হাসিনার সামনে দুটো অপশন, ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় কিংবা দেশে ফেরা

আপডেট সময় ০৭:৪৫:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আজকের প্রত্রিকা গুলোর প্রধান প্রধান খবর

মানবজমিন:

হাসিনার সামনে দুটো অপশন, ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় কিংবা দেশে ফেরা
ক্ষমতাচ্যুত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে দুটো অপশন খোলা। হয় ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় নতুবা দেশে ফিরে আসা। এই মুহূর্তে আর কোনো বিকল্প নেই। ৭৭ বছর বয়সী এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী এখন ভারতে অবস্থান করছেন। শতাধিক মামলা রুজু হয়েছে তার বিরুদ্ধে। এরমধ্যে হত্যা মামলাই বেশি। গণহত্যার মামলা নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতেও যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে। তার পাসপোর্ট বাতিল হওয়ায় ভিন্ন গন্তব্যে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা উবে গেছে। ভারতীয় আইন অনুযায়ী বিনা ভিসায় তিনি ৪৫ দিন থাকতে পারবেন। এর মধ্যে কেটে গেছে ২৭ দিন।

যা কিছু করার এর মধ্যেই করতে হবে শেখ হাসিনাকে। শেখ রেহানার অবশ্য পরিস্থিতি ভিন্ন। তার কাছে রয়েছে বৃটিশ পাসপোর্ট। তিনি ইচ্ছা করলে বৃটেন কিংবা অন্য যেকোনো দেশে যেতে পারেন। ভারত এখন কী করবে। তারা কি শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেবে? যেমনটা দিয়েছিল ১৯৭৫-এ বঙ্গবন্ধু হত্যার পর। ছয় বছর ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে আশ্রয়ে ছিলেন হাসিনা। যতদূর জানা যায়, ভারত এখন উভয় সংকটে। তারা কি তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক তৈরি করবে? যে সম্পর্ক এখন অনেক তিক্ততায় পরিণত হয়েছে! ভারতবিরোধী সেন্টিমেন্ট আগের থেকে অনেক অনেক বেশি এখন। বহির্বিশ্বেও ভারতের সামপ্রতিক তৎপরতা নিয়ে নানা প্রশ্ন দানা বাঁধছে। হাসিনার সঙ্গে তাদের সম্পর্ক সর্বজনবিদিত। ৩৬ দিনে শেখ হাসিনার শাসন খতম হয়ে যাওয়ার পর ভারত বাংলাদেশের উপর নানা চাপ সৃষ্টি করতে থাকে।

সংখ্যালঘু কার্ড ব্যর্থ হয়েছে। দলমত নির্বিশেষে বাংলাদেশের মানুষজন হিন্দুদের বাড়িঘর পাহারা দিয়েছে। ঢালাও অভিযোগ ভুল প্রমাণিত হয়েছে। যদিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা প্রচারণা জারি রয়েছে। এই পটভূমিতে ভারত কি শেখ হাসিনাকে প্রোটেকশন দেবে? পাসপোর্ট বাতিল হয়ে যাওয়ায় শেখ হাসিনা এখন উদ্বাস্তু। অন্য কোনো দেশে যাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও তা খুবই কঠিন। চীন এবং ভারত হাসিনাকে নিয়ে বাজি ধরেছিল। দুটো দেশই হেরেছে। মাঝখানে জিতে গেছে অন্য একটি দেশ। চীন সতর্ক হয়ে গেছে। ভারত হাসিনাকে ঘিরে স্বপ্ন দেখছে এখনো। কিন্তু ইতিহাস অন্য কথা বলে। ১৯৭৫ সনের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার পর ধারণা করা হয়েছিল ভারত ভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখাবে। কেউ কেউ নানা অ্যাকশনের কথাও বলেছিলেন। বাস্তবে দেখা গেল উল্টোটা।

