বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মোহাম্মদ তৌহিদ হোসেন বলেছেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা বাড়তে থাকায় বাংলাদেশ সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে প্রত্যর্পণ করার কথা বিবেচনা করতে পারে। তবে এতে ‘ভারত সরকারের জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতি’ তৈরি হবে। ঢাকায় রয়টার্স টিভিকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে মোহাম্মদ তৌহিদ আরো বলেন, বাংলাদেশে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ‘যেহেতু অনেক মামলা রয়েছে’, সেহেতু বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয় তাকে হস্তান্তরের অনুরোধ করতে পারে।
পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘তিনি যখন দিল্লিতে অবস্থান করছেন, তখন প্রশ্ন ওঠে…এতগুলো মামলা রয়েছে, যা ফের সক্রিয় হতে পারে…আবার বলছি, এটি কেবল একটি জল্পনা, আমি এই বিষয়ে উত্তর দেওয়ার সঠিক ব্যক্তি নই।
যদি সেখান থেকে (স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়) কোনো অনুরোধ আসে, তাহলে আপনি জানেন, আমাদের তার বাংলাদেশে ফেরার জন্য বলতে হবে। যদি এমন কোনো দাবি ওঠে, তাহলে এটি ভারতের সরকারের জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। সুতরাং আমি মনে করি, ভারত সরকার এটি জানে এবং আমি নিশ্চিত যে তারা এটি বিবেচনা করবে।’ শিক্ষার্থী নেতৃত্বাধীন এক বিক্ষোভ সহিংস রূপ নেওয়ার পর শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান।
এরপর গত ৮ আগস্ট নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন। তার সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের ১৭ জন সদস্যও শপথ নিয়েছেন। অন্যদিকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে নেদারল্যান্ডসের হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) হাসিনাসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। এ ছাড়া হাসিনার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে যেভাবে বিবৃতি আসছে তাতে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ‘খুবই অসন্তুষ্ট’। বিষয়টি ভারতের রাষ্ট্রদূতকে জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।