ঢাকা ০৯:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আওয়ামী স্বৈরাচারের চেয়েও এই স্বৈরাচার ভয়াবহ : কাদের সিদ্দিকী Logo কর্ণফুলী নদী থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার Logo ডাকসু নির্বাচনে: উমামা ফাতেমার প্যানেলে ছাত্রলীগের দুই মুখ Logo ঈদে মিলাদুন্নবীর ছুটির তারিখ পরিবর্তন Logo এনসিপিকে বর্জন সহ হাসনাত-সারজিসকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে আলটিমেটাম Logo দুবাই প্রিন্সেস শেখা মাহরা-ফ্রেঞ্চ মনটানার বাগদানের ঘোষণা Logo অক্টোবরে কক্সবাজার বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট শুরু: শেখ বশিরউদ্দীন Logo ‘সকল সরকারই গাদ্দারি করেছে, মানুষ জামায়াতে ইসলামীর দিকেই তাকিয়ে আছে’ Logo এত দুর্বল সরকার আগে দেখেছেন? প্রশ্ন মাসুদ কামালের Logo রোজার আগেই নির্বাচন, ঘোষণা করা হলো রোডম্যাপ

ড. ইউনূসের লেজ কাটতে গিয়ে নিজের লেজই কেটে ফেলেছেন শেখ হাসিনা: কাদের সিদ্দিকী

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, ‘আমি ড. ইউনূসকে খুবই ভালোবাসি, পছন্দ করি। তার গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে যখন বিপদে পড়েছিলেন, তখন আমি তার পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। তাকে সাহস দিয়েছিলাম। আমি শেখ হাসিনাকেও বলেছিলাম, এ রকম একজন মানুষের লেজ কাটতে গিয়ে আপনি ভালো কাজ করছেন না। তাকে আপনি সাহায্য করুন। তাকে সব দেশে যেতে দিন। এতে আপনার ভালো হবে। কিন্তু শেখ হাসিনা তা শোনেননি। তার (ড. ইউনূসের) লেজ কাটতে কাটতে শেখ হাসিনার লেজই কাটা হয়ে গেছে।’

সোমবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে টাঙ্গাইলের সখীপুরে এক জনসভায় কাদের সিদ্দিকী কথাগুলো বলেন। পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র তালতলা চত্বরে উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ এ জনসভা আয়োজন করে। এ সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের পিতা। সংসদ বাতিল হয়েছে, আজ উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভাও বাতিল হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে বাতিল করবেন? তার নাম পিতা। রাষ্ট্রপিতা। রাষ্ট্রপিতাকে বাতিল করতে গেলে সন্তানের কিন্তু জন্মপরিচয় থাকবে না। একটু ভেবেচিন্তে কাজ করবেন। দেশের অবস্থা মোটেও ভালো না।’

কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, ‘দেশটা বিএনপির না। দেশটা জামায়াতেরও না। ১৪ দলেরও না। দেশটা মানুষের। দেশের মানুষকে ভালোবাসুন। তাহলেই দেশে শান্তি বিরাজ করবে।’

বিএনপির উদ্দেশে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্ররা জয়ী হয়েছে, তাই বলেই বিএনপি ক্ষমতায় বইসা পড়ছেন, এ রকম ভাববেন না। পাবলিক যদি সমর্থন না করে, তাহলে আওয়ামী লীগের যে দশা হয়েছে, আপনাদেরও তার চেয়ে কম হবে না।’

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘২৫ বছর ধরে দল করেছি। আওয়ামী লীগ আমাকে মিছিল-মিটিং করতে দেয়নি। কত গাড়ি-বাড়ি ভেঙেছে। ৩২ নম্বরে যাওয়ার সময় তোমরা আমার গাড়ি ভেঙেছ। তোমাদের বোঝাতে পারিনি, আওয়ামী লীগ ও কাদের সিদ্দিকী এক নয়। শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধু এক নয়।’

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যাকে আমি বহুবার বলেছি, দেশটা আপনার বাবার-দাদার, এমন ভাববেন না। দেশটা মানুষের। তিনি আমার কথা শোনেননি। আন্দোলনের শেষ মুহূর্তে শেখ হাসিনা আন্দোলনকারীদের বললেন, তোমাদের জন্য আমার দরজা খোলা। ইচ্ছা করলে তোমরা আসতে পারো। তাদের ইচ্ছা হয়েছে, শেখ হাসিনাকে ঘাড়ে ধরে বের করে দিয়েছে।’

উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আবদুস সবুর খানের সভাপতিত্বে জনসভায় আরও বক্তব্য দেন জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক সালেক হিটলু, উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন, বাসাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র রাহাত হাসান, পৌর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আবু জাহিদ রিপন, উপজেলা কমিটির সহসভাপতি সানোয়ার হোসেন, দুলাল হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, আশিক জাহাঙ্গীর প্রমুখ।

জনপ্রিয় সংবাদ

আওয়ামী স্বৈরাচারের চেয়েও এই স্বৈরাচার ভয়াবহ : কাদের সিদ্দিকী

ড. ইউনূসের লেজ কাটতে গিয়ে নিজের লেজই কেটে ফেলেছেন শেখ হাসিনা: কাদের সিদ্দিকী

আপডেট সময় ০১:২৬:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, ‘আমি ড. ইউনূসকে খুবই ভালোবাসি, পছন্দ করি। তার গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে যখন বিপদে পড়েছিলেন, তখন আমি তার পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। তাকে সাহস দিয়েছিলাম। আমি শেখ হাসিনাকেও বলেছিলাম, এ রকম একজন মানুষের লেজ কাটতে গিয়ে আপনি ভালো কাজ করছেন না। তাকে আপনি সাহায্য করুন। তাকে সব দেশে যেতে দিন। এতে আপনার ভালো হবে। কিন্তু শেখ হাসিনা তা শোনেননি। তার (ড. ইউনূসের) লেজ কাটতে কাটতে শেখ হাসিনার লেজই কাটা হয়ে গেছে।’

সোমবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে টাঙ্গাইলের সখীপুরে এক জনসভায় কাদের সিদ্দিকী কথাগুলো বলেন। পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র তালতলা চত্বরে উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ এ জনসভা আয়োজন করে। এ সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের পিতা। সংসদ বাতিল হয়েছে, আজ উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভাও বাতিল হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে বাতিল করবেন? তার নাম পিতা। রাষ্ট্রপিতা। রাষ্ট্রপিতাকে বাতিল করতে গেলে সন্তানের কিন্তু জন্মপরিচয় থাকবে না। একটু ভেবেচিন্তে কাজ করবেন। দেশের অবস্থা মোটেও ভালো না।’

কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, ‘দেশটা বিএনপির না। দেশটা জামায়াতেরও না। ১৪ দলেরও না। দেশটা মানুষের। দেশের মানুষকে ভালোবাসুন। তাহলেই দেশে শান্তি বিরাজ করবে।’

বিএনপির উদ্দেশে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্ররা জয়ী হয়েছে, তাই বলেই বিএনপি ক্ষমতায় বইসা পড়ছেন, এ রকম ভাববেন না। পাবলিক যদি সমর্থন না করে, তাহলে আওয়ামী লীগের যে দশা হয়েছে, আপনাদেরও তার চেয়ে কম হবে না।’

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘২৫ বছর ধরে দল করেছি। আওয়ামী লীগ আমাকে মিছিল-মিটিং করতে দেয়নি। কত গাড়ি-বাড়ি ভেঙেছে। ৩২ নম্বরে যাওয়ার সময় তোমরা আমার গাড়ি ভেঙেছ। তোমাদের বোঝাতে পারিনি, আওয়ামী লীগ ও কাদের সিদ্দিকী এক নয়। শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধু এক নয়।’

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যাকে আমি বহুবার বলেছি, দেশটা আপনার বাবার-দাদার, এমন ভাববেন না। দেশটা মানুষের। তিনি আমার কথা শোনেননি। আন্দোলনের শেষ মুহূর্তে শেখ হাসিনা আন্দোলনকারীদের বললেন, তোমাদের জন্য আমার দরজা খোলা। ইচ্ছা করলে তোমরা আসতে পারো। তাদের ইচ্ছা হয়েছে, শেখ হাসিনাকে ঘাড়ে ধরে বের করে দিয়েছে।’

উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আবদুস সবুর খানের সভাপতিত্বে জনসভায় আরও বক্তব্য দেন জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক সালেক হিটলু, উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন, বাসাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র রাহাত হাসান, পৌর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আবু জাহিদ রিপন, উপজেলা কমিটির সহসভাপতি সানোয়ার হোসেন, দুলাল হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, আশিক জাহাঙ্গীর প্রমুখ।