লালকেল্লা ময়দানে জাতীয় কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর কাছে বার্তা পৌঁছেছিল ঢাকায় অভ্যুত্থান হয়েছে। মুজিব ডেড। ধীর-স্থির প্রধানমন্ত্রী কুচকাওয়াজে অংশ নিলেন। তেমন একটা প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেল না। অবশ্য একটা দৃশ্যমান পরিবর্তন দেখা গেল। তখন বাংলাদেশে নিযুক্ত হাইকমিশনার সমর সেন দিল্লিতে। তাকে ডেকে পাঠানো হলো। বলা হলো- এক্ষুণি ঢাকায় যেতে হবে। ঢাকা-দিল্লি বিমান যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ঢাকায় কারফিউ। সমর সেন দিল্লি থেকে কলকাতা এলেন বিমানে। বেনাপোল সীমান্ত ক্রস করে বাই রোডে সোজা এলেন ঢাকায়। গন্তব্য বঙ্গভবন। সেখানেই থাকতেন আগস্ট অভ্যুত্থানের খলনায়ক, ষড়যন্ত্রকারী খন্দকার মোশ্‌তাক আহমেদ। দুপুর গড়িয়ে তখন সন্ধ্যা হয়ে গেছে।

 

তাহেরউদ্দিন ঠাকুর মোশ্‌তাককে খবর দিলেন- সমর সেন বঙ্গভবনে পৌঁছে গেছেন। এর পরের দৃশ্য পত্রিকার প্রথম পাতায় পরদিন দেখা গেল। সমর সেন বঙ্গভবনে পৌঁছেই খন্দকার মোশ্‌তাকের সঙ্গে কোলাকুলি করলেন। অন্য কী বার্তা দিয়েছিলেন তা অবশ্য জানা যায়নি। এখনকার পরিস্থিতি কী। শেখ হাসিনা সরকার উৎখাতের পর ভারত কি আসলেই কোনো প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে? যা থেকে ধরে নেয়া যায় তারা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করবে? বাস্তব অবস্থা দেখে যে কেউ এই ধারণা করতেই পারেন। ভারত যেটুকু পেয়েছে শেখ হাসিনার কাছ থেকে সেটুকু ধরে রাখতে চায়। তাই বলে হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতাবোধ দেখাতেও তারা কসুর করছে না। বিগত সাড়ে ১৫ বছরে ভারত অনেক কিছুই নিয়েছে। দিয়েছে স্বল্প। অবশ্য ক্ষমতায় থাকার একচেটিয়া লাইসেন্স দিয়েছে। নির্বাচনগুলোতে প্রভাব বিস্তার করেছে। এক পর্যায়ে তারাই বাংলাদেশের রাজনীতির নিয়ামক শক্তি হিসেবে কলকাঠি নেড়েছে। কখনো গোপনে, কখনো প্রকাশ্যে। চোখ বুজে টিকিয়ে রেখেছে হাসিনার অগণতান্ত্রিক শাসনকে।

পরিণতিতে হারিয়েছে বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষকে। দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর হাসিনার ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো স্পষ্ট ধারণা দেন নি। এই অবস্থায় হাসিনা যদি ভারতের রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে বসেন তখন তাদের নীতি কী হবে তা নিয়ে উভয় সংকটে প্রশাসন। রাজনৈতিক পণ্ডিতরা দ্বিধাবিভক্ত। হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে চাপ বাড়বে ভারতের উপর। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন এরকমই একটা ইঙ্গিত দিয়েছেন।

প্রথম আলো:

