ঢাকা ০৩:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্পোর্টস ইনস্টিটিউট করতে চান ক্রীড়া উপদেষ্টা

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। দায়িত্ব পালনের এক সপ্তাহের মাথায় বাংলাদেশের প্রথম স্পোর্টস ইনস্টিটিউট করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

গতকাল(১৮ আগস্ট) বাংলাদেশ সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

আসিফ মাহমুদ বলেন, খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে উন্নতি ঘটানো ও বিকল্প আয়ের উৎস তৈরির জন্যই স্পোর্টস ইনস্টিটিউট তৈরি করতে চান। ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্স’ স্লোগানে বাংলাদেশে এই স্পোর্টস ইনস্টিটিউট করা হবে।

তিনি বলেন, “জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ক্রীড়াবিদদের হাইপারফরম্যান্স, ক্রীড়ায় সামগ্রিক লক্ষ্য অর্জন, ক্রীড়াবিদদের মানসিক ও শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, ক্রীড়া কৌশল ও নেতৃত্বগুণের মান উন্নয়ন তথা সামগ্রিক উন্নয়নের মাধ্যমে জাতীয় গৌরব অর্জনের লক্ষ্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘সেন্টার অব অ্যাক্সিলেন্স’ স্লোগানে বাংলাদেশের প্রথমবারের মতো নির্মিত হবে বাংলাদেশ স্পোর্টস ইনস্টিটিউট’।”

স্পোর্টস ইনস্টিটিটিউট করার ভাবনা নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে যুগান্তকারী এক সিদ্ধান্তের দ্বারপ্রান্তে আছি আমরা, যা এ দেশের ক্রীড়াক্ষেত্রে প্রথম। শুধু তা-ই নয়, খেলোয়াড়, কোচ কিংবা ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে সম্পৃক্তদের কাছে তা হবে বিশেষায়িত এক স্থান। নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার উপলক্ষ এবং লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক মাধ্যম। দক্ষ ক্রীড়াবিদ তৈরি, ভালো ফল পাওয়াই এর লক্ষ্য। এদেশের ক্রীড়া ক্ষেত্রে শুধু প্রথম যে তাই নয়, এটি খেলোয়াড়, কোচ এবং ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবার কাছে হবে বিশেষায়িত স্থান।

আসিফ মাহমুদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ক্রীড়া ক্ষেত্রে দক্ষ ক্রীড়াবিদ তৈরি এবং আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ও উচ্চ ফলাফল অর্জনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ স্পোর্টস ইনস্টিটিউট জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের খ্যাতনামা স্পোর্টস প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কার্যকর কোলাবরেশনের মাধ্যমে বিশেষায়িত স্পোর্টস সেবা ও অবকাঠাগত সুযোগ সুবিধা প্রদান করবে। এ বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে, আলোচনা চলমান আছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে আপনারা সংবাদ পাবেন।’ যদিও উদ্যোগের বাজেট কিংবা কতোদিনের মধ্যে তৈরি হবে তেমন কোনো তথ্য দেননি ক্রীড়া উপদেষ্টা।

তিনি আরও বলেছেন, ‘এটা একটা ধারণা। আমরা এটা করতে চাইছি। অন্যান্য দেশ এটি করছে। সেই আদলে আমরা করতে চাইছি। তাই সম্ভাব্যতা যাচাই হবে, প্রকল্পের মূল্য নির্ধারণ হবে। নতুন জায়গায় এটা করতে গেলে সেই জায়গার দাম আসবে, ভবন আসবে, অন্য বিষয় আসবে। ফলে কতো টাকা লাগবে, এখনই বলা যাবে না।’ বাংলাদেশে মূলত খেলোয়াড় তৈরি হয় বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে। সেখানে একটি স্পোর্টস সায়েন্স ডিপার্টমেন্টও আছে। তবু কেন সরকার স্পোর্টস ইনস্টিটিউট করার উদ্যোগ নিলো, এই প্রশ্নের উত্তরে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘বিকেএসপিতে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত আছে। কিন্তু সর্বোচ্চ পারফরম্যান্সের জন্য কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। তার জন্যই এই স্পোর্টস ইনস্টিটিউট করা।’

