নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মতিন তোতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
বুধবার রাত ১০টায় চরএলাহী বাজারে তার ব্যক্তিগত অফিসে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, রাতে আবদুল মতিন তার ব্যক্তিগত অফিসে বসে ছিলেন। এসময় একদল হেলমেট বাহিনী অতর্কিতভাবে তার ওপর দেশীয় ও ধারাল অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এক পর্যায়ে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থার আরও অবনতি ঘটলে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকার ধানমন্ডি পপুলার হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার বিকেল ৩টায় তার মৃত্যু হয়।
তার ছেলে বাহাদুর বলেন, ‘আমার বাবা নির্দোষ। চরএলাহী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক, ইসমাইল হোসেন, কালাম, মোস্তাফিজের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী আমার বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।’
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল আলম শিকদার জানান, আমাদের দলের জনপ্রিয় নেতা আবদুল মতিন তোতা। তোতাকে চরএলাহী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক (ওরফে কানা রাজ্জাক) নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
এ বিষয়ে জানতে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রনব চৌধুরীকে বার বার ফোন দিলে তিনি ফোন কেটে দেন।