ঢালাও আসামি করায় প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে মামলা

একের পর এক মামলা

যে হত্যা মামলাগুলো হচ্ছে, তাতে বেশির ভাগ আসামির ক্ষেত্রে ‘হুকুমদাতা-নির্দেশদাতা’ উল্লেখ করা হয়েছে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঠেকাতে শেখ হাসিনার সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি দলীয় কর্মীদের দিয়ে নির্বিচার গুলি করে মানুষ হত্যা করেছে। কিন্তু এসব ঘটনায় একের পর এক মামলায় ঢালাওভাবে আসামি করা হচ্ছে। এর ফলে মামলা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। এ ধরনের মামলায় ভুক্তভোগীদের অর্থাৎ নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের ন্যায়বিচার প্রাপ্তিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে বলে মনে করছেন আইনবিশেষজ্ঞরা।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ঘটনাই ঘটেনি, তারপরও কাল্পনিক কাহিনি সাজিয়ে অসংখ্য মামলা দিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক নেতা–কর্মীসহ সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা হতো। এসব মামলা গায়েবি মামলা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। গায়েবি মামলার বাদীরা ছিল হয় পুলিশ, নয়তো আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মী। কিন্তু এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে প্রথম আলোর হিসাব অনুযায়ী, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের গুলি, সংঘর্ষ ও বিভিন্ন ধরনের সহিংসতায় গত ১৬ জুলাই থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে কমপক্ষে ৭৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে শিক্ষার্থী, নারী, শিশু, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কেউ ঘটনাস্থলে আবার কেউ চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরে হাসপাতালে মারা গেছেন।
নিহত ব্যক্তিদের স্বজনদের করা কোনো কোনো মামলায় ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষকে আসামি করা হয়েছে। স্থানীয় বিরোধের জেরেও কোনো কোনো ব্যক্তিকে অন্য অনেকের সঙ্গে মামলায় আসামি করার অভিযোগ আছে।

আইনবিশেষজ্ঞরা বলছেন, হত্যা মামলা করার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকতে হয়। কিন্তু যে মামলাগুলো হচ্ছে, তাতে বেশির ভাগ আসামির ক্ষেত্রে ‘হুকুমদাতা-নির্দেশদাতা’ উল্লেখ করা হয়েছে। এ ধরনের মামলা আদালতে টিকবে, এমন সম্ভাবনা কম। তাই ভুক্তভোগীরা যাতে ন্যায়বিচার পান, সে জন্য থানায় বা আদালতে মামলা নেওয়ার ক্ষেত্রে যাচাই–বাছাইয়ের বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে দিকনির্দেশনা দেওয়া প্রয়োজন।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয় : তারেক রহমান
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে নতুন বাংলাদেশ গড়ার শপথে মির্জা ফখরুলসহ নেতা-কর্মীরা
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বাংলাদেশে আর কোনোদিন কেউ যাতে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে স্বৈরাচার হয়ে উঠতে না পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। সেজন্য বিএনপি সংবিধানে এমন ব্যবস্থা রাখতে চায়, যাতে কেউ যেন পর পর দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে না পারেন। গতকাল কুমিল্লা ও ফরিদপুর বিভাগের তৃণমূল বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় দেওয়া ভার্চুয়াল বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে দেশব্যাপী বিএনপির বিভাগ ওয়ারি তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে ধারাবাহিক মতবিনিময় সভার অংশ হিসেবে এ সভার আয়োজন করা হয়। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশায় যুক্ত হয়েছে নতুন আশাবাদ। আর পরিবর্তিত হয়েছে ভাষা, এই পরিবর্তিত নতুন ভাষা পড়তে ও বুঝতে হবে আর মানুষের আশাবাদকে বাস্তবে রূপ দিতে হবে। সেটা করতে না পারলে ছিটকে পড়তে হবে।

তিনি বলেন, এতদিন শুধু আওয়ামী লীগ ছিল প্রকাশ্য প্রতিপক্ষ। আমরা তাদের আক্রমণের ধরন বুঝতাম ও জানতাম। এখন ওরা ছাড়াও চারদিকে অসংখ্য অদৃশ্য প্রতিপক্ষ, এদের অবস্থান অন্ধকারে, এরা সর্বত্র ছড়িয়ে আছে। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে এই দৃশ্যমান আর অদৃশ্য প্রতিপক্ষ মোকাবিলায়। বিএনপির রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারের পরিকল্পনার কথা বলতে গিয়ে তারেক রহমান গত বছর জুলাইয়ে উপস্থাপিত দলের ৩১ দফা কর্মসূচির মৌলিক বিষয়গুলো তুলে ধরে বলেন, বিএনপি ভবিষ্যতে এদেশে স্বৈরশাসনের কবর রচনা করতে চায়। আইন, বিচার ও নির্বাহী বিভাগের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য রাখতে চায়। রাষ্ট্র পরিচালনায় সমাজের জ্ঞানী গুণীদের প্রতিনিধিত্ব ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে দুই কক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট ব্যবস্থার প্রবর্তন করতে চায়। তরুণ ও বেকারদের জন্য কর্মসংস্থান, আর কর্মসংস্থান না হওয়া পর্যন্ত যোগ্যতা অনুযায়ী ভাতা প্রবর্তন করতে চায়। নিশ্চিত করতে চায় সর্বস্তরে নারীর অংশ গ্রহণ। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, অর্থনীতি সব ক্ষেত্রে আনতে চায় যুগোপযোগী আমূল পরিবর্তন। গড়তে চায় ধর্ম-বর্ণ গোত্র গোষ্ঠী সমতল পাহাড়ি নির্বিশেষে এক সুষম সমঅধিকারের আধুনিক বাংলাদেশ।