জনপ্রিয় সংবাদ

ইকুয়েডরকে ৭ গোল দিল আর্জেন্টিনা

স্পোর্টস ইনস্টিটিউট করতে চান ক্রীড়া উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৭:৫৩:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৪

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। দায়িত্ব পালনের এক সপ্তাহের মাথায় বাংলাদেশের প্রথম স্পোর্টস ইনস্টিটিউট করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

গতকাল(১৮ আগস্ট) বাংলাদেশ সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

আসিফ মাহমুদ বলেন, খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে উন্নতি ঘটানো ও বিকল্প আয়ের উৎস তৈরির জন্যই স্পোর্টস ইনস্টিটিউট তৈরি করতে চান। ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্স’ স্লোগানে বাংলাদেশে এই স্পোর্টস ইনস্টিটিউট করা হবে।

তিনি বলেন, “জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ক্রীড়াবিদদের হাইপারফরম্যান্স, ক্রীড়ায় সামগ্রিক লক্ষ্য অর্জন, ক্রীড়াবিদদের মানসিক ও শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, ক্রীড়া কৌশল ও নেতৃত্বগুণের মান উন্নয়ন তথা সামগ্রিক উন্নয়নের মাধ্যমে জাতীয় গৌরব অর্জনের লক্ষ্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘সেন্টার অব অ্যাক্সিলেন্স’ স্লোগানে বাংলাদেশের প্রথমবারের মতো নির্মিত হবে বাংলাদেশ স্পোর্টস ইনস্টিটিউট’।”

স্পোর্টস ইনস্টিটিটিউট করার ভাবনা নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে যুগান্তকারী এক সিদ্ধান্তের দ্বারপ্রান্তে আছি আমরা, যা এ দেশের ক্রীড়াক্ষেত্রে প্রথম। শুধু তা-ই নয়, খেলোয়াড়, কোচ কিংবা ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে সম্পৃক্তদের কাছে তা হবে বিশেষায়িত এক স্থান। নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার উপলক্ষ এবং লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক মাধ্যম। দক্ষ ক্রীড়াবিদ তৈরি, ভালো ফল পাওয়াই এর লক্ষ্য। এদেশের ক্রীড়া ক্ষেত্রে শুধু প্রথম যে তাই নয়, এটি খেলোয়াড়, কোচ এবং ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবার কাছে হবে বিশেষায়িত স্থান।

আসিফ মাহমুদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ক্রীড়া ক্ষেত্রে দক্ষ ক্রীড়াবিদ তৈরি এবং আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ও উচ্চ ফলাফল অর্জনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ স্পোর্টস ইনস্টিটিউট জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের খ্যাতনামা স্পোর্টস প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কার্যকর কোলাবরেশনের মাধ্যমে বিশেষায়িত স্পোর্টস সেবা ও অবকাঠাগত সুযোগ সুবিধা প্রদান করবে। এ বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে, আলোচনা চলমান আছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে আপনারা সংবাদ পাবেন।’ যদিও উদ্যোগের বাজেট কিংবা কতোদিনের মধ্যে তৈরি হবে তেমন কোনো তথ্য দেননি ক্রীড়া উপদেষ্টা।

তিনি আরও বলেছেন, ‘এটা একটা ধারণা। আমরা এটা করতে চাইছি। অন্যান্য দেশ এটি করছে। সেই আদলে আমরা করতে চাইছি। তাই সম্ভাব্যতা যাচাই হবে, প্রকল্পের মূল্য নির্ধারণ হবে। নতুন জায়গায় এটা করতে গেলে সেই জায়গার দাম আসবে, ভবন আসবে, অন্য বিষয় আসবে। ফলে কতো টাকা লাগবে, এখনই বলা যাবে না।’ বাংলাদেশে মূলত খেলোয়াড় তৈরি হয় বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে। সেখানে একটি স্পোর্টস সায়েন্স ডিপার্টমেন্টও আছে। তবু কেন সরকার স্পোর্টস ইনস্টিটিউট করার উদ্যোগ নিলো, এই প্রশ্নের উত্তরে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘বিকেএসপিতে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত আছে। কিন্তু সর্বোচ্চ পারফরম্যান্সের জন্য কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। তার জন্যই এই স্পোর্টস ইনস্টিটিউট করা।’