ঢাকা ০২:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্বৈরাচার সরকারের বিদায় উপলক্ষ্যে ববিতে বিজয় মিছিল

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পদত্যাগে আলোচনা সভা ও বিজয় মিছিল করেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী ও এলাকার জনতা।

বুধবার (১৪ আগস্ট) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ডফ্লোরে এ আলোচনা সভায় অংশগ্রহন করেন শতশত শিক্ষার্থী ও কর্ণকাঠি এলাকাবাসী।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং দুপুর ১ টা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোর থেকে বিজয় মিছিল বের হয়ে ভোলা রোড ঘুরে ক্যাম্পাসের ভিতরে শেষ হয়।

বক্তব্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সমন্বয়ক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা অনেক আত্মত্যাগের পর বিজয়ী হয়েছি। সুন্দর একটি সোনার বাংলা গড়তে আমাদের আত্মত্যাগকে সমুন্নত রেখেছি। তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের বিজয় হলেও সারা দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ করা হচ্ছে। আমাদের আন্দোলনকে কলঙ্কিত করতে চেষ্টা করা হচ্ছে। আমাদের সচেতন থাকতে হবে।’

কর্ণকাঠি এলাকার পক্ষ থেকে আহত একজন বলেন, ‘হায়েনা পুলিশ বাহিনীর বুলেটের আঘাতে আমার চোখ হারিয়েছি তবে দুঃখ নেই আমরা চূড়ান্ত সফলতা অর্জন করেছি। তিনি আরো বলেন, ওরা রাজাকার, ওরা খুনি, ওদের বিচার হবে। খুনি হাসিনার দোসরদের বিচার করা হবে। এ সময় তিনি আহত এবং নিহত সকলের জন্য দোয়ার দরখাস্ত করেন।’

তুমি কে আমি কে? শিক্ষার্থী শিক্ষার্থী, হৈ হৈ রই রই ছাত্রলীগ গেলি কই সহ অসংখ্য স্লোগানে সকলে মুখরিত হয়ে ওঠে। বিজয় মিছিলে ছাত্র-জনতার এসব স্লোগানে পুরো এলাকা প্রকম্পিত হয়ে ওঠে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

এবার রাঙামাটিতেও সংঘাত, পরিস্থিতি-নিয়ন্ত্রণে-১৪৪-ধারা-জারি

স্বৈরাচার সরকারের বিদায় উপলক্ষ্যে ববিতে বিজয় মিছিল

আপডেট সময় ০৮:০৫:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৪

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পদত্যাগে আলোচনা সভা ও বিজয় মিছিল করেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী ও এলাকার জনতা।

বুধবার (১৪ আগস্ট) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ডফ্লোরে এ আলোচনা সভায় অংশগ্রহন করেন শতশত শিক্ষার্থী ও কর্ণকাঠি এলাকাবাসী।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং দুপুর ১ টা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোর থেকে বিজয় মিছিল বের হয়ে ভোলা রোড ঘুরে ক্যাম্পাসের ভিতরে শেষ হয়।

বক্তব্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সমন্বয়ক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা অনেক আত্মত্যাগের পর বিজয়ী হয়েছি। সুন্দর একটি সোনার বাংলা গড়তে আমাদের আত্মত্যাগকে সমুন্নত রেখেছি। তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের বিজয় হলেও সারা দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ করা হচ্ছে। আমাদের আন্দোলনকে কলঙ্কিত করতে চেষ্টা করা হচ্ছে। আমাদের সচেতন থাকতে হবে।’

কর্ণকাঠি এলাকার পক্ষ থেকে আহত একজন বলেন, ‘হায়েনা পুলিশ বাহিনীর বুলেটের আঘাতে আমার চোখ হারিয়েছি তবে দুঃখ নেই আমরা চূড়ান্ত সফলতা অর্জন করেছি। তিনি আরো বলেন, ওরা রাজাকার, ওরা খুনি, ওদের বিচার হবে। খুনি হাসিনার দোসরদের বিচার করা হবে। এ সময় তিনি আহত এবং নিহত সকলের জন্য দোয়ার দরখাস্ত করেন।’

তুমি কে আমি কে? শিক্ষার্থী শিক্ষার্থী, হৈ হৈ রই রই ছাত্রলীগ গেলি কই সহ অসংখ্য স্লোগানে সকলে মুখরিত হয়ে ওঠে। বিজয় মিছিলে ছাত্র-জনতার এসব স্লোগানে পুরো এলাকা প্রকম্পিত হয়ে ওঠে।