বিএনপির এই শীর্ষনেতা দলের সব নেতা-কর্মীকে এ বার্তা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর নির্দেশ দেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সফলতা আর জনপ্রিয়তার একমাত্র ভিত্তি ছিল, দেশের সর্বস্তরের মানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসা। এদেশের মানুষের প্রাণঢালা ভালোবাসা আর আস্থাই বিএনপির একমাত্র শক্তি। জনগণের এই প্রতিষ্ঠিত ভালোবাসাকে যে কোনো মূল্যে রক্ষা করতে হবে। কোনোভাবেই এটা বিনষ্ট করা যাবে না। আর কেউ যদি কোনো অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়, তাহলে সে যত বড়ই হোক দল তাকে বিন্দুমাত্র প্রশ্রয় দেবে না। বিএনপি পরিবার ঐক্যবদ্ধ থাকলে যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে অতীতের মত আবারও দল হিসাবে সফল হবেন আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারেক রহমান।

কালের কন্ঠ:

দিনভর ভোগান্তি, শর্তে স্থগিত চিকিৎসকদের ‘শাটডাউন’
কর্মস্থলে নিজেদের নিরাপত্তাসহ চার দফা দাবিতে ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত করেছেন চিকিৎসকরা। স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে আশ্বাস পেয়ে গতকাল রবিবার সন্ধ্যার দিকে তাঁরা কর্মসূচি স্থগিত করেন। এই কর্মসূচি চলাকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রায় আট ঘণ্টা চিকিৎসাসেবা বন্ধ ছিল। এতে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে রোগীদের।
গত শনিবার রাতে এক শিক্ষার্থী ও একজন কিডনি রোগী মৃত্যুর ঘটনায় অবহেলার অভিযোগ এনে স্বজনরা ঢাকা মেডিক্যালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ওপর হামলা ও হাসপাতাল ভাঙচুর করে। একই রাতে হাসপাতালের ওয়ার্ডে অস্ত্র নিয়ে ঢুকে বহিরাগত দুই গ্রুপ মারামারি ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটায়।

দুপুর ২টার দিকে হাসপাতালে প্রশাসনিক ভবনের সামনে আন্দোলনরত ইন্টার্ন চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে সারা দেশে কমপ্লিট শাটডাউনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। তাঁদের কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে সারা দেশের হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা কর্মবিরতি শুরু করেন। এর মধ্যেই বিকেলে রোগীর মৃত্যুর জেরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।ওই সময় পুলিশ ও সেনা সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সকাল থেকেই বন্ধ রাখা হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ ও ভর্তি রোগীদের সেবা কার্যক্রম।
ফলে নিদারুণ ভোগান্তিতে পড়ে দেশের সবচেয়ে বড় এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা।

বিকেল ৩টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ছুটে আসেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূর জাহান বেগম। তাঁর সঙ্গে বৈঠক শেষে বিকেল ৪টার দিকে শর্তসাপেক্ষে কর্মসূচি স্থগিত করেন আন্দোলনকারীরা।

যুগান্তর:

