ঢাকা ০৬:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সময় টিভি কর্তৃপক্ষকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম শিক্ষার্থীদের

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যার উষ্কানিদাতা ও সৈরাচারের দোষরমুক্ত গণমাধ্যম নিশ্চিতে সময় টিভি কর্তৃপক্ষকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীসহ সময়ের সাবেক ও বর্তমান সাংবাদিকরা।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) দুপুর ১২টায় টেলিভিশনটির সামনে এক মানববন্ধন থেকে এই হুঁশিয়ারী দেন তারা। মানববন্ধনে শতাধিক শিক্ষার্থী ও সংবাদকর্মী অংশ নেন।

স্বৈরাচারী সরকারের পতনের আগে দেশব্যাপী হত্যাকাণ্ড চালায় শেখ হাসিনা। এসব হত্যাকাণ্ডের নিরব সমর্থন দেয় বেসরকারি টেলিভিশন সময় টিভি। এতে ক্ষোভের দানা বাঁধে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে। শিক্ষার্থীরা জানান, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় ছাত্র হত্যার নিউজ প্রচার না করে উল্টো পুলিশকে ছাত্রদের বুকে গুলি চালাতে উস্কে দেয় দালাল সাংবাদিকরা। যার ভিডিও প্রকাশ হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি বলেন, ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। অথচ স্বৈরাচারের দোষররা রয়ে গেছে কিছু কিছু জায়গায়। আজ আমরা এসেছি সময় টেলিভিশনে। সময় টিভির কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ছাত্রজনতা গণহত্যায় উস্কে দেয়ার সুস্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে। বিশেষ করে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এডভোকেট কামরুল ইসলাম ভাগিনা আহমেদ জোবায়েরের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে।

রনি বলেন, ছাত্রদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক নিউজ করে দেশের পরিস্থিতির অবনতি ঘটায়। এছাড়া ছাত্র জনতা হত্যায় মিথ্যা সংবাদ করে পুলিশকে উস্কে দেয়। ফলে গণহত্যায় সরাসরি দায়ী এ আহমেদ জোবায়েরসহ টেলিভিশনটির কর্তৃপক্ষ। এ শিক্ষার্থী বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আহমেদ জোবায়েরকে টেলিভিশনের চাকুরী থেকে অব্যাহতি দিতে হবে।

এ সময় আহমেদ জোবায়েরের পক্ষে মানববন্ধনে বাধা দেন সিনিয়র রিপোর্টার আতাউর কাউসারসহ কয়েকজন কর্মী। পরে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পিছু হটেন তারা।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া সাংবাদিকরা জানান, আওয়ামী লীগের পক্ষে মিথ্যা সংবাদে রাজি না হওয়ায় বিগত সময়ে বেশ কয়েকজন সংবাদকর্মীর উপর অন্যায় করেছেন আহমেদ জোবায়ের, খান মোহাম্মদ রুমেল, লোপা আহমেদসহ তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা। অযাচিত চাপ প্রয়োগ করে বহু সংবাদকর্মীকে চাকুরী ছাড়তে বাধ্য করেন তারা। তাদের এমন সাংবাদিকতার কারণে সারাদেশের মানুষ এখন সাংবাদিকদের গালি দেয়। সবাই দালাল বলে। তাই সাংবাদিকরা দালালের তকমা থেকে মুক্তি পেতে এখানে দাঁড়িয়েছে।

এ সময় সকল গণমাধ্যমে সত্য ও মুক্ত সাংবাদিকতার পরিবেশ নিশ্চিতেরও দাবি জানান আন্দোলনকারীরা।

ট্যাগস :

চলতি মাসের ৫ দিনে রেমিট্যান্স এলো ৪২ কোটি ডলার

সময় টিভি কর্তৃপক্ষকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম শিক্ষার্থীদের

আপডেট সময় ০৩:০৩:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যার উষ্কানিদাতা ও সৈরাচারের দোষরমুক্ত গণমাধ্যম নিশ্চিতে সময় টিভি কর্তৃপক্ষকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীসহ সময়ের সাবেক ও বর্তমান সাংবাদিকরা।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) দুপুর ১২টায় টেলিভিশনটির সামনে এক মানববন্ধন থেকে এই হুঁশিয়ারী দেন তারা। মানববন্ধনে শতাধিক শিক্ষার্থী ও সংবাদকর্মী অংশ নেন।

স্বৈরাচারী সরকারের পতনের আগে দেশব্যাপী হত্যাকাণ্ড চালায় শেখ হাসিনা। এসব হত্যাকাণ্ডের নিরব সমর্থন দেয় বেসরকারি টেলিভিশন সময় টিভি। এতে ক্ষোভের দানা বাঁধে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে। শিক্ষার্থীরা জানান, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় ছাত্র হত্যার নিউজ প্রচার না করে উল্টো পুলিশকে ছাত্রদের বুকে গুলি চালাতে উস্কে দেয় দালাল সাংবাদিকরা। যার ভিডিও প্রকাশ হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি বলেন, ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। অথচ স্বৈরাচারের দোষররা রয়ে গেছে কিছু কিছু জায়গায়। আজ আমরা এসেছি সময় টেলিভিশনে। সময় টিভির কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ছাত্রজনতা গণহত্যায় উস্কে দেয়ার সুস্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে। বিশেষ করে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এডভোকেট কামরুল ইসলাম ভাগিনা আহমেদ জোবায়েরের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে।

রনি বলেন, ছাত্রদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক নিউজ করে দেশের পরিস্থিতির অবনতি ঘটায়। এছাড়া ছাত্র জনতা হত্যায় মিথ্যা সংবাদ করে পুলিশকে উস্কে দেয়। ফলে গণহত্যায় সরাসরি দায়ী এ আহমেদ জোবায়েরসহ টেলিভিশনটির কর্তৃপক্ষ। এ শিক্ষার্থী বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আহমেদ জোবায়েরকে টেলিভিশনের চাকুরী থেকে অব্যাহতি দিতে হবে।

এ সময় আহমেদ জোবায়েরের পক্ষে মানববন্ধনে বাধা দেন সিনিয়র রিপোর্টার আতাউর কাউসারসহ কয়েকজন কর্মী। পরে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পিছু হটেন তারা।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া সাংবাদিকরা জানান, আওয়ামী লীগের পক্ষে মিথ্যা সংবাদে রাজি না হওয়ায় বিগত সময়ে বেশ কয়েকজন সংবাদকর্মীর উপর অন্যায় করেছেন আহমেদ জোবায়ের, খান মোহাম্মদ রুমেল, লোপা আহমেদসহ তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা। অযাচিত চাপ প্রয়োগ করে বহু সংবাদকর্মীকে চাকুরী ছাড়তে বাধ্য করেন তারা। তাদের এমন সাংবাদিকতার কারণে সারাদেশের মানুষ এখন সাংবাদিকদের গালি দেয়। সবাই দালাল বলে। তাই সাংবাদিকরা দালালের তকমা থেকে মুক্তি পেতে এখানে দাঁড়িয়েছে।

এ সময় সকল গণমাধ্যমে সত্য ও মুক্ত সাংবাদিকতার পরিবেশ নিশ্চিতেরও দাবি জানান আন্দোলনকারীরা।