ঢাকা ০৭:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ১৮ জনের মৃত্যু Logo চীনে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে যা বলেছিলেন ড. ইউনূস? যেজন্য হতভম্ব ভারত Logo জামায়াতের ঈদ উপলক্ষে প্রীতি ভোজের ঘটনায় বিএনপি – যুবলীগের হামলা Logo শহীদ নাসিব হাসান রিহান-এর পরিবারের সদস্যদের সাথে আমীরে জামায়াতের ঈদ কুশল বিনিময় Logo ড. ইউনূসকে শেহবাজের ফোন, পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ Logo মিয়ানমারে ভূমিকম্প: ২ হাজার ছাড়াল নিহতের সংখ্যা Logo গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: খালেদা জিয়া Logo ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচের পদত্যাগ Logo ঈদের নামাজ শেষে ‘জয় বাংলা’স্লোগান, বিএনপির সাথে সংঘর্ষ গুলিবিদ্ধ ১ Logo আইপিএলসহ টিভিতে যা দেকবেন আজ

আশুলিয়ায় ৫ পোশাক কারখানায় আগুন

সাভারের আশুলিয়ায় পাঁচটি পোশাক কারখানায় আগুন দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। তাদের বাধার মুখে তা নেভাতে পারছেন না ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। রবিবার (৪ আগস্ট) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে। আগুন লাগা কারখানাগুলো হলো- জিরানী এলাকার হামিম গোডাউন, সিনহা টেক্সটাইল, বেক্সিমকো টেক্সটাইল, ডরিন টেক্সটাইল ও বেঙ্গল গ্রুপের কারখানা।

এর মধ্যে কয়েকটি কারখানার আগুন স্থানীয়ভাবে নেভানো হলেও বেক্সিমকো ও বেঙ্গল গ্রুপের কারখানায় এখনো আগুন জ্বলছে বলে জানা গেছে।

জিরাবো ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন ম্যানেজার আবু সায়েম মাসুম বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট হামিমের গোডাউনে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু আন্দোলনকারীরা ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ফিরিয়ে দিয়েছে। এ ছাড়া বাইপাইল মোড়ে আরএস টাওয়ারে অগ্নিসংযোগ করেছে বলে জানতে পেরেছি।

ডিপিজেড ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার জুবায়েদ বলেন, জিরানী এলাকার সিনহা টেক্সটাইল, বেক্সিমকো, ডরেন ও জিরাবো এলাকায় হামিম গার্মেন্টসের গোডাউনে অগ্নি সংযোগের খবর এসেছে। আমরা সিনহা টেক্সটাইলে যাওয়ার পথে আন্দোলনকারীরা গাড়ি ভাঙচুর করেছে। এ সময় আমাদের ফায়ার সার্ভিসের এক সদস্যকে মারধর করেছে তারা। পুলিশের নিরাপত্তা ছাড়া আমাদের কাজ করা সম্ভব নয়।

ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন ম্যানেজার প্রণব চৌধুরী বলেন, আমাদের ফায়ার স্টেশনে একটির পর একটি আগুনের খবর এসেছে। কিন্তু আমরা কোথাও যেতে পারিনি। রাস্তায় আন্দোলনকারীরা বাধা দিয়েছে। এখনো বেঙ্গল ও বেক্সিমকো গ্রুপের কারখানায় আগুন জ্বলছে। প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।

আশুলিয়া শিল্প পুলিশের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম জানান, দুষ্কৃতকারীরা রাস্তার পাশে যেদিক দিয়ে যাচ্ছে সেদিক দিয়ে দোকান-পাট ও কারখানায় লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে। আশুলিয়া থানা, পুলিশ ফাঁড়ি, ট্রাফিক বক্স ও আমাদের লাইনে হামলা করেছে। আমরা কোনো কিছুই করতে পারছি না, শুধু লোকাল সোর্সের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করছি।

জনপ্রিয় সংবাদ

গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ১৮ জনের মৃত্যু

আশুলিয়ায় ৫ পোশাক কারখানায় আগুন

আপডেট সময় ১১:৪৯:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ অগাস্ট ২০২৪

সাভারের আশুলিয়ায় পাঁচটি পোশাক কারখানায় আগুন দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। তাদের বাধার মুখে তা নেভাতে পারছেন না ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। রবিবার (৪ আগস্ট) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে। আগুন লাগা কারখানাগুলো হলো- জিরানী এলাকার হামিম গোডাউন, সিনহা টেক্সটাইল, বেক্সিমকো টেক্সটাইল, ডরিন টেক্সটাইল ও বেঙ্গল গ্রুপের কারখানা।

এর মধ্যে কয়েকটি কারখানার আগুন স্থানীয়ভাবে নেভানো হলেও বেক্সিমকো ও বেঙ্গল গ্রুপের কারখানায় এখনো আগুন জ্বলছে বলে জানা গেছে।

জিরাবো ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন ম্যানেজার আবু সায়েম মাসুম বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট হামিমের গোডাউনে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু আন্দোলনকারীরা ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ফিরিয়ে দিয়েছে। এ ছাড়া বাইপাইল মোড়ে আরএস টাওয়ারে অগ্নিসংযোগ করেছে বলে জানতে পেরেছি।

ডিপিজেড ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার জুবায়েদ বলেন, জিরানী এলাকার সিনহা টেক্সটাইল, বেক্সিমকো, ডরেন ও জিরাবো এলাকায় হামিম গার্মেন্টসের গোডাউনে অগ্নি সংযোগের খবর এসেছে। আমরা সিনহা টেক্সটাইলে যাওয়ার পথে আন্দোলনকারীরা গাড়ি ভাঙচুর করেছে। এ সময় আমাদের ফায়ার সার্ভিসের এক সদস্যকে মারধর করেছে তারা। পুলিশের নিরাপত্তা ছাড়া আমাদের কাজ করা সম্ভব নয়।

ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন ম্যানেজার প্রণব চৌধুরী বলেন, আমাদের ফায়ার স্টেশনে একটির পর একটি আগুনের খবর এসেছে। কিন্তু আমরা কোথাও যেতে পারিনি। রাস্তায় আন্দোলনকারীরা বাধা দিয়েছে। এখনো বেঙ্গল ও বেক্সিমকো গ্রুপের কারখানায় আগুন জ্বলছে। প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।

আশুলিয়া শিল্প পুলিশের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম জানান, দুষ্কৃতকারীরা রাস্তার পাশে যেদিক দিয়ে যাচ্ছে সেদিক দিয়ে দোকান-পাট ও কারখানায় লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে। আশুলিয়া থানা, পুলিশ ফাঁড়ি, ট্রাফিক বক্স ও আমাদের লাইনে হামলা করেছে। আমরা কোনো কিছুই করতে পারছি না, শুধু লোকাল সোর্সের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করছি।