বিপু সিন্ডিকেটে ডুবছে ডেসকো
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু সিন্ডিকেটে ডুবতে বসেছে ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো)। এ সিন্ডিকেটের ভয়াবহ অনিয়ম-দুর্নীতি আর লুটপাটের কারণে বিদ্যুৎ খাতের সবচেয়ে লাভজনক কোম্পানিটি দিনদিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। বাড়ছে সিস্টেম লস। এখন সিস্টেম লস গড়ে সাড়ে ৬ শতাংশের বেশি। দিনদিন কমছে লাভ। ২০১৪ সালে নসরুল হামিদ মন্ত্রী হওয়ার আগে ডেসকো বছরে আড়াইশ থেকে ৪০০ কোটি টাকার বেশি লাভ করত। এখন মাসে গড়ে ২৫ থেকে ৩০ কোটি টাকা লোকসান দিচ্ছে।

সিন্ডিকেটের দুর্নীতি, ঘুস বাণিজ্য আর নানা অদক্ষতার কারণে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে নেওয়া ৩ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পটি শুরু করতে পারেনি এ কোম্পানি। কারণ, প্রকল্পের নেতৃত্বে যারা, তাদের অধিকাংশই বিপু সিন্ডিকেটের সদস্য। ফলে গ্রাহক সংখ্যা বাড়ানো যাচ্ছে না। আবাসিক এবং শিল্প খাতের গ্রাহকরা তাদের লোড বাড়াতে পারছে না। ছোটখাটো ঝড়বৃষ্টিতে ট্রিপ করছে লাইন।

ধারণক্ষমতার বেশি লোড হলে ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণ ঘটছে। দুই বছর আগে নেওয়া এ প্রকল্পের মোট ৭টি লটের মধ্যে এখনো ৩টির কার্যাদেশ দেওয়া সম্ভব হয়নি। বাকিগুলোর কার্যাদেশ দেওয়া হলেও কাজ শুরু হয়নি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ প্রকল্পের আওতায় সাব-স্টেশন বসানো, লাইন কনস্ট্রাকশনের মাধ্যমে সিস্টেমের সক্ষমতা ও ক্যাপাসিটি বাড়ানোর কথা। কিন্তু প্রকল্পটি বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণে এখন পিক আওয়ারে অনেক বাসাবাড়ি, শিল্পকারখানা ও মার্কেট প্রতিষ্ঠানে জোর করে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দিতে হচ্ছে। তা না হলে সিস্টেম পুড়ে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দেয়। এ রিপোর্টের তথ্যগুলো কোনো কর্মকর্তা নাম প্রকাশ করে বলতে সম্মত হননি।

সিন্ডিকেটের অদূরদর্শিতা আর কমিশন বাণিজ্যের কারণে ডেসকোর ৪০০ কোটি টাকার বেশি অর্থ কয়েকটি দুর্বল ব্যাংকে ফ্রিজ হয়ে আছে। তারল্য সংকটের কারণে ওই টাকা দিতে পারছে না ব্যাংকগুলো। সম্প্রতি পদ্মা ব্যাংকের একটি বড় এফডিআর মেয়াদপূর্ণ করলে সেটি ভাঙানো যাচ্ছে না ব্যাংকের ফান্ড স্বল্পতার কারণে। বর্তমানে ডেসকোর ৩০০ কোটি টাকার বেশি অর্থ এফডিআর আকারে ফার্মারস ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, পদ্মা ও বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকে পড়ে আছে। বারবার চিঠি দিয়েও এ টাকা উঠানো যাচ্ছে না। ব্যাংক বলছে তাদের কাছে টাকা নেই।

নয়াদিগন্ত:

৬ ছাত্রনেতার ওপর ভারতের ভিসা নিষেধাজ্ঞা
বাংলাদেশের ছয় ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে ভারতবিরোধী জনতাকে উসকে দেয়া ও ভারতের জাতীয় স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগ এনেছে নয়াদিল্লি। তাদের ঘনিষ্ঠজনদের ভিসা না দেয়ার জন্য কালো তালিকাভুক্ত করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত মৌখিক নির্দেশনা ঢাকাস্থ ইন্ডিয়ান হাইকমিশনে পাঠানো হয়েছে। দিল্লিতে কর্মরত কয়েকজন ভারতীয় গণমাধ্যমের সাংবাদিক দ্য মিরর এশিয়াকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এই তালিকায় আছেন গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর, গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির আহ্বায়ক আখতার হোসেন, সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম ও নুসরাত তাবাসসুম।

