ঢাকা ০৩:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo টিএসসিতে শিবিরের এই আয়োজনের দায় ভিসি ও প্রক্টর এড়াতে পারে না: নাছির Logo সিভাসুতে বিচারহীনতার প্রতিবাদে মুখে লাল কাপড় পেঁচিয়ে অবস্থান কর্মসূচি Logo ‘প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণায় নির্বাচন নিয়ে দোদুল্যমানতা কেটে গেছে’ Logo ছাত্র-জনতার বিজয়ের বর্ষপূর্তিতে বিএনপির বিজয় র‍্যালি: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে নতুন প্রত্যয় Logo ফতহে গণভবনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ছাত্রশিবিরের র‍্যালি অনুষ্ঠিত Logo সাংবাদিকদের বিএনপির নয়, দেশ ও জনগণের হতে হবে: আমীর খসরু Logo এদেশের মানুষ চাঁদাবাজদের সাথে আর জোট দেখতে চায় না-অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল Logo আগামীর শাসকদের হাসিনার পরিণতি মনে রাখতে হবে: আসিফ মাহমুদ Logo ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করতে সিইসিকে চিঠি দেবেন প্রধান উপদেষ্টা Logo বিএনপির আয়োজনে ৫ আগস্ট বিজয় র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে

রাতভর বৃষ্টিতে নোয়াখালীর বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

টানা বৃষ্টি ও ভারতের উজানের পানিতে দীর্ঘদিন ধরে পানিবন্দি হয়ে আছেন নোয়াখালীর বাসিন্দারা। তলিয়ে আছে পথ-ঘাট, ঘরবাড়িতে পানি থাকায় এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে আছে মানুষ।

এর মধ্যেই মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রাতভর বজ্রসহ ভারী বর্ষণে পানি আরও ছয় ইঞ্চি বেড়ে গেছে। ফলে সেখানে বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি হচ্ছে। এতে আতঙ্ক বাড়ছে পানিবন্দি ও বানভাসিদের।

জেলা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, টানা বৃষ্টি ও ভারতের উজানের পানিতে নোয়াখালীতে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। ডুবে আছে বসতঘর ও সড়ক। নোয়াখালীর ৮ উপজেলার ৮৭ ইউনিয়নের প্রায় সাড়ে ২০ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছেন। ১১৬৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন ২ লাখ ১৬ হাজার মানুষ। প্রধান সড়কের আশপাশে সহযোগিতা পেলেও প্রান্তিক অঞ্চলগুলোতে পৌঁছায়নি ত্রাণ সহায়তা। ফলে অধিকাংশ জায়গায় দেখা দিয়েছে ত্রাণের জন্য হাহাকার।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, নোয়াখালীর ৮ উপজেলার ৮৭ ইউনিয়নের পানিবন্দি মানুষের মধ্যে সরকারিভাবে নগদ ৪৫ লাখ টাকা, ৮৮২ টন চাল, ১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, ৫ লাখ টাকার শিশু খাদ্য ও ৫ লাখ টাকার পশুখাদ্য বিতরণ করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলা শহর ও তার আশপাশের আশ্রয়কেন্দ্রে একাধিকবার সরকারি-বেসরকারি সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত থাকলেও প্রান্তিক অঞ্চলগুলোতে যাতায়াত ব্যবস্থা খারাপ হওয়ায় পৌঁছেনি সহায়তা। এতে সহায়তার জন্য বিভিন্ন স্থানে হাহাকার করতে দেখা গেছে।

জেলা শহরের বাসিন্দা মো. আব্দুল করিম বলেন, নোয়াখালীর মাইজদীতে রাত থেকে বজ্রসহ ভারী বর্ষণ হয়। এতে পানি আরও ৬ ইঞ্চি বেড়ে গেছে। ফলে বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি হচ্ছে। আল্লাহ সহায় হোন।

জেলা আবহাওয়া কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার দিনে বৃষ্টি হয়নি। কেবল রাতে হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নতুন করে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেজন্য কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হচ্ছে। আবার কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হচ্ছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

টিএসসিতে শিবিরের এই আয়োজনের দায় ভিসি ও প্রক্টর এড়াতে পারে না: নাছির

রাতভর বৃষ্টিতে নোয়াখালীর বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

আপডেট সময় ১২:২১:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৪

টানা বৃষ্টি ও ভারতের উজানের পানিতে দীর্ঘদিন ধরে পানিবন্দি হয়ে আছেন নোয়াখালীর বাসিন্দারা। তলিয়ে আছে পথ-ঘাট, ঘরবাড়িতে পানি থাকায় এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে আছে মানুষ।

এর মধ্যেই মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রাতভর বজ্রসহ ভারী বর্ষণে পানি আরও ছয় ইঞ্চি বেড়ে গেছে। ফলে সেখানে বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি হচ্ছে। এতে আতঙ্ক বাড়ছে পানিবন্দি ও বানভাসিদের।

জেলা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, টানা বৃষ্টি ও ভারতের উজানের পানিতে নোয়াখালীতে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। ডুবে আছে বসতঘর ও সড়ক। নোয়াখালীর ৮ উপজেলার ৮৭ ইউনিয়নের প্রায় সাড়ে ২০ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছেন। ১১৬৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন ২ লাখ ১৬ হাজার মানুষ। প্রধান সড়কের আশপাশে সহযোগিতা পেলেও প্রান্তিক অঞ্চলগুলোতে পৌঁছায়নি ত্রাণ সহায়তা। ফলে অধিকাংশ জায়গায় দেখা দিয়েছে ত্রাণের জন্য হাহাকার।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, নোয়াখালীর ৮ উপজেলার ৮৭ ইউনিয়নের পানিবন্দি মানুষের মধ্যে সরকারিভাবে নগদ ৪৫ লাখ টাকা, ৮৮২ টন চাল, ১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, ৫ লাখ টাকার শিশু খাদ্য ও ৫ লাখ টাকার পশুখাদ্য বিতরণ করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলা শহর ও তার আশপাশের আশ্রয়কেন্দ্রে একাধিকবার সরকারি-বেসরকারি সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত থাকলেও প্রান্তিক অঞ্চলগুলোতে যাতায়াত ব্যবস্থা খারাপ হওয়ায় পৌঁছেনি সহায়তা। এতে সহায়তার জন্য বিভিন্ন স্থানে হাহাকার করতে দেখা গেছে।

জেলা শহরের বাসিন্দা মো. আব্দুল করিম বলেন, নোয়াখালীর মাইজদীতে রাত থেকে বজ্রসহ ভারী বর্ষণ হয়। এতে পানি আরও ৬ ইঞ্চি বেড়ে গেছে। ফলে বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি হচ্ছে। আল্লাহ সহায় হোন।

জেলা আবহাওয়া কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার দিনে বৃষ্টি হয়নি। কেবল রাতে হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নতুন করে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেজন্য কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হচ্ছে। আবার কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হচ্ছে।