ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ গত সাত বছরে ঋণ অনুমোদন, ডলার লেনদেন ও কর্মী নিয়োগে অনিয়মের কারণ খুঁজে বের করতে তিনজন এক্সটার্নাল অডিটর নিয়োগ দেবে।
গতকাল মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) ব্যাংকটির নতুন পরিচালনা পর্ষদের প্রথম আনুষ্ঠানিক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গত ২২ আগস্ট শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকটিতে পাঁচ স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দিয়ে নতুন বোর্ড গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। রূপালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদকে এর চেয়ারম্যান করা হয়েছে।
প্রায় সাত বছর পর এস আলম গ্রুপ থেকে মুক্ত হয়েছে দেশের শীর্ষ বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকটি।
ব্যাংকটির এক পরিচালক নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, ‘কারা ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করছেন না এবং কারা তা অনুমোদনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তা খুঁজে বের করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নতুন পর্ষদ।’
২০১৭ সাল থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত এস আলম গ্রুপ ও এর সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো ৭৪ হাজার ৯০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। এটি গত মার্চ পর্যন্ত ব্যাংকটির মোট বকেয়া ঋণের ৪৭ শতাংশ।
সাইফুল আলম, তার স্ত্রী, মেয়ে, চট্টগ্রামভিত্তিক শিল্পগোষ্ঠীর অন্যান্য আত্মীয়স্বজন ও কর্মকর্তাদের নামে এসব ঋণ নেওয়া হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
তবে অডিটর হিসেবে কাকে নিয়োগ দেওয়া হবে তা এখনো ঠিক হয়নি। গত কয়েক বছরে ব্যাংকটি কোথায় ডলার বিনিয়োগ করেছে তাও খতিয়ে দেখবে নিরীক্ষকরা।
ওই কর্মকর্তা আরও জানান—ব্যাংকের বিনিয়োগ বিভাগ, ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট ও মানবসম্পদ বিভাগকে নিরীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টিতে, দেশের সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স অর্জনকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইসলামী ব্যাংক।
২০১৭ সালে ইসলামী ব্যাংকের দায়িত্ব নেওয়ার পর এস আলম গ্রুপ নিয়ম লঙ্ঘন করে সাত হাজার ২৪০ কর্মী নিয়োগ দেয়। তাদের বেশিরভাগই চট্টগ্রামের পটিয়ায় আলম আলমের গ্রামের বাসিন্দা।