হাসনাত আবদুল্লাহর চিকেন নেক নিয়ে বক্তব্য ও নুসরাত তাবাসসুমের সেভেন সিস্টার নিয়ে ফেসবুকের স্টাটাসকে আমলে নেয়া হয়েছে ভিসা নিষেধাজ্ঞায়।

মূলত, সরকারের উপদেষ্টা হওয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদের নাম সেখানে উল্লেখ করা হয়নি। মাহফুজ আলম সরকারের অংশ হওয়ার আগেই এই নোটটি পাঠানো হয়। ফলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী হওয়ার পর মাহফুজ আলমের জন্য ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে কিনা তা জানতে পারেনি দ্য মিরর এশিয়া।

দৈনিক সংগ্রাম:

জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে —————ডা. শফিকুর রহমান
স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, এখন যারা ধরা পড়ছে তারা বলছে, এটা আমি নিজ থেকে করি নাই, অমুকের হুকুমে করেছি। আর যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন সবসময় বলা হতো-গাছটা এদিকে দুলছে, ওদিকে গাছের পাতা নড়ছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) দেখছেন। সব কিছুতেই উনার অনুমতি লাগবে, উনার নির্দেশনা লাগবে। শেখ হাসিনার উদ্দেশে তিনি বলেন, তাহলে তো আপনার লোকেরাই আপনাকে মাস্টারমাইন্ড এবং গডমাদার বানিয়েছে, আমরা বানাইনি।

গতকাল রোববার সকাল ৯টায় কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের আয়োজনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় কুষ্টিয়া জেলার ১৫ জন শহীদ পরিবারের সদস্যদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং প্রত্যক পরিবারকে নগদ ২ লক্ষ টাকা করে অনুদান দেন প্রধান অতিথি ডা. শফিকুর রহমান।

শেখ হাসিনার উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, “আপনি বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল।’ আপনার কথা যদি সত্যি হতো তাহলে ১৫ বছরের মাথায় আপনাদের এভাবে দেশ ছেড়ে পালাতে হতো না।”

জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আবুল হাসেমের সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক সুজা উদ্দিন জোয়ার্দারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আগামীতে কেউ যেন আবার এদেশের মানুষের ওপর স্বৈরাচারী ব্যবস্থা চাপিয়ে দিতে না পারে এ ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। কারা ক্ষমতায় যাবে আর কারা যাবে না ফায়সালা করবে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন।

আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অনেক দায়িত্ব রয়েছে। তারা আওয়ামী বাকশালীদের হাত থেকে একটি বিধ্বস্ত দেশ পেয়েছে। দেশের সকল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও নির্বাচন কমিশন সংস্কারসহ দেশের প্রয়োজনীয় সংস্কার ও সংশোধনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যৌক্তিক সময় প্রয়োজন। এই সময় দিতে দেশের মানুষ প্রস্তুত রয়েছে।

বনিক বার্তা:

২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের যাত্রা শুরু
দেশে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধানে ২০০৭ সালের ডিসেম্বরে সাতটি ভাড়াভিত্তিক (রেন্টাল) বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অনুমোদন দেয় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকার। স্বল্পমেয়াদের এসব কেন্দ্রের কাজ পেয়েছিল স্থানীয় ও বিদেশী তিন কোম্পানি। এরপর ২০১০ সালে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির বিশেষ আইনের আওতায় ব্যাপক হারে শুরু হয় কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অনুমোদন। জ্বালানি খাত বিশেষজ্ঞদের অভিমত, রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের মধ্য দিয়েই এ খাতে লুণ্ঠনের সংস্কৃতি শুরু হয়েছিল।
দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা (ইনস্টল ক্যাপাসিটি) এখন ২৮ হাজার ১৬৬ মেগাওয়াট। এর মধ্যে বড় একটি অংশই রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র। সংকটকালীন এসব ভাড়াভিত্তিক কেন্দ্র অনুমোদন দেয়া হলেও প্রতিশ্রুতি ছিল ২০২৪ সালের মধ্যে সব বন্ধ করে দেয়ার। তবে বিশেষজ্ঞদের নানা আপত্তি সত্ত্বেও ‘নো ইলেকট্রিসিটি নো পেমেন্টের’ যুক্তি দেখিয়ে বছরের পর বছর নবায়ন করা হয়েছে চুক্তি। এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ খাত থেকে লুটে নেয়া হয়েছে বিপুল পরিমাণ অর্থ, যা বিভিন্ন সময় উঠে এসেছে।
ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বণিক বার্তাকে জানান, পুরো বিদ্যুৎ খাতে লুণ্ঠনের পরিকল্পনা হিসেবে কাজ করেছে রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো। দেশের গুরুত্বপূর্ণ এ খাতে লুণ্ঠনের সংস্কৃতি ২০০৭ সাল থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় বলে দাবি তার।

কালবেলা:

দুর্গাপূজায় পূর্ণ সহযোগিতা পাবে হিন্দু সম্প্রদায়
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, সব ধর্মের মানুষের ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনের পূর্ণ অধিকার আছে। সামনে দুর্গাপূজায় হিন্দু সম্প্রদায় তাদের ধর্মীয় আচার পালনে পূর্ণ সহযোগিতা পাবে। আমরা এ ব্যাপারে তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করব। এ দেশ সবার, দেশে শান্তি এলে তার সুফল মুসলিম, হিন্দু, খ্রিষ্টান সবাই ভোগ করতে পারবে। এর নিশ্চয়তা জামায়াতে ইসলামী দিচ্ছে। গতকাল রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

চলমান পরিস্থিতিতে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা বলছি এখন শহীদ পরিবারের পাশে দাঁড়াতে হবে। তাদের কাছে যেতে হবে। যারা আহত আছে তাদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। আর বন্যার্ত এলাকায় সবাইকে যার যার সামর্থ্য দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। এ কাজগুলো আমাদের অগ্রাধিকার। তার পাশাপাশি আমরা যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুন্দরভাবে সবাই মিলে ফিরিয়ে আনতে পারি, সেজন্য সেভাবে সবার সহযোগিতা দরকার।

নির্বাচন পরিস্থিতি নিয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা সবাইকে নিয়ে ইনশাআল্লাহ অহিংস অখণ্ডিত একটা দেশ গড়ব। আমরা দেশকে আর বিভক্ত করতে দেব না। অতীতে যারা জাতিকে বিভক্ত করেছিল তারাই জাতিকে সর্বনাশ করে গেছে। ঐক্যবদ্ধ একটা জাতি নিয়ে আমরা সামনের দিনে এগোতে চাই। নির্বাচনের সময় আসুক, নির্বাচন পাব ইনশাআল্লাহ। আমরা আশাবাদী। নির্বাচনের ব্যাপারে প্রত্যাশার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমরা এখনো কিছু বলতে চাচ্ছি না। আরও কিছুদিন দেখে আমরা আমাদের স্পষ্ট ম্যাপ তৈরি করব।
জানা গেছে, কোটা সংস্কার আন্দোলন ও শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবি আদায়ের আন্দোলনে কুষ্টিয়া জেলায় যেসব শিক্ষার্থীসহ যারা শহীদ হয়েছেন তাদের প্রত্যেকের পরিবারকে নগদ অর্থ প্রদান করেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। আর শহীদ পরিবারের আর্থিক সাহায্যের পর কুষ্টিয়া থেকে রাজধানী ঢাকা যাওয়ার পথে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া বাসটার্মিনাল এলাকায় সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় ও পথসভা করেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। পরে দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরিঘাটে নেতাকর্মীদের প্রটোকলে ফেরিতে ওঠেন তিনি। ফেরির মধ্যে নেতাকর্মীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।